গোলাম মহিউদ্দিন নসু ,বেগমগঞ্জ(নোয়াখালী)থেকেঃ
বেগমগঞ্জ সহ নোয়াখালীর উত্তর অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা থেকে জনগনকে মুক্তি দিতে নোয়াখালীর প্রস্তাবিত“ দক্ষিন-পূবাঞ্চলীয় সেচ প্রকল্প টি’ বাস্তবায়ন জরুরী।এতে কৃষকরা একাধিক ফসল গোলায় তুলে নিজেরা স্বনির্ভর হয়ে জাতীকে স্বনির্ভরতায় এগিয়ে নিবে।রক্ষা পাবে নিন্মাঞ্চলের কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত রাস্তা ঘাট।
২০০৪সালে স্থানীয় সরকার ,পল¬ী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের সাবেক সচিব ধীরাজ কুমার নাথ ৩শ ২০ কোটি টাকা অনুমোদন করিয়ে সফল হতে পারেনি। যা আজো লাল ফিতায় বন্দী। বেগমগঞ্জের এ দক্ষিন-পূবাঞ্চলীয় সেচ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বেগমগঞ্জ সোনাইমুড়ি সেনবাগ চাটখিল সহ কুমিল্ল¬ার আংশিক এলাকার কয়েক লাখ মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাবে ।বেগমগঞ্জের ৫শ হেক্টর অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আসবে,আরো ৫শ হেক্টর পতিত জমি কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেয়া যাবে।পুরো এলাকার কয়েক হাজার একর জমিতে একাধিক ফসল সৃজনের সূযোগ তৈরী হবে। যার ফলে ১০ হাজার মেট্রিক টন ধান ওি বপুল পরিমান রবি শষ্য-শাক-সব্জি অতিরিক্ত উৎপাদন হবে বলে কৃষি গবেষকরা মনে করে।
প্রসঙ্গত বলা দরকার, নোয়াখালীর মূল ভূ খন্ডটি যখন মেঘনার করাল গ্রাসে তলিয় যাচ্ছিল। নোয়াখালীকে রক্ষা করতে ১৯৫৪ সালে ও ১৯৫৮ সালে ক্রস ডেম নির্মান এবং ১৯৬১ সালে উপক’লীয় বাঁধ প্রকল্পের আওতায় দুটি পোল্ডার নির্মান করা হয়। এ বাঁধের ফলে নোয়াখালীর ভাঙ্গন রোধ হয়। একই সাথে নোয়াখালীর দক্ষিনাঞ্চলে পলি মাটি জমে উচু হয়ে যায়।ফলে বেগমগঞ্জসহ নোয়াখালীর উত্তর অঞ্চলে জলবদ্ধতা তৈরী হয়। এলাকায় কালে-অকালে বন্যা জলোচ্ছাস হয়ে ফসলের ক্ষতি এবং অবকাঠামোগত রাস্তা-ঘাটের ব্যপাক ক্ষতি হয়। যার ফলে প্রতি বছর সরকারের কোটি কোটি টাকা রাস্তা মেরামত পূন নির্মানে ব্যয় করতে হয়।
সরকারি কোষাগারের অর্থ অপচয় রোধ, এলাকার উন্নয়ন তথা জাতীয় উন্নয়নের বিবেচনায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন খুবই জরুরী। এ প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনা করে স্বাধীনতার পূর্ব থেকে দফায় দফায় চেষ্টা করা হয়েছে। কখনো টিপরা মাল্টি পারপাস প্রজেক্ট, মেঘনা ওয়াটার ট্রান্সফার প্রজেক্ট, নোয়াখালী নর্থ-সাউথ ইরিগ্রেশন প্রজেক্ট, নোয়াখালী সেচ প্রকল্প সর্বশেষে দক্ষিন-পূবাঞ্চলীয় সেচ প্রকল্প হিসাবে উস্থাপিত হয়েছে।
স্থানীয় সরকার,পল¬ী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের সাবেক সচিব ধীরাজ কুমার নাথ এ প্রকল্পটি অনেক দুর এগিয়ে নিয়ে সফলতার মূখ দেখে যেতে পারেনি।
নোয়াখালীবাসীর বিশ্বাস আগামীদিনের মন্ত্রী,বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক,চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র,নোয়াখালী-৩ বেগমগঞ্জ াাসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরন (এমপি)-ই বেগমগঞ্জ তথা নোয়াখালী বাসীর এ চাহিদা পূরন করতে সচেষ্ট হবেন। এ প্রকল্পটিই তাঁকে সফলতার শীর্ষে পৌছাবে বলে তাঁর শুভাকাঙ্খিরা মনে করে।