যেদিন আমি এই পৃথিবীর থেকে চলে যাব হে শঙ্খমালা
অপরিসীম নক্ষত্র তুমি বিছিয়ে দিও আকাশে
পৃথিবীর অন্ধকার সমতলতা ঘিরে যুগান্তের লুপ্ত মানবীদের মতো
কয়েকটি নির্জন নক্ষত্র ----
এর চেয়ে গভীর জিনিস কী আর থাকতে পারে
কী আর থাকতে পারে শঙ্খমালা ?
আর আমার বিছানা করে দিও সবুজ ঘাসের দেশের ছবির ভেতর
ধানসিড়ি নদীর জলের গন্ধের কাছে
এই বাংলায় ..........
( সারাদিন ট্রাম বাস / জীবনানন্দ দাশ )
...............................................................................................
আমাকে দেখিয়েছিলে তুমি একদিন
মস্তো বড় ময়দান ....... দেবদারু পামের নিবিড় মাথা মাইলের
পর মাইল
দুপুরবেলার জনবিরল গভীর বাতাস
দূর শূন্যে চিলের পাটকিলে ডানার ভেতর অস্পস্ট হয়ে হারিয়ে যায়
জোয়ারের মতো ফিরে আসে আবার
জানালায় জানালায় অনেকক্ষন ধরে কথা বলে
পৃথিবীকে মায়াবীর নদীর পাড়ের দেশ বলে মনে হয়
( আমাকে তুমি )
.............................................................................................
আমার হৃদয় পৃথিবী ছিড়ে উড়ে গেল
নীল হাওয়ার সমুদ্রে স্ফীত মাতাল বেলুনের মতো গেল উড়ে
একটা দূর নক্ষত্রের মাস্তলকে তারায় তারায় উড়িয়ে নিয়ে চললো
একটা দূরন্ত শকুনের মতো
( হাওয়ার রাত)
.................................................................................................
শোনা গেল লাশকাটা ঘরে
নিয়ে গেছে তারে
কাল রাতে , ফাল্গুনের রাতের আধাঁরে
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ
মরিবার হলো তার সাধ
( আট বছর আগের একদিন )
.........................................................................................
আগুন বাতাস জল
আদিম দেবতারা তাদের সর্পিল পরিহাসে
তোমাকে দিল রূপ
কী ভয়াবহ নির্জন রূপ তোমাকে দিল তারা
আর তোমার সংস্পর্শের মানুষদের রক্তে দিল
মাছির মতো কামনা
( আদিম দেবতারা )
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ১১:২২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



