somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোহাম্মদ গোফরান
জামাত শিবির,ধর্মান্ধ মোল্লা ও একটি নির্দিষ্ট ধর্ম বিদ্বেষী মুক্ত ব্লগ।আপনার প্রতি আমি কেমন ব্যাবহার করব তা আপনার আচরণের উপর নির্ভর করবে।সত্য মিথ্যা যাচাই না করে অন্যের কথার উপর ভিত্তি করে যদি আমার উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন,তাহলে আমার বন্ধু হওয়ার দরকার নেই।

জঙ্গি জামাত হেফাজত সবকিছুকেই বিশ্রী ও নেতিবাচক হিসেবে রিপ্রেজেন্ট করে।

২৩ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রথমে বলে রাখি সিগারেট খাওয়া কোন স্মার্টনেস নয়। বরং এটা খেলে মৃত্যু ঘনিয়ে আসে।অহেতুক টাকা খরচ করে একটা দুর্গন্ধ যুক্ত জিনিস যেটা খেলে ক্যান্সার হয় সেটা খাওয়ার কোন মানে হয়না। কিন্তু প্রথমে ইমোশান পরে এডিকশন থেকে মানুষ সিগারেট এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। এই ক্ষতিকর জিনিসটি পান করাকে যারা স্মার্টনেস হিসেবে দেখাতে চায় তারা তো স্মার্ট নয়ই বরং ক্ষেত। একজন স্মার্ট মানুষের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো যা কিছু সমাজ দেশ ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর তা বর্জন করা। যদি খারাপ কিছু পান করা বর্জন না করে উলটো সেটা টানাকে স্মার্টনেস মনে করে তার চেয়ে বড় খ্যাত আর নেই।



পোস্টে ব্যবহৃত ছবিটি ভালো করে লক্ষ্য করুন। একটি মেয়ে শাড়ি পড়ে সিগারেট খাচ্ছে। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যমে বেশ ভাইরাল। মুক্তমনারা বলছেন আমার এমন একটা জিএফ লাগবো। আর জঙ্গিরা বলছে নষ্টামি। একটা ছেলে যদি এভাবে সিগারেট হাতে ছবি দেয় ভাইরাল হওয়ার প্রশ্নই আসে। যেহেতু একটি মেয়ে এভাবে সিগারেট টানছে ৪র্থ বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্রে সেটাতো ভাইরাল হবেই।কারণ মুসলিম সমাজ এর থিউরি হলো - মেয়েরা বোরখা পরে ঘরে বসে থাকবে, স্বামীর পা টিপবে, পরিবারের সবার জন্য রান্না করবে, খাওয়া শেষে এঁটো থালা বাসন মাজবে। উঁচু ভয়েজে কথা বলতে পারবেনা। সেখানে সিগারেট খেলে ধরেই নিবে সে পতিতা লেভেলের কেউ।

অথচ সিগারেট খাওয়া ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের জন্যই মাকরূহ এবং ক্ষতিকর। ছেলেরা ধুমপান, মদ, জুয়া নারী এগুলোর প্রতি এডিকটেড হলে নরমাল আর মেয়েরা সিগারেট খেলে নষ্টা, কোন ছেলে বন্ধুর সাথে চিল করলে ২ নাম্বার, মদ খেলে পতিতা। অথচ এগুলো ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্যই নিষিদ্ধ।

ছবিটি আপলোড দেয়ার পর একজন মুক্তমনা প্রথমে চিন্তা আরে শালা - জোস তো, ভীষণ বোল্ড। এমন একটা ডেম কেয়ার জিএফ/বউই তো চাই, তাহলে জমে যাবে। মেয়েটি যদি হিজাব পড়ে সিগারেট টানতো তাহলে আবার কথিত প্রগতিশীলরা হাউকাউ করত। তাদের ভাষ্যমতে সিগারেট খাওয়ার অধিকার একমাত্র যারা হিজাব পড়েনা তাদের। একজন হিজাবী সিগারেট টানতে পারবেনা।এই ছবিটি আপলোত জঙ্গি জামাত হেফাজত লেভেলের মৌলবাদীরা লিখছে - "৭৫% উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে ২৭ থেকে ৩০ বছর বয়সেও বিয়েহীন। ক্যারিয়ার গড়তে গিয়ে এরা এমন এক সংকট তৈরী করেছে যে আগামী ৫ বছরে লাখ লাখ মেয়ে বিয়েহীন থাকবে৷
তাদের যৌবনের চাহিদা, আবেগ,ভালোবাসা হারানোর ফলে। স্বামীর মন জয় করার পরিবর্তে স্বামীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েই সংসারে দরকষাকষি করবে৷ আর স্বামীও তাদের মাঝে আনুগত্য, কোমলত্ব,নারীত্ব না পেয়ে অসহ্য হয়ে উঠবে। তখন সংসার টিকানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। কারণ তার স্ত্রী ৩০ টা বছর পুরুষের ফিতরাতে টেক্কা দিয়ে সে নিজেই পুরুষে বিবর্তিত হয়ে গেছে। তার আস্ত দেহটাই নারীর বৈশিষ্ট্য হলেও। সে মানসিকভাবে পুরুষ। স্বামী তাকে দৈহিক ভাবে নারী পেলেও সে মেন্টাল ভাবে পুরুষ। এমন একটা দিন আসতে যাচ্ছে। মেয়েরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে যৌবন থেকে যেমন বঞ্চিত হবে। বঞ্চিত হবে সংসার থেকেও। বঞ্চিত হবে আখিরাতের মুক্তি থেকেও।"

চিন্তা করেন।ঐ ঘুরে ফিরে সে একই কথা। মেয়েরা উচ্চ শিক্ষিতা ও স্বনির্ভর হওয়ার কোন দরকার নেই। যেহেতু তাদের জন্ম হয়েছে পুরুষের যৌন চাহিদা মেঠাতে - সেহেতু তাদের ক্যারিয়ার বিল্ড করতে নাকি ২৫-৩০ বছর পার করে দিলে সে নাকি পুরুষের প্রতিদন্ধী। সে নাকি নারী থেকে পুরুষ হয়ে যাবে। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়াই নাকি ডিভোর্স এর মূল কারণ! অথচ ডিভোর্স হয় মেন্টাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং না হওয়ার কারণে। মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বন্ধুত্বটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার। ডিভোর্স এর মূল কারণ দারিদ্রতা, সেক্সুয়াল অক্ষমতা, পর পুরুষ বা নারীতে আসক্তি, বেটার অপশান খুঁজে পাওয়া এবং মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট জ্বিন শয়তান ও মানুষ শয়তানের কুমন্ত্রণা।

মোল্লাদের এই পোস্টে দেখলাম অনেক বেকুব ও ছাত্রী সংস্থা লেভেলের নারী লাইক দিচ্ছে। সহমত জানাচ্ছে। মৌলবাদীরা এভাবেই আমাদের দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে ভুলভাল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করে। তাই তাদের কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে। মৌলবাদীদের আনফ্রেন্ড/ব্লক করে দিন। তাদের পেজগুলোতে আন লাইক দিন। দেখবেন লাইভে নেগেটিভ কিছু ঘটছেই না। এদের কাজই হলো সারাক্ষণ আপনাকে ডিমোটিভেট করে জাহান্নামের ভয় দেখিয়ে ক্যারিয়ার গঠন না করে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দাসীবাঁদী বানানো। তাই এসব জঙ্গি জামাত হেফাজতকে লাইফ থেকে মুছে দিন।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৩৯
১৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×