
কয়েক বছর আগের কথা। ফেসবুকে চেন্নাই'র একজন অধিবাসীর সাথে ফেসবুকে কথা হচ্ছিল। বেশ কিছুক্ষণ ইংরেজিতে কথা বলার বল ভাবলাম হিন্দি যেহেতু আমিও বুঝি, হিন্দিতেই বলি। হয়তো তার বুঝতে ও বলতে সুবিধা হবে। সে হিন্দি শুনে সাথে সাথেই বলে উঠলো যে সে পারে না। আমি তো রীতিমত আকাশ থেকে পড়লাম। অন্যদেশের নাগরিক হলে আমরা তাদের ভাষা আয়ত্তে এনে ফেলেছি আর তারা কি না নিজেদের দেশের ভাষা জানে না !! খুবই অবাক হলাম।
পরে একটা সময় জানতে পারলাম যে ভারত তাদের আঞ্চলিক সংস্কৃতি ও রীতিনীতিকে সংরক্ষণ করার জন্য অন্য অন্য রাজ্য থেকে আসা মিডিয়া ও বিনোদন মাধ্যমগুলোর উপর বিধিনিষেধ দিয়ে রাখে। তামিললাডুতে একটা তামিল ছবি সামান্য ট্যাক্স দিয়েই রুমালি পরদায় জায়গা করতে পারে, কিন্তু অন্য প্রদেশের ছবিকে গুনতে হয় বিশাল ট্যাক্স। চ্যানেলগুলোও ভাষান্তর করা হয় অঞ্চলভিক্তিক। যেখানে বাংলাদেশে বলতে গেলে কিছু না করেই জায়গা নিয়ে নিচ্ছে তারা।
নেপাল যে কাজটি করেছে সেটা অসাধারণ। ভারত বিধিনিষেধে সামান্য জোরালো হলেই এই দেশের মানুষ অর্থনৈতিক সঙ্কট শুরু হয়, তবে নিজেদের সংস্কৃতিকে রক্ষা করার জন্য এটা ছিল যথেষ্ট ভাল উপায়।
যদিও একবারে সব কিছুর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার মোটেও পক্ষে না আমি। যে জিনিসটা উত্তর কোরিয়া বা রাশিয়াতে দেখা যায়। বহির্বিশ্ব থেকে পৃথক থাকলে নিজেদের ঐতিহ্য ঠিক থাকবে ঠিক আছে কিন্তু একটা জাতি একা খুব বেশি উপরে উঠতে পারে না অন্য দেশ ও তাদের উন্নয়নগুলো না জানলে। যার কারণে বন্দুক আবিষ্কারের শত বছর পরও অনেক উন্নত সভ্যতার পরাজয়ের কারণ ছিল সেকেলে হাতিয়ার। বাংলাদেশের উচিত বুঝে শুনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা। Cultural Preservation অনেকটা গাছে পানি দেয়ার মত; বেশি দিলেও সমস্যা, কম দিলেও সমস্যা।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




