পলেস্তারা কষে পড়া পুরনো দালানে কতযুগের শ্যাওলা
লালচে ইটগুলো যেন কত কালো সময়ের স্বাক্ষী
জমে উঠেছে এখানে আমাদের মহকুমার অফিসপাড়া।
বাজার পেরিয়ে সাবরেজিস্টারের কার্যালয়,
ঝুলে পড়া ডাকঘরের বাকসো ঘেষে
সোনা ফকিরের কবর হয়ে উঠেছে মাজার।
খোদাই করা বড় সাইনবোর্ডে ধুলোর পরতে
কয়লার কালিতে লেখা বাড়ন্ত প্রেমিকের যুগলনাম
"সুজন+ললিতা (আই লাভ ইউ) ১৯৮৬।"
শিমুলতলী পেরিয়ে বড় কলতলা, তারপর কুয়ো
দুই সময়ের যুগলবন্দীর পাশেই আদালত পাড়া।
কংক্রিটের বেন্চিতে বসা সারিসারি টাইপিস্ট
মুহুরির প্যাচানো হাতের লেখা দখলে তাদের।
জমির দলিল
তালাকনামা
চাকুরির বিজ্ঞাপন
আর্জিপত্র
দেওয়ানি স্ট্যাম্প
কার্বন পেপার
সমিতির গঠনতন্ত্র
কী নেই এখানে! জীবনের কোলাহলময় এ ছাউনিতে।
সকাল থেকে রাত ঝড় উঠে টাইপের মাতানো শব্দে
কালো ফিতে ফিকে হয় ওঠে যেমনটা ফিকে হয়ে যায়
টাইপ রাইটার সালু মিয়ার কালো চুল বয়সের ভারে।
বড় লাল রংয়ের সাইনবোর্ডে আটকে যায়
যাযাবর জাগতিক চোখ -
"৭৮৬
এখানে অতি
যত্ন সহকারে
কম মূল্যে
যাবতীয় টাইপ
করা হয়।"
- টাইপ রাইটার সালু মিয়া,
সাং বটতলী।"
[টাইপ রাইটার/ হাসান ইকবাল]
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪