somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাছে আসার "না বলা" সত্য গল্প - (ডাস্টবিনে বাচ্চা। ছাদ থেকে ফেলে দেয়া থেতলে যাওয়া বাচ্চা। কুকুরের মুখে মানুষের বাচ্চা - এগুলো কোথা থেকে আসে?)

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শীতের রাত। কেমন যেন চাপা একটা কান্না শোনা যাচ্ছে।
কারো বাচ্চা কাঁদছে।
কার বাচ্চা? বেড়ালের না, মানুষেরই মনে হচ্ছে।
সকালে কোনো এক বাড়ির বুয়ার কৌতুহলটা খুব বেশি হলো।
এদিক ওদিক তাকিয়ে আবিষ্কার করলেন দু বিল্ডিং এর মাঝখানে যে চিপা জায়গা সেখানে একটা পুটলি থেকে কান্না আসছে।
কারো বাসা থেকে ফেলা হয়েছে বোধকরি।
অথবা রাস্তা থেকে ছুঁড়ে মেরেছে।
একজন দারোয়ান অনেক কষ্ট করে ওই চিপা জায়গাতে গিয়ে পুটলিটা উদ্ধার করে আনল।
মানুষের বাচ্চা।
নবজাতক।
হাসপাতালে নেয়া হলো।
একদিন থেকে মরে গেল।
একটা সারা রাত সে কেঁদেছে।
যার বাবা, যার মা ফেলে গেছে - তাকে কে কোলে নেবে?
কেঁদেছে সেই শীতের রাতে যে রাতে কুকুরও খোলা আকাশের নীচে থাকে না, উষ্ণতা খুঁজে নেয়।
বাচ্চাটা মায়ের দুধ পায়নি। উষ্ণতা না। মানুষের এত বড় বড় দালানে ছোট্ট একটা জায়গাও হয়নি তার।
এটা কাছে আসার না বলা সত্য গল্প।
জি সত্য গল্প।
গত কয়েক বছরে এমন খবর অনেকগুলো চোখে পড়েছে।
ডাস্টবিনে বাচ্চা। ছাদ থেকে ফেলে দেয়া থেতলে যাওয়া বাচ্চা। কুকুরের মুখে মানুষের বাচ্চা - এগুলো কোথা থেকে আসে?

হারামভাবে কাছে আসা থেকে।

হারামজাদা বলে মানুষ গালি দেয় ওই বাচ্চাটাকে। কিন্তু ওই বাচ্চাকে পেটে ধরল যারা তাদের দোষ নেই?
যে ক্লোস-আপ কাছে আসার গল্প শোনাচ্ছে সে নির্দোষ?
শয়তান যে শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের প্রেম করতে শেখায় তার গোঁফে ওই বাচ্চাগুলোর রক্ত নেই?
গর্ভবতী মা হাসপাতালে যাওয়ার অ্যাম্বুলেন্স পায় না, কিন্তু ২০০ রিকশা কাপলদের জন্য ফ্রি রাইড দেয়। ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য - রিকশা ভ্রমনের মাধ্যমে যুগলদের কাছে আসার গল্প তুলে ধরা।

তারপর? বাচ্চা অথবা ভ্রুণটাকে মেরে ফেলার গল্প কে বলবে? কে শুনবে?

প্রেম স্বর্গীয় না, নরকীয়। ওই বাচ্চা তার বাপ-দাদা-দাদী, মা-নানা-নানী, ভ্যালেন্টাইনের বণিক সংঘ, আর সাদাসিদে শিক্ষকদের জাহান্নামে নেবে।

নিশ্চিত নেবে। নেবেই নেবে।
পৃথিবীতে রাত থাকলেও আল্লাহ দেখেন। আল্লাহ খুব ভালো জানেন অশ্লীলতা কে ছড়ায়। কে প্রেম-ভালোবাসা নামের অসভ্যতা সহ্য করে যায়।

প্রেম অপবিত্র। ভালোবাসা নোংরা, পুঁতিগন্ধময়। যতক্ষণ না বিয়ে হচ্ছে।

ভাইয়েরা, আল্লাহর ওয়াস্তে একটা কাজ করবেন? এই গল্পগুলো আপনাদের মাসজিদের ইমামকে একটু শোনাবেন?
হতে পারে ওই বাচ্চাটার দাদা, নানা আপনার মাসজিদেই নামায পড়ে। হতে পারে না, ভাই? হতে পারে না?
হতে পারে না, যে ওই দাদা, নানা - ওই মুরুব্বি তার সন্তানটাকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিলে আর তাদের অবৈধ পথে কাছে যাওয়া লাগত না?
ধরেন, ওই মুরুব্বি যদি ধমকে নিজের সন্তানকে বলত, প্রেম করবি না। কোনো মেয়ের জীবন নষ্ট করবি না। বয়স হলে বিয়ে দেব। কোনো ছেলের সাথে ঘুরবি না, ভালো ছেলে দেখে বিয়ে দেব।
তাহলে কি ওই বাচ্চাটাকে সারা রাত অভিশাপ দিতে হতো এই পাপের শহরকে?

বোনেরা, একটা কাজ করবেন? আপনার যে বান্ধবী প্রেম করে তাকে একটু এই গল্পগুলো শোনাবেন? কাছে আসতে আসতে কী হয় সে জানুক।

হতেও তো পারে, এই পুটলির বাচ্চাটা আপনার বান্ধবীর সন্তান। সে আপনাকে জানায়নি। লজ্জায়। পাপের পরে পাপ। একটা মানুষের বাচ্চাকে সে শীতের রাতে রাস্তায় ফেলে দিয়েছে। হতে পারে না?

হতে পারে না আপনার একটা কথা এমন আরেকটা বাচ্চার জীবন বাঁচাবে? সে হারামজাদা হবে না। মা-বাবা-দাদা-দাদী-নানা-নানীর নয়নের মনি হবে।

মুখ খুলুন ভাইয়েরা, বোনেরা। বিয়ের ছাড়া যে কোনো সম্পর্ককে 'না' বলুন। ক্লোস-আপের অনেক টাকা, ওর গলায় অনেক জোর।

আমাদের টাকা নেই। পত্রিকা নেই। টিভি নেই। কিন্তু আমাদের আল্লাহ আছেন। হয়ত সমাজ বদলাবে। হয়ত মানুষ কাছে আসার গল্পের সমস্যা বুঝতে পারবে।

যদি নাও বোঝে, সমাজটা নাও বদলায় - আমরা অন্তত আল্লাহর গজব থেকে বাঁচার একটা অজুহাত পাব।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:১৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×