মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ থেকে ইউএসজিএলসি, সেখান থেকে এনইডি হয়ে IFEX এর আওতাধীন যে সব আন্তর্জাতিক এনজিও বাংলাদেশে নাস্তিকতা বিস্তারে বড় পরিসরে কাজ করছে তার মধ্যে প্রধান হলো আর্টিকেল-১৯।(https://www.ifex.org/ifex_members_region/) আর্টিকেল-১৯ নামক সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশের কার্যালয় রাজধানী ঢাকাস্থ মিরপুর রোডের ৩০২ শ্যামলীতে অবস্থিত। আর্টিকেল-১৯ নামক এনজিওটির বাংলাদেশের প্রধান করা হয়েছে তাহমিনা রহমান নামক এক নারীকে। তাহমিনা রহমান নাস্তিক্যবাদীদের সাহায্যকারী আইনী প্রতিষ্ঠান ব্লাস্ট (ড. কামাল হোসেনের মেয়ে ও মার্কিন ইহুদী ডেভিড ব্যার্গম্যানের ওয়াইফ সারা হোসেনের সংগঠন) –এরও মেম্বার। বাংলাদেশের ব্লগ, ফেসবুক ও মিডিয়া জগতে নাস্তিক্যবাদ অন্যতম সংগঠক হওয়ার কারণে তাহমিনা রহমান ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে Most Excellent Order of the British Empire-MBE পুরস্কার লাভ করে। এছাড়া একই কারণে তাহমিনা ফ্রাঙ্কো-জার্মান পুরষ্কারও লাভ করে। (http://bit.ly/2pOJCZw)। তাহমিনা রহমান একটি নারীবাদী ওয়েব পোর্টাল চালায়। নাম কন্যাসাহসিনী। লিঙ্ক- http://kanyasahosini.com/।
আর্টিকেল-১৯ নামক সংগঠনটি IFEX এর নেটওয়ার্কের মধ্যে হলেও এর ফান্ডিং এ ব্রিটিশ সরকারও জড়িত। এ কারণে সংগঠনটির অনেক অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ হাইকমিশনের অনেক কর্মকর্তা উপস্থিত থাকে। উল্লেখ্য, বিভিন্ন অনলাইন এক্টিভিস্ট, ব্লগার ও সাংবাদিকদের এনে প্রথমে ব্রেনওয়াশ অত:পর ‘খাম’ দিয়ে দালাল বানানো আর্টিকেল-১৯ এর কাজ। বাংলাদেশের শীর্ষ নাস্তিক ব্লগারদের প্রায় সবারাই ৩০২ শ্যামলী ঠিকানায় নিয়মিত যাতায়াত ছিলো এবং এখনও আছে।
সাম্প্রতিক সময় মিডিয়ায় নাস্তিকতা বাড়ছে। কিন্তু কিভাবে বাড়ছে তা আমরা অনেকেই জানি না। আমি নিচে কিছু লিঙ্ক দিলাম, সেখানে বিভিন্ন কর্মশালা, ট্রেনিং এর নামে সারাদেশ থেকে সাংবাদিক দাওয়াত দিচ্ছে আর্টিকেল-১৯। এরপর পুরষ্কার, সার্টিফিকেট বা ‘খাম’ ধরিয়ে বানানো হচ্ছে ‘দালাল’। বর্তমান সময়ে মিডিয়ায় নাস্তিকতা ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পরার অন্যতম কারণ এটি।
লিঙ্ক গুলো দেখুন-
১) http://bit.ly/2pQcHne
২) http://bit.ly/2pROCwg
৩) http://bit.ly/2CjsjlY
৪) http://bit.ly/2BOLYJt
৫) http://bit.ly/2DplwGo
৬) http://bit.ly/2Ch7sQ1
৭) http://bit.ly/2leG79X
৮) http://bit.ly/2ldWPpJ
৯) http://bit.ly/2C3W90E
১০) http://bit.ly/2E7FA1d
সরকার যে আর্টিকেল-১৯ এর কার্যক্রম সম্পর্কে জানে না, তা নয়। আর্টিকেল ১৯ এর অনেক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী(http://bit.ly/2C4ORda), তথ্যমন্ত্রী ইনু (http://bit.ly/2BPBKs0 ) এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমও (http://bit.ly/2pRR6eh ) উপস্থিত ছিলো। কিন্তু বাংলাদেশে নাস্তিকতা বিস্তারে সিআইএ ও ব্রিটিশ সরকারের সমন্বিত এ কার্যক্রম বন্ধে সরকারীভাবে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
কালেকটেড
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭