“শীতলক্ষ্যায় কেন লাশ ভাসে”?? (বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাসহ একটি ১৮+ পোস্ট।)
পৃথিবীর প্রথম যে মানুষটি পানিতে ডুবে মারা গিয়েছিলো বা মরে পানিতে পড়েছিলো, তার লাশও কিন্তু ভেসে উঠেছিলো। কিন্তু কেন ভেসে উঠেছিলো তা কেউ বলতে পারেনি।
লাশ কেন পানিতে ভাসে তা আবিস্কার করেছেন আমাদের সুপরিচিত বিজ্ঞানী আর্কিমিডিস , আজ থেকে প্রায় বাইশ শত বছরের মত আগে।
আর্কিমিডিসের সময়ে তার রাজ্যের রাজা ছিলো, দ্বিতীয় হিয়েরো। যার কাজ ছিলো খালি ধমকাধমকি করা আর মানুষকে সন্দেহ করা। এই বেটায় একবার সোনা দিয়ে একটা মুকুট বানায়। কিন্তু আগেই কইলাম যে, উনার ছিলো সন্দেহবাতিক মন। তার মনে হলো, যে খাদ দিয়ে স্বর্ণকারেরা আবার তাকে ঠকাচ্ছে না তো! তাই তিনি সোনায় খাদ আছে নাকি এইটা পরীক্ষার করতে চাইলেন। কিন্তু শর্ত আছে, মুকুট গলানো যাবে না। প্রচলিত পদ্ধতি ছিলো এবং এখনো আছে, গলিয়ে সোনার ঘনত্ব নির্ণয় করা। সবাই যখন ব্যর্থ হলো। তখন রাজা বলল, “ডাকাও আর্কিমিডিসকে, দেখি সে কেমন বড় বিজ্ঞানী”।
আর্কিমিডিস তো সারাদিন খালি অংক করে। যেখানে সেখানেই খালি কি সব আকিবুকি করে। এক পয়সা ইনকামের মুরুদহীন আর্কিমিডিসকে যখন রাজদরবারে নেবার জন্য লোক আসল, গর্বে তো গর্বে আর্কিমিডিসের বৌয়ের ব্লাউজে ছিড়ে গেলো। “আহা! জানুটারে খালি সারাদিন বকাই দিছি। কিন্তু কত বড় কামের আমার স্বামী। রাজদরবার থেকে তত্ত্ব আসে-তাকে নেবার জন্য। আর আমি তাকে চিনি নাই”।
নিজেকে ধিক্কার দিতে দিতে আনমনেই তিনি গান ধরে পুকুর পাড়ে হাটা ধরেন-
“যে জন প্রেমের ভাব জানে না, তার সাথে নাই লেনাদেনা
খাটি সোনা ছাড়িয়া যে নেয় নকল সোনা, সে জন সোনা চিনে না।”
বত্রিশ দাত বের করে, আর্কিমিডিস রাজদরবারে গেলেও রাজার কথা শুনে তার মুখ চুন হয়ে যায়। কয়দিন ধরে তার কোস্টকাঠিন্য চলছিলো। রাজার কথা শুনে মনে হলো, তার পেটে মনে হয় মোচড় দিয়ে উঠল।
রাজদরবার থেকে বাড়ী ফেরার পথে বাংলা সিনেমার মত তার কানে খালি প্রতিধ্বনিতো হচ্ছিলো রাজাদেশ, “যাও। না গলিয়ে সোনার খাদ বের করার উপায় আবিস্কার করে নিয়ে আসো। অন্যথায় তোমার গর্দান যাবে”।
“অন্যথায় তোমার গর্দান যাবে”
“অন্যথায় তোমার গর্দান যাবে”
“অন্যথায় তোমার গর্দান যাবে”
“অন্যথায় তোমার গর্দান যাবে”।
এদিকে তার বউ তার জন্য বাথটাবে পানি রেডি করে রেখেছে। স্বামী এই গরমে কষ্ট করে হেটে আসবে। গোসল করে যাতে ক্লান্তি দূর করতে পারে। ভদ্রমহিলা অনেকক্ষণ ধরে রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছেন। কখন তার স্বামীর গলা দেখা যায়। অবশেষে তিনি তার আরাধ্য, “স্বামীর গলা” দেখলেন এবং দেখে খুশি হলেন। যাক এইবার মালা নাই গলায়। তাইলে পকেটে কিছু আছে।
স্বামী ঘরে আসতেই তিনি পকেট হাতড়ে দেখেন ফক্কা। কিছু নাই। ভাবলেন, হয়ত অন্য কোথাও লুকিয়ে রেখেছে। তাই সব কাপড়-চোপড় খোলা শুরু করলেন। এমনকি আর্কিমিডিসের অন্তর্বাস পর্যন্ত। আর্কিমিডিস ভাবলেন, “কয়দিন পর তো মরুমই। এখন থেকেই জন্মদিনের ড্রেসে গোসল করে একটু অভ্যাস করি”। দ্বিগম্বর আর্কিমিডিস বাথটাবে নামতেই তিনি দেখলেন বাথটাব থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে। এটা দেখেই লেংটা আর্কিমিডিস “ইউরেকা!” (আমি পাইছি)- বলে রাস্তা দিয়ে দৌড় শুরু করেন।
আসলে কি পেয়েছিলেন তিনি। তিনি নিচের লাইনটা পেয়েছিলেন।
কোনো বস্তু আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে পানিতে নিমজ্জিত হলে সে তার সমআয়তনের পানি অপসারণ করে।
আবার, বস্তুটি যে পানি অপসারন করেছে সেই পানির ওজন যদি বস্তুটির নিজের ওজন থেকে কম হয়-তবেই কেবল বস্তুটি পানিতে ডুবে যাবে।
আবার পানির ওজন যদি বস্তুটির ওজনের সমান বা বেশি হয়, তবে তা ভেসে উঠবে। সমান ওজনের ক্ষেত্রে বস্তুটি নিমজ্জিত অবস্থায় ভাসবে। অর্থাৎ পানির একটু নিচে থাকবে।
সাধারণত বস্তুর ঘনত্ব পানির ঘনত্ব থেকে কম হলে বস্তুটি পানিতে ভাসে। উদাহরণস্বরূপ-কাঠ, কর্ক প্রভৃতি পানিতে ভাসে এর কারণ হলো তাদের ঘনত্ব পানির ঘনত্ব থেকে কম। পানির ঘনত্ব থেকে যেসব বস্তুর ঘনত্ব বেশি সেসব বস্তু পানিতে ডুবে যায়।
কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে একই সাথে তিনটি ব্যাপার ঘটে।
১।প্রথমে কিছুক্ষন ভেসে থাকে।
২। তারপর ডুবে যায় এবং
৩। শেষে ভেসে উঠে।
তিনটি ব্যাপার কেন হয়। এবার আমরা তা নিয়ে একটু আলোচনা করি।
জীবিত মানুষের ফুসফুসে পানিতে থাকে, তাই তার ঘনত্বও অনেক কম থাকে। তাই সে কিছুক্ষন ভেসে থাকে। সাতার না জানা মানুষও এই একই কারনে কয়েক সেকেন্ড ভেসে থাকে।
কিন্তু যখন মানুষের ফুসফুসে বা শরীরে পানি ঢুকে কিংবা কোন লাশকে ইট-পাথর বা অন্যকোন ভার দিয়ে পানিতে ফেলে দেয়া হয়, তখন তার ঘনত্ব অনেক বেড়ে যায়।
তখন লাশ কতৃক অপসারিত পানির ওজন লাশের ওজনের চেয়ে কম হয়। তাই লাশটি ডুবে যায়।
পানিতে ডুবে যাওয়া লাশের বেলায় আবার দুটি ঘটনা ঘটে। এটা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা পচতে শুরু করে আবার লাশে পানি প্রবেশ করে এটা ফুলতে শুরু করে এবং এর ঘনত্ব কমতে শুরু করে। লাশের পরিবারের ভাগ্য ভালো হলে, ব্যাকটেরিয়াদ্বারা পচে যাওয়ার আগেই তার ঘনত্ব বা আয়তন এমন একটা পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে, তখন লাশদ্বারা অপসারিত পানির ওজন লাশের নিজের ওজনের চেয়ে বেশি বা সমান হয়। এবং লাশটি ভেসে উঠে।
শীতলক্ষ্যা নদীও এর বাইরে নয়। কাজেই শীতলক্ষ্যাতে লাশ ভেসে উঠবেই। এতে শামীম ওসমান বা অন্য কারো দিকে আজ্ঞুল তুলে লাভ নাই। এটা বিজ্ঞান।
দোষ যদি কারো থেকে থাকে তবে তা, বিএনপির। তারা কেন তিস্তার পানির জন্য লং মার্চ করে। তাদের উচিত ছিল, শীতলক্ষ্যাকেও তিস্তা বানানোর জন্য লং মার্চ করা। তাইলে নদীও থাকত না, লাশও ভাসত না।
নিহতদের পরিবারের প্রতি রইল সমবেদনা। আল্লাহ্ তাদের ধৈর্য্য ধরার তৌফিক দিন। আর মরহুমদের জান্নাত নসীব করুক।
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা
আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন
One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes
শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!
রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।
আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!
এই... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাঁচতে হয় নিজের কাছে!
চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু। লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা
২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন