somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেন আমরা ধর্মের ব্যপারে সধারন চিন্তাশক্তি (কমনসেন্স, যুক্তি, বিশ্লেষণ)ব্যবহার করিনা ?

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষ তার জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভন্ন সময়ে, বিভিন্ন প্রয়োজনে এবং বিভিন্ন পরিিস্তথিতে চিন্তাশক্তি (কমনসেন্স, যুক্তি, বিশ্লেষণ)ব্যবহার করে। কিন্তু *ধর্মীয় ব্যপারে কেন জানি মানুষ তার স্বভাবিক বোধ হারিয়ে ফেলে। অনেক মানুষেই ধর্মীয় ব্যপারে তার স্বভাবিক চিন্তাশক্তি, যুক্তি বিশ্লেষণ কাজে লাগাতে পারে না, বা করে না। কেন? অনেক মানুষ আছে যারা অতুলনীয় চিন্তা শক্তির অধিকারী, কিন্তু ধর্মীয় ব্যপারে একবারে গোঁড়া। কেন এমন হয়। এই ব্যাপারে প্রশ্ন করে, মানুষের সাথে কথা বলে এবং বিভিন্ন বই পড়ে যা বুজেছি যে অনেক মানষের ধরনা...

১। ধর্মীয় বিষয়ে নিজস্ব চিন্তার কোন সুযোগ নেই। অনেকে না বললেও এইরকমই বিশ্বাস করে।

২। আমদের ধর্মীয় জ্ঞান আমাদের পূর্ব জেনারেশনের তুলনায় অনেক কম। তারা যা বলে গেছেন তাই সঠিক,সুতরাং আমরা তাদেরকেই ফলো করব।

৩। জেনারেশন “গ” মনে করে যদিও তারা ভুল করতে পারে, কিন্তু তাদের পূর্ববর্তী জেনারেশন “খ” ভুল করতে পারে না। আবার জেনারেশন “খ” মনে করে যদিও তারা কিছু ভুল করতে পারে, তাদের পূর্ববর্তী জেনারেশন ছিল ভুলের উর্ধে। সুতরাং, জেনারেশন “খ” নিজের উপর আস্থা না রেখে জেনারেশন “ক” কে ফলো করে এবং জেনারেশন “গ” একইভাবে জেনারেশন “খ” কে ফলো করে। আর এই জন্য, কেউ নিজের চিন্তা শক্তি ব্যবহার করে না।

এইভাবে মানুষ নিজের বিচার বুদ্ধি, স্বভাবিক বোধ এর উপর আস্থা না রেখে পূর্ববর্তী জেনারেশনকে অন্ধ ভাবে ফলো করে।
যদিও অনেক মানুষ বলে ধর্ম পুরাটাই বিশ্বাসের ব্যপার, কিন্তু ইসলামে অন্ধ বিশ্বাসের কোন সুযোগ নেই।অন্যান্য প্রনীর সাথে মানুষের একটা সবচেয়ে বড় পার্থক্য হচ্ছে স্বাধীন চিন্তাশক্তি।এটাই মানুষের পৃথিবীতে স্রেস্টত্বের প্রধান কারন। যদি তাই হয়ে থাকে তবে ধর্মের ব্যপারে মানুষ কেন স্বাধীন চিন্তা করতে পারবেনা?আল্লাহ কোথায় না করেছেন? আল্লাহ বলেছেনঃ

Truly, the worst of all creatures in the sight of Allah are the deaf, the dumb, those who do not use their reason/think. ( 8:22)

আল্লাহর দৃস্টিতে নিকৃষ্ট প্রাণী তারাই যারা চিন্তাশক্তি বা যুক্তি ব্যবহার করে না। আল্লাহ আবার বলেছেনঃ

Or do you think that most of them hear or reason? They are like livestock. Rather, they are [even] more astray in [their] way. (25:44)

এই দুইটা আয়াত দিয়ে আমরা সহজেই বুঝতে পারি আল্লাহ আমাদের নিজস্ব বিচার, বিবেচনাবোধ,যুক্তি ব্যাভহার করতে কোন নিষেধ করেন নি, বরং উৎসাহ দিয়েছেন- হোক এটা ধর্মীয় অথবা অন্য কোন ব্যপারে। প্রসঙ্গ ক্রমে একটা কথা না বললেই নয়, এই দুইটা কোরআনের আয়াত খুবই স্বতন্ত্র এই জন্য যে সম্ভবত একমাত্র কোরআনেই এইরকম বলা হয়েছে যে মানুষকে তার নিজস্ব বিচার, বিবেচনাবোধ,যুক্তি ব্যাভহার করতে, অন্য কোন ধর্ম গ্রন্থে এই ধরনের কোন কথা বলা হয় নাই। “সম্ভবত”- কথাটা এই জন্য বলছি যে আমি অন্য কোন ধর্মের বইয়ে এই রকমের কোন বানী পাই নাই, যদি থেকে থাকে আমি জানিনা, এখন পর্যন্ত আমি আমি পাই নাই।
আরেকটু বিশ্লেষণ করি। কোরআনে আল্লাহ ইব্রাহিম (আঃ) সম্পর্কে উচ্চ প্রশংসা করে বলেছেনঃ

There has already been for you an excellent pattern/example in Abraham and those with him,… There has certainly been for you in them an excellent pattern/example for anyone whose hope is in Allah and the Last Day…(60:4,6)

ইব্রাহিম (আঃ) এর মধ্যে আমাদের জন্য রয়েছে উত্তম উদাহরণ/আদর্শ। কোরআনের আলোকে আসেন দেখি কি সেই উদাহরণঃ

ইব্রাহিম (আঃ) এর সম্পর্কে কোরআনে বর্ণিত অনেকগুলি জীবনাদর্শের উদাহরনের মধ্যে একটিঃ

“অনন্তর যখন রজনীর অন্ধকার তার উপর সমাচ্ছন্ন হল, তখন সে একটি তারকা দেখতে পেল, বললঃ ইহা আমার প্রতিপালক। অতঃপর যখন তা অস্তমিত হল তখন বললঃ আমি অস্তগামীদেরকে ভালবাসি না। অতঃপর যখন চন্দ্রকে ঝলমল করতে দেখল, বললঃ এটি আমার প্রতিপালক। অনন্তর যখন তা অদৃশ্য হয়ে গেল, তখন বলল যদি আমার প্রতিপালক আমাকে পথ-প্রদর্শন না করেন, তবে অবশ্যই আমি বিভ্রান্ত সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব”। (৬:৭৬-৭৭)

এই দুটি আয়াত সম্পর্কে কিছু বলা লাগবে? আল্লাহ স্বয়ং ইব্রাহিম (আঃ) এর উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়েছেন যে ইব্রাহিম (আঃ) নিজেও তার নিজের প্রতিপালককে চিনার জন্য যুক্তির আশ্রয় নিয়েছেন। আল্লাহ কেন এই উদাহরণ দিয়েছেন এবং আমাদের কে ইব্রাহিম (আঃ) কে ফলো করতে বলেছেন আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

শুধু এই নয়, আল্লাহ কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে বোঝানোর জন্য যুক্তির আশ্রয় নিয়েছেন, মানুষকে চিন্তা করতে বলেছেন। এর উদাহরণ অনেক। মানুষ যদি এতটুকু বোঝতে পারত, তাহলে আমাদের অনেক সমস্যার সমাধান হত। সুতরাং দেখা যাচ্ছে ধর্মীয় ব্যপারেও অন্ধ বিশ্বাসের স্থান কোরআনে তথা ইসলামে নাই।

এখন কথা হচ্ছে আপনি কি নিয়ে চিন্তা করবেন এবং যুক্তি তর্কের অবতারণা করবেন। এই বিষয়ে আল্লাহ বলেছেনঃ

And do not pursue that of which you have no knowledge. Indeed, the hearing, the sight and the mind, one will be questioned about all these.(17:36)

সোজা কথায় আপনি চিন্তা করবেন যে কোন বিষয় যা আপনার জীবনের পথ প্রদর্শনের কাজ করবে। এটা হতে পারে জীবন, সমাজ, সৃস্টিজগত যে কোন কিছু। আপনি যদি না জানেন আপনি কেন করছেন তবে আপনি তা করবেন না। আপনি যা করছেন, যা বিশ্বাস করেন তা কেন করছেন এবং কেন বিশ্বাস করছেন সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা থাকতে হবে।অযথা কোন বিষয়ে তর্ক করবেন না বা কোন কাজ করবেন না যা সম্পর্কে আপনার কোন ধারনা নেই। মজার ব্যপার হচ্ছে আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ঠিক এই বিষয়ে অনেক টিচারের লেকচার শুনেছি। তারা ব্যবসা সংক্রান্ত ব্যপারে ঠিক এই কথা গুলি বলেছেন যে কোন ব্যবসা শুরু করার আগে সেই ব্যবসার অনেক কিছু জানতে হবে। না জেনে, কোন ধারনা ছাড়া ব্যবসা করা যায় না। আল্লাহও আমাদের কে ঠিক একই কথা বলেছেন- সব বিষয়ে।

এইবার দেখি, অন্যদের অনুসরণ করার ব্যাপারে আল্লাহ কি বলেছেনঃ

পূর্বপুরুষদেরকে অনুসরণ করাঃ
“আর যখন তাদেরকে কেউ বলে যে, সে হুকুমেরই আনুগত্য কর যা আল্লাহ নাযিল করেছেন, তখন তারা বলে কখনো না, আমরা তো সে বিষয়েরই অনুসরণ করব। যাতে আমরা আমাদের বাপ-দাদাদেরকে দেখেছি। যদি ও তাদের বাপ দাদারা কিছুই জানতো না, জানতো না সরল পথও”।(২:১৭০)

যখন তাদেরকে বলা হয় যে, আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান এবং রসূলের দিকে এস, তখন তারা বলে, আমাদের জন্যে তাই যথেষ্ট, যার উপর আমরা আমাদের বাপ-দাদাকে পেয়েছি। যদি তাদের বাপ দাদারা কোন জ্ঞান না রাখে এবং হেদায়েত প্রাপ্ত না হয় তবুও কি তারা তাই করবে? (৫:১০৪)

এখন মুশরেকরা বলবেঃ যদি আল্লাহ ইচ্ছা করতেন, তবে না আমরা শিরক করতাম, না আমাদের বাপ দাদারা এবং না আমরা কোন বস্তুকে হারাম করতাম। এমনিভাবে তাদের পূর্ববর্তীরা মিথ্যারোপ করেছে, এমন কি তারা আমার শাস্তি আস্বাদন করেছে। আপনি বলুনঃ তোমাদের কাছে কি কোন প্রমাণ আছে যা আমাদেরকে দেখাতে পার। তোমরা শুধুমাত্র আন্দাজের অনুসরণ কর এবং তোমরা শুধু অনুমান করে কথা বল।(৬:১৪৮)

তারা যখন কোন মন্দ কাজ করে, তখন বলে আমরা বাপ-দাদাকে এমনি করতে দেখেছি এবং আল্লাহও আমাদেরকে এ নির্দেশই দিয়েছেন। আল্লাহ মন্দকাজের আদেশ দেন না। এমন কথা আল্লাহর প্রতি কেন আরোপ কর, যা তোমরা জান না।(৭:২৮)

“বরং তারা বলে, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছি এক পথের পথিক (we found our fathers upon a religion) এবং আমরা তাদেরই পদাংক অনুসরণ করে পথপ্রাপ্ত। এমনিভাবে আপনার পূর্বে আমি যখন কোন জনপদে কোন সতর্ককারী প্রেরণ করেছি, তখনই তাদের বিত্তশালীরা বলেছে, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছি এক পথের পথিক এবং আমরা তাদেরই পদাংক অনুসরণ করে চলছি”।(৪৩:২২-২৩)

এখানে বাপ-দাদা, পূর্বপুরুষদের অনুসরণ করা বলতে বুঝানো হয়েছেঃ
১। বাপ দাদাদের অনুসরণ করা
২। কোন দল, গুষ্ঠি, মত কে অনুসরণ করা
৩। ধর্মীয় নেতার (পীর, মোল্লা, ইমাম ইত্যাদি) অনুসরণ করা।

উপরের আয়াতগুলি স্বব্যখাকারি। এর জন্য আলাদা করে লেখার কিছু নাই। শুধু এইটুকও বলতে চাই যে এই কথা গুলি মানুষ আজও বলে, যখনি কাউকে কোরআনের কথা বলি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপরের কথা গুলি শুনতে হয়। ১৪০০ বছর আগে মানুষকে কোরআন সম্পর্কে যখন বলা হত তখন তারা উত্তরে এই কথা গুলি বলত, এখনও একই কথা বলে, তবে পার্থক্য এই যে এখন যারা এই কথা বলে তার নিজেদেরকে মুসলমান দাবী করে।

যাইহোক, উপরের আয়াতগুলি দিয়ে বোঝা যায় যে বাপ-দাদা, পূর্বপুরুষদের অন্ধ অনুসরণই প্রকৃত ধর্ম সম্পর্কে জানার এবং পালনের প্রধান অন্তরায় গুলির অন্যতম।

এখানে একটা কথা পরিষ্কার ভাবে বলা দরকার যে, বাপ-দাদা, পূর্বপুরুষরা যা করেছেন তা সবই ভুল এই কথা বলছি না বরং এই কথা বলতে চাচ্ছি যে তারা যা করে গেছেন আমরা যেন অন্ধভাবে কোন প্রশ্ন ছাড়াই সেইসব অনুসরণ না করি। আমরা আমদের নিজস্ব বিচার বুদ্ধি বিবেচনা ব্যবহার করতে যেন ভয় না পাই। আমরা যেন কোন ব্যপারে কাউকে অনুসরণ করার আগে কোরআনের সাথে মিলিয়ে দেখি এবং আমদের নিজস্ব বিচার বুদ্ধি বিবেচনা করে সিদ্বান্ত নেই। আল্লাহ আমাদেরকে এই স্বাধীনতা দিয়েছেন, সুতরাং আমরা এই স্বাধীনতা ব্যবহারে কেন ভয় পাব অথবা কেন আমদের নিজস্ব বিচার বুদ্ধি বিবেচনাকে খাচায় বন্দী করে অন্যকে অন্ধ অনুসরণ করব?


সংখ্যাধিক্যের অনুসরণ করাঃ
আল্লাহ বলেছেনঃ
আর যদি আপনি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথা মেনে নেন, তবে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে বিপথগামী করে দেবে। তারা শুধু অলীক কল্পনার অনুসরণ করে এবং সম্পূর্ণ অনুমান ভিত্তিক কথাবার্তা বলে থাকে।(৬:১১৬)

এইখানে আল্লাহ প্রথমে পৃথিবীর অধিকাংশ লোকদের অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন। কোরআনের প্রেক্ষিতে আল্লাহ এইখানে বলছেন যে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ যা করে তাই যে সত্য তার কোন ভিত্তি নাই। অর্থাৎ, শুধুমাত্র অধিকাংশ লোকে কোন কিছু করে বলে তা অন্ধভাবে অনুসরণ না করে নিজের চিন্তা শক্তি, যুক্তি কাজে লাগিয়ে সঠিক পথে অনুসরণ করতে হবে। যা সত্য তা যদি পৃথিবীর কেউ নাও মানে, তবুও তা সত্য। এইখানে সত্যকার অর্থে আল্লাহ যেটা বুঝিয়েছেন তা হল, আমরা যেন বেশিরভাগ মানুষের কোন কাজ দেখে নিজদেরে উপর আস্থা হারিয়ে সংশয়ে না ভুগি যে আমরা কি তাহলে ভুল পথে আছি? এতগুলি মানুষ এই কাজ করে- তাদের বিশ্বাস কি ভুল হতে পারে? সংখ্যাধিক্য দিয়ে ভোটে জিতা যায়, কিন্তু আল্লাহর সত্যকে পরিবর্তন করা যায় না। দ্বিতিয় অংশে আল্লাহ বলেছেন যে ইসলামে অলীক কল্পনার অনুসরণ করা এবং সম্পূর্ণ অনুমান ভিত্তিক অনুসরণ করা বলতে কিছু নাই। ইসলাম নিশ্চিত বিষয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত।

পীর, দরবেশ, স্কলার, দল, মতবাদ অনুসরণ করাঃ
আল্লাহ বলেছেনঃ
তারা তাদের পন্ডিত ও সংসার-বিরাগীদিগকে তাদের পালনকর্তারূপে গ্রহণ করেছে... (৯:৩১)

যদিও আল্লাহ ইহুদি এবং খৃস্টানদের সম্পর্কে এই কথা বলেছেন, এই কথা এখন আমাদের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রযোজ্য। স্বীকার করেন অথবা নাই করেন আমরা আল্লাহর বানীর চেয়ে বুখারি, মুসলিম, বিভিন্ন ইমাম, মাযহাব, কিতাব এইসবকে বেশি প্রাধান্য দেই। উদাহরণ? এই ব্লগেই পাবেন। শুধুমাত্র দেখার মত চোখ থাকলেই হয়।

সারমর্মঃ
১। আল্লাহ মানুষকে নিজস্ব চিন্তা, বিচার, বুদ্ধি ব্যবাহার করতে বলেছেন, এবং এই বিষয়ে সুন্দর উদাহরণও দিয়েছেন (৮:২২, ২৫:৪৪, ৬:৭৬-৭৭)
২। যে বিষয়ে আপনার কোন জ্ঞান নেই সেই বিষয় করতে বা অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন (১৭:৩৬)
৩। বাপ দাদাদের অন্ধভাবে, কোন যুক্তি, কারন ছাড়া অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন। যাই করবেন, জেনে, বুঝে করবেন। (২:১৭০, ৫:১০৪, ৬:১৪৮, ৭:২৮, ৪৩:২২-২৩)
৪। শুধু বেশিরভাগ মানুষ কোন কাজ করে বলেই তা অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন, আপনি আপনার নিজের বিবেক বুদ্ধি ব্যবহার করবেন এবং আপনি তখনি সেই কাজ করবেন যখন আপনি বুঝবেন আল্লাহ এইরকম বলেছেন। (৬:১১৬)
৫। কোন পীর, দরবেশ, ইমাম, স্কলারদের অন্ধ অনুসরণ করা যাবেনা। তারা যা বলেছেন তা যদি আল্লাহর কথা হয়, তবে অনুসরণ করবেন, যদি না হয় তবে করবেন না। (৯:৩১)। যদি করেন তবে কোরআনের ৯:৩১ আয়াত আপনার জন্যও প্রযোজ্য।


(*ধর্মঃ আমি এইখানে ধর্ম বলতে দ্বীন বুঝিয়েছি, যদিও দুইটা সম্পূর্ণ দুই জিনিষ, যেহেতু আরবী শব্দ দ্বীনের সঠিক বাংলা বা ইংলিশ অর্থ নাই, সেহেতু দ্বীনের ক্ষেত্রে আমি ধর্ম শব্দ ব্যবহার করেছি। প্রচলিত অর্থে ধর্ম বলতে যা বুঝায় ইসলাম সেই রকম কোন ধর্ম না, বরং যখন কোরআনে ধর্ম শব্দটা এসেছে, তা অনেকটা নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। যাই হোক, শব্দের অভাবের কারনে দ্বীন কে ধর্ম হিসাবে বুঝিয়েছি।)
অনেক














সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৪৫
৭টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×