প্রধানমন্ত্রী নিজেও কিছুক্ষণ আগে টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ঘটনাটিতে তৃতীয় শক্তির ইন্ধন ছিল। প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ঘটনার আগে বিডিআর সদর দপ্তরে লাখ লাখ টাকা বিডিআর সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা থেকে পিছিয়ে এসেছেন। তিনি বলেছেন, যারা পিলখানায় গণহত্যা ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ছিল- তারা সাধারণ ক্ষমার আওতায় পড়বে না।
সেনাসূত্রগুলো বলছেন, বিএসএফের লক্ষ্য ছিল বিডিআরকে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া। পিলখানার ঘটনার পরপরই সীমান্তে রেডএলার্ট জারি করে বিএসএফ। লিফলেট বিলিসহ নানা আলামতে ইতিমধ্যে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, পুরো ঘটনাই পূর্বপরিকল্পিত। মূলত বিডিআরের "থিংকট্যাংক" বা পুরো মাথাকেই ইতিমধ্যে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে সেনাকর্মকর্তাদের গণহত্যার মধ্য দিয়ে।
গোয়েন্দা সূত্র জানাচ্ছে, পুরো এই ঘটনায় সবার দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল পিলখানার ওপর। এই সুযোগে ভারত কিংবা মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে বড়ো ধরনের অস্ত্রের চালান দেশের ভেতরে ঢুকেছে বলে তারা সন্দেহ করছেন।
তবে এর মধ্যেই এই সরকারের সঙ্গে ভারতের একটি ভালো সম্পর্ক থাকায়- তাও একটি মহলে অবিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে। সামনে সম্ভবত কিছু চমক অপেক্ষা করছে।
বিভিন্ন সূত্রের সঙ্গে কথা বলে লেখাটি তৈরি করা হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:২২