আজ থিকা রমজান শুরু। আর আমার দুঃখের দিনও শুরু। মূল দুশ্চিন্তা বিড়ি খাওয়া নিয়া। গত বাজেটের পর ব্রিটিশ-অ্যামেরিকান বিড়ি কম্পানির সব পণ্যের দাম বাড়ছে। আসলে বাড়ছে বললে ভুল বলা হয়, চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে। ইতিপূর্বে বিড়ির নেশা ছেড়ে দেওয়ার নিয়ত নিয়া বিভিন্ন চেষ্টাচরিত্র কর্ছিলাম। বাট সবই বিফলে গেছে। হয়তো সমস্যা ছিল নিয়তে।
যাগ্গা! রোজা শুরু হৈতেছে, যাবতীয় চিন্তা এখন এইটা নিয়া। গত অন্তত ১০ বছর ধৈরা কোনোদিন রোজা ভাঙ্গি নাই। এবং কোনোদিন নামাজ-কালামও পড়ি নাই। তিরিশটার মধ্যে তিরিশটাই রাখছি। এইবারও রাখবো। এর মূল কারণ তিনটা-
১. রোজা না রাখলে বাসায় নানা ধরনের ঝামেলা হয়। মা ক্যাচাল করেন। খাওয়া-দাওয়াও ঠিকমতো করা যায় না। তাছাড়া মূল সমস্যা হল, রমজানের সময় বাসায় বৈসা বিড়ি ধরালে তার সুবাস বহুদূরে চৈলা যায়।
২. অফিসে সর্বক্ষণ একটা চোর-চোর মনোভাব নিয়া থাকতে হয়।
৩. রোজা না রাখলে ইফতারি খাওয়ার মেজাজটাও ঠিক আসে না।
আবার রমজানের কুফলগুলার মধ্যে বিশেষভাবে আমার নজর কাড়ে যেইটা, সেইটা হৈল- পুরা এই এক্টা মাস কাজকর্মে মনোযোগ আসে না। বলতে গেলে, পুরা রমজান মাসটাই অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় হয়। আমার জানামতে, সব মুসলমানের ক্ষেত্রেই এটা হয়। রোজা রাখা ফরজে কেফায়া না হৈলে ইসলামি চিন্তাবিদরা এইটা নিয়া ভাবতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৪:৩০