যে বীর শহীদের মৃতদেহটি দেখছেন, তাঁর নাম নায়েক মিজানুর রহমান। ১৯৭১ সালে তাঁকে গর্ভে রেখে তাঁর বাবা মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে শহীদ হয়েছিলেন। এমন একজন বীরের মৃতদেহ বর্তমান বিজিবি সদস্যরা নিজের কাঁধে বহন করার মত সম্মানটা পর্যন্ত দিতে পারে নাই। জানাজা বহন করিয়েছে ভাড়াটে লোক দিয়ে। নিজেরা ব্যস্ত আছে নাকে রুমাল দিয়ে ফটো সেসন করতে আর ছবি তুলতে।
গত তিনদিন বিজিবির ছবি পত্রিকায় এসেছে কখনো মিয়ানমার সীমান্তে সাদা পতাকা নিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাকুতি মিনতি করতে গিয়ে গুলি খেয়ে ফেরত আসার সংবাদ নিয়ে আবার কখনো বা চকচকে পোষাক গায়ে নিরাপদ এলাকায় অস্ত্র তাক করার ফটো সেসনের সংবাদ নিয়ে। যে বাহিনীর সদস্যরা শহীদ সহযোদ্ধার দেহটাকেও অবহেলা করে, তাদের দ্বারা নিরস্ত্র মাদ্রাসা ছাত্র হত্যা করাই সম্ভব; সীমান্ত রক্ষা করা এইসব কাপুরুষদের কাজ না।
একটি নিউজ পোর্টালে দেখলাম, গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে বিজিবির মর্টার সেল আঘাতে মিয়ানমার সেনা কর্মকর্তা নিহত হবার মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এইসব ভগিজগি মিথ্যা খবর দিয়ে আর কত দিন জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টা করবেন ভাইজান? এই আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে এইসব চাপাবাজি অচল। খবর এখন গোয়েন্দাদের কাছে যাবার আগে গুগলে আসে। চিপা-চাপার নিউজ পোর্টাল দিয়ে মিথ্যা সাফল্য না দাবী করে পারলে ১৯৯১ বা ২০০১ এর বিডিআর প্রধানের মত সংবাদ সম্মেলন করে প্রমানসহ বলেন আমাদের বিজিবি হত্যার প্রত্যুত্তরে আপনারা মিয়ানমারের কী কী ছিঁড়েছেন।
কোর্টেসি: এ্যপোলো ভাই
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




