somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুই সুইডিশ নাগরিকের বসন্ত উদযাপন...

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চারুকলার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে মুগ্ধ চোখে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিল ফ্রাঙ্ক সাথে তার স্ত্রী হেডি। হেডির মাথায় সুন্দর নানা রঙের ফুল। পরনে বাসন্তী শাড়ি। লম্বায় ফ্রাঙ্ক ছু' ফুটের কাছাকাছি হবে। তার পরনে কটকটে লাল রঙের একটি পাঞ্জাবি। হেডি লম্বায় প্রায় তার কাধ সমান। দুজনই সুইডেন এর নাগরিক। সদ্য বিবাহ করেছে তারা।

আগ্রহ নিয় জানতে চাইলাম, "কেমন লাগছে বসন্তের এ উৎসব?"

হেসে জবাব দিলো হেডি। আকর্ন হাসি দিয়ে বলল, "ইটস বিউটি ফুল!"

হেডির সাথে যোগ দিল ফ্রাঙ্ক। উচ্ছ্বাস ঝরে পড়ছে যেন তার কণ্ঠজুড়ে। যেদিকে তাকাচ্ছে মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ছে চোখেমুখে। ক্যামেরা দিয়ে একের পর এক ছবি তুলে চলছে সে।

ফ্রাঙ্ক বলল, "আমার মনে হয় তোমরা পৃথিবীর সবচে সুখী আর আমুদে জাতি।"

বললাম, "হুম। আমরা সত্যিই সুখী জাতি। অনেক সুখী।"

"আর তোমাদের মেয়েরা অনেক সুন্দর। একদম ন্যাচারাল।" বলেই হেডির দিকে তাকিয়ে খানিক হাসলো ফ্রাঙ্ক। আমাকে একটু চোখ টিপির মতো করেও মারলো।

হেডি হেসে ফেললো। তার ফর্সা চোখমুখে কিছুটা লালচে আভা দেখা দিল। শেষ বিকেলের সূর্যটা ডুবুডুবু করছে। হাঁটতে হাঁটতে আমরা টিএসসির পর্যন্ত চলে এলাম। ডাস এর কাছে যেতেই হেডি ইশারায় ফুচকাঅলাকে দেখিয়ে দিলো। ফুচকা খাবে সে। একবাটি ফুচকা নিয়ে হেডি খাচ্ছে। ফ্রাঙ্ক আর আমি দুজনই মুগ্ধ নয়নে তার দিকে চেয়ে আছি।

"এত এত মানুষ। বিভিন্ন রঙের পোশাক। ফুল। দেখে সত্যিই দারুণ লাগছে আমার।" বলল ফ্রাঙ্ক।

আরো দিন দশেক বাংলাদেশে থাকবে তারা।

বললাম, "যদি পারো তবে একুশে ফেব্রুয়ারির দিন এসো একবার। আরো ভালো লাগবে।"

তারপর সে জানতে চাইলো, "একুশে ফেব্রুয়ারি কী?"

আমি তাকে একুশে ফেব্রুয়ারির গল্প শোনাতে শুরু করলাম, "After the partition of India in 1947.........

সে মুগ্ধ আর বিস্ময় নিয়ে শুনছিল আমার কথাগুলো...




সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৭
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নারী একা কেন হবে চরিত্রহীন।পুরুষ তুমি কেন নিবি না এই বোজার ঋন।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১২:৫৪



আমাদের সমাজে সারাজীবন ধরে মেয়েদেরকেই কেনও ভালো মেয়ে হিসাবে প্রমান করতে হবে! মেয়ে বোলে কি ? নাকি মেয়েরা এই সমাজে অন্য কোন গ্রহ থেকে ভাড়া এসেছে । সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=সকল বিষাদ পিছনে রেখে হাঁটো পথ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮



©কাজী ফাতেমা ছবি

বিতৃষ্ণায় যদি মন ছেয়ে যায় তোমার কখনো
অথবা রোদ্দুর পুড়া সময়ের আক্রমণে তুমি নাজেহাল
বিষাদ মনে পুষো কখনো অথবা,
বাস্তবতার পেরেশানী মাথায় নিয়ে কখনো পথ চলো,
কিংবা বিরহ ব্যথায় কাতর তুমি, চুপসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×