somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাবার লেখা স্মৃতিকথা থেকে-১ :: স্মৃতির মুকুরে : খালেক দাদ চৌধুরী

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(“তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে নেত্রকোনা মহকুমার সাহিত্য বিষয়ক একমাত্র মুখপাত্র ছিল “উত্তর আকাশ" পত্রিকা। সেটার সম্পাদক ছিলেন খালেকদাদ চৌধুরী। জনাব চৌধুরীর মৃত্যু বার্ষিকীতে আমার বাবার লেখা "স্মৃতির মুকুরে : খালেক দাদ চৌধুরী" লেখাটি সামহোয়্যারইন ব্লগের পাঠকদরে জন্য যৎকিঞ্চিত তুলে ধরছি আমার বাবার লেখা স্মৃতিকথা থেকে। তাই এই পোস্টিং টা বাবাকে নিবেদন করে।
- হাসান ইকবাল)

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

“.........একদিন উত্তর আকাশ পত্রিকার কার্যালয়ে (সিদ্দিক প্রেস) নির্মলেন্দু গুনের সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেন। বল্লেন-“ওর নাম হামিদুর রহমান, আমার পত্রিকায় ভালো লিখে, পূর্ব পাকিস্তানের যেকোনো পত্রিকায় ওর লেখা ছাপা হবে ।.......”


স্মৃতির মুকুরে : খালেকদাদ চৌধুরী
-হামিদুর রহমান


(১৯০৭ খৃ.- ১৯৮৫ খৃ)

বাংলা ১৩৭০, তখন ফালগুন মাস। এক বসন্ত উদাস দিনে আমি বিদ্যাভল্লবের প্রখ্যাত কবি রওশন ইজদানীর সাথে সাক্ষাত করার জন্য তার বাস-ভবনের উপস্থিত হই। আমি তখন বানিয়াজান সি,টি,উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র। কিছু কাঁচা হাতের লেখা নিয়ে তাঁর সাথে দেখা করতে যাই। হাতে আমার “অগ্নি-বীনা” বইটি ছিল। ঘরে প্রবেশ করে দেখলাম তিনি একটি জায়নামাজ সেলাই করছেন। সূঁচে সুতা পড়াতে ব্যর্থ হয়ে আমাকে দিলেন সুতাটা গেঁথে দেবার জন্য। যাক, এরপরে অতি সংকোচের সাথে কবিতার খাতাটি তাঁর হাতে দেই। উনি অনেকক্ষন ধরে কবিতা গুলি দেখলেন। পরে বল্লেন: এই “অগ্নিবীনার” ছন্দ অনুসরন করলে তো লেখায় এত ভুল হবে না।
আমার কচি হাতের দুটি লেখা অনেক যত্ন করে শুদ্ধ করে দিয়ে বল্লেনঃ তুমি নেত্রকোনা খালেকদাদ চৌধুরীর কাছে যাও, আমার কথা বল্লে তাঁর সম্পাদিত উত্তর আকাশে ছেপে দেবে।

ছবিতে জনাব খালেকদাদ চৌধুরী

আমার যতদূর মনে পড়ছে; এসময়ে তিনি মোমেনশাহীর লোক সাহিত্য সংগ্রহ করছেন। আমাকে আটপাড়া থানার মাটিকাটা গ্রামের “হাসান কুলির” দীঘির কিংবদন্তীর কথা, জিজ্ঞাস করেন “কমলা রানীর” দীঘির কথা।

প্রসংঙ্গত জসীমউদ্দিনের “কমলা রানীর দীঘির” কয়টি পংক্তি মনে করে দেই-
“নিশির শয়নে জোড়-মন্দিরে স্বপন দেখিছে রানী,
তার কাছে থেকে কেযেন আসিয়া শুনাইল তারে বড় নিদারুন বানী
ফেরার পথে সাগর দীঘিতে তুমি যদি রানি!
দিতে পার প্রানদাম,
পাতাল হইতে শত-ধারা মেলি জাগিবে জলেরবাম”


সিংহের গাঁয়ের মরমী বাউল সাধক জালাল উদ্দীন খাঁনের ছেলে খান মহম্মদ আব্দুল হাকিমের সাথে দেখা করতে যাই, তাঁর বিশাল প্রস্তক সংগ্রহ দেখে অবাক হয়ে যাই, আধুনিক কাব্যের গতি-প্রকৃতির কথা বলেন- ইজদানী তোমাকে পথ দেখাতে পারবে না তাঁর কবিতার পুংক্তি একটি এখনও আমার মনে পড়ছে-
একটি পাখীর বুক স্নিগ্ধ হয়ে আসে-
অন্য কারো পালকের অজড়ানো অন্তরঙ্গতায়।

১৯৬৭ সালে ১ জুলাই প্রকাশিত “উত্তর আকাশ" পত্রিকার একটি প্রচ্ছদের ছবি

সেখান থেকে এসেই আমি জনাব চৌধুরীর সাথে দেখা করে আমার লেখা তার হাতে দেই । ১৩৭০ সনের চৈত্র আমার প্রথম দুটি লেখা কবিতা যথাক্রমে “দুষ্ট লীলাবতী” ও “মোরা হাই ইস্কুলে পড়ি” উত্তর আকাশে প্রকাশ করেন ।

এভাবেই জনাব চৌধুরীর সাথে পরিচয় ঘটে । যতোবারই তার সান্নিধ্যে গেছি, সর্বদাই আমাকে উত্সাহিত করেছেন।

একদিন উত্তর আকাশ পত্রিকার কার্যালয়ে (সিদ্দিক প্রেস) নির্মলেন্দু গুনের সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেন। বল্লেন-“ওর নাম হামিদুর রহমান, আমার পত্রিকায় ভালো লিখে, পূর্ব পাকিস্তানের যেকোনো পত্রিকায় ওর লেখা ছাপা হবে ।”

এ ভাবে বহুবার আমি তাঁর স্নেহ-সাণিœধ্যে এসেছি। উত্তর আকাশের অনেক সংখ্যায়-ই আমার লেখা ছাপা হতো। এ ছাড়া মুকুল “কচি-কাঁচ” “সবুজ পাতা” সৃজনীতে ” ও আমার লেখা ছাপা হতো। কবি নির্মলেন্দু ও এসময় তাঁর পত্রিকায় লিখতো। সেদিনের স্নরনেই নির্মলেন্দু গুন-র কবিতা-

শিরোনাম;‘নেত্রকোনা”
(খালেকদাদ চৌধুরী শ্রদ্ধাষ্পদেষু)


“সে এক সময় ছিল মহানন্দময়
তার কেন্দ্রে ছিলে তুমি,
সমপির্ত, পক্ককেশ প্রবীন লেখক
সাহিত্যের পাদ-পদ্মে আনত আভূমি।
স্নেহ-বৎসল তাম্বুল রঞ্জিত মুখে
জর্দার সূরভি মাখা শ্বাসঃ
প্রযতেœ সিদ্দিক প্রেস, কোট রোড,
সম্পাদকঃ “উত্তর আকাশ”
তাকে ঘিরে তারুন্যে উদ্ধত উৎসব।
পর্বত স্মৃতির গাত্রে লেখা আছে সব।”


এই মনীষী-সাহিত্যিকের জন্ম হয় ২রা ফেব্র“য়ারী ১৯০৭খৃ. (১)
পৈত্রিক নিবাস আটপাড়া, সোনাজুড় গ্রাম। তাঁর পিতার নয়াব আলী চৌধুরী আলাপ শাহী ফরগনার গাজীদেও বংশধর। মাতা গযরত শাহ্-জালালের (রঃ) অন্যতম মহচর শাহ্-কামালের বংশধর।

জনাব চৌধুরীর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় নাজিরগঞ্জ প্রাইমারী স্কুলে ১৯১৩সালে, ১৯১৬সালে জাহাঙ্গীরপুর মধ্য ইংরেজী স্কুলে ৩য় শ্রেণীতে ভর্ত্তি হন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপান্তে ১৯২০ সপালে নেত্রকোনা দওহাই স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে ১৯২৪ সালে কলকাতা রিপন কলেজ ভর্ত্তি হন। ১৯২৮ সালে ইংরেজীতে অনার্স সহ বি,এ, পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেন, দুঃখের বিষয় এসময় তাঁর পিতৃবিয়োগ ঘটে। শোকে হতাশায় তিনি পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে পারেননি।

জনাব চৌধুরী শৈশবেই তাঁর পিতার কাছ থেকে পরোক্ষ ভাবে সাহিত্যের অনুপ্রেরনা পান। তাঁর পিতা গল্পের ছলে অনেক ঐতিহাসিক গ্রন্থেও কথা বলতেন যেমন দেবী চৌধুরানী, ফকির বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ, চাঁদবেগের কাহিনী, বাদশাহ আলমগীরের কাহিনী সোহবার রুস্তম, ময়মনসিংহ গীতিকার গল্প। পিতার কাছ থেকে শোনা বালক খালেকদাদ বিভিন্ন ঐতিহাসিক রচনাবলী পড়ে ঢেলেন।


“উত্তর আকাশ" পত্রিকার প্রকাশিত একটি গল্প

নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নের সময়েই কবি বন্দেআলী মিয়ার সম্পাদিত কলিকাতা থেকে প্রকাশিত ``মাসিক বিকাশ” পত্রিকায় সর্ব প্রথম একটি কবিটা ও পরে একটি গল্প ও প্রকশিত হয়।
সাহিত্যিক জীবনের শুরুতেই তিনি প্রখ্যাত সাহিত্যিক সাংবাদিক জনাব আব্দুল কালাম শামসুদ্দীনের উৎসাহ-অনুপ্রেরনায় মাসিক “মোহাম্মীদী” তে লিখতে থাকেন। জনাব শামসুদ্দীন ও কবি কাদিরের উৎসাহে সাহিত্য ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে মনোনিবেশ করেন।

প্রসংগত উল্লেখ্য যে, স্বাধীনতা পূবর্ব-কালেই তিনি সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন।জনাব আবুল মনসুর আহমদ সম্পাদিত দৈনিক “কৃষক” পত্রিকার সহ-সম্পাদক ছিলেন। জনাব এ, কে ঢজলুল হক প্রতিষ্টিত ও কাজী নজরুল সম্পাদিত “নবযুগ” পত্রিকার অন্যতম সহ সম্পাদক ছিলেন। “আগুনের ফুলকি” বিভাগটি “আতমবাজ” ছদ্মনামে পরিচালনা করতেন। এই নামটি কাজী নজরুল ইসলামের দেয়া।

জনাব চৌধুরী শিক্ষা জীবন সমাপন করে, ১৯৩১সাল থেকে ১৯৪৪সাল পর্যন্ত কলকাতায় করপোরেশন পরিচালিত স্কুলে প্রধান শিক্ষকের দায়ীত্ব পালন করেন। পরে নিতি ১৯৪৪ সালে বঙ্গীর প্রাদেশিক সরকারের প্রচার বিভাগে চাকুরী নিয়ে কলকাতা থ্যাগ করেন। এবং ১৯৬২ সালে চাকুরী থেকে অবসর গ্রহন করেন। অতপর তিনি নেত্রকোনা থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক-পত্রিকা “উত্তর-আকাশের” সম্পাদনা কার্যে নিযুক্ত হন।

১৯৬৭ সালে ১ আগস্ট প্রকাশিত “উত্তর আকাশ" পত্রিকার একটি প্রচ্ছদের ছবি

দেশ-বিভাগের পূবের্ব মুসলিম জাগরনেও; মুসলিম-সাহিত্য সৃষ্টির যে আন্দোলন দানা বেঁধে ওঠে, এর সব গুলোর মধ্যেই তিনি ঘনিষ্ট ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি কলকাতায় কবি কায়কোবাদ ও আব্দুল করিম সাহিত্য-বিশারদের সাথে “বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সামতির” সাথে বরাবর জড়িত ছিলেন।কলকাতার “নজরুল জয়ন্তী” অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদেও অন্যতম সেবক ছিলেন তিনি।

পাকিস্তান অর্জনের পর তাঁর লেখা “মাহে-নত্ত” “পূবালী”-“মোহাম্মাদী-” “দিলেরুবা” ইত্যাদিতে প্রকাশিত হতো। এপর্বে ছোট গল্পও প্রবন্ধই বেশী। তার রচিত গল্পের সংখ্যা দেড় শতাধীক। “ঝড়-আলো-মুক্তি” তৎকালিন ছোট গল্প সংকলন “শতদলে” খুবই জন প্রিয় হয়েছিল।।(২)

জনাব চৌধুরীর সাহিত্য-কীর্তর মধ্যে-

মরু-সাহারায়- অনুবাদ গন্থ। ঢাকার নওরোজ কিতাবিস্তান কতৃক প্রকাশিত।

চাঁদ-বেগের –গড়-(উপন্যাস) প্রকাশকাল ১৯৬১-৬২ প্রকাশক- জনাব আলি ওসমান সিদ্দিকী। সিদ্দিক পাবলিসার্স,নেত্রকোনা।

রক্তাক্ত অধ্যায় ,উপন্যাস প্রকাশ কাল ১৯৬৬।বুক ভিলা, গভ: নিউ মার্কেট, ঢাকা।

একটি আত্মার অপমৃত্যু, উপন্যাস, প্রকাশ কাল১৯৬৭।
প্রকাশক- বুক ভিলা, ঢাকা।

জনাব চৌধুরী রচিত যে রচনা বলী প্রকাশিত হয় নাই। তার তালিকা নিম্নরূপ-
(১) গল্প সংগ্রহ - পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত গল্প।
(২) এ মাটি রক্তে রাঙা (উপন্যাস)
(৩) সাদমারির অভিশাপ.(উপনাস)
(৪) বহিৃশিখা- (নাটক)
(৫) ময়মনসিংহের উপজাতি (প্রবন্ধ)

প্রসঙ্গতঃ স্বরনীয় জনাব চৌধুরী “উত্তর আকাশ” সম্পাদনা কালে ১৯৬৮ সনে ২৩শে ফেব্রয়ারী থেকে ২৯শে ফেব্রয়ারী পর্যন্ত সপ্তাহ-ব্যাপী সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। স্নরন কালে এরকম সম্মেলনে নেত্রকোনার মত ছোট্ট শহরে আর হয় নাই। এ সম্মেলনে আমি উপস্থিত ছিলাম। উত্তর-বসন্তের কবি আব্দুল কাদিরের ভাষন শুনেছি, মূল সভাপতির ভাষন ও সিংহের গায়ের কবি-খান মুহাম্মদ আব্দুল হাকিমের কবিতা পাঠ শুনেছি।

১৯৬৯ সালে প্রকাশিত “বেগম" পত্রিকার ঈদ সংখ্যার একটি প্রচ্ছদের ছবি

এ সম্মেলনের মূল সভাপতি ছিলেন মোমেন শাহীর কৃতি সন্তান- অধ্যক্ষ ইব্রাহীম খাঁ।(৩)
কথা সহিত্যেও সভাপতি- জনাব আবুল কালাম শামসুদ্দীন।
কাব্য- সাহিত্যেও সভাপতি- জনাব কবি আব্দুল কাদির।

মহিলাদের আসনে সভানেত্রী- ডঃ নীলিমা ইব্রাহীম।
পল্লী সাহিত্যে ও অধিবেশনে সভাপতি- ডক্টর আশরাফ সিদ্দিকী।
কবি গান ও পল্লী সাহিত্য, সভাপতি- অধ্যাপক মনসুর উদ্দীন আহমদ।
শিশু- সাহিত্যঃ সভাপতি- অধ্যক্ষ তসদ্দক আহম্মদ।
বিপ্লবোত্তর সাহিত্যঃ সভাপতি- জনাব মুজিবর রহমান খাঁ।

জনাব আলী ওসমান সিদ্দিকী ছিলেন এই সম্মেলনের সম্পাদক,জনাব খালেকদাদ চৌধুরী, জনাব মুশফিকুর রহমান সি,এ,পি,মহকুমা হাকিম, নেত্রকোনা।

জনাব খোরশেদ আলম, সি,এস,পি, ডেপুটি কমিশনার, ময়মনসিংহ।
প্রমুখ মনীষীদের সমবেত প্রয়াসে সেদিনের সে সম্মেলন সঢল হয়েছিল।

খালেকদাদ চৌধুরী, আটপাড়া তথা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একটি স্নরনীয় নাম। সাহিত্যেও প্রায় সকল বিভাগেই তাঁর সফল পদ-চারনা। তাঁর সম্পাদিত “উত্তর আকাশ” সৃষনী গ্রামে- গঞ্জে অনেক সাহিত্য রসিকের জন্ম দিয়েছে। কবি নির্মনেন্দু গুনত্ত প্রথমে তাঁর পত্রিকায় হাতে কড়ি।

পূর্ব ময়মনসিংহ তথা নেত্রকোনার ভাটি এলাকাকে কেন্দ্র করে ইতিহাস ভিত্তিক জীবন রচনায় তিনি তৎপর। তাঁর রচনা আবহমান বাংলার সংগ্রামী চেতনায় সমুজজ্বল। ১৯৮৫ সালে বাংলা সাহিত্যের এই অবিম্নরনীয় সাহিত্য প্রতিভা লোকান্তরিত হন।(৪)

খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য নিঃসন্দেহে সৎ সাহিত্য এত গন- মানুষের আশা আকাংখা প্রতিফলিত। এজন্যই আমি সাহিত্য রসিক ও সংস্কৃতিবান দেশ-বানীর দৃষ্টি আকর্ষন করে বলছি – তাঁর রচিত প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত সমস্ত রচনাবলী আমাদের নব প্রজন্মদের সামনে উপস্থাপন করা অতিব জরুরী।


(ছবিতে লেখক আমার বাবা- হামিদুর রহমান)


তথ্য সংগ্রহ:

(১) খালেকদাদ চৌধুরী সম্পাদিত “উত্তর আকাশ” পত্রিকা ৭ম বর্ষ। ১ম সংখ্যা। অগ্রহায়ন ১৩৭৪ বাংলা সাহিত্যিক পরিচিতি (৪)এম, ইয়াসিন লিখিত খালেকদাদ চৌধুরী প্রবাক(দ্রঃ)
(২) “ শতদল” ১০০ শত ছোট গল্পের সংকলন আজাদ পাবলিশিং হাউজ। ঢাকা।
(৩) নেত্রকোনা সাহিত্য ও সংকস্কৃতি সম্মেলন স্নরনিকা -১৯৬৮ সম্পাদক- জনাব আলী ওসমান সিদ্দিকী।
(৪) নেত্রকোনা মুখশ্রী। নেত্রকোনা জেলা সমন্বয় পরিষদ ঢাকা। কতৃক প্রকাশিত।প্রকাশকাল:২০০৫ খৃঃ।
(৫) কাজী নজরুল ইসলাম।





সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০০
৯টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×