somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শফিক রেহমানকে।

০৯ ই মে, ২০০৮ ভোর ৪:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি নিজেকে কখনই বুঝতে পারিনা। মাঝে মাঝে এমন বিচিত্র আচরণ করি! যাদেরকে আমি তেমন পছন্দ করিনা তাদের পতন চাওয়ার কথা। তাদের পতন হলে আমার ভাল লাগার কথা। কিন্তু প্রায়ই সেটা হয়না।

১৯৯৮ সাল। আমি দশম শ্রেণীতে পড়ি তখন। গ্রামের স্কুলে। ফুটবল বিশ্বকাপের জোয়ার এল। এর আগের বিশ্বকাপে ছোট ছিলাম, তাই কোন আগ্রহ ছিলনা বিশ্বকাপ নিয়ে। কিন্তু এবার পত্রিকা পড়ে রোনাল্ডো, ওরতেগাকে ভালই চিনলাম। সচক্ষে তাদের খেলা তখনও দেখা হয়নি। তখন থেকেই সাদা চামড়ার মানুষদের প্রতি, বিশেষ করে সুন্দর মানুষদের প্রতি কোন বিচিত্র কারণে আমার বিতৃষ্ঞা। কেন সেটা আমি আজও বুঝতে পারিনা। এখানেও আমি ওবামাকেও সাপোর্ট করি তার অন্যতম বড় কারণ সে কাল! সে অসাধারণ এবং কারিজমাটিক তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু আমার কাছে তার গায়ের রং "কাল" সেটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। ন্যালসন ম্যান্ডেলা আমার কাছে তার সংগ্রামের জন্য যতটা প্রিয় তার চেয়েও একজন কাল মানুষের জয়ী হওয়ার জন্য বেশী শ্রদ্ধেয়। আমি মনে হয় রেসিস্ট। ত যা বলছিলাম বিশ্বকাপে সবাই আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল সাপোর্ট করে। বেশিরভাগই আর্জেন্টিনা। আমি দেখলাম আর্জেন্টাইনরা দেখতে সুন্দর, বাতিস্তুতাকে দেখলে ১৬শ শতকের ইংল্যান্ডের রাজপুত্রের মত লাগত। ব্রাজিলের খেলোয়ারগুলো দেখতে বিশ্রী। রোনাল্ডো তখন ১৯/২০ বছরের ছেলে। দেখতে ভাল না। তাই মনে হয় আমি ঘোরতর ব্রাজিল সাপোর্টার হয়ে গেলাম। আমার বন্ধুদের বেশিরভাগই আর্জেন্টিনা। তারা আমাকে নিয়মিতই উপহাস করে ব্রাজিল সাপোর্ট করার জন্য। তাতে হয়েছে কি আমার ব্রাজিলের প্রতি আমার আকর্ষন আরো বাড়ল। আর্জেন্টিনার প্রতি উদাসীনতাটা ক্রমান্বয়ে অপছন্দ এবং বন্ধুরা বেশি পুশ করাতে আর্জেন্টিনার প্রতি অপছন্দটা মোটামোটি ঘৃণার পর্যায়ে রুপ নিল। আমি প্রতিদিন আর্জেন্টিনার খেলার সময় তাদের পরাজয় কামনা করি। ইংল্যান্ডের সাথে ২য় রাউন্ডের খেলায় আর্জেন্টিনা হারার ভাল চান্স আছে। মাইকেল ওয়েন তখন বিস্ময়বালক। ৮৬তে ম্যারাডোনার ঈশ্বরের হাতের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মরিয়া। উল্লেখ্য ম্যারাডোনা লোকটাকে আমি খুব পছন্দ করি। আমি জানি খেলোয়াড় হিসেবে সে অসাধারণ হলেও পেলের সাথে তুলনা করা যায়না। সেটা যারা দুজনকেই খেলতে দেখেছে তারা জানে। সিএনএন-এ একটা জরীপ হয়েছিল যারা দুজনকেই খেলতে সচক্ষে দেখেছে তাদের মধ্যে। ১০০% লোকই পেলেকে ভোট দিয়েছিল। ভোটাররা সবাই খেলোয়ার ছিল। প্লাতিনি থেকে শুরু করে ইউসেবিও, এমনকি স্টেফানোও পেলেকেই ভোট দিয়েছিল। আমি ম্যারাডোনাকে পছন্দ করি অন্যকারণে। সেটা হচ্ছে সে এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে থাকে সবসময়। ফিফা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র সবারই বিপক্ষে। আমি নিজেও সবসময় এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। পেলে বড়বেশি এস্টাবলিশমেন্টঘেষা, সুশীলটাইপ! ধুর, কথা কোথা থেকে কোথায় চলে আসল। ত যা বলছিলাম। ইংল্যান্ডের সাথে আর্জেন্টিনার খেলা। কিন্তু আর্জেন্টিনা জিতল। আমার ভাল লাগেনি। বন্ধুরা উপহাস করতেছে। যদিও ব্রাজিল টপ-ফেভারিট, তখন ৪ বার বিশ্বকাপ নিয়েছে আরো অনেক দিক দিয়েই ব্রাজিল আর্জেন্টিনা থেকে যোজন যোজন এগিয়ে। কিন্তু যখন আপনার আশেপাশের সবাই আর্জেন্টিনার সাপোর্টার তখন ব্রাজিল সাপোর্টারদের অবস্থা অনুমেয়! আর্জেন্টিনার পরের খেলা হল্যান্ডের সাথে। এবং আর্জেন্টিনা এবার হেরে গেল। আমার আর্জেন্টিনা গোল খাওয়াতে
প্রথমে খুব খুশি লাগল। কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার পর আমার আশেপাশের লোকজনের চেহারা দেখে আস্তে আস্তে খারাপ লাগা শুরু করল। খেলা শেষে আর্জেন্টিনার খেলোয়ারদের কান্না দেখে আমার মন একদম ভেংগে গেল। মনে হল ইশ্‌, না হরলেই ভাল হত। খেলা দেখতে যেতাম অন্য বাসায়। আমাদের বাসায় আমার মা অতিরিক্ত ধার্মিক হওয়ার কারণে টিভি নিষিদ্ধ। লুকিয়ে টিভি দেখা! খেলা দেখে আসার পথে আমার কাছের বন্ধু যে আর্জেন্টিনার সাপোর্টার সে কান্নায় ভেংগে পড়ল। হাজার হাজার মাইল দুরের এই গরীব বাংলাদেশের এক অজপাড়াগাঁয়ে আর্জেন্টিনার হেরে যাওয়াতে কান্না। আমার জন্য এরকম কেউ কান্না করলে আমি সারাজীবন হারতে রাজি। সারাটা জীবন। Sometimes you win by losing. তো আমার বন্ধুর কান্না দেখে আমার আরো খারাপ লাগল। সে কান্না সামলাতে না পেরে রাস্তার পাশে বসে গেল। আমি বসে গেলাম তাকে সান্তনা দিতে। এবং একটু পর আমিও কান্নাকাটি শুরু করলাম! কেন যে আর্জেন্টিনা হারল। কোনমতেই মেনে নিতে পারছিনা। ২ ঘন্টা আগে আমি আর্জেন্টিনার হারার জন্য আল্লাহ্‌র কাছে দোয়া করে আসছি। এখন আমি তারা হেরে যাওয়াতে বন্ধুর সাথে কাঁদতেছি। কি বিচিত্র মানব মন!

তবে সেটাই একমাত্র নয়। ৯৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। আমার পছন্দের দল ওয়েস্ট-ইন্ডিজ আর কেনিয়া। কাল বলেই হয়ত বা! তবে পাকিস্তানকে ঘৃণা করতাম। অনেকেই খেলা আর রাজনীতি এক নয় বলে যুক্তি দিবেন। কিন্তু আমি সেটা মানতে রাজিনা। যুক্তির সমস্যা এখানেই। আমরা নিজেদের মত যুক্তি সাজিয়ে নিই সবসময়। সব যুক্তিরই কাউন্টার-যুক্তি আছে কিন্তু আমরা মানতে রাজিনা। তো পাকিস্তানকে যেহেতু ঘৃনা করি তাই তাদের পরাজয় চাই। ভারত-পাকিস্তান খেলা। পাকিস্তান হেরে যাচ্ছে। এক-একটা উইকেট পড়ে পাকিস্তানের আর জয় দূরে সরে যায়। ইনজামামকে আমি সবসময় পছন্দ করতাম, পাকিস্তানি হলেও। যখন সে আউট হল আর খুব মন খারাপ করে খুব আস্তে আস্তে ব্যাট নিয়ে প্যাভিলিয়নে যাচ্ছে আমার পাকিস্তানের জন্য খারাপ লাগা শুরু করল। এবং প্রত্যেকটা পরের উইকেট পড়তেছে আর আমার খারাপ লাগা আরো বাড়তেছে। সকালে উঠে আমার আশেপাশের পাকিস্তান সাপোর্টারদের কোথায় উপহাস করব! আমি নিজেই মন খারাপ করে বসে আছি!

আমি এইচএসসির শেষের দিকে। সেই নুহ নবীর জামানার কথা! তখন গ্রামে চেয়ারম্যান নির্বাচন হচ্ছে। আগের চেয়ারম্যান খুব খারাপ ছিলেন। তাই সবাই নতুন একজনকে ভোট দিচ্ছে। আমিও আগের চেয়ারম্যানের ঘোর বিপক্ষে। কিন্তু যখন নতুন চেয়ারম্যান জিতল, আমার আগের চেয়ারম্যানের জন্য খারাপ লাগা শুরু করল। মনে মনে ভাবতেছিলাম এইসময়ে সে কোন ধরণের মানসিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আর তাতে খারাপ লাগা শুরু করল। সবাই নতুন চেয়ারম্যান আগের চেয়ারম্যানের চেয়ে কত ভাল হবে সেটা নিয়ে কথা বলতেছে। আর আমি মন খারাপ করে বসে আছি!

যায়যায়দিনকে খুব পছন্দ করতাম। শফিক রেহমান একটা কাল্ট ফিগার। ১৯৯৯৬-২০০১ যায়যায়দিন ধুমিয়ে পড়েছি। আওয়ামী সরকারের সমালোচনা করতে যায়যায়দিন খুবই পারংগম ছিল। ঐ যে বললাম এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে! আমার বাবা ঘোর নাস্তিকটাইপ আওয়ামী-বামপন্থি হলেও আমি যায়যায়দিন পড়ি আর খুব ভাল লাগে। আগে বলেছি আমার মা খুব ধার্মিকা। কিন্তু বাবা বামপন্থী ছিলেন। বুড়া বয়সে অবশ্য অন্য সব বামপন্থী, নাস্তিকদের মত এখন খুব ধার্মিক হয়েছেন! ফজরের জামাতে সবার আগে গিয়ে মসজিদে বসে থাকেন! ত যায়যায়দিন পড়ি আর শফিক রেহমানের প্রতি আমার শ্রদ্ধা বেড়ে যায়। আস্তে আস্তে জানতে পারি এরশাদের আমলে তার আপষহীন থাকার কথা, জেলে যাওয়ার কথা। শফিক রেহমানকে পছন্দ করি আবার আগাচৌকে ভাল লাগে! এভাবেই দিন যাচ্ছে। ঢাবি'তে ভর্তি হওয়ার পর ঢাকায় নানা-নানীর সাথে থাকি। নানা যাযাদি ভক্ত। তাই যাযাদি'র ১৯৮৫ সাল থেকে সব সংখ্যা তার কাছে আছে। আমি পুরাতন সংখ্যাগুলো পড়া শুরু করলাম। মনে হল আগের যাযাদি অনেক বেশি ভাল ছিল। ২০০১-২০০৬ যাযাদি আর আগের মত নেই। বিএনপি-জামাত সরকারের নগ্নভাবে লেজুড়বৃত্তি শুরু করেছে। সব দোষ আ'লীগের! যাযাদি'র বিশেষ সংখ্যাগুলো যেকোন চটি থেকেও অশ্লীল লেখায় ভরপুর। আগে সেটা তেমন পাত্তা দিইনি। কিন্তু এখন সেটাকে বড় ইস্যু মনে হল। আস্তে আস্তে যাযাদি থেকে মন উঠে যেতে লাগল। শফিক রেহমানকে চরম ধান্ধাবাজ মনে হল। এটা স্বাভাবিক। যখন আপনি কোন লোককে খুব পছন্দ করেন কিন্তু পরে জানেন যে সে বিশ্বাসঘাতক তখন তাকে অনেক বেশি ঘৃনা করা শুরু করেন। হুমায়ুন আহমেদকে খুব ভাল পেতাম। পরে শাওনকে বিয়ে করাতে তাকে আমার ঘৃনার লিস্টের প্রথম দিকে রেখেছি!

তবে শফিক রেহমান আর যাযাদি মনে হয় একই শব্দ। শফিক রেহমানকে আপনি যতই ঘৃণা করেন, তার অসাধারণ জীবনীশক্তির কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। লাল-গোলাপ আমার সবচাইতে পছন্দের অনুষ্ঠান ছিল যদিও তখন যাযাদি পড়া বাদ দিছি এবং শ.রে. কে ঘৃনা করা শুরু করেছি, কিন্তু লাল-গোলাপ যে খুব সুন্দর অনুষ্ঠান সেটা অস্বীকার করা অন্যায়। টিভি দেখাটা তেমন ভাল না লাগলেও শুক্রবার রাতে লাল-গোলাপ দেখতেই হবে নানা-নাতী মিলে! পরে দৈনিক যাযাদি বের হল। সেটা বাংলা বানানকে জবাই করতে শুরু করল। বাংলিশ পত্রিকা হয়ে গেল। সাব-স্ট্যান্ডার্ড একটা পত্রিকা। যাযাদি ক্রমশ জামাতি-ঘেষা বিএনপি হয়ে গেল। তারেক রহমান যাযাদি মিডিয়াপ্লেক্স ভিজিট করলে সেটা প্রথম পাতায় লিখে দেয়! শফিক রহমান আমার ঘৃনার লিস্টে অন্যতম প্রধান ব্যক্তি। আমার অনেক বছরের বিশ্বাসভংগের জন্য।

তারপর সেই পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা। শ.রে. যাযাদি'তে পরে "এয়ারপোর্টে বিব্রতকর মুহুর্ত্য" নামে বাংলা আর ইংরেজীতে কারণ দর্শালেও তা হাস্যকর সেটা যে কেউ বুঝবে। যাযাদি'র এমন অবস্থাতে খুব খুশি হয়েছিলাম। পরে অবশ্য যাযাদি আবার বের হয়েছিল। কিন্তু সেই ইমেজ নিয়ে এগুনো যাবেনা সেটা সবাই জানে।

আজ কয়েকদিন পর ব্লগে এসে দেখলাম শ.রে. যাযাদি থেকে পদত্যাগ করেছেন। শুনে মনে ড় ধাক্কা খেলাম। শ.রে. কে লোল রহমান বলে সম্বোধন করেছি ব্লগে অনেক। রিজভিকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম "লোল রহমান" ইদানিং কি করে। সে আমাকে ব্লক করেছিল এটা বলাতে।

কিন্তু শফিক রেহমানকে যাযাদি থেকে বের করে দেওয়া কোনমতেই মেনে নিতে পারিনা। এই মানুষটা বুড়া বয়সে এসে ভুলপথে চললেও তার প্রতি আমার অন্তরের গভীরে একটা জায়গা আছে সেটা আবার বুঝতে পারলাম। You can either hate him or love him, but you simply can't ignore him. আজ শফিক রেহমানকে আমি সেলাম জানাচ্ছি।

প্রিয় শফিক রেহমান, আপনাকে গত ৬ বছর চরম ঘৃনা করেছি। কিন্তু আজকে আপনার দুর্দিনে আপনার একজন প্রাক্তন ভক্ত আপনাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। আপনার সব ভাল, সব মন্দ, সব পক্ষপাতিত্ব, আপনার সব বাংলা অবানান, ভুল সিদ্ধান্ত, আপনার আলট্রা ওয়েস্টার্নিজম আরো সব দোষ-গুণ নিয়ে আপনি একজন অনন্য মানুষ। আপনি একজন অসাধারণ মানুষ। আজ আপনার দুর্দিনে আপনার এই প্রাক্তন ভক্ত গত ৬ বছরের সব ঘৃণা ভুলে গিয়ে আপনাকে আবার আগের মত ভালবাসার স্থানে বসালাম। আপনাকে আপনার এই নগন্য ভক্ত আবার তার ঘৃণার লিস্ট থেকে কেটে দিয়ে তার খুব প্রিয় মানুষদের লিস্টে রাখলাম। আপনি আমাকে রাজনীতি বুঝতে শিখিয়েছিলেন আমার কৌশোরকালীন সময়ে। আপনার যাযাদি পড়ে সে সময় কত সময় আনন্দ পেয়েছি, কত সময় কষ্ট পেয়েছি। অনেক সময় ভেবেছি। অনেক সময় আশ্চর্য হয়েছি। সেই ছোট-ছোট আনন্দ, ছোট-ছোট কষ্ট, ভাবনার সময়গুলো শুধুই আপনার দান। আপনার বৃদ্ধকালীন সময়ের ভুল পথে চলাটাকে সম্পূর্ণভাবে ভুলে গিয়ে আপনার এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনটাই শুধু মনে গেঁথে রাখলাম। আপনার লাল-গোলাপ আমাকে আর আমার অন্যতম প্রিয় মানুষ আমার নানাকে একসাথে জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সময় কাটাতে সহায়তা করেছে। আপনাকে অন্তরের গভীর থেকে শ্রদ্ধা। আর হয়ত আপনাকে সেই আগের ৯০ দশকের যাযাদি'র শফিক রেহমান হিসেবে পাবনা। কিন্তু আমার মতই আপনার অগনিত ভক্তের কাছে আপনি খুব কাছেই থাকবেন, অন্তরের খুব গভীরেই থাকবেন। আপনি শতায়ু হোন। আপনি ভাল থাকবেন, অনেক অনেক ভাল।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০০৮ ভোর ৪:১০
৬১টি মন্তব্য ৫৯টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×