somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের ওপর একটি গজবের প্রতীক্ষায়

১৫ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২ জুলাই ২০০১
১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০০১ সালে সংসদের শেষ অধিবেশনে ‘জাতির জনকের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা বিধান-২০০১’ নামে একটি আইন পাস করা হয়। এই আইনের বলে বিদায় নেওয়ার এক মাস আগে মাত্র এক টাকার বিনিময়ে শেখ হাসিনা গণভবনটি নিজের নামে রেজিস্ট্রি করে নেন। এছাড়া একই বছরের ২ জুলাই মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে একটি গাড়ি, ড্রাইভার, টেলিফোন, চিকিৎসা সুবিধাসহ আরো কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। পাশাপাশি ছোট বোন শেখ রেহানাকেও ধানমন্ডি এলাকায় গণপুর্ত অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি বিশাল সরকারি বাড়ি রেজিষ্ট্রি করিয়ে দেন। এছাড়া রেহানার জন্য এককালীন ১০ লাখ টাকা, তার সন্তানদের জন্য মাসিক এক হাজার ৫০০ টাকা করে ভাতা, গাড়ি, চিকিৎসা সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

২৯ অক্টোবর ২০০১
পরবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে বিএনপি সরকার। ২০০১ সালের ২৯ অক্টোবর বিএনপি সরকার শেখ হাসিনা ও রেহানার নেওয়া সুবিধাগুলো বাতিল করে দেয়। আইনটিও বাতিল করা হয়।

১৩ অক্টোবর ২০০৯
জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা আইন-২০০৯ অনুযায়ী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা আজীবন সার্বক্ষণিক স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) সুবিধাসহ দুটি বাড়িও বরাদ্দ পাবেন। জাতির পিতার পরিবারের সদস্যরা আজীবন চলাফেরার ক্ষেত্রেই শুধু নয়, বাসস্থানের ক্ষেত্রেও নিরাপত্তা পাবেন।
আমরা শুনছি, গণভবন আবার শেখ হাসিনার নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার কথাও ভাবা হচ্ছে। ইতিমধ্যে শেখ রেহানার জন্য ধানমণ্ডিতে বড়ো আকারের সরকারি বাড়ি খোঁজা হচ্ছে। শেখ রেহানার পুত্র-কন্যা এবং জয় ও পুতুলের পরিবার প্রবাসেই স্থায়ী। এখনো পরিস্কার নয়, তবে শোনা যাচ্ছে প্রবাসেও তারা এসএসএফের নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।

অতঃপর একটি গজবের প্রতীক্ষায়
আমার এক সহকর্মী আজ বলছিলেন, মানুষ ঠিকই একদিন জেগে উঠবে। পিঠ দেয়ালে ঠেকলে মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে বাধ্য।
নৈরাশ্যবাদী আমার বিশ্বাস আসে না এইসবে। গণভবন নয়, ধানমণ্ডিও নয় কিংবা শহীদ মঈনুল রোডও নয়, এই দেশটার ওপরই একটা প্রলয়ংকরী গজব অনিবার্য। এর বিকল্প কিছু আছে বলেও মনে করি না, ধরাধামে স্বয়ং ঈশ্বর নেমে আসলেও!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৪৪
২৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×