(কিছুদিন আগে সামু ব্লগের মাধ্যমে dw তে একটা লেখা দেখেছিলাম যার শিরোনাম ছিল " ৯০% নারী তিন তালাকের বিপক্ষে। এই প্রেক্ষিতেই আমার এই লেখার প্রয়াস)
ভুমিকাঃ
তালাক নিয়ে লেখার কোন উদ্দেশ্য আমার ছিলনা। আমি কোন স্কলার না। আমি আর দশজন মানুষের মতই কোরআন পড়ি, তবে পার্থক্য হচ্ছে যা পড়ি তা বুঝে পড়ার চেষ্টা করি। তালাক নিয়ে যাদের কথা বলা উচিত বা এই সম্পর্কিত গাইডলাইন যাদের বানানো উচিত তারা হচ্ছেন ইসলামিক স্কলার। এই দায়িত্ব তাদের, আমার না। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা শরিয়া আইন বানিয়েছেন এবং এর মধ্যে তালাকের বিধান ও আছে। আমি তালাক সম্পর্কিত শরিয়া আইন সরাসরি পড়িনি। যতটুকু জানি তা কিছু বই পুস্তক এবং লোক মুখে থেকে শোনা। এই জ্ঞান নিয়ে আর যাই হোক তালাক সংক্রান্ত শরিয়া আইন নিয়ে কথা বলা ঠিক না। আমার উদ্দেশ্যও তা না। আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে এই তালাক সংক্রান্ত আল্লাহর আইন মানুষকে জানানো। কোরআনে আল্লাহ বিস্তারিত ভাবে তালাকের বিবরন দিয়েছেন। এই ব্যপারে কোরআনের ভাষা খুব পরিষ্কার। সেইজন্য যে কেউ খোলা মন নিয়ে কোরআনের তালাক সম্পর্কিত বিধানগুলি পড়লে নিজেই বুঝতে পারবেন। আমার লেখার উদ্দেশ্য সে বিধান গুলি বর্ণনা করা এবং কোরআনের আলোকে দেখা আল্লাহ আমাদের এই সম্পর্কে কি বলেছেন।
মানুষ ভুল করবে এটাই স্বভাবিক, আমি ভুলের উর্ধে নই। সুতরাং আমার লেখার কোথাও ভুল হলে দয়া করে কি কারনে ভুল হয়েছে তা দেখিয়ে দিবেন। দয়া করে গালাগালি বা ব্যক্তিগত কোন আক্রমণ করবেন না। আমি এখানে কোরআনের রেফারেন্স দিয়ে কথা বলব, সেক্ষেত্রে আপনার বিশ্বাসের বিপরীত হলে আমার কিছু করার নেই। দয়া করে নিজের প্রচলিত বিশ্বাস কে কোরআন দিয়ে জাস্টিফাই করবেন না বরং সঠিক কাজ হচ্ছে কোরআন দিয়ে নিজের বিশ্বাসকে ঠিক করা। ব্লগে আমার বিচিত্র অভিজ্ঞতার কারনেই এই ভূমিকাটা লিখতে হয়েছে।
একটি বিশেষ ঘোষণাঃ
এই লেখাটা তাদের জন্য যারা বিশ্বাস করেন কোরআন আল্লাহর বানী এবং এই বানী অলঙ্ঘনীয়। এটা তাদের জন্য যারা বিশ্বাস করেন মানুষের তৈরি কোন বিধান, প্রচলিত বিশ্বাস, কোন পীর, আলেম, মুফতি সে যাই হোকনা কেন কোরআনের কোন বিধান কে রহিত করতে পারেনা, এবং যারা নিজেদের প্রচলিত বিশ্বাসের বাইরে গিয়ে যুক্তির মাধ্যমে চিন্তা করতে পারেন। কোন অন্ধ অনুসারির জন্য আমার এই লেখা না।
দাম্পত্য কলহঃ
১. অ- ইচ্ছাকৃত ভাবে শপথ (Unintentional swearing), রাগ/ প্রচণ্ড রাগ অথবা এই সব অবস্থায় প্রযোজ্য নয়ঃ
ক। আল্লাহ বলেছেনঃ “Allah does not impose blame upon you for what is unintentional in your oaths, but He imposes blame upon you for what your hearts have earned. And Allah is Forgiving and Forbearing”(২ঃ২২৫)
এই আয়াতের কোন ব্যখার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।
খ। সম্পর্ক যখন খারাপের দিকে মোড় নেয়, তখন রাগের মাথায় স্বামী তার স্ত্রীকে অনেক কথা বলতে পারে, গালাগালিও করতে পারে, যার জন্য হয়ত পরে সে অনুতপ্ত হয়। রাগের মাথায় স্ত্রীকে “মা” বলতে পারে (আরবদের মাঝে প্রচলিত), যার জন্য পরে সে অনুতপ্ত হয়। এই রকম রাগের মাথায় স্ত্রী কে বিভিন্ন নামে ডাকা কে বলা হয় “যিহার”। আল্লাহ বলেছেনঃ
“আল্লাহ কোন মানুষের মধ্যে দুটি হৃদয় স্থাপন করেননি। তোমাদের স্ত্রীগণ যাদের সাথে তোমরা যিহার কর, তাদেরকে তোমাদের জননী করেননি এবং তোমাদের পোষ্যপুত্রদেরকে তোমাদের পুত্র করেননি। এগুলো তোমাদের মুখের কথা মাত্র। আল্লাহ ন্যায় কথা বলেন এবং পথ প্রদর্শন করেন”।(৩৩:৪)
“তোমাদের মধ্যে যারা তাদের স্ত্রীগণকে মাতা বলে ফেলে, তাদের স্ত্রীগণ তাদের মাতা নয়। তাদের মাতা কেবল তারাই, যারা তাদেরকে জন্মদান করেছে। তারা তো অসমীচীন ও ভিত্তিহীন কথাই বলে। নিশ্চয় আল্লাহ মার্জনাকারী, ক্ষমাশীল”।(৫৮:২)
আল্লাহ এই ধরনের কথা বার্তা বা রাগের মাথায় স্ত্রীকে এইধরনের নামে ডাকা অনুৎসাহিত করেছেন, এবং নিচের আয়াতে বিধান দিয়েছেন যাতে করে এই ধরনের কথা বার্তার দ্বারা স্বমী স্ত্রীর মধ্যে কোন রকম বিচ্ছেদ না ঘটে।
“যারা তাদের স্ত্রীগণকে মাতা বলে ফেলে, অতঃপর নিজেদের উক্তি প্রত্যাহার করে, তাদের কাফফারা এই একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একটি দাসকে মুক্তি দিবে। এটা তোমাদের জন্যে উপদেশ হবে। আল্লাহ খবর রাখেন তোমরা যা কর। যার এ সামর্থ্য নেই, সে একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একাদিক্রমে দুই মাস রোযা রাখবে। যে এতেও অক্ষম হয় সে ষাট জন মিসকীনকে আহার করাবে। এটা এজন্যে, যাতে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর। এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত শাস্তি। আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণা দায়ক আযাব”। (৫৮ঃ৩-৪)
সুতরাং অ-ইচ্ছাকৃত শপথ, রাগ বা রাগের মাথায় স্ত্রীকে কিছু বললেই সেটা কার্যকর হবে না। কোরআনের ২:২২৫, ৩৩:৪, ৫৮:২-৪) এই আয়াতগুলি দিয়ে এটা স্পষ্ট। রাগের মাথায় অ- ইচ্ছাকৃত ভাবে তালাক দিলে তালাক হবে না। এটাই আল্লাহর বিধান।
২। ইচ্ছাকৃত শপথ এবং পরে অনুতপ্ত হলেঃ
এই ক্ষেত্রে আল্লাহ বলেছেনঃ
“আর নিজেদের শপথের জন্য আল্লাহর নামকে লক্ষ্যবস্তু বানিও না মানুষের সাথে কোন আচার আচরণ থেকে পরহেযগারী থেকে (And do not make (your oath by) Allah an excuse against being righteous) এবং মানুষের মাঝে মীমাংসা করে দেয়া থেকে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্যে। আল্লাহ সবকিছুই শুনেন ও জানেন”। (২ঃ২২৪)
“যারা নিজেদের স্ত্রীদের নিকট গমন করবেনা বলে কসম খেয়ে বসে তাদের জন্য চার মাসের অবকাশ রয়েছে অতঃপর যদি পারস্পরিক মিল-মিশ করে নেয়, তবে আল্লাহ ক্ষামাকারী দয়ালু। (২ঃ২২৬)
এই আয়াতগুলির সারমর্ম করলে যা দাড়ায়ঃ
ক। আপনি শুধুমাত্র শপথ নিয়েছেন বলেই বাধ্যতামূলক ভাবে স্ত্রীর কাছথেকে দূরে থকবেন তা নয়, অর্থাৎ আপনি আপনার স্ত্রীর কাছে গমনের ব্যপারে আল্লাহর কাছে করা আপনার শপথকে প্রতিবন্ধকতা মনে করবেন না। এই ক্ষেত্রে আল্লাহ আপনাকে অপরাধী করবেন না।
খ। যদি আপনি স্ব-ইচ্ছায় এই ধরনের শপথ করেন এবং এতে অটুট থাকেন, তবে আপনাকে ৪ মাসের সময় দেওয়া হয়েছে আপনার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য। এই সময়ের মধ্যে আপনি যে কোন সময়ে আপনি সিদ্বান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারবেন এবং স্ত্রীর নিকট গমন করতে পারবেন।
গ। যদি এই চার মাসেও আপনি সিদ্ধন্তে অটল থাকেন, তবে তালাকের প্রসেস শুরু হবে।
তালাকঃ
“And if they decide on divorce - then indeed, Allah is Hearing and Knowing” (২ঃ২২৭)
তালাকের অর্থঃ
তালাকের অর্থ হচ্ছে মুক্ত করা। সাধারন ভাবে তালাক বলেতে বোঝায় বিবাহ বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়া। (এই শব্দটা মেয়ে উটের ক্ষেত্রে ব্যবহার কারা হত, যখন চার পায়ের বাধন থেকে মুক্ত করা হত বা বাধন আলগা করে দেয়া হত)
তালাকঃ ঘোষণা (Declaration) নাকি একটি প্রক্রিয়াঃ
অনেকে তালাক বলতে শুধু মুখে উচ্চারণ/ ঘোষণা করা বোঝেন। কিন্তু কোরআনের আয়াতের অর্থ অনুযায়ী তালাক দ্বারা বিবাহ বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া কেই বোঝায়, শুধুমাত্র মুখে উচ্চারণ করাকেই বা ঘোষণা করাকেই বুঝায় না। এর কারন নিম্নরূপঃ
১। কোরআনের আয়াত (২:২২৪-২:২২৬) যা উপরে বর্ণনা করা আছে, দ্বারা বোঝায় যে ন্যায়ের পথে বাধা হয়ে দড়ায় এই ধরনের কোন শপথ ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত পালনে কোন রকমের বাধ্যবাধকতা নেই, বরং কোন শপথ যদি ন্যায় প্রতিষ্ঠার অন্তরায় হয়, তবে সেই শপথ ভাংলে আল্লাহ আমাদের কে দায়ী করবেন না। সুতরাং মুখে শুধুমাত্র এই ধরনের শপথের দরুন নিজের বা স্ত্রীর উপর অন্যায় হতে পারে যা কোন ভাবে কাম্য নয়। এইটা পরিষ্কার।
২। তালকের অর্থ মুক্ত করা বা মুক্ত হওয়া যা আগেই বলেছি। এখন এই মুক্ত হওয়া মানে হচ্ছে যে মুক্ত হওয়ার পর আপনি যেকোন জায়গায় চলে যেতে পারেন কারন আপনি মুক্ত। কিন্তু তালাক মানে শুধু মুখে উচ্চারণ/ ঘোষণা (Just Declaration ) এই কথার কোন অর্থ বহন করেনা এই কারনে যে কোরআনের বিধান অনুযায়ী, মুখে তালাক উচ্চারনের পরে ঐ নারী মুক্ত হয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে পারেনা। তালকের ঘোষণা করার পরও ঐ ঘরে নারীর একটা নিদৃস্ট সময় (ইদ্দাহ) পর্যন্ত থাকার বাধ্যবাধকতা আছে, বন্দী হিসাবে নয় স্বাভাবিক ভাবে। (যদি না সে কোন অনৈতিক কাজ বা ব্যভিচার করে)। তালাক বলার পরই স্বামী এবং স্ত্রী উভয়েই কেউ কারো থেকে ইদ্দাহ পর্যন্ত মুক্ত নয়। কোরআনের ২:২২৮, ৬৫:১, ৬৫:৬ আয়াত অনুযায়ী ঐ ইদ্দাহ সময়কাল পর্যন্ত নারী স্বমীর ঘর ছেড়ে চলে যেতে পারবেনা এবং আবার অন্যকাউকে বিয়েও করতে পারবেনা। সুতরাং কোন স্ত্রী শুধুমাত্র স্বামী কতৃক তালাক শব্দ উচ্চারণ করলেই তালাক বা মুক্ত হয় না।
৩। স্ত্রী তার তিন menstrual cycles পর্যন্ত তার স্বামীর ঘরে থাকবে। (ব্যতিক্রম আছে সেটা পরে বলছি) এবং এই সময়ের মধ্যে স্বামী তাকে যেকোন সময়ে ফিরিয়ে নিতে পারেন কোন রকম সাক্ষী ছাড়াই। কোরআনে কোথাও বলা নাই যে ইদ্দাহ সময়কালে স্ত্রীকে তার স্বামী থেকে পর্দা করতে হবে। সুতরাং যদি তারা ইদ্দাহ সময়েএকইসাথে একই গৃহে বাস করে, এবং এর মধ্যে যে কোন সময় নিজেদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে কোন সাক্ষী ছাড়াই, এবং তাদের নিজেদের মধ্যে কোন পর্দা করতে না হয় ( দেখুন ২৪:৩১) , তাহলে এইটা বলাই যুক্তি সংগত যে তারা এখনও বিবাহিত, কিন্তু তারা একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটা নিদৃস্ট সময় অতিবাহিত করছে যার শেষ হচ্ছে তালাক।
৪। কোরআনের ২:২২৮ নাম্বার আয়াতে যেখানে স্বমী তার স্ত্রীকে ইদ্দাহকালে ফিরিয়ে নিতে পারে সেখানে কোথাও দুইজন সাক্ষীর কথা বলা হয়নি , কিন্তু কোরআনের ৬৫:২ নম্বর আয়াতে দুইজন সাক্ষীর কথা বলা আছে যা ইদ্দাহকালের পরে যখন তালাক এফেক্টিভ হবে তখন।
৫। কোরআনে ২:২২৮ নম্বর আয়াতে যেখানে স্বামী তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারেন (from the process of divorce) এর পরিভাষা এবং ২:২২৯, ৬৫:২ স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ার পরিভাষা (at the end of the process of divorce) একই অর্থে ব্যবহার করা হয়নি। আবার, ২:২২৮ অনুযায়ী স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যপারে বলা হয়েছে, চলে যাবার ব্যপারে কিছু বলেনি যা বলা হয়েছে ২:২২৯, ৬৫:২ এ, এর কারন স্ত্রী ইদ্দাহ কালের সময় পর্যন্ত সত্যিকার অর্থে তালাক প্রাপ্ত হিসাবে গন্য হয়না, শুধু মাত্র একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যায়।
সুতরাং শুধুমাত্র কোন মৌখিক উচ্চারণ/ঘোষণা দিয়েই তালাক হয়না, বরং এটা একটা প্রক্রিয়া এবং এই প্রক্রিয়ার শেষ হচ্ছে তালাক।
তালাকের প্রক্রিয়া (Process of Divorce)
এইখানে তিন তালাক বিষয়ে একটা ভুল ধারনার অবসান ঘঠানো উচিৎ। সমাজে প্রচলিত (ফিকহ কনসেপ্ট) আছে একসাথে তিন তালাক দিলে বা উচ্চারন করলে স্ত্রী স্বামীর জন্য হারাম হয়ে যায়। আমি আগেই বলেছি এবং দেখিয়েছি যে তালাক একটা প্রক্রিয়া, শুধুমাত্র ঘোষণা নয়। কোরআন অনুযায়ী একজন স্বামী তার স্ত্রীকে সারা জীবনে তিন বার তালাক দিতে পারবে, এবং প্রথম দুইবার ইদ্দত কালীন সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে নিতে পারবে এবং ইদ্দতকালীন সময়ের পরে পুনরায় স্বভাবিক ভাবে বিবাহ করতে পারবে। তৃতীয়বারের তালাক দেওয়ার পর, ইদ্দত কাল পার হলে, অর্থাৎ তালাক এফেক্টিভ হলে সে ঐ স্ত্রীকে আবার বিবাহ করতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত কোরআনের ২:২৩০ আয়াতে বর্ণিত শর্ত পূরণ হয়।
১। ইসলামিক অথরিটি বা ইসলামিক কোর্টের ভূমিকাঃ আল্লাহ এই তালাকের মিমাংসা কোন একক ব্যক্তি বিশেষের উপর ছেড়ে দেননি, কোরআনের আয়াত অনুযায়ী কোন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের পরিস্থিতি সৃস্টি হলে সরকার অর্থাৎ কোর্টের হস্তক্ষেপ আবশ্যকীয়।
আল্লাহ বলেছেনঃ
"যদি তাদের মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ হওয়ার মত পরিস্থিতিরই আশঙ্কা কর, তবে স্বামীর পরিবার থেকে একজন এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন সালিস নিযুক্ত করবে। তারা উভয়ের মীমাংসা চাইলে আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছু অবহিত"।(৪:৩৫)
এই আয়াতের দিকে একটু লক্ষ্য করেন। আল্লাহ কাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন? এখানে স্বামী, স্ত্রী বা কোন সালিসী কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন না, বলছেন কোন অথরিটি /ইসলামিক অথরিটির কথা অর্থাৎ ইসলামিক কোর্টের কথা।
এখন এই দুইজন নিযুক্ত সালিসী যদি স্বামী এবং স্ত্রীকে মিলে মিশে থাকার জন্য বোঝাতে পারেন তা হলে ভাল, আর তা না হলে কোর্টের কাছে রিপোর্ট করতে হবে। কোর্ট তখন সিদ্ধান্ত নিবে তালাকের কন্ডিশন কি কি হবে। যখন নবী জীবিত ছিলেন, তখন তিনিই ছিলেন এই ধরনের কোর্টের বিচারক।
আল্লাহ বলেছেনঃ
“হে নবী, তোমরা যখন স্ত্রীদেরকে তালাক দিতে চাও, তখন তাদেরকে তালাক দিয়ো ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখে এবং ইদ্দত গণনা করো। তোমরা তোমাদের পালনকর্তা আল্লাহকে ভয় করো। তাদেরকে তাদের গৃহ থেকে বহিস্কার করো না এবং তারাও যেন বের না হয় যদি না তারা কোন সুস্পষ্ট নির্লজ্জ কাজে লিপ্ত হয়। এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে ব্যক্তি আল্লাহর সীমালংঘন করে, সে নিজেরই অনিষ্ট করে। সে জানে না, হয়তো আল্লাহ এই তালাকের পর কোন নতুন উপায় করে দেবেন” (৬৫:১)
এই আয়াত দ্বারা আল্লাহ নবীকে তালাক এফেক্টিভ করার আদেশ দিচ্ছেন। (নবী তার স্ত্রীগনকে তালাক দেননি)। এখানে নবীকে বিশ্বাসীদের বিবাহ বিচ্ছেদের কেসের মীমাংসা করতে বলা হয়েছে। কোরআনের ৪:৫৯ দ্বারা বিশ্বাসীদের কোন ধরনের মতবিরোধ নিস্পত্তির জন্য আল্লাহ এবং রাসুল্লের কাছে যেতে বলা হয়েছে। কোরআনের ৪:৬৫ আয়াত দ্বারাও একই কথা বলা হয়েছে।
"O you who have believed, obey Allah and obey the Messenger and those in authority among you. And if you disagree over anything, refer it to Allah and the Messenger, if you should believe in Allah and the Last Day. That is the best (way) and best in result" (4:59)
"But no, by your Lord, they will not [truly] believe until they make you, (O Muhammad), judge concerning that over which they dispute among themselves and then find within themselves no discomfort from what you have judged and submit in [full, willing] submission" (4:65)
এখন আমরা ৬৫:১ এ লক্ষ্য করলে দেখতে পাব যে শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে তা হচ্ছে “ তালাকুম”- যা বহুবচন। এর অর্থ হচ্ছে নবীর উপস্থিতিতেই শুধু কোন ব্যপারে মীমাংসা হবে তা না, বরং নবীর অবর্তমানে বা যদি নবী কাছে না থাকে তবে যাকে অথরিটি দেওয়া হবে অথবা যার এই অথরিটি আছে (মোল্লা না) সে এই ব্যপারে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারবে যা ৪:৫৯ এ বলা আছে। সাধারন ভাবে, সেই অথরিটি হচ্ছে ইসলামিক কোর্ট। এই খান থেকে এই বিষয়ে পরিষ্কার যে এই তালাকের ক্ষেত্রে ইসলামিক অথরিটি বা ইসলামিক কোর্টের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত । এখন এই কোর্ট তার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে এবং এই ঘোষণা থকেই ইদ্দাহ সময়কাল গণনা শুরু হবে।
২। ইদ্দাহ কালঃ
সাধারনভাবে ইদ্দাহ হচ্ছে তালাকের ঘোষণা থেকে তালাক ইফেক্টিভ হওয়া পর্যন্ত সময়কাল।
ক। সধারন ভাবে ইদ্দাহর সময়কাল হচ্ছে তিন menstrual cycles (২:২২৮)
খ। যাদের শারীরিক সমস্যা বা বয়সের কারনে menstruation হয়না তাদের জন্য তিন মাস।(৬৫:৪)
গ। যাদের বিবাহ consummate হয়নি তাদের জন্য কোন ইদ্দতকাল নেই। (৩৩:৪৯)
ঘ। গর্ভবতীদের জন্য ইদ্দতকাল ডেলিভারি পর্যন্ত (৬৫:৪)
ঙ। বিধবাদের(তালাক প্রাপ্তা নয়) জন্য ইদ্দতকাল ৪ মাস দশ দিন (২:২৩৪) (এটা এখানে কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক)
৩। ইদ্দাহকালীন সময়ঃ
আল্লাহ বলেছেন,
“আর তালাকপ্রাপ্তা নারী নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন হায়েয পর্যন্ত। আর যদি সে আল্লাহর প্রতি এবং আখেরাত দিবসের উপর ঈমানদার হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহ যা তার জরায়ুতে সৃষ্টি করেছেন তা লুকিয়ে রাখা জায়েজ নয়। আর যদি সদ্ভাব রেখে চলতে চায়, তাহলে তাদেরকে ফিরিয়ে নেবার অধিকার তাদের স্বামীরা সংরক্ষণ করে। আর পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের উপর অধিকার রয়েছে, তেমনি ভাবে স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে পুরুষদের উপর নিয়ম অনুযায়ী। আর নারীরদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে (But the men have a degree over them)। আর আল্লাহ হচ্ছে পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ”।(২:২২৮)
অর্থাৎ, যখন কোন দম্পতি এই ভাবে বিধান অনুযায়ী তালাকের প্রক্রিয়া শুরূ করবে, সাধারনভাবে তাদের কে তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে (ব্যতিক্রম আগের প্যারায় বলেছি)। এই সময় ঐ স্ত্রী/মহিলা/নারী অন্য কোথাও বিবাহ করতে পারবে না। কিন্তু তারা যদি পরস্পর সম্মত হয় এবং ভুল বুজতে পারে তবে স্বামী/পুরুষ তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেবার অধিকার রাখে। এতে কোন রকম সমস্যা নেই। ইদ্দত কালীন সময়ে নারী অন্য জায়গায় বিবাহ করতে পারেনা, কিন্তু পুরষের ক্ষেত্রে এই ধরনের বাধ্যবাধকতা নেই। এই জন্যই আল্লাহ বলেছেন But the men have a degree over them। (এইখানে বাংলা অনুবাদে “নারীরদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে”- এই অনুবাদটা ভুল এবং এটা দ্বারা ভুল ব্যাখা করা হয়।)
৪। প্রথম ত্বালাকঃ
যদি কোন দম্পতি ইদ্দাহ কালীন সময়ের মধ্যে উভয়ের সম্মতি ক্রমে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করে, এবং ইদ্দাহ কালীন সময় শেষ হয় দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে, সেই ক্ষেত্রে তালাক কার্যকর হবে এবং ঐ তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী স্বাধীন ভাবে যেখানে খুশি চলে যেতে পারবে, এবং অন্য কোন পুরুষ কে বিবাহ করতে পারবে। এইটাকেই বলা হয় প্রথম তালাক।এইক্ষেত্রে অবশ্যয় মনে রাখতে হবে যে, এই প্রথম তালাক কার্যকর হবার পর পূর্বের স্বামী বা স্ত্রী আবার পরস্পরের সম্মতিতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বিবাহ করতে পারবেন। এতে কোন বাধা নাই।
৫। দ্বিতীয় ত্বালাকঃ
প্রথম ত্বালাকের পর যদি তারা আবার বিবাহ করে এবং আবার কোন কারনে বিবাহ ফলপ্রসূ না হয় তবে তারা আবার উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি অনুসরণ করে তালাক দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে পূর্বের সকল নিয়ম, প্রসেস মেনে করতে হবে। এর পরে আবার সেই ইদ্দাহ কালীন সময়ের পরে তালাক কার্যকর হলে একে বলা হয় দ্বিতীয় ত্বালাক।এই দ্বিতীয় তালাক কার্যকর হবার পর পূর্বের স্বামী বা স্ত্রী আবার পরস্পরের সম্মতিতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বিবাহ করতে পারবেন। এতে কোন বাধা নাই।
৬। তৃতীয় তালাকঃ
দ্বিতীয় তালাকের পর যদি বিবাহ করে এবং আবার কোন কারনে বিবাহ ফলপ্রসূ না হয় তবে তারা আবার উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি অনুসরণ করে তালাক দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে পূর্বের সকল নিয়ম, প্রসেস মেনে করতে হবে। এর পরে আবার সেই ইদ্দাহ কালীন সময়ের পরে তালাক কার্যকর হলে একে বলা হয় তৃতীয় তালাক। এই তৃতীয় তালাকের পর তারা আর বিবাহ করতে পারবে না যতক্ষণ ২:২৩০ এর শর্ত পূরণ না হয়। কোরআনের ২:২২৯ এ এই কথাই বলা হয়েছে।
“তালাক দুইবার; অতঃপর (স্ত্রীকে) হয় বিহিতভাবে রাখতে হবে। অথবা সৎভাবে পরিত্যাগ করতে হবে এবং যদি উভয়ে আশঙ্কা করে যে, তারা আল্লাহর সীমা স্থির রাখতে পারবে না, তবে তোমরা তাদেরকে যা প্রদান করেছ তা হতে কিছু প্রতিগ্রহন করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়; অনন্তর তোমরা যদি আশঙ্কা কর যে তারা আল্লাহর সীমা ঠিক রাখতে পারবে না, সে অবস্থায় স্ত্রী নিজের মুক্তি লাভের জন্য কিছু বিনিময় দিলে তাতে উভয়ের কোন দোষ নেই, এইগুলি হচ্ছে আল্লাহর সীমা সমূহ এতএব তা অতিক্রম করোনা এবং যারা আল্লাহর সীমা অতিক্রম করে, বস্তুত তারাই অত্যচারী”। (২:২২৯)
"তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কক্তৃক নির্ধারিত সীমা; যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়"।(২ঃ২৩০)
(সমাজে প্রচলিত হিল্লা বিবাহের সাথে কোরআনে বর্ণিত ২:২৩০ এর কোন মিল নেই। হিল্লা বলে কোরআনে কোন শব্দ বা কনসেপ্ট নেই। যারা আল্লাহর আইনেরর নামে হিল্লা বিবাহের প্রচলন করেছেন, তারা আল্লাহর আইনকে তামাশার বস্তুতে পরিণত করেছেন। তাদের উপর আল্লাহর অভিশাপ পড়ুক।)
তালাক সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিধানঃ
১। কোন রকম খারাপ উদ্দেশ্য গ্রহণযোগ্য নয়ঃ
যখন কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে তালাক দেবে, সেই ক্ষেত্রে আল্লাহ বলছেনঃ
ক। তাদেরকে কোন রকম ক্ষতি বা বিপদে ফেলার জন্য যাতে রাখা না হয় (২:২৩১)
খ। যদি কোন নারী তালাকের পরে তার আগের স্বামীকে বিবাহ করতে চায়, এবং এতে যদি উভয়ের সম্মতি থাকে, তবে এতে কোন রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। (২:৩২)
গ। তালাক কার্যকর হবার পর, নারীকে তার ইচছার বিরুদ্ধে আটকিয়ে রাখা যাবে না, এবং যেখানে যেতে চায় কোন বাধা দেওয়া যাবে না। (২:২৩১)
ঘ। তালাকের প্রক্রিয়া হালকা ভাবে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। (২:২৩১)
২। মোহর সংক্রান্ত বিধানঃ
ক।যদি স্বামী তালাক দিতে চায়, তবে স্ত্রীকে মোহরের কোন কিছুই ফেরত দিতে হবে না। (৪:২০)
খ। মোহর নির্ধারণ করা হয়েছে, কিন্তু বিবাহ এফেক্টিভ হয় নাই (no sexual intercourse has taken place yet), -সেই ক্ষেত্রে স্বামী নির্ধারিত মোহরেরে অর্ধেক দিবে। যদিও স্ত্রী এবং তার সালিশি (৪:৩৫, উপরে দেখুন) চাইলে কিছু ক্ষমা করে দিতে পারে, আবার স্বামী চাইলে সম্পূর্ণ মোহরও দিতে পারে। (২:২৩৭)
গ। মোহর নির্ধারণ করা হয় নাই, এবং বিবাহ এফেক্টিভ হয় নাই- এই ক্ষেত্রে স্বামী তার সাধ্য অনুসারে মোহর প্রদান করবে। (২:২৩৬)
ঘ। যদি তালাকের কারন স্ত্রীর খারাপ আচরণের(lewd behaviour)জন্য হয়, তবে স্বামী ধার্যকৃত মোহর থেকে কিছু ফিরিয়ে নিতে পারবে। কোর্ট এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিবে। (৪:১৯)
ঙ। যদি স্ত্রী তালাক দিতে চায়, তবে স্ত্রীও মোহরেরে কিছু অংশ ছেড়ে দিতে হতে পারে। এইটাও কোর্ট সিদ্ধান্ত নিবে। (২:২২৯)
৩। নারীদের তালাক দেওয়ার অধিকারঃ
প্রচলিত মত (ফিকহ/শরিয়া)অনুযায়ী নারীরা পুরুষকে তালাক দিতে পারেনা। নারী শুধু পুরুষের কাছে তালাক চাইতে পারে কিছু সম্পদের বিনিময়ে। একে বালা হয় “খোলা তালাক”। এই ধরনের কোন শব্দ বা ধারণা কোরআনে নেই। এইটা মানুষের বানানো আইন যার মাধ্যমে নারীকে নির্যাতিত করা হয়। আল্লাহর আইনে নারী কোর্টে (কোর্টের ব্যাখা এবং স্বরুপ উপরে দিয়েছি) যেতে পারে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করতে পারে এবং চাইলে তালাকের আবেদন করতে পারে।
“যে নারী তার স্বামীর বিষয়ে আপনার সাথে বাদানুবাদ করছে এবং অভিযোগ পেশ করছে আল্লাহর দরবারে, আল্লাহ তার কথা শুনেছেন। আল্লাহ আপনাদের উভয়ের কথাবার্তা শুনেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু শুনেন, সবকিছু দেখেন”।(৫৮:১)
৪।ইদ্দাহকালীন সময়ে এবং তালাকের পর উভয়ের অধিকারঃ
এই সম্পর্কে মুলত ৬৫:৬-৭ এ বলা হয়েছে।
ক। ইদ্দাহ কালীন সময়ে স্ত্রী স্বাভাবিক ভাবেই ঘরে থাকবে, যদি না কোন অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। (৬৫:১)
খ। যদি সিচুয়েশণের কারন ইদ্দাহ কালীন সময়ে স্ত্রীর ঘরে থাকার পরিবেশ না থাকে তা হলে সে অন্য স্থানে থাকতে পারবে। এটা আমি কোরআন পড়ে যতটুকু বুঝেছি, সে প্রেক্ষিতে বলছি। আমার এই কথার বলার কারন হল সাধ্যের অতিরিক্ত কোন কিছু আল্লাহ কারো উপরে চাপিয়ে দেন না এবং কোরআনের ৪:১৩০ আয়াত অনুযায়ী।
গ। ইদ্দাহকালীন সময়ে ঐ স্ত্রী অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারবেনা, কিন্তু বিয়ের কথা বার্তা হতে কোন সমস্যা নেই। (২:২২৩৫)
ঘ। তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যেরূপ গৃহে বাস কর, তাদেরকেও বসবাসের জন্যে সেরূপ গৃহ দাও। (৬৫:৬)
ঙ। তাদেরকে কষ্ট দিয়ে সংকটাপন্ন করো না।(৬৫:৬)
চ। যদি তারা গর্ভবতী হয়, তবে সন্তানপ্রসব পর্যন্ত তাদের ব্যয়ভার বহন করবে।(৬৫:৬)
ছ। যদি তারা তোমাদের সন্তানদেরকে স্তন্যদান করে, তবে তাদেরকে প্রাপ্য পারিশ্রমিক দেবে এবং এ সম্পর্কে পরস্পর সংযতভাবে পরামর্শ করবে (৬৫:৬)
জ। তোমরা যদি পরস্পর জেদ কর, তবে অন্য নারী স্তন্যদান করবে।(৬৫:৬)
ঝ। বিত্তশালী ব্যক্তি তার বিত্ত অনুযায়ী ব্যয় করবে। যে ব্যক্তি সীমিত পরিমাণে রিযিকপ্রাপ্ত, সে আল্লাহ যা দিয়েছেন, তা থেকে ব্যয় করবে। আল্লাহ যাকে যা দিয়েছেন, তদপেক্ষা বেশী ব্যয় করার আদেশ কাউকে করেন না। আল্লাহ কষ্টের পর সুখ দেবেন। (৬৫:৭)
ঞ। তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী গণের জন্য গ্রহণযোগ্য খরচ দিতে হবে।( উভয়ের সম্মতি ক্রমে অথবা কোর্টের মধ্যস্থতার মাধ্যমে।) (২:২৪১)
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



