২৭ মার্চ ১৯৭১ প্রকাশিত কলকাতার ইংরেজি দৈনিক অমৃতবাজার পত্রিকায় বাংলাদেশের ঘটনাবলী নিয়ে প্রতিবেদন
ওয়ারলেস অপারেটর মাহতাব উদ্দীন
২৫ মার্চের সে রাতে একটা দশের দিকে চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদী অফিসের টেলিপ্রিন্টারে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার টেলেক্সটি পান অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ। একই মেসেজ রাত সোয়া বারোটায় ফৌজদারহাট ওয়ারলেস অফিসে রিসিভ করেন সুপারভাইজার নুরুল আমিন। মেসেজটি পাঠানো হয়েছিলো মগবাজার ওয়ারলেস অফিস থেকে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে তা পাঠিয়ে দেন নন্দনকানন ওয়ারলেস অফিসে ডিউটিতে থাকা অপারেটর মাহতাব উদ্দীনের কাছে। তার কাছ থেকেই আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমেদসহ বাকিরা মেসেজটির অনুলিপি সংগ্রহ করেন এবং শহরে মাইকিং করে ছড়িয়ে দেন। সেদিন রাত থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত মেসেজটি কপি করা ও দেশের বাকি জেলাগুলোর ওয়ারলেস অফিসগুলোতে পাঠানোর দায়িত্বটি পালন করেন মাহতাব। ১৯টি ডিস্ট্রিক্ট ওয়ারলেস অফিসে মেসেজটি পাঠানোর আগ পর্যন্ত এক গ্লাস পানি পর্যন্ত মুখে তুলেননি তিনি। স্বাধীনতার পর মূল্যায়িত হননি এমন লাখো স্বাধীনতা সংগ্রামীর মধ্যে মাহতাবও একজন। তার সঙ্গে স্যালুট মেজবাহউদ্দিন আহমেদকে যিনি মগবাজার থেকে মূল মেসেজটি ট্রান্সমিট করেছিলেন।
নিউজউইকের সেই বিখ্যাত প্রতিবেদন যাতে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার কথা উল্লেখ করা হয়েছে শুরুতেই এবং তার নেতৃত্বগুণের প্রশংসা করা হয়েছে অকুন্ঠচিত্তেই
মগবাজার ভিএইচএফ ওয়ারল্যাস স্টেশন থেকে ২৬ মার্চ ভোরে সমগ্র বাংলাদেশের ওয়ারল্যাস ও এর রিপিটার স্টেশনে প্রেরিত স্বাধীনতা ঘোষণার বার্তা। গ্রেফতার হওয়ার আগেই বঙ্গবন্ধু টিএন্ডটি বিভাগের টেলিগ্রাফ ও ওয়ারল্যাস স্টেশনে তা পৌছানোর ব্যবস্থা করেন।
চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা এমএ হান্নান। ২৬ মার্চ দুপুর পৌনে দুটায় কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন তিনি
২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা পূর্ণতা দিয়েছিলেন টিএন্ডটির এই দুঃসাহসী কর্মচারীরা
বঙ্গবন্ধুর নামে এভাবেই প্রচারিত হয়েছিলো টেলিগ্রামটি
১৯৭২ সালে স্বাধীনতাঘোষণার টেলিগ্রামের একটি কপি সত্যায়িত করেন বঙ্গবন্ধু সঙ্গে ওয়ারল্যাসের স্টাফরা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



