গত কয়েক মাস ধরে আমরা দেখছি, দেশী মদ বাজারে খাওয়ানোর কুত্তাপাগল এই অভিযানে যুগান্তরের লক্ষ্যবস্তু কখনো নির্দিষ্ট ক্লাব ও হোটেল (যেহেতু তারা যমুনা গ্রুপের মদকে অনুমোদন দিচ্ছে না), কখনো চোরাচালানের নির্দিষ্ট রুট (যেহেতু বিদেশী মদের মূল প্রবেশদ্বার সেখানেই এবং তাতে যমুনার মদের চাহিদা থাকে না), কখনো নির্দিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা (যেহেতু তারা যমুনা গ্রুপের পক্ষে কাজ করেন না), কখনোবা বিশেষ উৎসব (যেহেতু বিদেশী মদের সে এক বিশাল বাজার)। এমনকি যুগান্তর যখন থার্টি ফার্স্ট নাইটের রিপোর্ট করে, সেখানেও বিদেশী মদের প্রসঙ্গ আসে বিশেষভাবে। স্মরণ করা যেতে পারে, এর আগে যমুনা গ্রুপের একটি বিয়ার বাজারজাত করার জন্যও একই কাণ্ড করেছিলেন তিনি।
গত একমাসে যুগান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর দিকে চোখ বুলোলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে আশা করি-
লক্ষ্যবস্তু যখন নির্দিষ্ট ক্লাব ও হোটেল
ঢাকা ক্লাবে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে শুল্কমুক্ত অবৈধ মদ-বিয়ার
চট্টগ্রামে বার-ক্লাবে বিদেশী মদ-বিয়ার বাণিজ্য রক্ষায় কোটি টাকার তহবিল
হোটেল জাকারিয়া অবৈধ মদ বিয়ারের হাট
ফুওয়াং ক্লাবের ডিসকোতে অশ্লীল নৃত্য : অবৈধ মদের রমরমা ব্যবসা
কয়েক দিন আগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম ক্লাব প্রতি মাসে অর্ধকোটি টাকার হান্টার কেনার শর্তে যমুনা গ্রুপের সঙ্গে সমঝোতায় এসেছে। ফলে এখন এই দুই ক্লাবের বিরুদ্ধে আর কোনো নেতিবাচক সংবাদ দেখা যাচ্ছে না যুগান্তরে।
লক্ষ্যবস্তু যখন চোরাচালানের নির্দিষ্ট রুট
অবৈধ মাদকের ছড়াছড়ি
চট্টগ্রামের পারকি ও পতেঙ্গা উপকূলে আসছে বিদেশী মদ-বিয়ারের চোরাচালান
মিথ্যা ঘোষণায় আসছে শত কোটি টাকার মদের চালান
যুগান্তর রিপোর্টের জের : কাস্টম কমিশনার নুরুল ইসলাম স্ট্যান্ড রিলিজ
লক্ষ্যবস্তু যখন রোজকার পুলিশী অভিযান
আনোয়ারা উপকূলে বিদেশী মদ বিয়ারের দুটি চালান আটক
মংলায় বিদেশী মদের বিশাল চালান আটক
রাজধানীতে বিদেশী মদ বিক্রির সময় গ্রেফতার ২
কাজে কাজেই বিদেশী মদ হটানো অভিযান শেষ হলে অচিরেই আমরা আশা করতে পারি, দেশীয় মদ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কেরু কোম্পানির বিরুদ্ধে শীঘ্রই প্রতিবেদন আসতে যাচ্ছে যুগান্তরে। সবার ওপরে ব্যবসা সত্য, তাহার ওপরে কিছু নাই!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৪:১৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




