somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সকল প্রকাশনী- এমনকী একুশে বইমেলা সহ সকল বই মেলা!

১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সময়ের বিবর্তনে অনেক কিছুই বদলে যায়। পালাবদলের পালায় কোনভাবেই বিরামচিহ্ন দেয়া যায় না। আজ এবং আগামীর মাঝে এক "স্পেসবার" থাকবেই থাকবে। কেবলমাত্র প্রকৃতির বিধানগুলো চিরন্তন। আর সবকিছুই সময়ের চাকার সাথে ঘোরতে ঘোরতে কাঁদা ছিটানোর মত ছিটকে যায় কোন এক অতলান্তে, অনন্ত কালের জন্যে।
শিল্পীর কন্ঠে শুনেছিলাম " সাদা কাগজের মুল্যটা কত আর--- কালির আঁচর না টানা হলে বুকে তার-------।" সত্যি তাই, সাদা কাগজের বুকে কালির আঁচর টেনেই শুরু হয়েছিল সভ্যতার সুচনা। আজ হারিয়ে যাচ্ছে সেই কগুজে সভ্যতা--- তার স্থান দখল করে নিচ্ছে ইলেকট্রনিক মিডিয়া। কলমের বদলে "কীবোর্ড" এবং কাগজের বদলে ইলেকট্রনিক "স্ক্রিন" এর কাছে হেরে যাচ্ছে পুথি-পুস্তক। হয়ত এমন একদিন আসবে যেদিন আর হয়তবা ডাষ্টবিনে ফেলে দেয়ার মতোও কোন পুথি-পুস্তক থাকবে না।
এখানে মাত্র কয়েকটি উদাহরণ টেনে একটু পরিষ্কার করার চেষ্টা করব। সংবাদপত্রকে বলা হয় আধুনিক সভ্যতার বাহক। যে জাতী যত বেশী সংবাদপত্র পাঠ করে - সে জাতী তত বেশী সভ্য। কিন্তু আজ সংবাদপত্রের প্রচার সংখ্যা হতাশাজনক ভাবে কমে যাচ্ছ্। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে যেখানে প্রচার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবার কথা - সেখানে পুর্বের প্রচার সংখ্যাও ধরে রাখা যাচ্ছে না। খোজ নিলে জানতে পারবেন, পাঁচ বছর আগেও একটি পত্রিকার যে সার্কুলেশন ছিল আজ আর তা নেই। কারণ, সকল পত্রিকাই অলাইন ভার্সনে মাত্র কিছু মেগা খরচ করে পড়ে নেয়া যাচ্ছে।
গল্প, উপন্যাস, কবিতা, যাহা হৃদয়ের খোরাক, চরম কাঙ্খিত, সেগুলোও সহজে পাওয়া যাচ্ছে ইলেকট্রনিক পর্দায়, আরো ঝকঝকে ভাবে। আরো অনেক সহজে। সহজেই একটি বই ডাউনলোড করে নেয়া যাচ্ছে। পড়া যাচ্ছে ইচ্ছেমত - তবে কেন আর আনেকগুলো টাকা গচ্চা দিয়ে একখানা বই ক্রয় করা? যে কোন লাইব্রেরীতে খোজ নিয়ে দেখুন, উদ্বেগজনক হারে কমে গেছে বই বিক্রি। হয়ত কোন একদিন একখানা বই কেবল হয়ে যাবে "উপহার দেবার সামগ্রী।"
রইল কী আর বাকি? ও হ্যা, পাঠ্যপুস্তক। এখানেও অসনী সংকেত। সরকারী নীতি-নির্ধারকরা ইতিমধ্যে ঘোষনা দিয়ে বসে আছেন যে, আগামীতে সকল পাঠ্যপুস্তক হয়ে যাবে ডিজিটাল। অর্থাৎ প্রতিটি ছাত্র ছাত্রীকে দেয়া হবে "টেব" অথবা অনুরুপ কোন ডিবাইস। তাহলে আর সাদা- কালো কাগুজে পুথির রইল বাকি কী?
সেদিন আর বেশী দুরে নয়, যেদিন হয়তবা আর কোন উপযোগীতা থাকবেনা একুশে বই মেলার মত বাংলার ঐতিহ্যবাহী বই মেলা পালনের।একখানা ছাপানো পুস্তককে সুন্দরভাবে সাজিয়ে পাঠকের হাতে তুলে দেয়ার সেই সব কারিগরদের থাকবে না প্রয়োজনীয়তা। কালের আবর্তে হারিয়ে যাবে আজকের প্রকাশনী সংস্থাগুলো। হয়ত ইহা সুদুরে নয়- অদুরেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১
৮টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×