চারুকলার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে মুগ্ধ চোখে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিল ফ্রাঙ্ক সাথে তার স্ত্রী হেডি। হেডির মাথায় সুন্দর নানা রঙের ফুল। পরনে বাসন্তী শাড়ি। লম্বায় ফ্রাঙ্ক ছু' ফুটের কাছাকাছি হবে। তার পরনে কটকটে লাল রঙের একটি পাঞ্জাবি। হেডি লম্বায় প্রায় তার কাধ সমান। দুজনই সুইডেন এর নাগরিক। সদ্য বিবাহ করেছে তারা।
আগ্রহ নিয় জানতে চাইলাম, "কেমন লাগছে বসন্তের এ উৎসব?"
হেসে জবাব দিলো হেডি। আকর্ন হাসি দিয়ে বলল, "ইটস বিউটি ফুল!"
হেডির সাথে যোগ দিল ফ্রাঙ্ক। উচ্ছ্বাস ঝরে পড়ছে যেন তার কণ্ঠজুড়ে। যেদিকে তাকাচ্ছে মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ছে চোখেমুখে। ক্যামেরা দিয়ে একের পর এক ছবি তুলে চলছে সে।
ফ্রাঙ্ক বলল, "আমার মনে হয় তোমরা পৃথিবীর সবচে সুখী আর আমুদে জাতি।"
বললাম, "হুম। আমরা সত্যিই সুখী জাতি। অনেক সুখী।"
"আর তোমাদের মেয়েরা অনেক সুন্দর। একদম ন্যাচারাল।" বলেই হেডির দিকে তাকিয়ে খানিক হাসলো ফ্রাঙ্ক। আমাকে একটু চোখ টিপির মতো করেও মারলো।
হেডি হেসে ফেললো। তার ফর্সা চোখমুখে কিছুটা লালচে আভা দেখা দিল। শেষ বিকেলের সূর্যটা ডুবুডুবু করছে। হাঁটতে হাঁটতে আমরা টিএসসির পর্যন্ত চলে এলাম। ডাস এর কাছে যেতেই হেডি ইশারায় ফুচকাঅলাকে দেখিয়ে দিলো। ফুচকা খাবে সে। একবাটি ফুচকা নিয়ে হেডি খাচ্ছে। ফ্রাঙ্ক আর আমি দুজনই মুগ্ধ নয়নে তার দিকে চেয়ে আছি।
"এত এত মানুষ। বিভিন্ন রঙের পোশাক। ফুল। দেখে সত্যিই দারুণ লাগছে আমার।" বলল ফ্রাঙ্ক।
আরো দিন দশেক বাংলাদেশে থাকবে তারা।
বললাম, "যদি পারো তবে একুশে ফেব্রুয়ারির দিন এসো একবার। আরো ভালো লাগবে।"
তারপর সে জানতে চাইলো, "একুশে ফেব্রুয়ারি কী?"
আমি তাকে একুশে ফেব্রুয়ারির গল্প শোনাতে শুরু করলাম, "After the partition of India in 1947.........
সে মুগ্ধ আর বিস্ময় নিয়ে শুনছিল আমার কথাগুলো...