somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই চিঠিটা দিয়ে আজকে একটা মেয়েকে প্রপোজ করে এলাম, টেনশনে আছি।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অবশেষে যেতে পারলাম তার কাছে। আর দিয়ে এলাম এই চিঠিটা। ভয়ে আছি।রাজী হবে কিনা সময় তো কমে আসতেছে। উত্তরতো দেয় না।


প্রিয় ****
১২.১২.১২ কী অদ্ভুত সুন্দর একটা তারিখ!একই সাথে শতাব্দির শেষ তারিখ-যেখানে দিন মাস বছর –একই সংখ্যা।আবার একশত বছর পরে পৃথিবী পাবে এমন একটা দিন।তখন হয়ত আমরা কেউই আর থাকব না।নতুন প্রজন্মের কোলাহলে ভরে উঠবে সারা দুনিয়া।নতুন স্বপ্ন বোনা হবে পৃথিবী জুড়ে।পৃথীবিটা হবে শান্তির নীড়। সবার সব অপ্রাপ্তি প্রাপ্তির ফুল হয়ে পড়ে থাকবে পথের প্রান্তে।তাই আজ এই অনন্য দিনে আমি পৃথিবীর সব অপরাধ ক্ষমা করে দিলাম।কারন-I used to think that the world is so unfair-That it gave me so many reason to hate it. But now how can I hate such a wonderful world that gave me the beautiful you.

আজকের এই সময়ে কত মানুষ এই সময়ে কত মানুষ কত এলেবেলে কাজ করছে।খালি জীবিকা জীবিকা করছে।স্বার্থ নিয়ে নানা ফন্দি –ফিকির করছে। পাপে মত্ত একেকজন।কেউ বোমা বানাচ্ছে, কেউ যুদ্ধ জাহাজ পাঠাচ্ছে ইরাকে-প্যালেস্টাইনে।আমি বসে আছি তোমার পাশে।তা যে কত বড় ভাগ্যের ব্যাপার তা বলতে পারব না।তোমাকে দেখলেই মনটা ভরে যায় অপরিসিম আনন্দে।ভালবাসতে ইচ্ছে করে নিজেকে, মানুষকে, পৃথিবীকে। ইচ্ছে করে পৃথিবীটাকে আর একটু সুন্দর করে গড়ে তুলি।ভালবেসে রচনা করি সুন্দর। যুদ্ধাহত ঘরহারা, স্বজন হারা কোন সেনা তোমাকে দেখলে তার মন ভালো হয়ে যাবে নিশ্চিত।তোমার মুখ জুড়ে খেলা করে স্বগীর্্য়ম দ্যুতি।সে দ্যুতি আগুন হয়ে দ্গধ করে আমায়।তারপরও আমি পরিতৃপ্ত।
Have you ever been blue have you ever been lonely
Have you ever loved someone just as I love you ?

তোমার সাথে আমার দেখা হয় যখন আমি ছিলাম সবচেয়ে হতাশাগ্রশ্ত একজন। ফাসির আসামিরো বোধ করি একটু আশা থাকে।আমার কোন আশা ছিল না।ভাংগনরত নদী তীরে দাড়িয়ে হয়ত বৃদ্ধ কৃষক ভাবে তার শৈশবের নদী তাকে লালন করেছে দুগ্ধ-রুপ-বারি দিয়ে।সে তার সাত পুরুষের ভিটে নিঃচিহ্ন করবে না।আজ রাতেই থেমে যাবে এইখানটায়।লালন করবে তার উত্তর প্রজন্মকে।আমি কেবলি নিরাশায় ভুগি।আমি ছটফট করি একটুখানি স্থিরতার জন্য।কিন্তু স্থিরতা যেন মলিন সার্টের সুতো।বারবার ছিড়ে যায়।ঘর আমাকে আকুল করে ডাকে,কিন্তু বাহির আমাকে ছাড়তে চায় না।একাকিত্তের নিরাকার চাকু আমাকে গ্রাস করে।
কিন্তু যেদিন আমি তোমাকে দেখি সেদিন আমি ভুলে যাই আমার সব পাপ ও দুঃখের ইতিহাস।ইচ্ছে হল আবার নতুন করে বাচতে।ইচ্ছে হল তোমার সাথে বুইড়া হই।জীবনের শেষ ক্লান্ত বিকেলে তোমার কুচকে যাওয়া হাতে থাক আমার অসমর্থ হাত।

যখন থেকে আমাদের যুগল পথ চলা শুরু হল।আমি বদলে যেতে শুরু করলাম।আমার সব অনিয়মকে গেথে দিলে নিয়মের মালা জালে।এখন আমি কল্পনা করতে পারি না কোন সকাল যা তোমার কন্ঠ না শুনিয়ে আমার ঘুম ভাংগাবে।কল্পনা করতে পারি না কোন দুপুর তোমার sms আমাকে লাঞ্চের কথা মনে না করিয়ে দেবে।।কল্পনা করতে পারি না কোন বিকাল যার ম্লান আলোতে ভেসে আসবে না তোমার কন্ঠ ।কল্পনা করতে পারি না কোন রাত যা তোমার বলা শুভ রাত্রি ছাড়া আমার চোখে ঘুম আনবে। You are the another person to the world, but you are the world to me. তুমি ছাড়া আমার পৃথিবী প্রাণহীন এক গ্রহ।

এতক্ষন যা বলছিলাম, সব ছিল আবেগে কথা, এইবার বলি বাস্তবতা।মধ্যবিত্ত পরিবারে সন্তান আমি।হয়ত প্রাচুর্য দিতে পারব না। কিন্তু যেনে রেখ সুখ যদি থেকে থাকে তা কেবল ভালবাসায়, প্রাচুর্যে নয়।তোমাকে পেলে সব অভাব-দারিদ্র জয় করে সৃজন করব ভালবাসার নতুন জগত।
Its not only a letter, but also a symbol of promises. আমি প্রমিজ করছি-তোমাকে ভড়িয়ে দেব, তোমাকে ভাসিয়ে দেব ভালোবাসায়।তোমার দঃখগুলোকে নিজের করে নেব। পৃথিবীর সব সুন্দর এনে সাজাব তোমাকে।

তোমার কাছে শুধু একটাই কামনা- ইতিহাসের এই অনন্য দিনে, এসো হাত ধরো। দুজন মিলে সৃষ্টি করি ভালোবাসার নতুন ইতিহাস, নতুন মিথ।Seriously I’m in love with you truly, deeply, madly. I love you. Please don’t refuse me.

অনেক অনেক শুভ কামনায়.....................

*** ****
12.12.12
12:12:12 AM



এনভেলাপের উপর লেখা ছিল, আজ রাত 11.59 PM পর্যন্ত অপেক্ষা করব। উত্তর নেগেটিভ হলে বুঝে যাব। পজেটিভ হলে ফোন দিও।
৪১টি মন্তব্য ৪০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×