গত ভোর পাঁচটার পর থেকে হ্যাকার্স গ্রুপটির সঙ্গে আমার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফলে নতুন কোনো ওয়েবসাইট হ্যাকড হল কিনা- তাদের দিক থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
অনলাইন সংবাদপত্র বিডিনিউজ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। প্রথম আলোতেও এ সংক্রান্ত খবর আসছে। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় র্যাবের মিডিয়া সেলের প্রধান আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, তারা আজই জানতে পেরেছেন যে, র্যাবের ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে। কারা করেছে সে ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ওয়েবসাইট হ্যাকড হওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু না। কারণ এতে র্যাবের কর্মকাণ্ডে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।
আমার মতে, এটা অবশ্যই দায়িত্বহীন উক্তি। সরকারি অন্যান্য সংস্থার তুলনায় র্যাবের ওয়েবসাইটটি তুলনামূলক তথ্যবহুল। তাছাড়া এ ওয়েবসাইটে স্পর্শকাতর নানা তথ্য গ্রহণের ব্যবস্থাও ছিল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল, নিজস্ব ওয়েবসাইট যে কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্যই মর্যাদার প্রতীক। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যে দাবিতে শাহী মির্জার নেতৃত্বাধীন হ্যাকার্স গ্রুপ সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে, সেই দাবিটিও ভাববার মতো। আমি বলবো, বাংলাদেশের আইটি অঙ্গনের জন্য এ এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
পোস্টটি একইসঙ্গে আমারব্লগে প্রকাশিত হল।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৪:২৭