somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দাজ্জাল ঈমাম মেহিদী এবং হযরত ঈসা (আঃ)- প্রচলিত বিশ্বাস VS কোরআন কি বলে?

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের মুসলিম সমাজে দাজ্জাল, ঈমাম মেহিদী এবং হযরত ঈসা (আঃ) নিয়ে অনেক ভুল ধারনা/গল্প চালু আছে। আমরা সবাই এইটা শুনেছি/জানি যে এই তিন জন পৃথিবীর শেষ মুহূর্তে আসবেন এবং শেষের দুইজনের একজন অথবা উভয়েই প্রথম জন কে পরাজিত করবেন। পৃথিবী আবার শান্তিতে পরিরপূর্ন হবে। এরপর হবে কিয়ামত। এই গল্প আমরা শুনেছি আমাদের বাপ দাদাদের কাছ থেকে। তারা শুনেছে তাদের বাপ দাদাদের কাছ থেকে। এই গল্প শুনে ১৪০০ বছর ধরে আমরা আশায় বুক বেধে আছি কবে তারা আসবে আর আমাদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হবে। কিন্তু কোনদিন কি আমারা চিন্তা করে দেখেছি এই সব গল্প কতটুকো সত্য? এই সব গল্পের কোন ভিত্তি আছে কি না? নাকি এইসব বানোয়াট, মিথ্যা কল্প কাহিনি? আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজেও এইসব গল্প বিশ্বাস করতাম। কিন্তুু কোরআন পরে যখন এইসব প্রশ্নের উত্তর খুজতে গেলাম তখন বুজতে পারলাম আমার ধারনা কতটা ভুল।
মূল প্রসঙ্গে যাবার আগে আমাদের জানা দরকার আল্লাহ কোরআন সম্পর্কে কি বলেছেন। আল্লাহ কোরআন সম্পর্কে কোরআনে বলেছেন, কোরআন...
১। সন্দেহাতীত/ No Doubt (২:২)
২। মানুষের জন্য হেদায়েত/ Guidance for mankind (২:২, ১৮৫)
৩। হেদায়েতের সুষ্পষ্ট প্রমান / Clear proof for guidance (২:১৮৫)
৪। দ্বীন পরিপুর্ন /Complete code of life (৫:৩)
৫। সত্য এবং মিথ্যা এর মধ্যে পাথর্ক্য নির্ণয়কারী/ Criterion (২:১৮৫, ২৫:১)
৬। সুস্পষ্ট এবং ব্যখ্যাকারী/ Clear/ clarifying /explaining (১৫:১, ৩৬:৬৯, ১২:১, ২৬:২, ২৭:১, ২৮:২, ৪৩:২, ৪৪:২, ১৬:৮৯)
৭। সবধরনের উদাহরণ দেওয়া/ provides every kind of examples (১৭:৮৯, ৩৯:২৭)
৮। সুম্পুর্ন বিস্তারিত / Fully/Distinctly Detailed (৬:১১৪, ৭:৫২, ১১:১, ৪১:৩)

যেহেতু কোরআন সত্য এবং মিথ্যা এর মধ্যে পাথর্ক্য নির্ণয়কারী, আমরা কোরআনের এই বিশেষণ টি ব্যবহার করব উপরের ঘটনাগুলি পর্যালোচনা করার জন্য। আমরা দেখব এইসব ঘটনা সম্পর্কে কোরআন কি বলে। আমাদের অবশ্যয় মনে রাখতে হবে, কোরআনের ভাষ্য আনুযয়ী
“কোরআনে যা কিছু বলা হয়নি তা আমাদের ধর্ম/দ্বীন এর ব্যপারে গুরুত্তপুর্ন নয় এবং যা কিছু কোরআনের সাথে সাঙ্গর্সিক তা অবশ্যয় বর্জনীয়। (পয়েন্ট ৪ এবং ৫)”

হযরত ঈসা (আঃ) কি দ্বিতীয় বার পৃথিবীতে আসবেন?
এই প্রশ্নটার উত্তর পেতে হলে আমাদের দেখতে হবে যে উনি জীবিত নাকি মৃত এবং উনি দ্বিতীয় বার পৃথিবীতে আসবেন -আল্লাহ কি এই ধরনের কোন কথা বলেছেন কিনা

ঈসা (আঃ) ক্রুসবিদ্ধ হননি/তাকে হত্যা করাও হয়নিঃ
এই বিষয়ে কারও কোন সন্ধেহ নাই। আল্লাহ পরিষ্কারভাবে কোরআনে এই কথা বলে দিয়েছেন।

That they said (in boast), "We killed Christ Jesus the son of Mary, the Messenger of Allah";- but they killed him not, nor crucified him, but so it was made to appear to them, and those who differ therein are full of doubts, with no (certain) knowledge, but only conjecture to follow, for of a surety they killed him not (4:157)

যেহেতু কোরআনের ভাষ্য মতে ঈসা (আঃ) ক্রুসবিদ্ধ হননি/তাকে হত্যা করাও হয়নি সুতরাং আমাদের কোরআন থেকে দেখতে হবে যে উনার স্বভাবিক মৃত্যু হয়েছিল কি না।

হযরত ঈসা (আঃ) এর স্বভাবিক মৃত্যুর প্রমাণঃ
১। হযরত ঈসা (আঃ)একজন মরনশীলঃ
আল্লাহ বলেছেন “আপনার পূর্বেও কোন মানুষকে আমি অনন্ত জীবন দান করিনি। সুতরাং আপনার মৃত্যু হলে তারা কি চিরঞ্জীব হবে? (২১:৩৪)
সুতরাং দেখা যাচ্ছে কেউ অমর নয়। আপনি বলতে পারেন যে হযরত ঈসা (আঃ) অমর নয় কিন্তু পৃথিবীতে দ্বিতীয়বার আসার পর
কিয়ামতের আগে উনার মৃত্য হবে। তাহলে দেখি উনার সম্পরকে আর কি কি বলা হয়েছে

২। সব রাসূল ই মৃতঃ
The Messiah, son of Mary, was not but a messenger; messengers have passed on before him. And his mother was a supporter of truth. They both used to eat food. Look how We make clear to them the signs; then look how they are deluded (5:75)

“Muhammad is not but a messenger. Messengers have passed on before him…” (3: 144)

এইখানে এই দুইখানা আয়াতের সামঞ্জস্য বিশেষভাবে লক্ষণীয়। আয়াত ৫:৭৫ এ আল্লাহ পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন যে হযরত ঈসা (আঃ) এর পূর্বে সমস্ত রাসূল গত হয়েছেন। তারা (ঈসা (আঃ) এবং উনার মা ) বেচে থাকার জন্য খাদ্য গ্রহন করতেন। এইটাই আল্লাহর নিদর্শন যে হযরত ঈসা (আঃ) এবং উনার মা মরণশীল মানুষ,এবং এইভাবেই আল্লাহ তার নিদর্শন পরিস্কার ভাবে আমাদের কাছে ব্যক্ত করেন।

এখন আয়াত ৩:১৪৪ এ আল্লাহ ঠিক একই ভাবে নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে বলছেন যে ,মুহাম্মাদ (সাঃ) এর পূর্বে সকল রাসূল গত হয়েছেন। সুতরাং ঈসা (আঃ) ও গত হয়েছেন। এটাই স্বাভাবিক। এটাই সত্য।

যারা কোরআনে বিশ্বাস করেন তাদের জন্য উপরের দুইটি প্রমাণই যথেষ্ট। কিন্তু অনেক দিনের জমানো বিশ্বাস, মোল্লাদের শিক্ষা, হাদিস এর লিখা, পূর্বপুরুষদের কথার উপরে উঠে কোরআনের কথা মেনে নেয়া কষ্টকর। কোরআন বিশ্বাস করি এই কথা মুখে বললেও আগের বিশ্বাস নিয়েই মানুষ আঁকড়ে পরে থাকে। সুতরাং যাদের বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে, তাদের জন্য দেখি আল্লাহ কোরআনে আর কি কি বলেছেন।

আল্লাহ ঈসা (আঃ) এর স্বভাবিক মৃত্যুর কথা কোরআনে বলেছেনঃ
এই বিষয়ে যাওয়ার আগে আমাদের কোরআনের অনুবাদ সম্পর্কে কিছু সত্য জানতে হবে। আমার মত অনেকেই আছেন যারা আরবী ভাষা জানেননা, শুধু পড়তে জানেন। যারা কোরআন বুঝে পড়তে চান, তারা কোরআনের অনুবাদ পড়েন। কিন্তু সমস্যা হল যারা এই অনুবাদ এর কাজটি করেছেন, তারা নিজেদের দল, মতার্দশ, এবং বিশ্বাস কে পুজি করে অনুবাদ করেছেন। কোরআনের অনুবাদ করতে গিয়ে তারা নিজেদের দল, মতার্দশ, এবং বিশ্বাস এর উর্ধে ওঠতে পারেননি। প্রায় সবাই কোরআন কে নিজের মত অনুবাদ করে নিজেদের দলীয়/ উপদলীয় (শিয়া, সুন্নী, কাদিয়ানী- এইসব দল এবং এর উপদল) বিশ্বাস কে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন। এর ফলে কোরআনের আসল মেসেজ এর বিকৃতি হয়েছে। এক আয়াত এর সাথে আর এক আয়াতের অর্থের আমিল/ অসামঞ্জস্য দেখা দিয়েছে। এর উদাহরণ অনেক। আমি একই সাথে কোরআনে ঈসা (আঃ) এর স্বভাবিক মৃত্যুর আয়াত এবং এর অনুবাদ এর অসামঞ্জস্য দেখাব এবং সঠিক অনুবাদটি দিয়ে দেখাব যে উনার মৃত্যু হয়েছে। স্বভাবিক কারনেই এইখানে ইংলিশ অনুবাদ অনুসরণ করব, কারন কোরআনের যেসব বাংলা অনুবাদ পাওয়া যায়, তা সবই এইসব দোষে দুষ্ট, এবং বাংলা অনুবাদের ভাষার প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনেক দুর্বলতা রয়েছে। ইংলিশ অনুবাদেও এই সমস্যা প্রকট, কিন্তু ভাষার ব্যাবহার তুলনামূলকভাবে অনেক পরিষ্কার।

(যদিও আমি আরবী ভাষা জানিনা, আমি আরবী ভাষার গঠন (lts roots and derivatives) বুঝি এবং এর মুল থেকে ইংলিশ ডিকশনারির সাহায্যে অর্থ বের করতে পারি। ( I can use Edward’s lane lexicon, concordance and other Arabic to English dictionary)।) এইখানে আমি ভুল আনুবাদের একটা উদাহরণ দেখাব। আয়াত ৩:৫৫…

অনুবাদ ১ঃ মুহাম্মদ আসাদঃ
Lo! God said: "O Jesus! Verily, I shall cause thee to die, and shall exalt thee unto Me, and cleanse thee of [the presence of] those who are bent on denying the truth; and I shall place those who follow thee [far] above those who are bent on denying the truth, unto the Day of Resurrection. In the end, unto Me you all must return, and I shall judge between you with regard to all on which you were wont to differ

অনুবাদ ২ঃ ইউসুফ আলীঃ
Behold! Allah said: "O Jesus! I will take thee and raise thee to Myself and clear thee (of the falsehoods) of those who blaspheme; I will make those who follow thee superior to those who reject faith, to the Day of Resurrection: Then shall ye all return unto me, and I will judge between you of the matters wherein ye dispute.

উপরের দুই ধরনের অনুবাদ দেখে প্রশ্ন জাগে কোনটা সঠিক। এইখানে مُتَوَفِّيكَ وَرَافِعُكَদুইটি আরবী শব্দের অর্থ বোঝতে হবে। কোরআনের যত জায়গায় مُتَوَفِّيكَএই শব্দ ব্যবহার হয়েছে ঈসা (আঃ) এর ঘটনা ব্যতীত, সব জায়গায় মৃত্যু বুঝানো হয়েছে। উদাহরণসরূপ (৩২:১১,৪:৯৭,৮:৫০,২২:৫,১২:১০১) কিন্তু মজার ব্যপার হল শুধুমাত্র ঈসা (আঃ) এর ক্ষেত্রে অনেক অনুবাদক মৃত্যু অনুবাদ করেন নাই। কেন? কারন ঐ যে বললাম নিজেদের দলীয়/ উপদলীয় (শিয়া, সুন্নী, কাদিয়ানী- এইসব দল এবং এর উপদল) বিশ্বাস। এইভাবে মানুষ কোরআনের আয়াত দিয়ে নিজেদের মত অর্থ করে নিজের প্রচলিত বিশ্বাস কে প্রচার করে।

এই পর্যন্ত আমরা কোরআনের মাধ্যমে প্রমান করেছি ঈসা (আঃ) এর স্বভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এখন বাকি থাকল দুইটা জিনিষ, উনাকে স্বশরীরে তুলে নেওয়া হয়েছে কিনা? এবং উনি আবার আসবেন কি না?

এইখানে وَرَافِعُكَআরবী শব্দের অর্থ বোঝতে হবে, এবং এই শব্দ কোরআনে আর কোথায় কি অর্থে ব্যবহার হয়েছে তা দেখতে হবে। ইউসুফ আলী এই শব্দ “রাফা” এর অনুবাদ করেছেন “raise” মানে উঠিয়ে নেওয়া।অন্যদিকে,মুহাম্মদ আসাদ অনুবাদ করেছেন “exalt”। ইউসুফ আলী এবং অন্য অনুবাদকগন এই শব্দ “রাফা” এর অর্থ করতে গিয়ে বুঝিয়েছেন স্বশরীরে তুলে নেওয়া। কিন্তু এই একই শব্দ যখন কোরআনের অন্য যায়গায় এসেছে, তখন তারা এই অর্থ করেন নাই। কেন?

আল্লাহ ঈদ্রিস (আঃ) সম্পর্কে বলেছেন এবং ইউসুফ আলী অনুবাদ করেছেন…
And We raised him to a lofty station (19:57)

আল্লাহ মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে বলেছেন এবং ইউসুফ আলী অনুবাদ করেছেন…
And raised high the esteem (in which) thou (art held)? (94:4)

ডিকশনারিতে “রাফা” মানে হচ্ছে “ exalt in honor, not physical ascention”.
এখন, যদি “রাফা” এর অর্থ করা হয় “স্বশরীরে তুলে নেওয়া”- তাহলে, আল্লাহর কোরআন অনুসারে ঈদ্রিস (আঃ) এবং মুহাম্মদ (সাঃ) কেও স্বশরীরে তুলে নিয়েছেন, এবং তারা আবার আসবেন।

এখন দেখব, ঈসা (আঃ) এর দ্বিতীয়বার আসার ব্যপারে আল্লাহ কোরআনে কিছু বলেছেন কিনা। এই ব্যপারে আমি কোনও আয়াত খুজে পাইনি। তবে এটা পরিষ্কার যে উনি দ্বিতীয়বার আসবেন না। কারনঃ

১। ঊনি মারা গেছেন। আল্লাহর আইন অনুসারে,মৃত ব্যক্তি পৃথিবীতে দুইবার আসতে পারেন না।
২। আল্লাহ কোরআনের ৫:১১৭ আয়াতে বলেছেন,
"I said nothing to them except that which Thou didst command me-- `Worship Allah, my Lord and your Lord' and I was a witness over them as long as I remained among them, but since Thou didst cause me to die, Thou hast been the Watcher over them, and Thou art Witness over all things." (5:117)

এই আয়াত দিয়ে বুঝা যায় যে, উনার আসার আর কোন সম্ভাবনা নাই।

৩। অনেকে কোরআনের ৪৩:৬১ নাম্বার আয়াত দিয়ে প্রমান করার চেষ্টা করেন যে উনি আবার কিয়ামতের আগে আসবেন। সুতরাং দেখা যাক ৪৩:৬১ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ আসলে কি বলেছেন।

وَإِنَّهُ لَعِلْمٌ لِّلسَّاعَةِ فَلَا تَمْتَرُنَّ بِهَا وَاتَّبِعُونِ ۚ هَٰذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِيمٌ

Yusuf Aliঃ
And (Jesus) shall be a Sign (for the coming of) the Hour (of Judgment): therefore have no doubt about the (Hour), but follow ye Me: this is a Straight Way.

Muhammad Asad ঃ
AND, BEHOLD, this [divine writ] is indeed a means to know [that] the Last Hour [is bound to come]; hence, have no doubt whatever about it, but follow Me: this [alone] is a straight way.

এইখানে ইউসুফ আলী সবচেয়ে বড় manipulation করেছেন। মূল আরবী আয়াত দেওয়া হয়েছে এই জন্য যাতে পাঠক বুঝতে পারে এবং তুলনা করতে পারে আমি কি বুঝাতে চাচ্ছি। প্রথমত, ইউসুফ আলী ব্রাকেটে ঈসা (আঃ) এর নাম ঢুকিয়েছেন, এবং তার সাথে এই আয়াতটি সম্প্রৃক্ত করার চেষ্টা করেছেন, (আমি অনেক অনুবাদ দেখেছি যেখানে এই আয়াতের অনুবাদে সরাসরি ঈসা (আঃ) এর নাম ঢুকিয়ে দেয়া হয়ছে) যদিও এই আয়াতের সাথে ঈসা (আঃ) এর কোন সম্প্রৃক্ততা নাই। এর আগের আয়াতে (৪৩:৬০) আল্লাহ ফেরেস্তার কথা বলেছেন, ঈসা (আঃ) এর কথা নয়। দ্বিতীয়ত, এইখানে “ইলম” শব্দটির অর্থ করেছেন sign বা নিদর্শন, কিন্তু এই শব্দটির অর্থ হবে knowledge/ জ্ঞান। সুতরাং, দ্বিতীয় অনুবাদটি সঠিক।

উপসংহারঃ
১। ঈসা (আঃ) ক্রুসবিদ্ধ হননি/তাকে হত্যা করাও হয়নি (৪:১৫৭)
২। উনি স্বভাবিক মৃত্যু বরন করেছেন (২১:৩৪, ৩:১৪৪, ৩:৫৫, ৫:১১৭ )
৩। উনি দ্বিতীয়বার পৃথিবীতে আসবেন না। কারন আল্লাহর আইন মানুষ একবারই পৃথিবীতে আসবে, এবং একবারই মরন হবে।
৪। যেহেতু উনি পৃথিবীতে দ্বিতীয়বার আসবেন না, সেহেতু, দাজ্জাল এর সাথে যুদ্ধ করার প্রশ্নই আসেনা। দাজ্জাল একটা মিথ এবং এর কোন ভিত্তি নাই। সবই বানানেয়া গল্প। মেহিদীর ক্ষেত্রেও একই কথা। হয়ত পরে কোন এক সময় লিখব।



সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:০২
৬১টি মন্তব্য ৩৯টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×