নগর জাদুঘর
ঢাকা নগর জাদুঘরে শুধু ঢাকার ইতিহাস, ঐতিহ্য সংস্কৃতিসহ আদি ঢাকার বিভিন্ন নিদর্শন সংরক্ষিত রয়েছে। জাদুঘরটি ঢাকা সিটি করপোরেশন ভবনের ষষ্ঠ তলায়। সবার জন্য উন্মুক্ত এই জাদুঘরে প্রবেশ করা যাবে ২ টাকা দিয়ে। তবে শিক্ষার্থীরা যদি প্রতিষ্ঠানের অনুমতি নিয়ে দল বেঁধে জাদুঘর দেখতে আসে, তাহলে প্রবেশ মূল্য দিতে হবে না। ঢাকার এই নগর জাদুঘরে বেশ কয়েকটি গ্যালারি রয়েছে। এর মধ্যে বড় একটি গ্যালারি আছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক। এখানে দেখা যাবে আলোকচিত্রী আনোয়ার হোসেন, রশীদ তালুকদার ও জিল্লুর রহিম দুলালের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক আলোকচিত্র। রায়েরবাজার বধ্যভূমি, মিরপুর গণকবর, পুরানা পল্টন, বায়তুল মোকাররম মসজিদসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার চিত্রগুলো এসব খ্যাতিমান আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় উঠে এসেছে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকার সংবাদপত্রগুলোর নমুনাও এই গ্যালারিতে রয়েছে। চিত্রকলা বিভাগে রয়েছে শিল্পী মোখলেসুর রহমানের আঁকা পুরান ঢাকার আদি স্থাপনা, চৈত্রসঙক্রান্তি ঘুড়ি উৎসব, মসজিদ, বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়সহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবের চিত্র। চার্লস ডয়লেরি আঁকা ছবিতে দেখা যাবে ঢাকার মসলিন পাড়ার সুতা কাটা, কাপড় কেনাসহ মসলিন কাপড়ের বিভিন্ন বিষয়। ঢাকার নবাবদের ব্যবহৃত হুক্কা রয়েছে এই জাদুঘরে। এসব হুক্কা দেখে বোঝা যাবে তাদের অভিজাত জীবনযাপনের কথা। জাদুঘরের অন্যতম আকর্ষণ হাশেম সুফির সংগ্রহ করা ঢাকার আদি ছাপাখানার মেশিন। ১৯১২ থেকে ১৯১৫ সালে তৈরি ঢাকার একটি মানচিত্রও আছে জাদুঘরের প্রবেশ দ্বারে। মুদ্রা বিভাগে দেখা যাবে মোগল আমল, ব্রিটিশ আমল, সুলতানি আমল ও প্রাচীন ঢাকার রৌপ্যসহ বিভিন্ন ধরনের মুদ্রা। এ ছাড়া পুরান ঢাকার শাখাশিল্প, কামারশিল্পসহ বিভিন্ন ধরনের শিল্পের নিদর্শনও রয়েছে। চমৎকার নকশায় রৌপ্যসহ বিভিন্ন ধাতবের তৈরি পানদান, গয়না, প্লেট, গ্লাস, মগ, জগ, বালতিসহ পুরান ঢাকার ব্যবহৃত আরো অনেক নিদর্শন। এ ছাড়া পুরো গ্যালারির দেয়ালজুড়ে হাতে আঁকা নবাব আহসান উল্লাহ, আব্দুল গণি, সর্দার বেল্লাল, কালাচান, আব্দুল মতিন, ইসলাম খান, স্যার সলিমুল্লাহ, মওলা বখশসহ ঢাকার অনেক নবাব ও সর্দারদের ছবি দেখা যাবে। এখানে সংরক্ষিত বেশ কয়েকটি পুরনো আলমিরা ও ড্রেসিং টেবিলও আদি ঢাকার পরিচয় বহন করে। ঢাকা নগর জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, তেমন কোনো প্রচার না থাকার কারণে নগরবাসীর অনেকেই জানেন না নগর ভবনে একটি জাদুঘর আছে। তাই এর প্রচার দরকার। তিনি বলেন, কেউ চাইলে ঢাকার যেকোনো নিদর্শন এখানে দান করতে পারবেন। তবে তা আকর্ষণীয় হতে হবে। ১৯৯৬ সালের ২০ জুলাই ঢাকা নগর জাদুঘরের উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নগর জাদুঘরে এসে দর্শনার্থীরা চাইলে এখান থেকে ঢাকার নিদর্শন হিসেবে ভিউকার্ড কিনতে পারবেন। এর প্রতিটির দাম ২ ও ৫ টাকা। ভিউকার্ডে স্থান পেয়েছে আদি ঢাকার মসজিদ, মন্দির, স্থাপনাসহ বিভিন্ন নিদর্শন। এ ছাড়া এখান থেকে মুনতাসীর মামুন, রবিউল হুসাইন, শামসুর রাহমানসহ অনেকের লেখা ঢাকাবিষয়ক বইও কিনতে পারবেন। বইয়ের দাম পড়বে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা। এ মাসেই ঢাকার ৪০০ বছর পূর্তি। ঢাকার ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প ও সংস্কৃতি জানতে ঢাকা নগর জাদুঘর হতে পারে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের অন্যতম মাধ্যম। এটি খোলা থাকে শুক্র ও শনিবার ব্যতিত প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত
আহসান মঞ্জিল জাদুঘর
আহসান মঞ্জিল জাদুঘরটি পুরান ঢাকার আহসান উল্লাহ রোডের নবাব বাড়িতে অস্থিত। সরকারি উদ্যোগে ১৯৯২ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে ৩১ টি কক্ষে মোট ২৩ টি প্রদর্শনী গ্যালারি রয়েছে। এসব গ্যালারিতে দেখা যাবে ঢাকার নবাবদের ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিল্প-সংস্কৃতি, রাজনীতি, খেলাধুলাসহ তাদেও জীবন-যাপনের বিভিন্ন নমুনা। এর প্রবেশ মূল্য প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য প্রতিজন দুই টাকা। এটি খোলা থাকে শনি থেকে বুধবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সপ্তাহিক বন্ধ থাকে বৃহস্পতিবার ও অন্যান্য সরকারি ছুটিরদিন।
ভাষা আন্দোলন জাদুঘর (ধানমন্ডি)
১৯৮৯ সালে বেসরকারি উদ্যোগে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ১০ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত হয় ভাষা আন্দোলন জাদুঘর। এখানে প্রদর্শনীর জন্য ৬ টি গ্যালারি রয়েছে। এসব গ্যালারিতে দেখা যাবে ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন আলোকচিত্র, প্রকাশানাসহ ভাষা শহীদ ও ভাষা সৈনিকদের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন নমুনা এবং ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন তথ্য। এটি খোলা থাকে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
ভাষা আন্দোলন জাদুঘর (বাংলা একাডেমী)
এবছর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা একাডেমীর বর্ধমান হাউজের দ্বিতীয় তলায় উদ্বোধন করেন ভাষা অন্দোলন জাদুঘর। এখানেও ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন আলোকচিত্র, প্রকাশানাসহ ভাষা শহীদ ও ভাষা সৈনিকদের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন নমুনা এবং ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন তথ্য দেখা যাবে। এটি খোলা থাকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
ডাকসু সংগ্রহশালা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ কক্ষে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ডাকসু সংগ্রহশালা। এখানে ভাষা অন্দোলনের বিভিন্ন নমুনা, মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন নমুনাসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইতিহাস-ঐতিহ্যেও নমুনা দেখা যাবে। সরকারি ছুটিরদিন ছাড়া এটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এর কোনো প্রবেশ মূল্য নেই।
বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর
ঢাকার বিজয় সরণিতে ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর। এখানে দুইকক্ষ বিশিষ্ট মোট ৮টি গ্যালারি রয়েছে। এসব গ্যালারিতে দেখা যাবে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর ব্যবরিত বিভিন্ন সমরাস্ত্র ও তাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যেও বিভিন্ন নিদর্শন। এছাড়া এখানে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন নমুনা দেখা যাবে। এটি খোলা থাকে শনি থেকে বুধবার প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। বন্ধ থাকে বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিন।
বিজয় কেতন জাদুঘর
ঢাকা সেনানিবাসে ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিজয় কেতন জাদুঘর। এখানে ৬ টি গ্যালারি রয়েছে। এসব গ্যালারিতে দেখা যাবে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন নমুনা। এটি খোলা থাকে শনি থেকে বুধবার প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। বন্ধ থাকে বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিন।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
ঢাকার সেগুনবাগিচায় ১৯৯৬ সালে বেরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। দ্বিতল ভবনের এই জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন আলোকচিত্র, দলিলপত্র, প্রকাশনা, মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন স্মৃতি বিজড়িত নমুনা, যুদ্ধে ব্যবহার করা গাড়িসহ মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন তথ্য ও নিদর্শন রয়েছে। এটি খোলা থাকে সোমবার থেকে শনিবার প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। বন্ধ থাকে রবিবার। এর প্রবেশ মূল্য প্রতিজন ৫ টাকা।
বঙ্গবন্ধু জাদুঘর
ঢাকার ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে ১৯৯৪ সালে বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর। এখানে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত অনেক নিদর্শন রয়েছে। এটি খোলা থাকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
ডাক জাদুঘর
বায়তুল মোকাররম মসজিদের পাশে ঢাকা জিপিওতে ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় পোষ্টাল মিউজিয়াম। এখানে ২টি গ্যলারি রয়েছে। এসব গ্যালারিতে দেখা যাবে ঢাকা ব্যবস্থার প্রথম থেকে ব্যবরিত বিভিন্ন ডাক সরঞ্জাম, ডাক টিকিট, উদ্বোধনী খাম, বিশেষ খামসহ ঢাক ব্যবস্থার ইতহাস-ঐতিহ্য। এটি খোলো থাকে রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেলে ৫টা পর্যন্ত। এটি বন্ধ থাকে শুক্রবার, শনিবার ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিন।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর
ঢাকার আগারগাঁও এর শেরেবাংলা নগরে ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর। বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির অনেক অজানা বিষয় জানা যাবে এখানে এসে। এর প্রবেশ মূল্য প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য প্রতিজন ৫ টাকা। এটি খোলা থাকে শনিবার থেকে বুধবার প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। বন্ধ থাকে বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও অন্যান্য সরকারি ছুটির নিদ।
শিশু একাডেমী জাদুঘর
পুরাতন হাইকোর্ট এলাকার বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতে ১৯৯১ সালে সরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় শিশু জাদুঘর। এখানে ২টি বিভাগে মোট ৯৬টি নিদর্শন বিষয় রয়েছে। এটি খোলা থাকে রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। বন্ধ থাকে শুক্রবার, শনিবার ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিন।
ঢাকা চিড়িয়াখানা প্রাণি জাদুঘর ও অ্যাকুরিয়াম
মিরপুরের ঢাকা চিড়িয়াখানায় রয়েছে প্রাণি জাদুঘর ও অ্যাকুরিয়াম। এখানে বিভিন্ন প্রাণির নমুনা সংরক্ষণ রয়েছে। এছাড়া এখানে দেখা যাবে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সংগ্রহ। এটি প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
বাঙালি সমগ্র জাদুঘর
ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যাল মোড়ের খায়ের ম্যানশনে ২০০৪ সালে বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাঙালি সমগ্র জাদুঘর। এখানে ২টি প্রদর্শনী কক্ষ রয়েছে। এসব কক্ষে ৪টি ভিন্ন ভিন্ন বিভাগে দেখা যাবে বাঙালির বিভিন্ন ইতিহাস-ঐতিহ্য ও শিল্প-সংস্কৃতির নমুনা। শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার এটি খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর
১৯৭৫ সালের ১২ মার্চ এক প্রজ্ঞাপন বলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের পানামনগরের একটি সরকারি রিকুইজিশনকৃত পুরাতন বাড়িতে প্রতিষ্ঠাতা করা হয় বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন ও জাদুঘর। সেখান থেকে ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন ও জাদুঘর পুরতান সর্দার বাড়িতে বা বর্তমানের স্থানে স্থানান্তর করা হয়। এই জাদুঘরে মোট ১১টি গ্যালারি রয়েছে। এসব গ্যালারিতে দেখা যাবে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নিপুণ কাঠ খোদাই শিল্প, আবহমান বাংলার গ্রামীণ জীবনচিত্র, বাংলার পটচিত্র ও মুখোশ শিল্প, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নৌকার মডেল, বাংলাদেশের উপজাতীয়দেও জীবনচিত্র, লোকজ বাদ্যযন্ত্র ও পোড়ামাটির নিদর্শন, তামা, কাঁসা ও পিতলের তৈজসপত্র, লোকজ অলংকার, বাঁশ, বেত ও শীতল পাটির নিদর্শন এবং আদি আমলের মুদ্রা, গহনা ও অস্ত্রসহ বিভিন্ন নিদর্শন। এটি খোলা থাকে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন জাদুঘরের পাশেই শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর অবস্থিত। ১৯৯৬ সালের ১৯ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই জাদুঘরের উদ্বোধন করেন। দ্বিতল এই জাদুঘর ভবনের ২টি গ্যালারি রয়েছে। এর নিচতলায় ১ নম্বর গ্যালারিতে দেখা যাবে নিপুন কাঠ খোদাইয়ে তৈরি প্রাচীন ও আধুনিক কালের বিভিন্ন নিদর্শন। এছাড়া বাংলাদেশের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যে কাঠ থেকে বিভিন্ন কারুপণ্য তৈরি ও বিক্রির সামগ্রিম ধারাবাহিক প্রক্রিয়া বিভিন্ন মডেলের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
এই জাদুঘরের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে জামদানি এবং নকশিকাঁথা বিভিন্ন মোটিফ ও বিভিন্ন রঙের এবং নকশার জামদানি শাড়ি। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বৈািচত্রময় নকশিকাঁথার বুনন দেখা যাবে এই গ্যালারিতে। এছাড়াও দেখা যাবে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যে তুলা থেকে বস্ত্র তৈরির সামগ্রিম ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এটি খোলা থাকে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। মাত্র ১০ টাকা প্রবেশ মূল্য দিয়ে লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর এবং শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর দেখা যাবে।
বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু জাদুঘর
মুন্সিগঞ্জ জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু কলেজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু জাদুঘর। এখানে বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর ব্যবহৃত বিভিন্ন নিদর্শন রয়েছে। সবার জন্য এই জাদুঘর উন্মুক্ত এর কোনো প্রবেশ মূল্য নেই। কলেজ খোলা থাকলে জাদুঘরও খোলা থাকবে।
জয়নুল সংগ্রহশালা
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জন্মভূমি ময়মনসিংহ। তাই তার সরণে এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জয়নুল সংগ্রশালা। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের বিভিন্ন স্মৃতি বিজড়িত নিদর্শন এখানে দেখা যাবে।
এখানে আরও কিছু জাদুঘরের বিস্তারিত রয়েছে
View this link
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৮