১৯৭১ সালে ইসলামী ছাত্রসংঘ চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি আবু তাহের ছিলো ফ্যাসিস্ট আলবদর বাহিনীর কুখ্যাত সংগঠক। তার নেতৃত্বে চট্টগ্রামের নন্দনকাননস্থ 'ডালিম ভবন' এ স্থাপিত হয় চট্টগ্রাম শহরের অন্যতম মূল নির্যাতন ও হত্যাকেন্দ্র। রাজনৈতিক নেতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষসহ স্বাধীনতা প্রত্যাশী মানুষকে ২০-২২টি কক্ষে আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন চালানো হতো। প্রতিটি পাড়ার ইসলামী ছাত্র সংঘের গোয়েন্দারা রিপোর্ট পাঠাতো আর রাতে বাড়ি ঘেরাও করে আলবদর বাহিনী ডালিম হোটেলে নিয়ে আসতো সাধারণ মানুষকে। লিস্ট অনুযায়ী তৈরি হতো তাদের জন্য আলাদা আলাদা ফাইল। ফাইল অনুযায়ী নির্যাতন চলতো।
ওই যুদ্ধাপরাধী ৩০ সেপ্টেম্বর '৭১ এ ইসলামী ছাত্রসংঘের (বর্তমানে ইসলামী ছাত্রশিবির) বার্ষিক সম্মেলনে যোগদানের নামে পাকিস্তানে গিয়ে গণহত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাটের সহি তালিম নিয়ে আসে। পাকিস্তানী হানাদারদের পদলেহী এ শয়তান '৭১ এর ১১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জামাত আহূত 'হিন্দুস্তান খতম কর' দিবসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে দৈনিক আজাদীতে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতের দালাল আখ্যায়িত করে তাদের খতম করার মাধ্যমে পাকিস্তান রক্ষার আহবান জানায়।
কুখ্যাত এই যুদ্ধাপরাধী দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম মহানগর জামাতের আমীর ছিল। বর্তমানে জামাতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রামের অন্যতম উদ্যোক্তা। উল্লেখ্য, তার এক কন্যা ব্লগে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধাপরাধীদের সপক্ষে সুকৌশলে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা তাকে তার পিতার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হওয়ার আহবান জানাই।
কৃতজ্ঞতা
নাম না জানা সেই ব্লগারের প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল, যিনি বই ও দৈনিক সংগ্রামের পেপার কাটিং এবং অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করেছেন আমাকে।
ব্লগে এক যুদ্ধাপরাধী-কন্যার বিষাক্ত বিচরণ : পিতার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হোন
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১১৩টি মন্তব্য ৪১টি উত্তর
পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন
আলোচিত ব্লগ
হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
Testimony of Sixty- By Edward Kennedy বাংলাদেশের রক্তাক্ত সত্যের এক আন্তর্জাতিক স্বীকারোক্তি

১৯৭১ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গভীর বৈপরীত্যের বছর। এটি যেমন ছিল অন্ধকার ও রক্তাক্ত, তেমনি ছিল সত্যের প্রতি অবিচল এক সময়কাল। এই বছরের গণহত্যা, শরণার্থী স্রোত ও মানবিক বিপর্যয়ের বিবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমি আর এমন কে

যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন
২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।