somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঘুড্ডির পাইলট সাময়ীক ব্যান !!! :( :( :(

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কি শিরোনাম দেখে চমকে গেলেন ? !!!!!!!!!
কিছু দিন ধরে রুশান বিষয়ক কাজ কর্মে এতো ব্যাস্ত ছিলাম যে পোষ্ট দিতে পারি নাই, আজকে একটু ফুরসত পেলাম তাই পোষ্ট দিলাম , আশা করি সকলের ভালো লাগবে আর রুশান হেল্প টিমের সদস্যদের চিন্তাযুক্ত মাথায় কিছুটা প্রশান্তি এনে দেবে।

আসলেই আমি সাময়ীক ব্যান আছিলাম কলেজে পড়াকালীন সময়ে কিছুদিন, অন্য ভাষায় এটাকে ব্যান না বলে সাময়ীক টিসি বলা হয়। আসুন সেই ঘটনাটা আপ্নাদের সাথে শেয়ার করি।


কলেজের প্রিন্সিপল মহোদয়ের দুপুরের খানা নিয়মিত চুরি করা।


প্রিন্সিপল স্যার কলেজ হোস্টেল এর একটা রুম দখল কইরা দুপুরে রেস্ট নিতো আর ঐ খানেই বইসা দুপুরের খাবার খাইতো ।স্যার অনেক রুচিশীল মানুষ তার মুখে অনেক রুচি। বিশেষ কোন খাবার তার প্রিয় নয়, খাবার বলতেই তার কাছে প্রিয় জিনিষ ।তার জন্য বাসা থিকা খাবার আসতো। আমি নতুন কলেজে ভর্তি হইছি । একদিন দেখি হোস্টেলের একটা রুমের দরজার তালা খোলা কিন্তু দরজা ভিরানো । ভিতরে উকি দিয়া দেহি একটা টেবিলে গরুর মাংস ভাত আর ডাইল । আমার পেডে খিদা কি করুম ? বইসা গেলাম। খাওয়ার পর একটা চিরকুটে লেকলাম "আরে উজবুক খাওন রাইখা কই গেছস ? আমার দাদায় কইছে খাওনের আগে আর মাইরের পিছে থাকতে" । এর কয়দিন পর আবার দরজা খোলা পাইয়া আবারও চান্স নিলাম। এই ভাবে তিন চাইর দিন ফুড এটাক চালাইলাম । মনে করছিলাম এইডা কোন ছাত্রের রুম। একদিন গিয়া দেহি খাবার ঢাকা আছে ।ঢাকনা সরাইয়া দেহি খাবার নাই তয় আরেকটা চিরকুটে লেখা "আহম্মক দরজার পিছনে তাকাও"। তাকাইলাম দেহি প্রন্সিপল ছার আর লগে আরও দুইজন শিক্ষক দারানো।
যাই হোক ফলাফলডা পরে বলি। :(

শিক্ষক এর লেখা কবিতা চুরি করে নিজ নামে ছাপা।

এলাকায় এক মাত্র স্থানীয় দৈনিক "বরগুনা বার্তা" । ইতিহাস বিভাগের মান্নান স্যার এই পত্রিকায় নিয়মিত কবিতা লেখেন। একদিন দুইডা কবিতা লেইখা আমার হাতে দিয়া কইলেন । ক্লাস ছুডির পর যেন পত্রিকা অফিসে দিয়া আসি। আমি সাইকেলডা লইয়া গেলাম পত্রিকা অফিসে অনেক্ষন বসতে হইলো সেখানে। হটাৎ মাতায় একটা বুদ্দি আইলো স্যারের লেখা কাগজটা বাইর কইরা হের নাম কাইটা আমার নাম বসাইয়া দিলাম। ;) মফস্বলের পত্রিকা । দুই পাতার । যে যা দেয় ওইডাই ছাপে । আমার এইডাও ছাপা হইলো। B-))

কলেজের গেম টিচার এর স্ত্রীকে মিথ্যা তথ্য দিয়া শিক্ষকের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি।

কলেজে একজন গেম টিচার আছিলো । অল্প বয়সি। হেতে আমগো কোন খেলা শিখাইতো না । কিন্তু মেয়েদের ব্যাডমিন্টন, দাবা, ক্যারাম , নিয়া বেশি ব্যাস্ত থাকতো। আমরা আমগো কেলাস মেটগো লগে চান্স মারতে পার্তাম না। স্যার নতুন বিয়া কইরা টিচার হোস্টেলে বউ নিয়া থাকতো। একদিন সুযোগ পাইলাম, স্যার বাসায় আছিল না। হের বাসায় গিয়া জিগাইলাম স্যার আছে ?
হের বউ কইলো উনি তো এই সময়ে কলেজে থাকেন। আমি জিগাইলাম আপনে ওনার কি হন ? আমি ওনার স্ত্রী। আমি কইলাম ও তাইলে আগে যারে নিয়া স্যার এই বাসায় থাকতো তাইলে উনি কেডায়? ;) ;) ;)
ব্যাস আমার দায়ীত্ব শেষ , স্যারের বউর দায়ীত্ব শুরু ;)

শিক্ষক কে ভুতের ভয় দেখানো

বাংলা টিচার মহিতোষ পোদ্দার স্যার এর মাতায় ইয়া বড় টাক ! প্লেগ্রুপের কোনও বাচ্চাও হের মাতার সব চুল গুনতারবো। এই বিশাল স্টেডিয়াম নিয়া সারা কলেজে ঘুইরা বেড়ায়।একদিন রাইতে বন্ধুর কাছ থিকা নোট নিতে হোস্টেলে গেছি । শিক্ষক হোস্টেলের সামনে দিয়া যাওনের সময় দেহি ফুল বাগানের মধ্যে কি যেন চিক চিক করতাছে । বুজলাম না জিনিশটা কি ! একটা ছুড ঢিল মারলাম। লগে লগে একটা গর্জন। অইইইইইইই ! বন্ধুর রুমে চইলা আসলাম। ফিরত যাওনের সময় জিনিসটা আবার দেকলাম এইবার একটা বড় ঢিল মারলাম। একদম জিনিসটার উপ্রে পরলো। আবার গর্জন ওওওওওওইইইইইই। আমিও হের লগে গর্জন দিলাম " আজকে তোর ক্ষমা নেই শয়তান উমআ আ আ" দেকলাম জিনিসটা আস্তে আস্তে আমার দিকে আইতাছে । আমি একটু ডড়াইলাম ! দেহি মহিতোষ পোদ্দার স্যার । এক হাত দিয়া মাতা চাইপা ধইরা ভয়ার্ত চেহারায় আমার সামনে আইসা দারাইছে। :-* :-* :-*

মাদক আসক্ত গাঞ্জা সোবাহান কতৃক শিক্ষক জন ডেভিট এর নামে দুর্নাম রটানো।

কলেজের স্যার গো কাছে ততদিনে আমি একজন দুস্টু ছেলেতে পরিনত হইছি। :( ইংরেজি বিভাগের প্রধান আমারে ক্লাসের মইদ্যে প্রায়ই পড়া না পারলে কানে ধরাইতো। কন তো ইন্টারে পড়ি ! :( এলাকার গাঞ্জা সোবাহানরে বিশ টেকা দিলাম। আর কিছু ডিউটি দিলাম ;) সকাল বেলা দেহি পাগলায় পুরা এপিসিয়েন্ট। প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীরে কলেজে ঢুকার সময় ধইরা ধইরা কইতাছে । "তোমগো কলেজের ডেভিট ছারের পরিচয় জানো? হেতে লর্ড ক্লাইবের বংশধর । হের লাইগাইতো তো হেতে তুমগো কিলাসে ইংলিশ পড়ায়।"

কলেজ থিকা আব্বারে একখান চিডি দেয়া হইছিলো যার অংশ বিশেষ অনেক ব্লগার কে দেখাইতে পারছিলাম আগের নিকে ব্যান খাওনের আগে :(
কলেজে পড়াকালিন সময় আমার একটা টিম আছিলো , যার না ছিলো "ডাকু রেজিমেন্ট" আমি ছিলাম তার চিফ ।

রুশানের জন্য মন্টা খারাপ ছিলো, মন খারাপ খুব ছোঁয়াচে টাইপের, জানি না আমি কতজনকে সংক্রমন করতে পারছি :( !
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৩
১২৫টি মন্তব্য ১২৭টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×