পড়ার টেবিলের পাশের জানালার ঠিক বাহিরেই দুটো পেয়ারা গাছ।ওদুটো পড়ার টেবিলে বইয়ের গাদায় প্রায় হারিয়ে যাওয়া শিশুটির হাতেই লাগানো,আর বেড়ে উঠেছিল জড়াজড়ি করে।দুটোতে দুরকমের পেয়ারা ধরত।অবশ্য মজার ছিল খেতে।গাছগুলো যখন একটু বড় হয় তখন থেকেই সে দেখতো প্রতি বছর একজোড়া টুনটুনি এসে গাছগুলোতে ঘুরাঘুরি করত। তারা বাসা বানাত আর একটা বানানো হলেই ওটা ফেলে রেখে আরেকটা বানাতো।ওরা বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় বাসা বানাত।ওই সময়টার পুরোটাতেই তারা বাসা বানানোর আর ফেলে রাখার কাজটা করত।শিশুটি যত বছর ওখানে ছিল সবসময় এ ব্যাপারটা লক্ষ করেছিল।ওদের সংসারী হতে দেখেনি সে কখনো।কখনো দেখেনি একটা পোকা বা একটু খাবার মুখে করে এনে বাসায় ঢুকে পড়তে।
অনেক বছর একই রকম কান্ড দেখতে দেখতে সে প্রায় বিরক্ত হয়ে একদিন একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে হাতে বানানো তীর দিয়ে তাদের মারতে গিয়েছিল।তীরটা ফস্কে গিয়েছিল।
অবশ্য টুনটুনিটা ব্যাথা পায়নি দেখে স্বস্তির নিশ্বাসও ফেলেছিল।ওদের ভাষাটা জানা থাকলে হয়ত একটু কথা বলে দেখত, কি ছিল ওদের দু:ক্ষ।ওরা তার প্রতিবেশি ছিল।আসলে সে ছোটবেলাটার প্রায় পুরাটাই নি:সঙ্গ কাটিয়েছিল।তাই তার ওদের জন্য অনেক খারাপ লাগত।বুঝতে চাইত ওদের।
কিন্তু তার কিইবা করার ছিল?
আসলেই কি তার কিছু করার ছিল না?
থাকলে সেটা কি?
কেউ কি বলবে একটু?
নি:সঙ্গ শিশুটার কষ্টটাও কেউ জানত না।সেই শিশুটা অনেক বড় হয়ে গেছে।
কিন্তু এখনো সেই টুনটুনিদের মিস করে।
এখনো জানতে চায় তারা কেমন আছে?
এখনও কি তেমনই আছে?
কেউ কি বলতে পারবে তাকে?
কেউ একজন প্লিঈঈইজ......
(উৎসর্গ:বন্ধু তোমায়)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


