স্কুলে পড়ার সময় আমি একটু লুল টাইপের ছিলাম। যে ক্লাশেই উঠতাম সেই ক্লাশের কোন না কোন মেয়ের প্রেমে পড়তাম। ক্লাশ এইটে বয়েজ স্কুলে ভর্তি হলাম। ক্লাশে তো কোন মেয়ে নেই। তাতে কি? কোচিং সেন্টার আছে না?
তো, মাঝে মাঝে মেয়েদেরকে প্রেমের অফার দিতাম। কিন্তু বিড়ালের ভাগ্যে শিকে ছিড়ল না কোন দিন। একদিন শিকে ছিড়ল সত্যি সত্যি। প্রথমে তো হাবভাবে কিছু বুঝিয়ে ছিল। কিন্তু সিদুরে পোড়া গরু তো আমি। হাবভাবের কিছুই বুঝিতাম না। সে যে কি দিন গিয়েছিল। রাতে ঠিক মতো ঘুম হতো না। ভোর ৬ টায় ওর বাসার সামনে গিয়ে দাড়িয়ে থাকতাম। দুজনে একসাথে বাসে কিছুক্ষন পাশাপাশি বসে থাকা যাবে। ছুটির দিনগুলো তে কোচিংয়ের সামনে গিয়ে দাড়িয়ে থাকতাম। তখনও আমার প্রশ্নের উত্তরটা জানা হয়নি। অনেকদিন পর মুখে বলল "ভালবাসি"।
ওই ভাগ্যে ছিল আমার। এরপর একসাথে কত দিন-সপ্তাহ-মাস-বসন্ত পার করে দিয়েছি.... আজো স্মৃতি সব অমলিন।
একবার দুজনে মিলে কুয়াকাটা চলে গেলাম হুট করে। আসার পথে বরিশাল বাস টর্মিনালে বসে আছি বাসের অপেক্ষায়। একজন ভিক্ষিরিনী এসে ভিক্ষা চাইল। খুচরা কিছু টাকা দিলাম। টাকা নিয়ে ভিক্ষিরিনী আমাদের দিকে তাকিয়ে ঠায় দাড়িয়ে রইল। হঠাৎ বলে উঠল, "টুনা-টুনি দুইজন বইসা আছ বাজান, আমার টুনা মইরা গেছে গা।" - বলে আর দাড়াল না।
আমি ঐ নয়নে নয়ন দিয়ে আরতো ফিরব না
না না না ছেড়ে দেব না।
তোমায় হৃদ মাজারে রাখব ছেড়ে দেব না।
বলি ছেড়ে দিলে সোনার গউর আর পাব না
না না না আরতো পাব না
তাই হৃদ মাজারে রাখব ছেড়ে দেব না।
যে কথা বলিনি কাউকে - সিরিজ লিন্ক।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




