somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন ইমাম গাজ্জালি ও মুসলিম বিশ্বের পতন .

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আলজেবরা , আলগরিদম।এগুলা আরবি সব্দ . এগুলা থেকে মুসলিম বিশ্ব আজ বহুদূর . কিন্তু ইতিহাস এর পাতা উল্টালে দেখা যায় এক দিন বাগদাদ ছিল , খ্রিস্টান , ইহুদি ও মুসলিম , স্কেপটিক ( সংশয়) বাদী দের আড্ডাখানা . যেখানে আরবীয় বিজ্ঞান চর্চার মেলা বসেছিল . ইউরোপ য়ে তখন চলছে ধর্মের নাম মানুষ খুন এর হলি খেলা . বিজ্ঞান এর পূজারীদের , ডাইনি , জাদুকর আখ্যায়িত করে একের পর এক পুড়িয়ে মারা হচ্ছে . অন্ধকার এর যুগ .

তখন বাগদাদ সহরে অনুবাদিত হচ্ছে গ্রিক সায়েন্টিস্ট , ফিলোসফার দের বই . প্রাকটিস হচ্ছে অঙ্ক , কেমিস্ট্রি , ফিজিক্স , মহাকাশ বিজ্ঞান . একের পর এক আবিস্কার য়ে এগিয়ে যাচ্ছে নতুন এই সম্রাজ্য।

আরবে বিজ্ঞান এর সর্ণ যুগ ( ৮০০ -১১০০ )

কি হলো তারপর ?

গাজ্জালি নামক এক ধর্মান্ধ পুরোহিত একা ঘুরিয়ে দিলেন ইতহাসের পাতা . ইসলামের সেই গৌরবময় বিজ্ঞান অনুশীলন কে বন্ধ করে দিলেন , তার ৭০ এর উপর বই এর সবচেয়ে কুখ্যাত বই, তাহ্তুফাল ফালসিফা তে সরাসরি আক্রমন করলেন ফালসিফা স্কুল অফ থট কে .

ফালসিফা মানে দর্শন কিন্তু এর সাথে যুক্ত ছিল যুক্তিবিদ্যা , পদার্থ বিজ্ঞান এবং অঙ্ক . কারা ছিলেন সেই ঘরনার বিজ্ঞানী? যারা আরিস্ততাল , সক্রেটিস এর গ্রিক ফিলোসফি থেকে জ্ঞান এর সুধা পান করতেন? আল ফারাবী , ইবনে সিনা প্রমুখ .

ইমাম গাজ্জালি সরাসরি বাতিল করে দিলেন , এদের কে, নাস্তিক উপসি দিয়ে . এবং বললেন যারা , এই সব গ্রিক নাস্তিক দের মেথড ফলো করে তারা ইসলাম কে কলুষিত করছে .

এই হলো গাজ্জালি স্কুল অফ থট , এবং অনেকে বলে থাকেন , গাজ্জালির উল্ম আল দিন বই এর থেকে সুরু সাইন্স এবং ইসলামের দুরে সরে যাওয়া। গাজ্জালি সরিয়াহ আইন এর কাঠামো দিলেন . ঘোষণা করলেন যারা সংখা মানিপুলেট করে ( বিজ্ঞানী, অঙ্কবিদ) তারা শয়তান .!!! যারা সংশয়বাদী তারা কাফের!!! প্রশ্ন করা যাবে না , বিনা প্রশ্নে সব মানতে হবে . পলিটিকাল স্পন্সর পেলেন সেলজুক সুলতান নিজাম উল মূলক কে। পড়াতেন তখন কার যুগের হার্ভার্ড , mit , নিজামিয়া মাদ্রাসা বাগদাদ য়ে

যেখানে গাজ্জালি এবং মুসলিম ইমাম রা , নন মুসলিম ফিলোসফার আরিস্তোতল সক্রেটিস কে , ছুড়ে ফেলে দিলেন (কারণ তারা অবিস্সাসী ছিলেন), সেখানে টমাস আকুইন (ইউরোপ) য়ে তাদের আকড়ে ধরলেন .

গাজ্জালির সেই আঘাত থেকে মুসলিম রা আর কখনোই বের হতে পারে নাই , ধীরে ধীরে সরে গেছে বিজ্ঞান, মুসলিম দের কাছ থেকে . গাজ্জালির সেই বিষাক্ত আঘাত থেকে ফাল্সাফা আর কখনোই মুসলিম সমাজে মাথা তুলতে পারেনি। গাজ্জালি নিজেই ছিলেন ফাল্সাফা স্কুল এর একজন মাস্টার , তার অসীম জ্ঞান ছিল ইসলামিক আইন য়ে .

আজও ইতিহাস বিদ রা, চিনিত করে সেলজুক সুলতান নিজাম উল মূলক , আবু আলী আল হাসান আল তুসির শাসন আমল কে, যেখান থেকে মুসলিম রা সরে গেছে বিজ্ঞানীক চিন্তা ভাবনা থেকে .

এখানে তৈরী হলো , নিজামীইয়াহ শিক্ষা বেবস্থা , যেখানে গুরুত্ব দেয়া হলো ধর্মীয় জ্ঞান কে, সাধীন অনুসন্ধান এর উপরে, সুধু তাই নয়, গ্রহণ করা হলো সংকীর্ণ সুন্নি ইসলামিক দর্শন কে তৈরী হলো শাফিই স্কুল অফ থট

তখন কার যুগের , হার্ভার্ড MIT , থেকে বের হতে লাগলো ৪০০ বছর ধরে ধর্মীয় ছাত্র .

গাজ্জালি খেতাব পেলেন, হুজ্জুত আল ইসলাম , বা ইসলামের এর প্রমান . গাজ্জালি হয়ে উঠলেন ইসলামের ধর্মীয় জাগরণ এর প্রতিক। ইসলাম সরে গেল বিজ্ঞান থেকে , মাদ্রাসা গুলা হয়ে উঠলো সুধুই ধর্মের আড্ডাখানা , বিজ্ঞান/যুক্তি/অঙ্ক বিতারিত হলো মাদ্রাসা থেকে .

সেই যে খোড়া হলো ইসলামের এর ঘোড়া , আর আগাতে পারল না, চেঙ্গিস এর মঙ্গল বাহিনীর তলায় পিষ্ট হলো আব্বাসীয় খেলাফত , ইসফাহান (ইরান) , বাগদাদ (ইরাক) এর জ্ঞান তীর্থ ভূমি গুলো ধুলায় মিশিয়ে দেয়া হলো।

কারো কারো মতে , গাজ্জালি আসলে , স্রেফ, দর্শন আর বিজ্ঞান কে আলাদা করতে চেয়ে ছিলেন ফাল্সাফা থেকে . তার প্রথম দিক কার বই গুলাতে কিন্তু ফাল্সাফার জয়্ জয়কার

আজ বিজ্ঞান এর সর্বোচ্চ পুরস্কার নোবেল , এর ২৫% ইহুদি বিজ্ঞানি দের ঘরে।

মুসলিম বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার এর মোট 0.3 ভাগ মাত্র . সালাম এর ভিতর ধর্ম বিসসাশে একজন কাদিয়ানী !!! যা কিনা সুন্নি দের মতে সালাম একজন কাফের !!

খালি চিন্তা করুন, সামান্য সংখ্যক , ইহুদি জনসংখা থেকে আজ বিজ্ঞানের কত কত আবিস্কার বের হয়ে আসছে, ১৩০ কোটি মুসলমান বিজ্ঞান কে আকড়ে ধরলে , বিশ্ব আজ কোথায় এগিয়ে যেত !

ভারত কিন্তু ৫০ বছর আগে ই বেপার তা ধরতে পেরেছে, দেখুন আজ সারা বিশ্বে ভারতীয় বিজ্ঞানী রা . ভারতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৈরী হয়েছে গবেষণা গর, জ্ঞান চর্চা কেন্দ্র।

কিন্তু আফসোস , আজকে মুসলমান বিশ্ব, মগ্ন কয়টা বিবি বিয়ে করা যাবে, কার্টুন আকলে নবীর মর্যাদার এর খেলাফ হয় কিনা .

মাদ্রাসায় আজকে tota পাখির মত মুখস্ত কিছু, হাদিস আর কোরান এর আয়াত ছাড়া কিছুই শিক্ষা দেয়া হয় না .

মুসলমান আজ একে অন্য কে কাফের , মুরতাদ টাইটেল দিতে অস্থির । কোন পির এর পানি পরায় কাজ হয়, ই তর্কে লাশ পরে যায় .

কোন ফেরকা থাকলে জান্নাত য়ে যাবে সেই চিন্তায় সময় শেষ , ওদিকে দুনিয়াটা হয়ে উটেছে মুসলমান দের জাহান্নাম . ...
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৪৩
১১টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

Testimony of Sixty- By Edward Kennedy বাংলাদেশের রক্তাক্ত সত্যের এক আন্তর্জাতিক স্বীকারোক্তি

লিখেছেন কিরকুট, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৩




১৯৭১ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গভীর বৈপরীত্যের বছর। এটি যেমন ছিল অন্ধকার ও রক্তাক্ত, তেমনি ছিল সত্যের প্রতি অবিচল এক সময়কাল। এই বছরের গণহত্যা, শরণার্থী স্রোত ও মানবিক বিপর্যয়ের বিবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×