যৌন উন্মাদ এই লোকটি ব্লগেই থাকুক, অমানুষের উদাহরণ হয়ে...
সেফ যখন করলি, এখন তোদের চিফ জানার সাথে একটু লিলা খেলা করতে চাই। যেন তার লিলা খেলার তৃপ্তিতে ভবিষ্যতে কেউ আর আমারে জেনারেল কারার সাহস না পায়।
সামহোয়্যারের মডারেশন নিয়ে আমার নিজের মধ্যেও নানা অস্বস্তি আছে। কোনোটা বলি, কোনোটা হয়তো বলি না। অনেকেই এ নিয়ে পোস্ট দেন প্রায়ই। রাগ-ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই। সেটা স্বাভাবিকই। ভালোবাসা যেখানে আছে, রাগ-অভিমানও সেখানে থাকবেই। কিন্তু এ কেমন ভাষা? বস্তিতে অনাদরে বড়ো হওয়া কিশোরদের মুখেও তো এইরকম কুৎসিত ভাষা দেখা যায় না। আর ব্লগ তো পতিতালয় নয় যে, মাতাল ট্রাক ড্রাইভার অশ্রাব্য গালি দিয়ে আসন গেড়ে বসবেন!
বিকৃত এই লোকটি কে?
পেশায় দেখা যাচ্ছে লোকটি 'এডভোকেট'। পুরো ব্লগ জুড়ে নিজেই নিজের সুনাম গাওয়া আর স্বমেহন ছাড়া কিছু নেই। তবু পুরনো পোস্ট ঘেঁটে দেখলাম -নাম তার শাহনুর ইসলাম সৈকত। এই সূত্রে আরেক জায়গায় পেলাম আরো পরিচয় - নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান রাইটস। ওদিকে বাংলাদেশ সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেভেলপমেন্ট নামের একটি সংগঠনের একইসঙ্গে সেক্রেটারি জেনারেল ও নির্বাহী পরিচালকও। শুধু তাই নয়, এই লোক আবার নিজেকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এবং ঢাকা বার এসোসিয়েশনের সদস্য বলেও দাবি করছেন। ওয়েবসাইটেই পাওয়া গেল ইমেইল : [email protected] আর ওয়েবসাইট : http://www.bihr-bihr.blogspot.com। সেখানেই ফোন নম্বরও পেলাম একটা- 01720308080। এই বিশিষ্ট জাস্টিসমেকারের প্রোফাইল পাওয়া যাবে এখানেও। আসলে বেশি খোঁজ নেওয়ার দরকারও পড়ে না। যে লোকের ভাষা এইরকম কুৎসিত, সেই লোক যে সংগঠনের পরিচালক হোক আর পিয়ন হোক, তার মান কেমন হবে সেটা সহজেই অনুমেয়। এক পোস্টে এই লোকটিকেই দেখা যাচ্ছে ইভটিজিং নিয়ে বেশ ভাবিত, ব্লগারদের সাহায্য চাইছে, সেই লোকই আবার আরেক পোস্টে যৌন উন্মাদ ইভটিজারের ভূমিকায়। বাস্তব জীবনে এই লোকই হয়তো বউ পেটায় নিয়ম করে, হয়তো তার বাসার কাজের মেয়েটাই তার অবাধ যৌনাচারের শিকার হচ্ছে প্রতিদিন, এই লোকই হয়তো অফিসে নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানি করে, আবার সেমিনার ডেকে এই লোকই মানবাধিকারের বুলি আওড়ায়। সমকামীদের নিয়েও তার আবার বিশেষ আগ্রহ।
মতলববাজির কাহিনী
সাংবাদিকতা জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে জানি, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া বাকি সবগুলোরই মূল কাজ হল থানায় থানায় দালালি করা, মানুষকে সাতপাঁচ দেখিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করা, সংখ্যালঘু নির্যাতন-পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক কাহিনী-টাহিনী সাজিয়ে বিদেশ ভ্রমণ। বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠন সরকারি ভূমি দখলের সঙ্গেও জড়িত। এই লোক তাদেরই প্রতিনিধি। তার মতলববাজির কাহিনীও দেখলাম তার নিজের ওয়েবসাইটেই। মজার ব্যাপার, মানবাধিকার সংগঠনের এই গুণধর নির্বাহী পরিচালক নিজের ওয়েবসাইটে নিজেই রোগী সেজে বসে আছেন! বাংলা-টাংলায় নয়, একেবারে দেওয়ানী ইংরেজিতে লিখে রাখা হয়েছে কুৎসিত এই লোকের কথিত নির্যাতনের কাহিনী। পড়লেই বোঝা যায় যে পুরো বানোয়াট। তাও নিজের সম্পর্কে নিজেরই 'ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট'। কেন ওটা ইংরেজিতে লেখা? বাংলাদেশে কি ইংরেজিভাষী লোকের প্রাচূর্য ঘটেছে? না, এটা হল বিদেশী মানবাধিকার মদনদের দৃষ্টি আকর্ষণের গ্রাম্য চেষ্টা। প্রবাসী ব্লগার যারা, তারা জানবেন হয়তো এইরকম কাহিনী সাজিয়ে লাভ হয় দুটি - প্রথমত মুফতে বিদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ পাওয়া যায় সেমিনার-টেমিনারের অজুহাতে, দ্বিতীয়ত বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার একটি সুযোগ তৈরি হয়।
কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ এই কুৎসিত লোকটির কুরুচিপূর্ণ পোস্টগুলো মুছবেন না, কোনো পোস্ট মোছা হয়ে থাকলে সেগুলোও ফিরিয়ে আনুন, অমানুষের উদাহরণ হিসেবে বরং লোকটা ব্লগে থাকুক!
আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?
ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন
দুলে উঠে
দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ
মন খুশিতে দুলে দুলে উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন
তরে নিয়ে এ ভাবনা
তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না
সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন
তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য
আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন
কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই
দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।
সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন