somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মূর্খ এই আমি কিছু কথা বলেছিলাম শর্মিলা বোসকে

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


উৎসর্গঃ শুভাশীষ’দা । আমি আপনাকে দেখিনি কখনো। অথচ…শর্মিলার প্রতি আমার ক্রুদ্ধস্বরের প্রতিটি বর্ণে, প্রতিটি উচ্চারনে আপনি পাশে ছিলেন।

এক

ডিসেম্বরের ৮ তারিখ, ২০১১। সোয়াসে (স্কুল অফ আফ্রিকান স্টাডিস (SOASলন্ডন,রাসেল স্কয়ার) যখন আমি রুম নাম্বার জি-৫০ শে ঢুকি তখন শর্মিলা বোস কথা বলছিলেন একাই। তার পাশে আরো দু’জন বসা।তাদের পরিচয় আমি তখনো জানিনা। ঢুকেই আমি যখন যথারীতি শেষের চেয়ারটিতে বসলাম তখন সেমিনারের ৩০ টি মিনিট পার হয়ে গেছে। লক্ষ্য করলাম এই রুমটিতে আমি আর শর্মিলা ছাড়াও অন্তত ৫০-৬০ জনের উপর মানুষ রয়েছেন যারা এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন শর্মিলার দিকে। শুনছেন মিস বোসের অতি মূল্যবান বয়ান। কেউ আমারই মতন ক্রোধ নিয়ে কেউবা মন্ত্রমুগ্ধের মতন।

শর্মিলার গলার শব্দ রিন রিনে। সাধারন ভারতীয়দের মত “হোয়াট্টার ইউ ট্টকিং এবাউট” ধরনের উচ্চারন না হলেও যেন হয়ে যাচ্ছিলো প্রায়ই কিছু শব্দে। কিছু শব্দ কানে আসছিলো স্পষ্ট হয়ে আর কিছু শব্দ হারিয়ে যাচ্ছিলো আমার ক্রোধের কারনে।“সৈন্যারা অমনই”। এক ধরনের মেনে নেয়া কিংবা এটাই যেন স্বাভাবিক রকম সত্য- ঠিক এই ভঙ্গি থেকে বলে যাচ্ছিলেন তিনি। “বেলুচিস্তানেও তারা অমন করছে। মানুষ মারছে, নারী মারছে। বাঙালীর উপর আক্রমনও তারা করেছে উপরের নির্দেশে, কিন্তু যতটা বলা হয় “বাড়াবাড়ি” রঙ মিশিয়ে, তেমনটি নয়”।মিস বোস বিশেষ বোদ্ধার মত রাজনীতি আনলেন, আনলেন বাঙালী বা বাংলাদেশী প্রসঙ্গ।বাঙালী না বাংলাদেশী কোন আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে বাঙালীরা পাকিস্তানী সহী-বুখারী খান সাহেবদের বার বার চটিয়েছিলনে সেটি শর্মিলার প্রশ্ন।সেটি তার মাথায় ঢুকেনি কখনও। কিন্তু তার বাবা শ্রী শ্রী শরৎচন্দ্র বোস যে বাঙালী ইজমে কাতর ছিলেন, এটি নাকি শর্মিলা ভালই বুঝেছিলেন তার শৈশব থেকেই।ভারতের খাঁচায় বন্দী ছিলো বাঙালীরা,রাজনৈতিক কারনে আর ভারতের স্বার্থে ব্যাবহার হওয়া বাঙালীরা তাদের পাকি ভাইদের চিনতে পারেনি কখনই।খেলেছে ভারত।তাই হেরেছে পাকিস্তান। তাই জন্মেছে বাংলাদেশ। মোদ্দা কথা যেন এটুকুই।আমি তার বাকি কথা মনে করতে চাইনি বলেই হয়ত মনে নেই কিছুই। কিন্তু, যে কথা সোয়াসে বলেন নি শর্মিলা সে কথা তো তিনি তার বইয়ে বলেছেন। বলেছেন কলামে। বলেছেন প্রবন্ধে, বলেছেন আরো কত সব সভায়, সমিতি, সেমিনারে…


দুই

প্রশ্ন পর্ব শুরু হলে অনেকেই এগিয়ে আসতে থাকেন।যদিও অনেকেই বার বার হাত তুলে ফ্লোর পাননি।প্রশ্নগুলোর কিছু উদাহরণ এই বিষয়ে লিখিত জিফরান খালেদের নীচের বক্তব্য থেকে পাওয়া যায়ঃ

Mehmud:

Mehmud, who was in Pakistan Military before and during 1971 and was held prisoner of war during the war, primarily talked about his book which tries to trace the history of Bangladesh, or more precisely Bengali Muslims, from the start of 1830 to the end of 2009. In this speech, he attempted to draw attention to the three different political constructs of the 1971 war. There was the ‘Level 1’ phase where Bengali dissatisfaction raged and Muzib’s ascent to the presidential position was denied through the unprovoked atrocity imposed by Yahia. There was another level at which the geo-political interests were at stake of India and Pakistan and the relations then between these two were rife with tension and hostility. There was the third level at which USA and China got involved in preserving the interests of West Pakistan while USSR and India sided with Bangladesh. It is this level which Mr. Mehmud highlighted most and branded the creation of Bangladesh ‘unprecedented’ in that after World War II, only for the first time in 1971, in the events which led to the birth of Bangladesh, such diplomatic, political, and to a certain extent, military tension reigned so overwhelmingly at international level. Mr. Mehmud went on to further demonstrate the reasons behind such tensions and narrated his own personal situation during the war when he and some other Bengali soldiers in the Pakistani Army were sent to certain operations without being provided any weaponry which was extremely atypical under any operational situations. He also mentioned that about 28,000 Bengali soldiers and officials, when given a choice as to stay in the Pakistani Force or to go to Bangladesh (then East Pakistan), walked out of the army and several thousands were held prisoners of war and a great number of Pakistani army were deployed to guard Bengali soldiers, officers who were in Pakistan thus greatly weakening the physical strength of the force that was deployed to carry out military operations against the rebellion in Bangladesh.


A Ph.D student to Sharmila Bose:

I did not read your book in its entirety, but I had the opportunity to go through the first few pages and at the outset you criticise Bangladeshi authors who wrote about independence war, history and as such. You start off by criticising the bad scholarship these authors displayed. Same question is now sometimes aimed at your work. How have you concluded that their scholarship was not good or objective and in which ways your work stands out from theirs?
Sharmila, apparently, avoided the answer and advised the questioner to go through her book first.

Zifran:

In your responses to several questions and comments here, you have maintained that your book was not an academic work or scholarly research or a revisionist attempt at history of 1971 war per se, rather a journalistic piece where you, selectively, chose selective incidents and tried to tell the story of those incidents. But based on these interviews, you seem to draw quite big historical conclusions contrary to the established narrative. Now, my question to you is, if it is a journalistic piece, then what prompted you to reach the big conclusions that you did and why did you not end the book with just that, i.e. a collection of stories, or interviews?
Though the host and a few from the audience, evidently, wanted to hear an answer to this question, Sharmila stalled a little bit by inviting more questions while recognising the question as ‘very interesting’. At the very end of the seminar, she started responding, at the last minute insistence of the host, to the question by stating that it(the book) was a very well-researched work (to which a part of crowd apparently booed) and at that precise moment the seminar was brought to an end.

Bulbul Ahsan

You mentioned a comparison and to that extent a greater similarity between the dissatisfaction that existed at Baluchistan and East Pakistan. Would you kindly provide me with any information which led you to such conclusion of resemblance? In any event, is that conclusion possible based on the difference in the scale?
Sharmila conceded that the scale was different; nevertheless, she could not see why factual similarities could not be drawn. She did not cite any authority to assay the doubt that underpinned the question, thus weakening the credibility of such a comparison.

Profession Mushtaq:

In his lengthy comment , Mr. Mushtaq drew attention to the 1946 Cabinet Mission election. In his submission, the East Bengal Muslims voted for the unity of Bengal whereas the West Bengal Muslims apparently voted for the division. He further drew a parallel between the way Zinnah bargained for autonomy, rights and protection of Muslim interests and the way Muzib carried out his political position prior to 1971 war (this parallelism was valiantly supported by Ms. Bose)।

এছাড়াও আরো দু’জনের কথা আমার মনে পড়ে যারা খুব চমৎকার করে চেপে ধরেছিলেন শর্মিলাকে। এ টি এন বাংলার এই ভদ্রলোক বলেছিলেন শর্মিলাকে,

“আপনি যেহেতু বার বার বলছেন যে, আপনি বিভিন্ন পাকিস্তানী লেখকদের লিখিত ১৯৭১ বর্ণন পড়েই এবং সে অনুসারেই আপনার ওই বইটি লিখেছিলেন, তাহলে কি আমরা ধরে নিতে পারি যে, আপনি আসলে পাকিস্তানী দৃষ্টি ভঙ্গি থেকেই লিখেছেন আপনার বইটি? এটা কি সেই ন্যারেটিভকে তুলে ধরছে না?”

ঠিক তার পরেই এক ভারতীয় বয়োজ্যোষ্ঠা মিস গীতা চেপে ধরেন শর্মিলাকে, তিনি প্রশ্ন করেন-

“১৯৭১ সালের যে রাজাকার আলবদর ,যারা অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে।বিচারের সময়ও তারা কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলেছে পাকিস্তানীদের নৃশংসতার কথা। যারা নিজেরাই সাক্ষী এই বিভৎস হত্যাকান্ডের, সেইসব রাজাকার আলবদরদের মূল হোতা জামাতি ইসলামীর কর্মকান্ডের কথা আপনার বইয়ে নেই কেন?”

তিন

একটি কথার উত্তরoও দিতে পারেন নি শর্মিলা। নট ইভেন আ সিঙ্গেল ওয়ান। প্রতিটি ঝাঁক বাঁধা প্রশ্নের উত্তরে শর্মিলা আমতা আমতা করেছেন। ক্রমাগত বলেছেন নিজের অবস্থান বার বার পাল্টাতে পাল্টাতে “আমি তো ইতিহাসবিদ নই” “আমি শুধু আমার জানা কিছু গল্প পাঠকদের সাথে শেয়ার করেছি” “আমি তো কিছু বলিনি, আমি তো শুধু সাক্ষাৎকার নিয়েছি কিছু মানুষের!!”

শুধু সোয়াসের পাকিপন্থী রাজাকার বাঙালী প্রফেসর মোশতাক খানের সাথেই যেন নিজের চিন্তার মিল খুঁজে পেয়েছিলেন শর্মিলা। তাই মুখটি চটচটে করে, মুখের কোনায় একটি ইতর হাসি দিয়ে মুশতাককে বলে ওঠেন “খুব সুন্দর বলেছেন প্রফেসর মোশতাক। আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু জানলাম।চমৎকার!!ধন্যবাদ”

(উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের শেষে এই প্রফসর মোশতাক খানই আমাকে পাঠ দিচ্ছিলেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধ যে একটি সিভিল ওয়ার ছিলো, সেটির পক্ষে। এই মোশতাক খানই আমাকে বলছিলো যে, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল একটি পার্টিজান নোংরা প্রহসন।এটি আন্তর্জাতিক নয়। আমি তাকে বলেছিলাম, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইন-১৯৭৩ এর ২৬ টি সেকশান রয়েছে।আপনি আমাকে একটি সেকশান কিংবা একটি শব্দ দেখান, যেটি আপনার দৃষ্টিতে প্রহসন মনে হয়”। তাকে উদাহরন দিয়েছি কম্বোডিয়া, রুয়ান্ডা, ইয়াগোস্লাভিয়া আর মিলিটারি ট্রাইবুনালের। কেঁচোর মত এই বিভ্রান্ত আর জ্ঞানপাপী আমার প্রশ্ন শুনে উত্তরে যা বলেছিলেন তা শুধু হাস্যকরই নয়, বরং নির্লজ্জ ইতরামীও বটে। প্রফেসর মুশতাকের উত্তর ছিলো “আসলে আমি এই বিচার সম্পর্কে আমার বন্ধুর কাছে শুনেছি, তোমরা আইনের লোক, তোমরা তো অনেক কথাই বলবা। তোমরা আগামী ৫ বছরেই সব টের পাবা”)

চার

চারিদিক থেকে যখন সব কেতাবী, জ্ঞানগর্ভ আর অত্যন্ত গুরুগম্ভীর প্রশ্নের ঝাঁজ শর্মিলার দিকে তেড়ে আসছিলো এবং শর্মিলা বার বার একটি নোংরা গিরগিটির মত তার রঙ পরিবর্তন করছিলেন প্রতিটি সেকেন্ডে এবং চমৎকার গতিতে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন সকল প্রশ্ন ঠিক তখন এই মূর্খ আমি হাত উঠিয়ে জানান দিয়েছিলাম আমি কিছু বলতে চাই। এতসব পি এইচ ডি,ধোপদুরস্থ সরকারী কর্মকর্তা, বড় বড় স্কলার আর একাডেমিক জিনিয়াসদের ভীড়ে এই মূর্খ আমি খানিকটা ভীত হয়েছিলাম তো বটেই।ডেড রেকনিং কিংবা শর্মিলার সকল মিথ্যাচার আমি পড়েছিলাম মূলত শুভাশীষদা’র হাত ধরে আর কিছু ইংরেজী প্রবন্ধের হাত ধরে।ছোট্ট শ্রেণী কক্ষটি আমার কাছে মনে হয়েছে বিষাক্ত।আমার সামনে বসে থাকা শর্মিলাকে আমার মনে হয়েছে একটি কুকুরের থেকেও অধম, একটি রাজাকারের থেকেও অপবিত্র, একটি জানোয়ারের থেকেও বড় বেশী পংকিল, কদর্য।

যে বাবা হাত দিয়ে হিংস্র গুলি ঠেকাবে বলে হাত বাড়িয়েছিলো একাত্তরে, আমার ডান হাতই সেই হাত।যে মাকে দিনে দুপুরে সন্তানের সামনে ধর্ষন করে গ্লানিতে অপমানে মথিত করেছিলো সেই কুত্তারবাচ্চারা আমি সেই মায়ের সন্তান। যে শিশুটিকে জবাই করে ফেলে রেখেছিলো রাজাকার-আলবদরেরা আমি সেই শিশু সন্তানের ভাঙ্গা হৃদয়। আমার যে বোনের যৌনাঙ্গ কেটে আর স্তন কেটে উল্লাস করেছিলো পাকিরা আমি সেই বোনের ভাই, আমি সেই বোনের ত্যাগ। যে ভাই আমার বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে হেসে গিয়েছিলো অবিরাম,ক্ষমা চায়নি, বাঁচার চেষ্টা করেনি আমার যে ভাই, আমি তার শরীর আমি তার বুক। যে চাচা রক্ত দিয়ে আমাদের উঠান লাল করে দিয়ে গেছেন আমি সেই পবিত্র রক্তের সন্তান। যেই বাংলাদেশ আমাকে জন্ম দিয়েছে, স্থান দিয়েছে তার কোমল বুকে, আমি সেই দেশের সন্তান। আমি তাঁর সন্তান।আমিই বাংলাদেশ।

শর্মিলা বোসকে কাছে পেয়েও আমার কি পুতু পুতু প্রশ্ন করা উচিৎ ছিলো? আমি কি তাকে প্রশ্ন করতে পারতাম, কাউন্টার ন্যারেটিভ, ডিস্কোর্স, রিকন্সিলিয়েশন তত্ত্ব কিংবা নিহতের সংখ্যা নিয়ে? আমি কি তাকে প্রশ্ন করতে পারতাম দূর্দান্ত প্যাঁচ দিয়ে? কথার জালে? যুক্তির ছলে? আমি কি তাকে হার্ভার্ড পি এইচ ডি বলে শ্রদ্ধেয় শর্মিলা বলে সম্ভাষিত করতে পারতাম? আমি কি পারতাম তাকে ভদ্র ছেলের মত ঠাশ বুনোন দিয়ে নিপাট চাতুরী প্রশ্ন করে দিক ভ্রান্ত করে দিতে? হয়ত…...partam...


আবার হয়ত নয়…... তাই এই কেতাবী সেমিনারের পোষাক পরিচ্ছদ ভেঙ্গে, আমি আমার প্রতিশোধ নিতেই গিয়েছিলাম সেখানে। সবার সামনে বলতে গিয়েছিলাম,সবার সামনে এই খ্যাতি ক্ষুদার্থ কলম বেশ্যাকে তাই বলেছি-

“আমি ১৯৭১ সালের একজন ভিকটিম পরিবারের সন্তান। সেই পরিবারের সন্তান হিসেবে আপনার বইটি পরে আমার এক কথায় যা মনে হয়েছে তা হচ্ছে, আপনার বইটি সম্পূর্ণ মিথ্যা আর প্রোপাগান্ডায় লেখা। আপনি সমগ্র বাংলাদেশী নাগরিককে আপনার এই বই দিয়ে অপমান করেছেন। আপনি আপনার লেখায় ত্রিদিব রায়ের মত চিহ্নিত রাজাকার, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেনের মত দন্ডপ্রাপ্ত দালালদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন, যেই সাজ্জাদ ১৯৭২ সালেরর দালাল আইনে সাজাপ্রাপ্ত। তাদের বক্তব্য আর তাদের লেখার রেশ ধরে আপনি ১৯৭১ দেখেছেন, দেখাতে চেয়েছেন। আপনি হামুদূর রহমান কমিশনের রিপোর্টের রেশ ধরে আমাদের স্বজনদের লাশ গুনেছেন। আপনি বলেছেন ধর্ষিতার সংখ্যা মাত্র ৩৪ হাজার। আপনি পাকিস্তানী মিলিটারি অফিসারদের বক্তব্য ধরে বইতে বক্তব্য দিয়েছেন। আপনি সেই খুনী অফিসারদের পক্ষ নিয়ে, তাদের কথা বিশ্বাস করেছেন। যে ইতিহাস সকল পৃথিবীর মানুষ জানে, যে ইতিহাস আমি আমার শৈশব থেকেই জেনে এসেছি, পড়ে এসেছি, চাক্ষুস দেখেছি, আজকে এক বই দিয়ে আপনি সেই ইতিহাস আপনি এক বই দিয়েই মিথ্যা প্রমাণ করতে চান? আপনার নামে মামলা হওয়া উচিত। আপনার বইটিকে আদালতের সামনে দাঁড় করানো উচিৎ”


পাঁচ

paভুল বলেছি কি শুদ্ধ বলেছি সেটি বিবেচ্য হবে বিভিন্ন মনস্তাত্বিক বিশ্লেষনে কিংবা ভিন্ন ভিন্ন চোখে। কিন্তু যা বলেছি সেটি না বলতে পারলে সারাটি জীবন নিজের গ্লানি নিয়েই পথ চলতাম একা একা। নিজের কাছেই নিজে মরে যেতাম প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্তে।

আমি নিজেকেই নিজে হত্যা করতে চাই নি...
১৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×