somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সচেতন সমাজের দৃষ্টি আকর্ষন করছি (আত্মহনন-ই শেষ সমাধান নয়) আত্মহননকে না বলুন

১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আত্মহনন-ই শেষ সমাধান নয়
সচেতন সমাজ এবং অভিমানী আপুদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি

অভিমানের বসে উচ্ছল, প্রাণ-চঞ্চল, হাসি-খুশীতে মুখরিত নিষ্পাপ ফুলস্বদৃশ্য জীবনটাকে নিমিষে নিঃশেষ করে দিবেন না।

মৃত্যূই সব সমস্যা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ নয়। সমস্যার সম্মূখীন হলে, তার মোকাবেলায় জয়ী হওয়াটাই হচ্ছে জীবনের সাফল্য কথা।

আজকাল পত্রিকার পাতায় প্রায় দেখা যায়, তুচ্ছ (সবগুলো তুচ্ছ নয়) ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপুদের আত্মহননের হাইলাইটস নিউজ।

যেমন, বখাটে যুবকের উত্যক্ত সহ্য করতে না পেরে কিশোরীর আত্মহনন, অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয়ে আদায়ে কুমারী মাতার গলায় ফাস, প্রেমে ব্যর্থ, বাবা-মায়ের সাথে অভিমান করে কিশোরীর বিষপান। আরো অনেক অজানা কারণে আমাদের আপুদের আত্মহনন করতে দেখা যায়।

এইসব আপুদের বলছি, দয়া করে আত্মহননের মতো অনাকাঙ্খিত এবং অগ্রহনযোগ্য মৃত্যূর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসুন। আত্মহনন হচ্ছে অমার্জনীয় অপরাধ যার কারণে আপনার পরকালের সম্ভাব্য সুখকে নিজ হাতে বিসর্জন দিচ্ছেন। আত্মহননকারী আল্লাহ কখনো ক্ষমা করবেন না। আত্মহনকারীর চিরস্থায়ী বাসস্থান জাহান্নাম(সম্ভাব্য)।

চাঁদ এবং মেঘের মাঝে যতই লুকোচুরি খেলা চলুক না কেন, তারপরও চাদ স্থায়ী। আপুরা সেই চাঁদের চেয়ে কম কিসে। চাঁদকে নিয়ে যত গল্প-কবিতা সৃষ্টি হয়েছে, তারচেয়ে ঢের হয়েছে নারীদের নিয়ে।

কিন্তু সে চাঁদের কপালেও আছে স্পষ্ট কলঙ্ক তিলক।

চাঁদ যদি তা বহন করে সবাইকে আলোকিত করতে পারে, তাহলে আপনারা কেন পারবেন না কলঙ্কের গায়ে শক্তির চাদর জড়িয়ে সামনে এগিয়ে যেতে? কেন পারবেন না নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে? আপনার কি পারবেন না সেসব হায়েনাদের মুখোশ জনসম্মুখে প্রকাশ করে মুছে ফেলতে সেই কলঙ্কের তিলক?

পারবেন, আপনারাও পারবেন।

একটু সচেতন আর সোচ্চার হোন।

উল্লেখ থাকে যে, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই হচ্ছে উত্তম পন্থা। তাই গৃহ থেকে বহির্গমনের পূর্বে নিজস্ব শালীনতার প্রতি লক্ষ্য রাখবেন, আপনার ভাব-ভঙ্গিমা, চলাফেরা, পোষাক-পরিচ্ছদ এবং স্ব-উক্তি যেন কখনো অন্যকে অপরাধ প্রবণতার দিকে আকৃষ্ট না করে।

মনে রাখবেন যে, তালি বাজাতেও দু‌‌‌'হাত লাগে।

আমাদের জ্ঞানী খবর লেখকগণও খুব মুখরোচক করে উপরোল্লেখিত সংবাদগুলো খবরের কাগজে প্রচার করেন। যেখানে অপরাধীর কোন ভুমিকা না রেখে ভোক্তভোগীনিকে শিরোনাম করেন।

সেইসব অভিজ্ঞ খবর লেখকগণকে বলছি, দয়া করে তাদের পরিবারের বাকী সদস্যদের জন্য সমাজে বসবাসের অযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টি করবেন না। তাদেরকে সমাজে নিষিদ্ধ ঘোষনা করুন, যারা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত। এমন কি তাদের অপরাধের বিচার সরাসরি মিডিয়াতে সম্প্রচার করার ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন রাখছি, যা দেখে আমাদের উদীয়মান যুব সমাজ যেন শিক্ষা নিতে পারে। যা থেকে অপরাধ প্রবণতা হ্রাস করা সম্ভব হতে পারে।

পাঠকগনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি দয়া করে নিউজগুলো পজেটিভ দিক চিন্তা করুন নেগেটিভ দিক নয়। যেমন ভ্রাতা ও ভগীনির সন্মিলনে যে শিশুর জন্ম হইল তাহার অকাল মৃত্যুতে ভ্রাতা বিলেত চলিয়া গেলেন আর ভগিনি কচুদিয়া পড়িয়া রইলেন। এটাকে যদি নেগেটিভ ভাবে পড়েন তাহলে খারাপ অর্থ দাড়ায়। আর যদি পজেটিভলি পড়েন তা হলে আপনি পাবেন ভিন্ন অর্থ। সিন্দান্ত আপনার আপনার আপনি কিভাবে নিবেন................।



আমাদের সন্মানিত অভিবাবকগনদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি যে, শুধু আপনার সন্তানদের কে শাষন করবেন না তাদের কে বুঝার চেষ্টা করুন। তারা কি সমস্যার ভুগছে তা জানার জন্য তাদের সাথে বন্ধূত্বপূর্ন সম্পর্ক স্থাপন করুন। যাতে করে তার হতাশাগ্রস্থ বিষয় গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারে। এবং তাদের কে কখনো বিষন্ন মনে হলে তার কাছ থেকে কৌশলে তা জানার চেষ্টা করুন এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন যে আপনাদের ক্রোধ যাতে প্রকাশ না পায়। তা না হলে তারা ভয়ে আপনাদের কাছ থেকে তা এড়িয়ে যাবে। যার পরিনতি হতে পারে ভয়াবহ অনাকাঙ্খিত ঘটনা।

একটু নজর রাখলে আপনারাই পারেন আপনাদের সন্তানদেরকে অনাকাঙ্খিত ঘটনার হাত তেকে রক্ষা করতে।


আত্মহনন কে না বলুন
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৫৪
৫৮টি মন্তব্য ৫৭টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=স্মৃতির মায়ায় জড়িয়ে আছে মন=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৯


ঘাস লতা পাতা আমার গাঁয়ের মেঠো পথ, ধানের ক্ষেত
জংলী গাছ জড়ানো লতাবতী - আহা নিউরণে পাই স্মৃতির সংকেত,
রান্নাবাটির খেলাঘরে ফুলের পাপড়িতে তরকারী রান্না
এখন স্মৃতিগুলো পড়লে মনে, বুক ফুঁড়ে বেরোয় কান্না।

ফিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×