আপনারা বুদ্ধিজীবি মানুষ আপনাদের আমি আর কি জ্ঞান দিবো, তাই ছোট মুখে বড়ো কথা বলার সাহস তো আমার নেই
কোথায় যেন শুনেছিলাম ১৬ কোটি মানুষের হে মুগ্ধ জননি, রেখেছো বাঙ্গালী করে মানুষ করনি
তবে মানুষ হিসেবে যে সব ব্যাপার এড়িয়ে যেতে পারছি না………………….
ব্লগে আসলে একই জাতির লোকদের মধ্যে কামড়াকমড়ি দেখলে উপরের কথাটার বাস্তবতাটা বুঝা যায় আর বিশ্বজিতের ঘটনাটায় সারা বাংলাদেশের চিত্র কল্পনা করা যায় এরা যেভাবে ভাদা, পাদা, ছাগু, পাগু নিয়ে একজন আরেকজনের পিছনে লেগে আছে তাতে মনে হয় সামনাসামনি হলে এরা একজন আরেক জনকে খুনি করে ফেলতো
যাক সে কথা যেটা বলছিলাম অপরাধ তা সে যে ধরনেরই হোক, মানুষ হিসেবে নৈতিকতার দিক থেকে যে কোন অপরাধেরই স্বাভাবিক মানুষের প্রতিবাদ করা উচিৎ, কারণ নৈতিকতা বিবর্জিত একজন লোক আর পশুর মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে না পশুরারও সম্ভবত মানুষের মতো নিজেদরে জাতির সাথে কামড়কামড়ি করে না কারণ একটা বাঘ বা একটা কুকুর সচারচার নিজের জাতি কে মেরে ফেলে না
পূর্বর কথায় আসি অপরাধ তা সে যে ধরণেরই হোক মানুষ হিসেবে প্রতিটা অপরাধের প্রতিবাদ করা উচিৎ তা সে রামুতে বা রোহিঙ্গা ইস্যুতে বা আবুলের পদ্মায় অথবা......
কেউ যদি শুধু রামু নিয়েই প্রতিবাদ করে আর অন্য সব অন্যায়কে দেখেও না দেখার ভান করে পাশ কাটিয়ে যায়, অথবা চুপ করে থাকে তাকে আমি পরিপূর্ন মানুষ বা স্বাভাবিক মানুষ বলবো না কারণ স্বাভাবিক মানুষ কখনো অন্যায়কে দেখে চুপ করে থাকে না, কারণ অন্যায় দেখে চুপ করে থাকা মানে যে চুপ করে থাকলো তার অন্যায়ের বা অন্যায়কারীর প্রতি সর্মথন আছে অথবা সে ভয়ে কিছু বলছে না এক্ষেত্রে আমাদের কিছু কিছু বুদ্ধিজীবিরা শুধু রামুর ইস্যু বা যুদ্ধাঅপরাধীদের নিয়ে কথা বলছে অথচ রোহিঙ্গ, ফিলিস্তিন, রেলের দূর্নীতি, বিদ্যুৎ, তেল নিত্যপ্রয়োজীয় উর্দ্ধমুখী বা টিআইবির ৯৭% সাংসদ দূর্নীতিবাজ ইত্যাদি অপরাধাদের ব্যাপারে তারা নিশ্চুপ
হাদিসে আছে অন্যায় দেখে তোমরা বাধা দাও হাত দিয়ে, হাত দিয়ে না পারলে মুখ দিয়ে আর দুর্বলতম বা সর্বনিম্ন ঈমান হচ্ছে অন্যায়কে মনে মনে ঘৃনা
তাই অন্যায়কে অন্যায়ভাবে দেখতে না শিখলে শিক্ষাকতা বা বুদ্ধিমত্তা মানুষের জন্য কতটুকু মঙ্গল বয়ে নিয়ে আসবে তা প্রশ্ন সাপেক্ষ
তাই নচিকাতার সুরে বলবো সবার আগে মানুষ হন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





