
তারপরও একবার দেখে নিন এই কুত্তিটিকে মনে মনে একবার হলেও তাকে জুতা দিয়ে একটি বাড়ি দিন।
প্রাসঙ্গিক খবর।
ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা শাখার (দিবা) দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির দায়ে অভিযুক্ত নরপশু শিক্ষক পরিমল জয়ধরকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল হোসনে আরা। তিনি নরপশু শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো যৌন নিপীড়নের শিকার ওই ছাত্রীকে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছেন। আর এ ঘটনায় হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছেন ছাত্রীটির বাবা। বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিত্সাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানা গেছে। এদিকে এ ঘটনায় স্কুলের বসুন্ধরা শাখায় চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। ছাত্রী-অভিভাবকদের বিক্ষোভ ঠেকাতে স্কুলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজ বসুন্ধরা শাখার (দিবা) ক্লাস বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ওই শাখার কিছু ছাত্রীকে অভিভাবকদের বিপক্ষে দাঁড় করাতে শিক্ষকরা চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, স্কুলের বসুন্ধরা শাখার (দিবা) দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শিক্ষক পরিমল একাধিকবার জোরপূর্বক যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীর সহপাঠী ও তাদের অভিভাবকরা গতকাল স্কুলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। ছাত্রীরা ক্লাস শেষে বেলা ২টার দিকে স্কুলের ভেতরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। তারা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল হোসনে আরার অপসারণ ও যৌন নিপীড়নকারী নরপশু শিক্ষক পরিমলের বিচার দাবি করে। এসময় বসুন্ধরা শাখার (দিবা) প্রধান শিক্ষক লুত্ফর রহমান মিছিলে বাধা দেয় এবং ছাত্রীদের জোরপূর্বক ক্লাসরুমে যেতে বাধ্য করে। একই সময় তাদের অভিভাবকরা স্কুলে গেটের ভেতর আসতে চাইলে প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়া হয়। তখন অভিভাবকরা গেটের বাইরেই প্রিন্সিপাল এবং নরপশু শিক্ষকের বিচার দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ ঘটনার বিচার না হলে আমরা আমাদের মেয়েদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দেব। ছাত্রীদের দাবি, উপযুক্ত বিচার না পেলে আমরা নিজেরাই এর বিচার করব। এদিকে নরপশু শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো যৌন নিপীড়নের শিকার ওই ছাত্রীকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
তার সব ক্লাস সাসপেন্ড করা হয়েছে। ছাত্রীটি ২০১২ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা। সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ক্লাস বন্ধ করার ফলে তার ভবিষ্যত্ কি হবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে স্কুলের বসুন্ধরা শাখার দশম শ্রেণীর ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ওই শাখার কিছু ছাত্রীকে অভিভাবকদের বিপক্ষে প্রতিবাদ করতে শিক্ষকরা বাধ্য করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, গতকাল সকাল থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক পরিমল জয়ধরের বিচারের দাবিতে স্কুলের সামনে অবস্থান নেয় অভিভাবকরা। তারা বসুন্ধরা শাখায় দায়িত্বরত প্রধান শিক্ষক লুত্ফর রহমানের কাছে জানতে চান ‘কেন এখনও পরিমলকে বরখাস্ত করা হচ্ছে না, এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেনই বা তাকে নিয়োগ দেয়া হলো? এ জন্য প্রধান শিক্ষককেই তারা দায়ী করেন। কয়েকজন অভিভাবক বাড্ডা থানায় ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিতি দেখে শিক্ষকরা শ্রেণীকক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বলে, ‘তোমাদের স্যারদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে, পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। তোমরা তাদের রক্ষা কর’। শিক্ষার্থীরা এসময় ‘শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করবেন না’—এ ধরনের লিফলেট লিখে প্রধান শিক্ষকের কক্ষের সামনে অভিভাবকদের প্রতিরোধ করতে অবস্থান নেয়। এসব বিষয়ে বসুন্ধরা শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক লুত্ফর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিংবডি। বৈঠকের মাধ্যমে কাল (আজ) তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে অভিভাবকরা আরও অভিযোগ করেন, এই স্কুলে এত বড় ঘটনা ঘটার পরেও প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ এ ব্যাপারে একেবারে নীরব রয়েছেন। অভিভাবক মাহমুদা বেগম বলেন, ‘আমরা পরিমলকে আমাদের সামনে হাজির চাই, আমরা নিজের হাতে তার বিচার করব, এসব ঘটনায় আমাদের মেয়েদের নিয়ে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি’। আরেক অভিভাবক রওশন আরা বেগম বলেন, ‘আমাদের মেয়েদের শিক্ষকরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ব্যবহার করছে’। এসময় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা পরিমলের একটি ছবি পেয়ে ছবিটিতে জুতাপেটা করে।
সর্বশেষ খবর: পরিমল ছাত্রীটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। এখন শূধু অপেক্ষা কি শাস্তি পায় এই পাষন্ডটি।
{বি:দ্র: লেখাটি নাগরিক ব্লগ থেকে কপি করা}

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



