মীর মশাররফ হোসেনের বিষাদ সিন্ধু পাঠ করে কেউ কারবালার ইতিহাস বললে সেটা তার জ্ঞানের স্বল্পতা ও ভ্রান্ত আকীদার বিশ্বাস মাত্র । এর সাথে ধর্ম ও ইতিহাসের সত্যতার কোন সম্পর্ক নেই ।
সাহিত্য এক জিনিস আর ধর্ম ও ইতিহাস অন্য জিনিস ।
কোন হাদীস বা কোরানের আয়াত স্ট্যাটাস হিসেবে দেয়ার আগে তার তাফসীর (কেন,প্রেক্ষাপট) আগে জেনে নিবেন ।
ইসলামে মোনাফেক , খারিজি ও গোঁমরাহি নামে তিনটা শব্দ আছে ।
এই তিনটি শব্দের আলোকপাত ও ইতিহাস ঘাটলে দেখবেন, ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকে আজকের মধ্যপ্রাচ্য ও সমগ্র মুসলীম বিশ্বের হানাহানির পেছনে এই তিনটি শব্দের ব্যাপক অবদান আছে ।
এই তিনটি শব্দকে যারা ধারণ করে তারা নিজ ধর্ম ও জাতিকে ধবংস করে দেবার ক্ষমতা রাখে ।
তাই ইসলামে এদের শাস্তি অত্যন্ত কড়া ।
হযরত আলী(রা) থেকে হযরত ইমাম হোসাইন (রা)পর্যন্ত ঘটনাগুলোর মধ্যে খারিজি ও মোনাফেকদের অবদান ব্যাপক ।
আলী (রা) খারিজি ও মোনাফেকদের যৌথ ষড়যন্ত্রের মধ্যে শাসনকার্য চালিয়েছেন এবং শহীদ হয়েছেন । তার পুত্র ইমাম হোসাইন (রা) মোনাফেকদের জন্য শহীদ হয়েছেন ।
আর আজকের যারা শিয়া ,তারা গোঁমরাহির ক্রমধারা রক্ষা করছেন মাত্র ।তাদের পূর্ব পুরুষরা খারিজি ও মোনাফেক ছিল ।
ইরান,ইরাক,সিরিয়া, ইয়েমেনে সৌদি যা করছে বা করেছে, তার পেছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য নেই ।
ইসলামী আকীদা সুন্নী-শিয়াতে ভাগ হবার পর, সুন্নী শাসিত সৌদি আকীদা রক্ষার্থেই শিয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে ।
অপরদিকে, ইরান,ইয়েমেনের হুতি,ইরাকের কু্ফা-বসরা,সিরিয়ার আসাদ, লেবাননের হিজবুল্লাহ ইনারা শিয়া কিংবা শিয়া অর্থায়নে পরিচালিত ।
মধ্যপ্রাচ্যের তেল পশ্চিমাদের টার্গেট । আর মধ্যপ্রাচ্য নিজেরা হানাহানি করে আসছে এই সুন্নী-শিয়াতে বিভক্ত হয়ে । এই ফায়দাটাই পশ্চিমারা নিয়ে আসছে সুদীর্ঘকাল থেকে ।
খারিজি,মোনাফেক ও গোঁমরাহ--এই তিন জোট কিভাবে ধর্ম ও দেশ দূষিত ও ধবংস করে দেয়, তার আর কোন প্রমাণ দিতে হবে?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫২