somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন পারবেজ
শখের অখ্যাত অক্ষরজীবি হয়ে লিখি বাউন্ডুলে মনের এলোমেলো কথাগুলো।।জীবন ফুরালে সময়ের নির্মম অত্যাচারে হয়তো আজকের লিখাগুলো রূপ নিবে ধূসর পান্ডুলিপিতে,নয়তো কোনো ডায়েরির ছেড়া পাতায়!!সেদিনও আমি বেচে থাকবো লিখাগুলো বিবর্ণ অক্ষর হয়ে!!

ক্ষমা করিস তনু!!বিচারের আশা করিসনা ভুলেও!!!

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-ভাই একটু শুনবেন?
-হ্যা বলেন।
-আপনার টাইমলাইনে যে "তনুর হত্যার বিচার চাই"এই ধরনের একটা লিখা পেলাম,কিন্তু তনুটা কে?
-একজন ধর্ষিতা কিশোরী,অকালে যে প্রাণ দিয়েছে হায়েনার ছোবলে।
-বাহঃ আপনি তো অনেক সাহিত্য মিশিয়ে কথা বলেন।তো তনু আপনার কি হয়?
-আমার কিছু হয়না।
-তো আপনি পোষ্ট দিলেন যে?
-আমি তনু হত্যার বিচার চাই সেই জন্য।
-পত্রিকা পড়েন?
-হ্যা পড়ি।
-বুকে হাত রেখে বলেন তো গত মাসের যে পত্রিকাগুলো ছাপানো হয়েছিল তারমধ্যে একটা দিন ও ধর্ষনের খবর ছাড়া পত্রিকা পড়তে পেরেছেন?
-হুমম,না।
-ওদের জন্য কি কখনও বিচার ছেয়েছেন?
-জ্বী?না।
-তবে তনুর জন্য কেন এতোই উতলা হয়ে গেলেন?
-সবাই পোষ্ট দিলো সেই হিসেবে আমিও দিলাম।
-তারমানে লাইক/কমেন্টেই আপনার বিচার চাওয়া আবদ্ধ?
-তুই একটা চুলকানি টাইপের লোক,তোর সাথে কথা নাই।
-জ্বী ভাই,ভালোই বলেছেন।আপনিও যে হুজুগে বাঙ্গালী বুঝে গেছি।
.
কনভারসেশন শেষ।সম্পূর্ন কাল্পনিক।
আপনিও হয়তো একটু নড়ে চড়ে বসলেন।
আমাকে গালি দেওয়ার মনস্থিরও করে ফেলছেন হয়তো।দুঃখিত,আমি গুছিয়ে লিখতে পারছিনা বলেই আপনার মন্দ,বিরক্তির উদ্ভব।তবে একটু শান্ত হোন।
চলুন একটু ফ্লাশ ব্যাকে যায়।
.
আপনার কি ফেলালীর কাটাতারে ঝুলে থাকার দৃশ্যটা চোখে ভাসে এখনও?সাগর-রুনী হত্যা?জিহাদ-রতন-মতিন-অমুক-তমুক এর মর্মান্তিক মৃত্যু?
ভুলে গেলেন?
প্রসূতি-নবজাতক ধর্ষন ভুলে গেলেন সবকিছু?
.
তাহলে পুরনো খবরের কাগজ খুলে একটু চোখ বুলিয়ে নিন,ধর্ষনের খবরগুলো একটু দেখে আসুন প্লিজ।যেখানে ধর্ষনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি কোমলমতি শিশুরাও।কিন্তু হায়েনার লোলুপ দৃষ্টিতে তারা হয়ে গিয়েছিল যৌবনস্ফিতা রমনী।
ছিহঃতোদের জন্য এত্তুগুলা ঘৃনা।
.
আমি নারীবাধী লেখক নই,বিশিষ্ট কলামিষ্টও নই।
তবে আমি কে?
ওই যে ধর্ষিতা?
তনু,তনুর সাথে প্রতিনিয়ত যারা ধর্ষিত হয়েছে,হবে আমি তাদের ভাই।
আমি মুষড়ে পড়িনি,ব্যাথায় কুকড়েও যায়নি।
তনুর বিবস্ত্র,বিক্ষত দেহটা দেখেও আমার চোখে জল আসেনি।
তবে ওর নিথর দেহটা কোলে নেওয়ার পর কেমন যেন অন্ধকার দেখছিলাম,তনু,তনুর সহযাত্রীরা ছুটে এসে আর কোনোদিন বলবে না"ভাইয়্যা,আমার কিটক্যাট কই?"
কিটক্যাটের টাকাটা বড্ড অবহেলায় খরচ হয়ে যাবে এখন।
সোনার প্রতীমা আপন হাতে গড়ে দিয়েছি কিছু নরম মাটি দিয়ে।
হাপিয়ে উঠেছি,আপনারাও হয়তো।
আপনাদের কৌতুহলী দৃষ্টি কিছু একটা বলতে চায়।
এবার কি বোন হত্যার বিচার চাইবো?
জ্বী না।বিচার কার্য্যালয় ইদানিং খুব বেশি ব্যস্ত।
পর্দা,হিজাব,ইসলাম অদ্ভুত জিনিসগুলো বিন্দাবনে পাঠাতেই কার্য্যালয়ের রাতের ঘুম হারাম সেখানে তনুর বিচারের দাবি নিয়ে যাবোনা।
বিচার কার্য্যালয়ে পুরনো দিনের ধর্ষকের ফাঁসি দিয়ে সুবর্ন জয়ন্তী পালন করছে।
পঞ্চাশটা বছর পেরিয়ে যাক,সেদিন যাবো বোন হত্যার বিচার নিয়ে আরেকটি সুবর্ন জয়ন্তী পালন করতে।
ততোদিন বোনটা শান্তি কিংবা অশান্তিতেই ঘুমাক।
দেখা যাক বিচার কার্য্যালয় ততোদিন পুরনো বিচার শেষ করতে পারে কিনা।
নতুবা বোনের ধর্ষকরা পার পেয়েই যাবে।
তা নিয়ে অতটা মাথা ব্যাথা নেই।
.
তনু চলে গিয়েছিস ভালোই হলো।নতুবা তোর গায়ে ধর্ষিতা তকমাটা মিডিয়া এতুটাই ফলাও করে দেখাতো তুই নিজেকে হয়তো পতিতায় রূপ দিতি নতুবা আত্মহননের নেশায় মেতে উঠতি প্রতিনিয়ত।
অভিশপ্ত পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলি ভালই হলো,তবে তোর যাওয়াটা যে অভিশপ্ততায়পূর্ন সেটা মানতেই যত কষ্ট।
ভাল থাকিস,খুব বেশি ভাল থাকিস।
একা বলে ভয় পাসনে,হায়েনার দল হয়তো কিছুদিন পরেই তোর পাশেই আর কয়েকজনকে পাঠাচ্ছে।
.
#আহত_বিবেক
#অসহায়_জাতি
#ধিক_মনুষ্যত্ব
#ধিক_হিংস্র_পৌরুষত্ব
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৯

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???



আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×