পরিচয়ের শুরুটা হয়েছিল অনলাইনে, যদিও দুজনেই একই ব্যাচে বিবিএ ফ্যাকাল্টিতে পড়তাম, তবে কখনও দ্যাখা হয়নি। ২৭ হাজার স্টুডেন্টের ভিড়ে পরিচয় না হওয়াটাই অনেকটা স্বাভাবিক। পরিচয়টা একটা কবিতার গ্রুপে, বেশকিছুদিন ধরে একজন আরেকজনের কবিতায় কমেন্ট করে যাচ্ছিলাম। এরপর শুরু হলো জানাজানি-- জানতে গিয়ে দেখি আমরা তো একই উদ্যানের পথচারী। যা হোক, সেই থেকে শুরু, প্রায় তিন বছরের পথচলায় আমার বিশ্বস্ত প্রিয় বন্ধু কবি কালপুরুষ। যদিও আমাদের মাঝে মতের অমিল আছে অনেককিছুতে-- কিন্তু সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে এসেছে আমাদের ঐকান্তিক সাহিত্যপ্রেম এবং সত্য ও সুন্দরকে ধারণ করার অবিরত প্রচেষ্টা। উন্মুক্ত হৃদয়কে ধারণ করে আমরা হেঁটে এসেছি এতোটা পথ-- যেখানে এসে দেখি এতো সময় পরে এতো কাছে চলে এসেছি আমরা যে, দু'জনার ব্যক্তি জীবনের ঘাত/প্রতিঘাত যেনো এক হয়ে গ্যাছে। জীবনের উপলব্ধিগুলো যেনো একই নদীর উতসমূলের মত বহমান। এজন্যে কবি হিসেবে কালপুরুষকে মূল্যায়নের পূর্বে আমি আমার বন্ধু হিসেবেই তাঁকে আগে মূল্যায়ন করছি। ইদানীংকালের কবিদের অনেক বদনাম শুনতে হয় তাদের কবিতা এবং জীবনপ্রনালীর বিস্তর পার্থক্য নিয়ে। কিন্তু আমি কাছ থেকে কালপুরুষকে দেখেছি একজন মানুষ হয়েও যে সাধকের মত কবিতা সাধনা করে গ্যাছে-- যখন প্রেমের কবিতা লিখেছে, হৃদয়কে এতোটা প্রেমময় করে তুলেছে যে মনে হতো সে যেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রেমিক। যখন দুঃখের কবিতা লিখেছে, তাঁর চারপাশ থেকে বিরহ যেনো চুয়ে চুয়ে প্রবাহিত হতো। কবিতা যে কিভাবে সাধনার বস্তু হতে পারে তাঁর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত কবি কালপুরুষ। তাঁর ব্যক্তিজীবনের এমন কোন জায়গা খুঁজে পাওয়া দুস্কর যেখানে কবিতার রেশ লেগে নেই।
কবিতা একটা সাহিত্য উপাদানমাত্র, কবিতার মূল আত্মাটা তাঁর দর্শনে। কালপুরুষের সাথে আমার সম্পর্কটা কেবল কবিতায় বলবো না বরং অনেকটাই সত্যাগ্রহী জীবন দর্শনে। একটা মহৎ জীবনের উদ্দেশ্যে আমাদের যাত্রা। তাই, আমাদের জীবন ভ্রমণটা কেবল কবিতায় সীমাবদ্ধ নয়। ব্যক্তিজীবনের প্রায় প্রতিটি সত্তায় যেনো আমরা একজন অন্যজনার।
প্রতিদিন লিখবো লিখবো করে ব্যস্ততার কারণে লিখে উঠতে পারছিলাম না। কালপুরুষের কবিতার আলোচনা করা কষ্টসাধ্য কাজ। কবিতা নিয়ে সে এতো বেশি কাজ করেছে যে তাঁর কবিতার আলোচনা করতে যথেষ্ট সময় দরকার। অধিকিন্তু কবিতা আলোচনায় আমি নিজেও তেমন একটা পারদর্শী নই। আজ শুধু ব্যক্তি কালপুরুষকে স্বল্প পরিসরে আপনাদের কাছে পরিচিত করার চেষ্টা করলাম। এবারের বইমেলায় এসেছে কবি কালপুরুষের প্রথম কবিতার বই এই শহরে রাজহাঁস নিষিদ্ধ। ৭১টি কবিতা সম্বলিত বইটি পাওয়া যাচ্ছে কুঁড়েঘর প্রকাশনীর ২৫০ নং স্টলে। পাঠকদের সুবিধার্তে শীঘ্রই বইটির কবিতাগুলোর পিডিএফ কপি অনলাইনে ফ্রি পাওয়া যাবে। আগামী পর্বে কালপুরুষের অনবদ্য সৃষ্টি 'এই শহরে রাজহাঁস নিষিদ্ধ' বইটি নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আলোচিত ব্লগ
সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাজনীতির পন্ডিত, ব্লগার তানভীর জুমারের পোষ্টটি পড়েন, জল্লাদ আসিফ মাহমুদ কি কি জানে!

সামুর রাজনীতির ডোডো পন্ডিত, ব্লগার তানভীর ১ খানা পোষ্ট প্রসব করেছেন; পোষ্টে বলছেন, ইউনুস ও পাকিসতানীদের জল্লাদ আসিফ মাহমুদ ধরণা করছে, "সেনাবাহিনী ও ব্যুরোক্রেটরা বিএনপি'কে... ...বাকিটুকু পড়ুন
নীল নকশার অন্ধকার রাত

কায়রোর রাস্তায় তখন শীতের হিম হাওয়া বইছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। দুইটা বড় সংবাদপত্র অফিস: আল-আহরাম এবং আল-মাসরি আল-ইয়াউম—হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলে উঠলো। কিন্তু এই আগুন কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদি ভাই, ইনসাফ এবং একটা অসমাপ্ত বিপ্লবের গল্প

ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।
মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন
আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে
আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[
স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।