somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১.৬১ জন নারী মুক্তি পাচ্ছে বখাটেদের নির্যাতনের হাত থেকে!!!!!!!!

০৬ ই মে, ২০১০ রাত ২:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১.৬১ জন নারী মুক্তি পাচ্ছে বখাটেদের নির্যাতনের হাত থেকে!!!!!!!! কি অবাক লাগছে, এটা কি করে সম্ভব তাই না। তার মানে কি আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে সুবুদ্ধির উদয় হইছে তাই নয় কি? নাকী প্রবাসীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। একটু ভাবুন মুক্তি প্রাপ্ত নারীরা কি মুক্তি পেয়েছে, নাকি তাহাদের পিতা-মাতা এবং সমাজ কে মুক্ত করে দিয়েছে। না তা নয় বরং তাহারা আইনের চোখে ফাঁকি দিয়ে বখাটেদের মুক্ত করে দিয়ে চিরতরে বিদায নিয়ে চলে গেছে এই প্রার্থীব জগত থেকে।

গত সাত বছরের পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে যে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৫৮৮.৫৭ জন নারী য প্রাত্যহিক হিসেবে প্রায় ১.৬ ১ জন। যাহারা বখাটেদের অত্যাচারে নিজেদের জীবন বিসর্জন দিয়েছে আত্মহত্যার মতো নিকৃষ্ট উপায়ে। যার দ্বারা অপরাধীরা ধঁরা ছোয়ার বাহিরে থেকে যায়। যাহা কোন সমস্যার সমাধান নয়। বরং দিন দিন তা অতিমাত্রায় বেড়ে চলেছে। এভাবে চলতে থাকলে এটা বড় ধরনের সামাজিক ব্যাধিতে পরিনত হবে। যাহা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মেকে হুমকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

সর্বশেষ আত্মহননকারীনীদের তদন্তে পাওয়া যায় যে, মেয়েরা রাস্তায় যা পাওয়ার তা তো পাচ্ছে তারপরে বাসায় আসলে বাবা মার রোষানলের স্বীকার। বাবা-মায়ের কাছে ঘটনা প্রকাশ করায় তাদের কে খেতে হয়েছে মমতাময়ী মায়ের হাতের উত্তম মধ্যম আর বাবর শাষন। যাহা শারীরিক নির্যাতন পর্যন্ত গড়িয়েছে। যার উদারন রুম্পা নামের সেই মেয়েটি যাকে হারুন নামের একছেলে রাস্তায় উত্ত্যক্ত করতো, বাসায় এসে তা বলায় তার মা চুলের মুঠি ধরে তাকে মারধর করে এমনকি ঘর থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়। যার পরিনতি আত্মহত্যা। এমন হাজারো রুম্পা আছে যারা বখাটে এবং পরিবারের নির্যাতন সইতে না পেরে চলে যাচ্ছে অকালে সবাইকে মুক্তি দিয়ে।

আপনাদের কাছে প্রশ্ন হচ্ছে যে পিতা-মাতা মেয়েকে আদর সোহাগ দিয়ে লালন পালন করে, যে কিনা তাহাদের চোখের মনি আদরের ধন হৃদপিন্ডের একটা অংশজুড়ে থাকে । তাহারা কি করে সেই মেয়েকে ভুল বুঝে তার গায়ে হাত তুলে এমনকি ঘর থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিতে পারে। এমন অবস্থায় একটা মেয়ের কি করা থাকে। বাবা মায়েদের আচরন কেন এমন হলো উনারা কি অসহায় নাকি নিজেরাই বখাটেদের কাছে জিম্মি? যদি তাই হয় তাহলে তো আমাদের সকলের উচিত একযোগে আত্মহত্যা করা তাই নয় কি? যখানে আমরা অসহায় সেখানে মেয়েদের দোষ কোথায় তারা তো ঠিক কাজ করেছে, আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে থাক তোমরা তোমাদের আত্মসন্মানবোধ নিয়ে আমরা গেলাম।

আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বিশ্ব যেখানে দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে, সভ্যতা উচ্চ আসনের দাবীদার, ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গজিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন। এমতাবস্থায় যদি খবরের কাগজে প্রতিদিন এ ধরনের খবর পাওয়া যায়, তাহলে বিষয়টা কি দাঁড়াচ্ছে আমারা কি দিন দিন অসভ্যতার চর্চা করে যাচ্ছি আর মানবাধিকার সংগঠনগুলো নিজেদের রুজি রুটির ধান্ধায় নিয়োজিত তাই নয় কি?

আমাদের ছোট্ট এই দেশটিতে ১৫কোটির বেশি জনগোষ্টির মধ্যে বখাটেদের সংখা কত? আমি মনে করি খুবই নগন্য। আমরা কি পারি না এই নগন্য জনগোষ্টিকে দমন করার দায়িত্ব বাকীরা নিতে সবার স্ব স্ব অবস্থান থেকে? বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ কতটুকু সফল হবে তা নির্ভর করবে আমাদের সহযোগীতার উপর। আমরা সাধারন জনগন যদি সাধা পোষাক দারী পুলিশকে তাহাদের নির্দিষ্ট নাম্বারে তথ্যদিয়ে সাহায্য করি তাহলে তারা হয়ত সফল হতে পারে। যদি না সেখানে রাজনৈতিক নেতাদের কালো হাতের প্রভাবে অপরাধীরা মুক্তি না পায়।

আসুন আমরা সকলে সচেতন হয়ে আমাদের নারী জাতীকে ধ্বংশের হাত থেকে রক্ষা করি।

সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১০ রাত ২:৩১
৫৯টি মন্তব্য ৫৯টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

পেচ্ছাপ করি আপনাদের মূর্খ চেতনায়

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

আপনারা হাদি হতে চেয়েছিলেন, অথচ হয়ে গেলেন নিরীহ হিন্দু গার্মেন্টস কর্মীর হত্যাকারী।
আপনারা আবাবিল হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে চেয়েছিলেন, অথচ রাক্ষস হয়ে বিএনপি নেতার ফুটফুটে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারলেন!
আপনারা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×