এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।
ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের মানুষ নিয়ে লিখতে। আসলে চট্টগ্রাম নিয়ে বিশেষ করে চট্টগ্রাম এর ব্যবসা বানিজ্য পাহাড় পকৃতি পোর্ট উপজাতী সমুদ্র, কালচার, লাইফস্টাইল, খাওতা দাওয়া, অতিথিপরায়ণতা সব কিছু নিয়ে এত বেশি পরিমাণ এর লেখা আছে যে নতুন করে লেখার কিছু নেই। তবে শরেরর মডার্ন রূপ ইদানীং চোখে পড়ার মতো। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ সরকারের একটি অভিনব সাফল্যা। আমাদের চিত্র নায়ক রিয়াজ একবার বলেছিলেন - চট্টগ্রাম আসলে মনে হয় প্যারিসে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু চট্টগ্রাম নদী নালার শহর। পুরা শহরটাই খাল, বিল, নালার উপরে। কর্নফুলী ও সমুদ্র থাকার ফলে, বর্ষাকালে চট্টগ্রাম শহরে পানি উঠবে না উহা কল্পনা পর্যন্ত করা যাবেনা। ফলে নায়ক রিয়াজ ব্যাপক ট্রোল এর শিকার হন প্রতিবছর বর্ষা এলে।তবে আশার বিষয় হলো এবার সিডিএ, কর্পোরেশন, সরকার পানি উঠা রোধ করতে বেশ আগে থেকে কাজ করছে। ড্রেন খাল নালা গুলো সংষ্কার করছে। দেখা যাক এই বর্ষার চিত্র কেমন হয়। এই মুহুর্তে চট্টগ্রাম শহর মশার শহর। মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী। মুনাফা লোভী মশার কয়েল কোম্পানি বর্তমানে যে কয়েল বাজারে ছাড়ছে তাতে মশা মরেনা।উল্টো মশা কয়েল এর উপর উঠে বসে থাকে।
প্যারিস কিনা জানিনা। তবে চট্টগ্রাম আসলেই ছবির মতো একটা শহর। আজ সকালে অফিস যাওয়ার সময় ফেসবুকের নোটিফিকেশন চেক করে দেখি ফেসবুক নিজ দায়িত্বে আমার গ্যালারির কিছু ছবি দিয়ে মাইডে দেয়ার জন্য একটা ভিডিও স্লাইড শো বানিয়েছে।এবং আমাকে সাজেস্ট করেছে ভিডিওটি শেয়ার করার জন্য। নিজের ছবি দিয়ে বানানো স্লাইড শো দেখে নিজেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
কর্নফুলী নদী সংলগ্ন একটি গ্রামের নদীর পাড়।
এটি কি জানেন? এটি হলো পাহাড়ি হুক্কা। ৩/৪ টান দিসিলাম। কিসের সীসা কিসের কি? দুনিয়ার সব হুক্কা এটার কাছে ফেইল।
আমার বাসার পেছনে একড়া লম্বা পুকুরের মত আছে। ছবিটি আমার জানালা থেকে বৃষ্টি নামার ঠিকাগ মুহুর্তে উঠানো।
পাগল করা পূর্নিমার চাঁদ শহরে আলো বিলাচ্ছে।
উন্নত কোন ধনী দেশের ছবি নয়। ইহা আমাদের সাজেক।
ট্রাস্ট মি এটা আমেরিকা ইউরোপের কোন রিসোর্ট নয়। চচট্টগ্রামের সাজেক ভ্যালির একটি হোটেল।
চট্টগ্রামের গ্রাম গুলো আর গ্রাম নেই। লেগেছে আআধুনিকতার ছোঁয়া। শরের মেয়ে মনে হলেও এটি চট্টগ্রামের একটি গ্রামের ৪ তলা পাকা বাড়ির ছাদ থেকে উঠানো।
পাহাড়ি মিষ্টি।
পাহাড়ি জিলাপি।
বাঁশ খবেন বাঁশ? বাঁশ হলেও এটা পাহাড়ি খাবার।
অস্ট্রেলিয়ার বা ইউরোপ এর কোন রিসোর্ট নয়। বান্দরবান এর সাইরো রিসোর্ট। যদি আপিনি প্রকৃতি ভালোবাসেন এখানে ১ দিনের জন্য হলেক যান।হোটেল একটু এক্সপেন্সিভ। ব্লগের কেউ গেলে আমাদ সাথে কনটাক্ট করে যাবে। তবে ৪০০০ টাকা ডিসকাউন্ট ঈ ফ্রী হসপিটালিটি এবং চাঁদের গাড়ি সাপোর্ট পাবেন।
সাইরো রিসোর্ট প্রেমিকা/ বউ /পরিবার নিয়ে কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ড এর জন্য অসাধারণ একটা স্থান।
সবশেষে সবার চট্টগ্রাম এর ওরশ বিরিয়ানি ও গরুর মাংস।
এটা যারা গরুর মাংস পছন্দ করেন না তাদের জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৪