somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"চুম্বন" নামক একটি শিল্পের পরিচিতি [ছবি সমেত] B-)

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চুম্বন হল দুই ঠোঁটের স্পর্শ দিয়ে কাউকে আদর করা বা স্নেহ প্রকাশ করা। সাধারণভাবে প্রেম,কাম, স্নেহ, অনুরাগ, শ্রদ্ধা, সৌজন্য অথবা শুভেচ্ছা প্রকাশার্থে অন্য কারো চিবুক, অধরোষ্ঠ, করতল, কপাল বা অন্য কোন অঙ্গে ঠোঁট অর্থাৎ অধরোষ্ঠ স্পর্শ করা। সৌভাগ্য কামনায়, সম্মান প্রদর্শনার্থে বা কিছু প্রাপ্তির আনন্দ প্রকাশার্থে ঐ বস্তুতে অধরোষ্ঠ স্পর্শ করানোও চুম্বন। স্নেহ-ভালবাসা প্রকাশার্থে চুম্বন একটি সাধারণ প্রথা। যৌনসঙ্গমকালে চুম্বন একটি গুরুত্বপূর্ণ শৃঙ্গার। সংস্কৃত "চুম্বন" থেকে বাংলায় "চুমা", "চুমু", "চুমো" প্রভৃতি শব্দের উৎপত্তি হয়েছে। মানব সভ্যতার বিভিন্ন পর্যায়ে নানা অনুষ্ঠান ও উৎসবে চুম্বন প্রথা ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। এটি অভিবাদনের সাধারণ একটি রীতি।
ক্রিস্টোফার নাইরোপ নামক জনৈক ভদ্রলোক চুম্বনের ধরন অনুসারে ৭ ভাগে ভাগ করেছেন। এইগুলা হলোঃ

১. Adolescents kissingঃ অনেক সংস্কৃতিতে কিশোর-কিশোরিরা একে অপরকে চুমু খাওয়ার এক ধরনের খেলা খেলে। একে বলে adolescents kissing.
২. Sexual or romantic kissঃ ক্রিস্টোফার নাইরোপ তার “The Kiss and its History” বইয়ে চুমুকে ভালোবাসা প্রকাশের সবচেয়ে সফল এবং শর্টকার্ট পদ্ধতি হিসেবে আক্ষায়িত করেছেন। সেক্সুয়াল ইন্টারেকশনের আগে কিংবা প্রণয়নীকে ভালোবাসা প্রকাশের জন্য যেই চুম্বন তাকেই বলে Sexual or romantic kiss.
৩. Kiss of affectionঃ এই ধরনের চুমুতে শুধুই স্নেহ কিংবা মমতা থাকবে। বাবা-ছেলেকে, কিংবা মা-মেয়েকে, বন্ধু-বন্ধুকে ইত্যাদি চুমু খাওয়া এই ধরনের অন্তর্গত।
৪. Kiss as ritualঃ উপাসনা বা বিশ্বাসকে পরিপূর্ণতা দিতে যেই চুমু তাকেই বলে Kiss as Ritual. আগে যুদ্ধে যাওয়ার আগে যোদ্ধারা তাদের তলোয়ারকে চুমু খেতেন। এগুলাই হলো এই ধরনের চুমুর অন্তর্গত।
৫. Kiss of peaceঃ প্রাচীনকালে চার্চে গভীর আত্নিক উৎসর্গ প্রকাশ করার জন্য চুমু খাওয়া হতো। একেই বলে Kiss Of Peace.
৬. Kiss of respectঃ এইটাও একটা প্রাচীন ধরনের চুমু। আগে যখন সব জায়গায়ই রাজশাসন ব্যাবস্থার প্রচলন ছিলো তখন গুরুত্বপূর্ন ব্যাক্তিকে চুমু খেয়ে সম্মান প্রদর্শন করার নিয়ম ছিলো।
৭. Kiss of friendshipঃ বর্তমানে আমেরিকা এবং ইউরোপের প্রায় বেশিরভাগ দেশেই এই চুমু ব্যাবস্থার প্রচলন রয়েছে। ঠোটে-ঠোট লাগিয়ে কিংবা গালে-গাল লাগিয়ে বন্ধুদের চুমু খাওয়াকেই বলে Kiss of friendship.


এইবার আসা যাক চুমু খাওয়ার বিভিন্ন স্টাইলে। দুই ঠোঁটের সাহায্যে কাওকে আদর করাই হলো চুমু। তথাপি এই আদর করার বিভিন্ন স্টাইল বা পদ্ধতি আছে। মানুষজন বিভিন্ন স্টাইলে ভালোবাসার মানুষকে চুমু খায়। এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্টাইলগুলো এখানে তুলে ধরা হলোঃ

১. The French Kissঃ ফ্রেঞ্চ কিস সর্বাধিক জনপ্রিয় চুমু খাওয়ার পদ্ধতি। এক্ষেত্রে একজনের জিভ অন্যজনের জিভকে স্পর্শ করে। তাই একে Tongue Kiss ও বলা হয়ে থাকে।



২. The Butterfly Kissঃ এই ধরনের চুমুতে ঠোটের কোন কাজ নেই। এইখানে একজনের চোখের পাতা আরেকজনের চোখের পাতাকে স্পর্শ করে। এবং প্রজাপতির ডানা ঝাপটানোর মতো দুইজনই চোখের পাপড়ি ঝাপটাতে থাকে। এইটা এক ধরনের মজার সঞ্চার করে। তবে একজনের চোখের পাতা অন্যের গালে ঝাপটিয়েও বাটারফ্লাই কিস করা যায়।



৩. The Single-Lip Kissঃ সিঙ্গেল লিপ কিস হলো ভালোবাসার মানুষের যে কোন একটি ঠোটকে চুম্বন খাওয়া। নিজের দুটি ঠোট দিয়ে অপরের একটি ঠোটকে আদর করাকেই বলে সিঙ্গেল লিপ কিস।



৪. The Spiderman Kissঃ ২০০২ সালের মুভি স্পাইডার ম্যান-এ এক নতুন ধরনের চুম্বন দেখা গেছে। এইখানে দুইজনের একজনের দুই ঠোট উপরের দিকে(আকাশপানে) থাকে আর একজনের নিচের দিকে।



৫. The Earlobe Kissঃ এই ধরনের চুম্বন ব্যাবস্থায় একজন অপরজনের ঠোটে চুম্বন না করে কানের লতিতে কিংবা ঘাড়ে চুম্বন করাকে বুঝায়।



৬. The Lip Gloss Kissঃ এইটা আসলে বেশিরভাগ সময় মহিলা পার্টনার তাদের পুরুষ পার্টনারদের দিয়ে থাকে। এইক্ষেত্রে, একে অপরের ঠোটের উপর ঠোট ঘসতে থাকে।



৭. The Eskimo Kissঃ এস্কিমো সংস্কৃতিতে এই ধরনের চুম্বন ব্যাবস্থা প্রচলিত। এইখানে একে অপরের নাকে নাক লাগিয়ে এদিক-সেদিক করাকে বুঝায়। এইটা এস্কিমোদের সৌহার্দ্য, প্রীতি, বন্ধুত্ব ইত্যাদি নির্দেশ করে।



৮. The Cheek Kissঃ একজনের গালের দ্বারা অন্যের গালে স্পর্শ করে চুমু খাওয়ার ভঙ্গি করাকে বলে চীক কিস।



৯. The Hickeyঃ হাইকি/হিকি কিছুটা ঔদ্ধত চুম্বন ব্যাবস্থা। এতে একে অপরের ঠোট খুবই সজোড়ে টেনে নেওয়া হয়। এতে করে ঠোটে লাল দাগ পরে যায়। তবে এই ধরনের চুম্বন গালেও করা যেতে পারে।



১০. The Secret Message Kissঃ ফ্রেঞ্চ কিসের মাঝখানে হঠাৎ করেই সঙ্গির ঠোটে জিহবা দিয়ে বিভিন্ন কাড়িকুড়ি করাকে বলে দ্যা সিক্রেট ম্যাসেজ কিস।




পরবর্তী পর্ব পড়তে Click This Link

কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ http://www.google.com
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৮
৩৫টি মন্তব্য ৩৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×