somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশ সমুদ্রে পূর্ণাঙ্গ ও স্থায়ী মানচিত্র পেতে যাচ্ছে..

০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের রায় আগামীকাল বুধবার ঘোষণা করা হচ্ছে। নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক স্থায়ী সালিশি আদালত (পিসিএ) এ রায় দেবেন।
এর আগে ২০১২ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র বিরোধের রায়ের মাধ্যমে সমুদ্রে একাংশের সীমানা পেয়েছে বাংলাদেশ। এবার ভারতের সঙ্গে সমুদ্র বিরোধ রায়ের মধ্য দিয়ে সমুদ্রে পূর্ণাঙ্গ ও স্থায়ী মানচিত্র পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এ জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে আর মাত্র একটি দিন।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে আটদিন ধরে দুই দেশের মধ্যে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ নিয়ে শুনানি হয়। শুনানির ছয় মাসের মধ্যে রায় ঘোষণার কথা জানান পিসিএ। দুই দেশের জলসীমা শুরু হবে কোত্থেকে, সেটাই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিরোধের মূল বিষয়। এছাড়া ভূমিরেখার মূল বিন্দু থেকে সমুদ্রে রেখা টানার পদ্ধতি নিয়েও মতবিরোধ রয়েছে। পিসিএ দুই দেশের উপস্থাপিত যুক্তিতর্ক এবং মেমোরিয়াল ও কাউন্টার মেমোরিয়াল বিবেচনা করে রায় প্রকাশ করবেন। ডিসেম্বরের শুনানির বিভিন্ন পর্যায়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ও আইনজীবী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আজ দৈনিক বণিক বার্তায় প্রকাশিত একটি সংবাদে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সমুদ্র বিরোধ নিষ্পত্তিতে আদালতে যাওয়ার বিষয়ে ভারতকে রাজি করানোর বিষয়টিই বাংলাদেশের জন্য কূটনৈতিক সাফল্য। এখন যত দ্রুত সম্ভব এটির নিষ্পত্তি চাই। কারণ সীমানা নির্ধারণ না হওয়ায় বাংলাদেশ মহীসোপানে তার এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন ঘোষণা করতে পারছে না।’ আদালতের রায় বাংলাদেশের পক্ষে আসবে— এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি আরো বলেন, এর আগেও এ অঞ্চলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রায়টি ইকুইটেবল বা সমতার ভিত্তিতে হয়। তবে রায় যা-ই আসুক না কেন, সমুদ্রে বাংলাদেশ একটি স্থায়ী মানচিত্র পাবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এর আগে পিসিএর এক বিচারক নিয়ে বাংলাদেশ আপত্তি তোলে। ওই বিচারক যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত, একই প্রতিষ্ঠানকে ভারত অন্য একটি বিষয়ে পরামর্শক নিয়োগ দেয়ায় ওই আপত্তি তোলা হয়। আপত্তি জানানোর পর ওই বিচারককে সরিয়ে অন্য একজন নিয়োগ দেয় পিএসএ। বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তিতে ট্রাইব্যুনালের প্রধান হিসেবে রয়েছেন জার্মানির রুডিগার উলফ্রাম। অন্য বিচারকরা হলেন— ফ্রান্সের জ্যাঁ-পিয়েরে কট, ঘানার থমাস এ ম্যানসা, ভারতের ড. পিমারাজু শ্রীনিবাসা রাও এবং অস্ট্রেলিয়ার আইভান শিয়ারার। এর মধ্যে জ্যাঁ-পিয়েরে কট ও থমাস এ ম্যানসা মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্র বিরোধ নিষ্পত্তিতে ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল ফর ল অব দ্য সি বা ইটলসেরও বিচারক ছিলেন।

সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। এর পর প্রায় আড়াই দশক দুই নিকট প্রতিবেশীর সঙ্গে আলোচনা থেমে থাকে। আবার সমুদ্রসীমা বিরোধের আলোচনা শুরু হয় ২০০৮ সালের শুরুতে। প্রায় দুই বছর এ নিয়ে আলোচনার পর অগ্রগতি না হওয়ায় ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর সালিশি আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য জার্মানির হামবুর্গভিত্তিক সমুদ্র আইনবিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে (ইটলস) মামলা করে বাংলাদেশ। ২০১২ সালের ১৫ মার্চ ইটলস বাংলাদেশের পক্ষে রায় দেন। আর ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে পিসিএতে আবেদন করে বাংলাদেশ।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×