আজ সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর ফুলার রোডে ঢাবি টিচার্স কোয়ার্টারের সামনে অধ্যাপক মফিজুর রহমান এবং গীতআরা নাসরিনের মধ্যস্থতায় অল্পের জন্য গণপিটুনির হাত থেকে বেঁচে যায় ঢাবি ছাত্র এ,কে,এম মুজিব।
চাচার ফ্ল্যাটে যাবার সময় নিচে দারোয়ানের সাথে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ,কে,এম মুজিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র।চাচা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেজ ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক মোঃ আবু হোসেন সিদ্দিক।ফুলার রোডে টিচার্স কোয়ার্টারে সপরিবারে থাকেন।মুজিব প্রায়ই সেখানে যায়।অন্যান্য দিনের মত আজও সকালে চাচার বাসায় যাওয়ার সময় নিচে দারোয়ান বাধা দেয়।এন্ট্রি লিস্টে নাম,ঠিকানা লিখতে বলে।খাতায় লেখা অন্যান্য এন্ট্রির মত মুজিবও শুধু এলাকার নাম লিখে।কিন্তু দারোয়ান তাকে পুরো ঠিকানাসহ ফোন নম্বর দিতে বলে।এমনকি ফোনে চাচির সাথে কথা বলিয়ে দেয়ার পরও তাকে যেতে দেয় না।এই নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মুজিব উত্তেজিত হয়ে এন্ট্রি খাতার পৃষ্ঠা ছিড়ে ফেলে।তখন দারোয়ান কোয়ার্টারের সেক্রেটারিকে ফোন দিতে উদ্যত হলে মুজিব বাইরে আসে চাচাকে ফোন দেয়ার জন্য।সাথে সাথে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তার দিকে তেড়ে আসে দারোয়ান।ভয় পেয়ে মুজিব দৌড় দেয়।সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার,মুজিব শুনতে পায় পেছন থেকে দশ-পনের জন "চোর,চোর" বলে তাকে ধাওয়া করছে।
একসময় তারা ধরেও ফেলে।তার মোবাইলটি কেড়ে নেয়। সৌভাগ্যক্রমে ঐসময় সেদিক দিয়ে যাচ্ছিলেন সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সহঃ অধ্যাপক মফিজুর রহমানসহ আরো কয়েকজন শিক্ষক।তাঁরা এসে মুজিবকে উদ্ধার করেন।কিছুক্ষণ পরে বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপিকা গীতিআরা নাসরিন সেদিক দিয়ে যাবার সময় গাড়ি থামান।সব ঘটনা শুনে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।তিনি বলেন,"এ বয়সের একটি ছেলে এ রকম পরিস্থিতিতে ভয় পেয়ে দৌড় দিবে, এটাই স্বাভাবিক।তাই বলে তাকে চোর বলবে কেন?"পরে মুজিবের চাচা এসে ব্যাপারটি মীমাংসা করেন।
আজ ভাগ্য সাথে না থাকলে হয়ত আবারও আমিনবাজারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতো।দেশ হারাতো একজন সম্ভাব্য সাংবাদিক,স্বজনেরা হারাতো কাছের মানুষ,সহপাঠীরা হারাতো বন্ধু..........................
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:০০