somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিদেশী আইনজীবি নিয়ে জামাতীদের নতুন ম্যাতকার ও তার জবাব

০৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিদেশী আইনজীবিদের ব্যাপারে আমরা যখন এই বিচার বিরোধী গোষ্ঠীদের বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন দেখিয়ে দিলাম এই বলে যে, "বাংলাদেশের কোর্টে আসতে হলে বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে" তখন তারা কিছুটা দমে গিয়েছিলো এই আইনের বিরুদ্ধে কিছু বলতে না পেরে। কিন্তু জামাতী মূর্খরা কি আর বেশী দিন অপেক্ষা করবার পাত্র? তারা এখন নতুন উদ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনাল কিংবা যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল গুলোর উদাহরন এনে হাজির করছে। তারা বলছে যে, এইসব আদালত গুলোতে বিদেশী আইনজীবি আনতে দেয়া হয়েছিলো, সুতরাং বাংলাদেশের আদালতে কেন দেয়া যাবে না?

এইসব প্রশ্নের সাথে তারা অত্যন্ত পন্ডিতের মত রুয়ান্ডা ট্রাইবুনাল, সিয়েরা লিওন, ইয়াগোস্লাভিয়া ট্রাইবুনাল, কম্বোডিয়ান ট্রাইবুনাল ইত্যাদির উদাহরন দিয়ে সেখানে কোন কোন দেশের কোন কোন আইনজীবি অংশগ্রহন করেছিলেন তার একটা লিস্ট ধরিয়ে দেয়। এরা আসলে বাংলাদেশের সচেতন মানুষদের ওদের মতই ছাগল মনে করে। ভাবারই কথা, একজন ইতরের কাছে পৃথিবীর সবাই ইতর। অথচ ওরা ভুলে যায় যে, যেসব আদালত ও ট্রাইবুনালের নাম তারা তসবি জপার মত জপছে এইসব প্রত্যেক্টি আদালত গঠিত হয়েছে ইউনাইটেড নেশন্স এর সাহায্যে এবং ইউনাইটেড নেশন্স এইসব প্রত্যেক্টি দেশের সংগঠিত অপরাধের জন্য ফৌজদারী আদালতে বিচার করবার প্রস্তাব গঠন করে এবং নিরাপত্তা পরিষদে তা পাশ করবার পর সুবিধামত যায়গায় তারা বিচারের আয়োজন করে আন্তর্জাতিক আদালত হিসেবে তাকে মর্যাদা দিয়ে। আপ্নারা যদি এই দেশগুলোর দিকে তাকান তাহলে দেখতে পারবেন যে, এইদেশ গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চলেছে, জাতিগত দাঙ্গা চলেছে। যেমন রুয়ান্ডা, কম্বোডিয়া। এইসব দেশের আইন শৃংখলা, বিচার ব্যাবস্থা সব কিছু ভেঙ্গে পড়েছিলো তখন। তাদের নিজেদের পক্ষে এতবড় ব্যয় সাধ্য বিচার করবার কোনো সামর্থই ছিলো না।

সেইসব আদালতে শুধু বিদেশী আইনজীবিই নন, উপস্থিত ছিলেন বিদেশী বিচারকও এবং অনেক ক্ষেত্রে আইনজীবির জন্য সাহায্য করেছে ইউনাইটেড নেশন্স। কম্বোডিয়া ট্রায়ালে এই পর্যন্ত লেগেছে ১৭০ মিলিয়ন, সিয়েরা লিওনের ট্রায়ালে লেগেছে ১৪৯ মিলিয়ন,ইয়াগোস্লাভিয়া ট্রায়ালে ৩০৬ মিলিয়ন এবং রুয়ান্ডা ট্রায়ালে ৬১৫ মিলিয়ন।

আর আমরা বার বার বলছি আমাদের দেশে চলা "আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইন-১৯৭৩" দিয়ে আমরা দেশীয় আদালতে, দেশীয় সিস্টেমে, আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত অপরাধের বিচার করছি। মানে হচ্ছে, অপরাধের ধরন আন্তর্জাতিক, এই অপরাধ গুলো আন্তর্জাতিক ভাবেই স্বীকৃত বাট বিচার হবে দেশীয় আদালতে। সুতরাং আমাদের দেশে বিদেশী আইনজীবি আসতে হলে আমাদের দেশের আইন মানতে হবে। কথা ক্লিয়ার।

বাংলাদেশের জুডিশিয়ারি গত ৪১ বছর ধরে অত্যন্ত শক্তিশালী হয়েছে। আমাদের অধিকাংশ বিচারপতিরা অত্যন্ত চৌকশ এবং যথেষ্ঠ পরিমানের ধী-শক্তি ও মেধাসম্পন্ন এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। আমাদের দেশের বিভিন্ন মামলার রায় ইন্ডিয়া, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, সহ বিভিন্ন দেশে উদাহরন হিসেবে বিভিন্ন আদালত ব্যাবহার করে থাকে। সুতরাং আমরা আমাদের নিজেদের আইন দিয়ে, নিজেদের অর্থবলে এই আদালত গঠন করেছি ও অভিযুক্তদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছি। আমাদের দেশের উক্ত আইনের সাথে ইউনাইটেড নেশন্সের মোড়ল গিরিতে অনুষ্ঠিত উক্ত দেশের বিচারের সাথে তুলনা করে যারা উদাহরন দেয় তাদেরকে বলবার কিছুই নেই।

এর পরেও যদি এরা এই সহজ ব্যাপারটা না বুঝে এবং উন্মাদের মত চেঁচায়, লেট দেম ডু ইট। কুত্তার লেজ বারো বছর চুঙ্গিতে রাখলেও কুত্তার লেজ সোজা হবে না। এটা সম্ভব না।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:০৩
১৫টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×