somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার লেখা চুরি এবং জনকন্ঠ ও ভুয়া লেখকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনাকাংখিত ঘটনার কথা সম্প্রতি আপনারা জানেন একটি অনাকাংখিত ঘটনার কথা । সেটি হলো দৈনিক জনকন্ঠ সামহোয়্যার ইন ব্লগে প্রকাশিত আমার একটি লেখা হুবুহু কপি পেস্ট করে গত ২৯-১১-২০১১ ইং তারিখে তাদের চতুরঙ্গ বিভাগে ছাপিয়েছিলো। এই বিষয়ে আমি জনকন্ঠের চতুরঙ্গ বিভাগের সম্পাদক দুলাল আচার্য্য, পত্রিকার সম্পাদক তোয়াব খান, নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়ের সাথে আলাদা আলাদা ভাবে কথা বলি। এই তিন জন সম্পাদককে আমি আমার অভিযোগ প্রথমে টেলিফোনে জানাই এবং এর অনুরোধ করি যেন তারা আমার চুরি হয়ে যাওয়া লেখাটি তাদের পত্রিকার পাতা থেকে সরিয়ে ফেলেন কিংবা আমার নাম দিয়ে প্রকাশ করেন এবং সেই সাথে তাদের এই কৃতকর্মের জন্য পত্রিকাতেই ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

আমার উপরের সকল অনুরোধের প্রেক্ষিতে তারা সচিবালয়ের ফাইল চালা-চালির মত আমাকে এক অপারেটর থেকে আরেক অপারেটরে ঘুরাতে থাকেন এবং দুই মিনিট পর পর-ই টেলিফোনের লাইন কেটে দিতে থাকেন। লন্ডন থেকে ফোন করা, বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী ফোন করা এবং দুই মিনিট পর পর লাইন কেটে দেয়া, সব কিছু মিলিয়ে আমাকে একটা ভালো রকমের হেনস্থাই করা হয়। কিন্তু সবকিছুর পরেও যখন আমি ভদ্রভাবে আমার অভিযোগটি সম্পাদক তোয়াব খানের কাছে ফাইনালি জানাই, তিনি আমাকে বলেন, আমি যেন আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে আমার সকল অভিযোগ তথ্য ও উপাত্ত দিয়ে জানাই। আমি তার কথা মত জনকন্ঠের পত্রিকার নীচে দেয়া দুইটি ইমেইলেই জানাই এবং কিছুক্ষন পর জনকন্ঠের নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা থেকে আমার ই-মেইল্টি ফেরত আসে কেননা এই ইমেইল ঠিকানাটি এখন অকার্যকর। কিন্তু জি মেইল ঠিকানার ই মেইল টিতে আমার অভিযোগ যায় এবং একটি কনফারমেশনও আমি পাই সাথে সাথে।

এই ঘটনার কিছু আগে জনকন্ঠের আরেকজন নির্বাহী সম্পাদক জনাব স্বদেশ রায় আমার সাথে অত্যান্ত খারাপ আচরণ করেন এবং আমাকে বাংলাদেশের কপিরাইট আইন বুঝাবার বেদম চেষ্টা চালাতে থাকেন এবং বলেন, জনকন্ঠ কোনোভাবেই অন্যের জালিয়াতিতে বা প্লেইজারিজমে দায়ী নয় ও দায়ী হতে পারে না। তিনি এও বলেন, এসব হাজার হাজার ব্লগ আবার কে পড়ে? এগুলো খুঁজে দেখবে কে, আমাদের কি আর কোনো কাজ নেই? একজন সম্মানিত প্রফেসর মানুষ, যিনি আমাদের নিয়মিত লেখক, আমরা তাকে তো বিশ্বাস করবই।


এক পর্যায়ে আমি তাকে পরিচয় দেই একজন আইনজীবি হিসেবে এবং তাকে জানাই যে, কপিরাইট বিষয়ক আপনার কথা গুলো আইনের দৃষ্টিতে হাস্যকর এবং এই ব্যাপারে না যেনে এভাবে কমন্সেন্স থেকে কথা বলাটা একেবারেই ঠিক না। আর তাছাড়া আপনি ব্লগকে যেভাবে তাচ্ছিল্য করে কথা বলছেন, অথচ ব্লগ থেকেই লেখা চুরি করে ছাপাচ্ছেন এতে করে আপনাদের শাস্তি হওয়া উচিৎ।

আমার এই কথার পর তিনি প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং এক পর্যায়ে তোতলাতে তোতলাতে ইংরেজী ও বাংলা মিশিয়ে এক আশ্চর্য ভাষায় তিনি কথা বলতে থাকেন। আমি এই পর্যায়ে তাকে অনুরোধ করি যে, আপনি ভুল ইংরেজীতে কথা না বলে বরং বাংলায় কথা বলুন। আমি আপনার কথা বুঝতে পারছি না। ঠিক এই সময় তিনি ফোন রেখে দেন।

এরপরেও আমি কয়েকবার কথা বলবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু, আমার নাম শোনামাত্রই তারা সবাই ফোন কেটে দেন।

ভদ্র ও ভালোভাবে ব্যাপারটাকে মিউচুয়াল করতে আমি চেয়েছিলাম। এবং এই অন্যায়টি যাতে করে আর কারো ক্ষেত্রেই কখনো না হয় সে চেষ্টাই করেছিলাম। কিন্তু বুঝাই যাচ্ছে যে জনকন্ঠ আমার বিরুদ্ধে সঙ্ঘটিত এই অন্যায়ের প্রতিকারের ব্যাপারে একেবারেই আগ্রহী নয়।

আর আমার লেখা মেরে দেয়া লেখকের সাথে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাকে পাইনি কোথাও। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশিওলজি'র অধ্যাপক এবং ঢাকার পিপল'স ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর। এসব প্রতিষ্ঠানে টেলিফোন করেও তাকে পাইনি। সুতরাং তার কথা শুনবার সৌভাগ্য আমার হয়নি।

সব কিছু বিবেচনা করে আমি, দৈনিক জনকণ্ঠ এবং প্রফেসর মুহাম্মদ আসলাম ভুইয়ার বিরুদ্ধে আদালতে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সামনের সপ্তাহে আইনগত সকল কাগজ-পত্র তৈরীর কাজ শুরু হবে এবং অভিযুক্ত ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিস পাঠানো হবে বলে আশা করছি। এরি মধ্যে সামহোয়্যার ইন ব্লগকে আমার পক্ষ থেকে অনুরোধ করেছি যে এই আইনী প্রক্রিয়ায় তারা যেন আমাকে সহযোগিতা করেন।

আর ব্লগার, আপ্নারা তো আমার সাথেই আছেন এবং ছিলেন। আমি এই শক্তিতেই মূলত এই অন্যাইয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছি। আশা করি আপনাদের সহযোগিতা আমি সব সময়ই পাব আগের মতন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০৪
৩৬টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×