আত্মহনন-ই শেষ সমাধান নয়
সচেতন সমাজ এবং অভিমানী আপুদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি
অভিমানের বসে উচ্ছল, প্রাণ-চঞ্চল, হাসি-খুশীতে মুখরিত নিষ্পাপ ফুলস্বদৃশ্য জীবনটাকে নিমিষে নিঃশেষ করে দিবেন না।
মৃত্যূই সব সমস্যা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ নয়। সমস্যার সম্মূখীন হলে, তার মোকাবেলায় জয়ী হওয়াটাই হচ্ছে জীবনের সাফল্য কথা।
আজকাল পত্রিকার পাতায় প্রায় দেখা যায়, তুচ্ছ (সবগুলো তুচ্ছ নয়) ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপুদের আত্মহননের হাইলাইটস নিউজ।
যেমন, বখাটে যুবকের উত্যক্ত সহ্য করতে না পেরে কিশোরীর আত্মহনন, অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয়ে আদায়ে কুমারী মাতার গলায় ফাস, প্রেমে ব্যর্থ, বাবা-মায়ের সাথে অভিমান করে কিশোরীর বিষপান। আরো অনেক অজানা কারণে আমাদের আপুদের আত্মহনন করতে দেখা যায়।
এইসব আপুদের বলছি, দয়া করে আত্মহননের মতো অনাকাঙ্খিত এবং অগ্রহনযোগ্য মৃত্যূর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসুন। আত্মহনন হচ্ছে অমার্জনীয় অপরাধ যার কারণে আপনার পরকালের সম্ভাব্য সুখকে নিজ হাতে বিসর্জন দিচ্ছেন। আত্মহননকারী আল্লাহ কখনো ক্ষমা করবেন না। আত্মহনকারীর চিরস্থায়ী বাসস্থান জাহান্নাম(সম্ভাব্য)।
চাঁদ এবং মেঘের মাঝে যতই লুকোচুরি খেলা চলুক না কেন, তারপরও চাদ স্থায়ী। আপুরা সেই চাঁদের চেয়ে কম কিসে। চাঁদকে নিয়ে যত গল্প-কবিতা সৃষ্টি হয়েছে, তারচেয়ে ঢের হয়েছে নারীদের নিয়ে।
কিন্তু সে চাঁদের কপালেও আছে স্পষ্ট কলঙ্ক তিলক।
চাঁদ যদি তা বহন করে সবাইকে আলোকিত করতে পারে, তাহলে আপনারা কেন পারবেন না কলঙ্কের গায়ে শক্তির চাদর জড়িয়ে সামনে এগিয়ে যেতে? কেন পারবেন না নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে? আপনার কি পারবেন না সেসব হায়েনাদের মুখোশ জনসম্মুখে প্রকাশ করে মুছে ফেলতে সেই কলঙ্কের তিলক?
পারবেন, আপনারাও পারবেন।
একটু সচেতন আর সোচ্চার হোন।
উল্লেখ থাকে যে, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই হচ্ছে উত্তম পন্থা। তাই গৃহ থেকে বহির্গমনের পূর্বে নিজস্ব শালীনতার প্রতি লক্ষ্য রাখবেন, আপনার ভাব-ভঙ্গিমা, চলাফেরা, পোষাক-পরিচ্ছদ এবং স্ব-উক্তি যেন কখনো অন্যকে অপরাধ প্রবণতার দিকে আকৃষ্ট না করে।
মনে রাখবেন যে, তালি বাজাতেও দু'হাত লাগে।
আমাদের জ্ঞানী খবর লেখকগণও খুব মুখরোচক করে উপরোল্লেখিত সংবাদগুলো খবরের কাগজে প্রচার করেন। যেখানে অপরাধীর কোন ভুমিকা না রেখে ভোক্তভোগীনিকে শিরোনাম করেন।
সেইসব অভিজ্ঞ খবর লেখকগণকে বলছি, দয়া করে তাদের পরিবারের বাকী সদস্যদের জন্য সমাজে বসবাসের অযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টি করবেন না। তাদেরকে সমাজে নিষিদ্ধ ঘোষনা করুন, যারা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত। এমন কি তাদের অপরাধের বিচার সরাসরি মিডিয়াতে সম্প্রচার করার ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন রাখছি, যা দেখে আমাদের উদীয়মান যুব সমাজ যেন শিক্ষা নিতে পারে। যা থেকে অপরাধ প্রবণতা হ্রাস করা সম্ভব হতে পারে।
পাঠকগনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি দয়া করে নিউজগুলো পজেটিভ দিক চিন্তা করুন নেগেটিভ দিক নয়। যেমন ভ্রাতা ও ভগীনির সন্মিলনে যে শিশুর জন্ম হইল তাহার অকাল মৃত্যুতে ভ্রাতা বিলেত চলিয়া গেলেন আর ভগিনি কচুদিয়া পড়িয়া রইলেন। এটাকে যদি নেগেটিভ ভাবে পড়েন তাহলে খারাপ অর্থ দাড়ায়। আর যদি পজেটিভলি পড়েন তা হলে আপনি পাবেন ভিন্ন অর্থ। সিন্দান্ত আপনার আপনার আপনি কিভাবে নিবেন................।
আমাদের সন্মানিত অভিবাবকগনদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি যে, শুধু আপনার সন্তানদের কে শাষন করবেন না তাদের কে বুঝার চেষ্টা করুন। তারা কি সমস্যার ভুগছে তা জানার জন্য তাদের সাথে বন্ধূত্বপূর্ন সম্পর্ক স্থাপন করুন। যাতে করে তার হতাশাগ্রস্থ বিষয় গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারে। এবং তাদের কে কখনো বিষন্ন মনে হলে তার কাছ থেকে কৌশলে তা জানার চেষ্টা করুন এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন যে আপনাদের ক্রোধ যাতে প্রকাশ না পায়। তা না হলে তারা ভয়ে আপনাদের কাছ থেকে তা এড়িয়ে যাবে। যার পরিনতি হতে পারে ভয়াবহ অনাকাঙ্খিত ঘটনা।
একটু নজর রাখলে আপনারাই পারেন আপনাদের সন্তানদেরকে অনাকাঙ্খিত ঘটনার হাত তেকে রক্ষা করতে।
আত্মহনন কে না বলুন
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




