‘সংবাদপত্র প্রকাশকদের কাছে টাকা এখন কোনো ব্যাপার নয়। শোনা যায়, বাজারে আসেনি এমন একটি সংবাদপত্রের মালিক মাত্র ১০০ কোটি টাকায় সংবাদপত্র প্রকাশ করা সম্ভব—শুনে অবাক হয়েছেন। এত কম টাকায় সংবাদপত্র প্রকাশ সম্ভব হওয়ায় তিনি বিস্মিত। শোনা যায়, ওই প্রকাশক তাঁর সংবাদপত্রের জন্য বছরে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছেন। এ টাকা আসবে নদী-খাল-বিল থেকে। খাল-বিলে জাল ফেললেই টাকা আসবে।’ জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সভাপতি রিয়াজউদ্দিন আহমেদ এভাবেই বর্ণনা করেছিলেন সংবাদপত্র জগতের বর্তমান পরিস্থিতি।
শোনা যাচ্ছে, বসুন্ধরার গুণধর মালিক আহমদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলম পত্রিকার পেছনে প্রয়োজনে প্রতি মাসেই ১০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেবেন। কারণটা সহজ। সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপন ছেপে ছেপে তার পোষাচ্ছে না, হাজার কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েও সম্ভ্রম রক্ষা করা যাচ্ছে না পুরোপুরি, ঢাকাজুড়ে একরের পর একর জমি দখল করতে গেলেও এখন একটা রক্ষাকবচ লাগছেই- তাই নিজের একটি সংবাদপত্র খুব দরকার। টাকা সেক্ষেত্রে কোনো বিষয় নয়। খাল-বিলে জাল ফেললেই টাকা আসবে। তবুও সাদা হওয়া চাই যে কোনো মূল্যে।
আসুন শাহ আলমের সাদা হওয়ার অভিযানে শরিক হই। আসুন, দৈনিক শাহ আলমকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হই। মনে রাখবেন, এবার "আংশিক নয়, পুরো সত্য"!
বড়ো আকারে বিজ্ঞাপন দেখতে ক্লিক করুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১১ ভোর ৫:০০