somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বপ্নের ‘সাজেক ভ্যালী’ (তিন দিনে তিন পার্বত্যজেলা ভ্রমণ – পর্ব ০১)

২০ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



গত তিনদিন ভোর হয়েছে পাহাড়ের ফাঁকে সূর্য উদয় দেখে, দুপুর কেটেছে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে ইঞ্চিন চালিত বাহনে ছুটে ছুটে। বিকেলে দেখেছি পাহাড়ি মিষ্টি বাতাসের হুটোপুটি। সন্ধ্যায় আকাশের বুকে লাজুক সূর্যটার লজ্জায় লাল হয়ে হাড়িয়ে যাওয়া। দিনভর পাহাড় আর পাহাড়ের রূপ দেখে তন্ময় হয়ে থাকা। এই অলস দুপুরে খুব অবাক লাগছে নিজের চার দেয়ালে ঘেরা ঘরটাকে। গত তিনদিন কি স্বপ্ন ছিল, নাকি আজ স্বপ্ন দেখছি, কোন ভুল স্বপ্ন। এমন তিনদিন যেন জীবনে বারে বারে আসে।

আমার মত প্রায় একশত কিলোগ্রাম ওজনের মানুষ ব্যাকপেইন নিয়ে তিন দিনে প্রায় ১০০০ কিলোমিটার পথ মাড়িয়ে খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা-বাঘাইছড়ী হয়ে স্বপ্নের সাজেক ভ্যালী, সিএনজি করে ঝড়ো হাওয়ার মাঝে খাগড়াছড়ি থেকে রাঙ্গামাটি যাওয়া, রাঙ্গামাটির পর্যটন মোটেলে কাপ্তাই লেকের পারে রাত্রিযাপন, ঊষা লগ্নে দূর পাহাড়ের বুক চিরে কাপ্তাই এর জলে রক্তিম ছায়া ফেলে সূর্যোদয়, সকাল থেকে দুপুর অবধি কাপ্তাই লেক জুড়ে বড় একটি নৌকা নিয়ে চার জনের আমাদের ছোট্ট দলের ঘুরে বেড়ানো, বান্দরবানে রাত্রি কাটিয়ে পরদিন চারজন পুরো একটি জীপ রিজার্ভ করে শৈলপ্রপাত, চিম্বুক পাহাড়, পিক-সিক্সটিনাইন, স্বপ্নের নীলগিরি, জাদিপাই স্বর্ণ মন্দির দেখে শেষ বিকেলের আলোয় নীলাচলের উপরে তন্ময় হয়ে বসে থাকা শেষ আলোটুকু নিভে যাওয়ার আগ পর্যন্ত।

ঘটনার শুরু সপ্তাহ দুয়েক আগে। আমার এক্স কলিগ রুমি ভাই ফোন করে বললেন যে, সামনের ১৫-১৭ তারিখ তার ছুটি রয়েছে। তাই উনি এই ছুটিতে রাঙ্গামাটি ঘুরে আসতে চান। আমি যেন একটু খোঁজ খবর করে উনাকে ট্যুর প্ল্যান করে দেই। আমিও ঐ সময়টায় ফ্রি থাকাতে উনাকে বললাম যে, আমাকেও নিয়ে যান। যেই কথা, সেই কাজ। উনি আমাকে ট্যুর প্ল্যান করতে দায়িত্ব দিলেন। আমি এর ওর কাছে থেকে ইনফরমেশন নিচ্ছি কি কি দেখা যায়, কোথায় থাকা বেটার ইত্যাদি বিষয়ে। তো দিন দুয়েক পর রুমি ভাই ফোন করে জানালেন যে, উনি অবশ্যই ‘সাজেক ভ্যালী’ যেতে চান। খোঁজ নিয়ে জানা গেল ‘সাজেক ভ্যালী’ রাঙ্গামাটি জেলার অন্তর্গত হলেও যেতে হবে খাগড়াছড়ি দিয়ে। অভিজ্ঞ ট্রাকার তাহসিন মামাকে জিজ্ঞাসা করতে উনি একটি ভালো প্ল্যান দিলেন। বললেন আপনারা খাগড়াছড়ি হতে মারিশা হয়ে বোটে করে রাঙ্গামাটি চলে যান। আর মারিশা যাওয়ার আগের দিন ‘সাজেক ভ্যালী’ দেখে যাবেন।

প্রস্তাব পছন্দ হল, রুমিকে জানালাম; ঐদিকে উনি আরও দুইজন ম্যানেজ করে ফেলেছেন। আমরা মোট চারজনের দল। আমি খোঁজ নেয়া শুরু করলাম ‘সাজেক ভ্যালী’ যাওয়ার রাস্তা, সেখানে রাত্রি যাপন, মারিশা যাওয়া এবং রাত্রি যাপন, সেখান থেকে রাঙ্গামাটি যাওয়ার বোট ট্রিপ ইত্যাদি বিষয়ে। কিন্তু যাওয়ার দিন পর্যন্ত আমি কোন মনপুত তথ্য যোগাড় করতে পারলাম না। আমি আগে ঐ এলাকায় কখনো যাইনি। গত মাসে আমি এবং রুমি দুজনই ‘ভ্রমণ বাংলাদেশ’ এর সাথে সাঙরাই উৎসব দেখতে পহেলা বৈশাখ কাটিয়েছি খাগড়াছড়িতে, কিন্তু সেটা ছিল খাগড়াছড়ি শহরে। কি আর করা, আল্লাহর নাম নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। প্রচুর জার্নি করতে হবে ভেবে ‘সেন্টমার্টিন পরিবহণ’ এর ইকনোমিক ক্লাসের এসি বাসের টিকেট কাটলাম খাগড়াছড়ি পর্যন্ত। বুধবার রাত এগারোটার গাড়ীতে রওনা হলাম খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে।

পরদিন সকাল সাতটা নাগাদ আমরা পৌঁছলাম খাগড়াছড়ি শহরে। যতটুকু খোঁজ নিয়ে এসেছি এখান থেকে আমাদের ধরতে হবে শান্তি পরিবহণের গাড়ী। সাজেক গেলে পরে নামতে হবে বোয়ালছড়ি, আর মারিশা গেলে লংদু। নেমেই ছুট লাগালাম শান্তি পরিবহণের কাউণ্টারে। কিন্তু একি! সেখানে গিয়ে শুনি কোন সিট ফাঁকা নেই এবং আর কোন পেসেঞ্জারও তারা নিবে না, আর পরের গাড়ী কখন আসবে কিছুই বলল না। শুরুতেই পড়লাম মহা বিপদে। এদিক সেদিক খুঁজতে খুঁজতে দেখি কিছু ‘চান্দের গাড়ী’ দাঁড়িয়ে আছে কিছু দূরে। তাদের দিকে হাঁটা শুরু করলাম। সাজেক যেতে চাই, যাওয়া যাবে কি না? ভাড়া কত? ওমা! ভাড়া শুনে দমে গেলাম। পনের হাজার টাকা! কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করতে করতে একজন রাজী হল বার হাজার টাকায়। কিন্তু চারজন মানুষের পক্ষে বার হাজার টাকা অনেক। হতাশ হয়ে বসে পড়লাম, কি করা যায় ভেবে নেই।

হঠাৎ সামনে দিয়ে দেখি এক সিএনজি অটোরিকশা যেতে দেখে থামালাম। ড্রাইভার গাড়ী সাইড করতে তাকে বুঝিয়ে বললাম আমাদের সমস্যা আর সিএনজি অটোরিকশা করে যাওয়া যায় কি না তাও জিজ্ঞাসা করলাম। উনি বললেন ঐ রাস্তায় সহজে সিএনজি অটোরিকশা যায় না। তবে ভাল ইঞ্জিনের সিএনজি অটোরিকশা হলে এবং ভালো ড্রাইভার পেলে যাওয়া যাবে। উনাকে বলতে উনি বললেন উনার গাড়ী নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। উনাকে রিকোয়েস্ট করলাম একটা গাড়ী যোগাড় করে দিতে। উনি কয়েকজনকে ফোন করে যখন ব্যর্থ হলেন, তখন আমাদের উনার গাড়ীতে তুলে নিয়ে উনাদের স্ট্যান্ডে ছোট কামাল নামের এক ড্রাইভারকে নিয়ে আসলেন। বয়স বিশেকের এই ছেলেটি রাজী হল, ভাড়াও বেশী নয়, আমাদের নাগালেই। আমরা তার গাড়ীতে করে ছুটে চললাম সাজেকের উদ্দেশ্যে।

দীঘিনালা’র বোয়ালখালি এসে আমাদের সিএনজি অটোরিকশা থামলো। এটা মূলত একটা বাজার এলাকা। এখান থেকে সিএনজি অটোরিকশায় পর্যাপ্ত তেল ভরে নিল, আমরাও পার্শ্ববর্তী এক বাজারে গিয়ে মুখহাত ধুয়ে কিছু শুকনো খাবার কিনে নিলাম। প্রায় সত্তর কিলোমিটারের জার্নি শেষে স্বপ্নের ‘সাজেক ভ্যালী’। আপ ডাউন মিলে প্রায় দেড়শত কিলোমিটার। মিনিট বিশেকের বিরতি শেষে আমরা আবার ছুটে চললাম সাজেকের উদ্দেশ্যে। খাগড়াছড়ি শহর হতে ১৭ কিলোমিটার যাওয়ার পর ‘দীঘিনালা বনবিহার’ পার হলে রাস্তা দুদিকে গেছে। ডানের রাস্তা গেছে লংদু, যা সেখান হতে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার, এই লংদু হতেই আমাদের মারিশা যাওয়ার প্ল্যান। আর বামের রাস্তা বাঘাইছড়ি হয়ে চলে গেছে সাজেকের দিকে।

আঁকাবাঁকা সর্পিল পথ, পাহাড়ি ঢাল, কখনো প্রায় ষাট ডিগ্রি খাড়া ঢাল বেয়ে ছুটে চলল আমাদের এই যাত্রা, ছোট্ট একটি সিএনজি অটোরিকশা করে যার চালক বছর বিশেকের এক সদ্য যুবা। পথে তিন জায়গায় আমাদের রিপোর্ট করতে হল। প্রথমে বাঘাইহাট পুলিশ ক্যাম্পে, পরে বাঘাইছড়ি এবং মাসালাং রেঞ্জের আর্মি ক্যাম্পে। তিন জায়গাতেই আমাদের সবার পরিচয়, গাড়ী নাম্বার, ড্রাইভারের নাম, মোবাইল নাম্বার, আমাদের মোবাইল নাম্বার সহ কে কি করি, কোথায় থাকি, কেন এসেছি সব নোট করে রাখা হল। প্রথমে একটু অবাক হলেও পরে বাঘাইছড়ি রেঞ্জের দায়িত্বরত আর্মি অফিসারের কাছ থেকে ঘটনা জানলাম। সাজেকের এই পথেই কিছুদিন আগে ‘টেলিটক’র চার কর্মকর্তা অপহরণ হয়েছিলেন। এলাকাটা ভালো না, বছর দশেক আগেও এখানে আর্মি সাধারণ পর্যটকদের নাকি সহজে ঢুকতে দিত না। ekhoএখনো পর্যটকদের অনেক কড়াকড়ি বিধিনিষেধ রয়েছে।

যাই হোক আমরা উনার কাছ থেকে কিছু পরামর্শ পেলাম যা যে কোন পর্যটকের সাজেক ভ্যালী ভ্রমণে মেনে চলা উচিত। বাঘাইছড়ি পার হওয়ার আগেই আপনার প্রয়োজনীয় খাদ্য এবং পানীয় কিনে নিন। পথে কোন পাহাড়ি বাজার বা দোকানতো বটেই কোন বাড়ীতেও গাড়ী থামিয়ে খাদ্য বা পানি নিতে যাবেন না। হ্যাঁ, সকল পাহাড়ি লোকজন নিশ্চই খারাপ নয়, তবে সাবধান হতে দোষ কি? এটা আমার কথা নয়, দায়িত্বরত আর্মি অফিসারের কথা। দ্বিতীয়ত সন্ধ্যা হওয়ার আগেই ফেরত আসুন এবং ফেরার সময় প্রতিটি চেক পোষ্টে আপনার প্রত্যাবর্তন রিপোর্ট করুন। পাহাড়ে আদিবাসীদের জীবন-আচার, পোশাক ইত্যাদি নিয়ে কোন মন্তব্য বা ব্যঙ্গাত্মক হাসি দিবেন না। এমন কি অনেক জায়গায় সাধারণ হাসিও নয়! জী এমনটিই সত্য। সাজেক ভ্যালী’র পেছনে পাহাড়ের চুড়ায় রয়েছে ছোট্ট একটি গ্রাম, পাঁচ-সাতটি ঘর মাত্র। সেখানে দেখা মিলবে ‘টপলেস’ পোশাক পরিহিত উপজাতি জনগোষ্ঠী’র। আমাদের চেক পোষ্টেই এটা জানিয়ে দেয়া হয়েছিল। আর যদি কোন কারনে তাদের সাথে আপনার দেখা হয়েই যায় তবে আপনি নরমাল বিহেভ করেন। কোনমতেই হেসে দিবেন না, ওরা হাসিটাকে খুব খারাপ চোখে দেখবে, এবং উত্তেজিত হয়ে আপনার উপর আক্রমণাত্মক হতে পারে।

কিছু জায়গায় রাস্তা এত খাড়া ছিল যে, আমাদের সেই রাস্তাটুকু নেমে গিয়ে হেঁটে হেঁটে পার হতে হয়েছে, আর ড্রাইভার তার সিএনজি অটোরিকশা ফুল গিয়ার চেপে কোনমতে উঠে গিয়েছে। আমাদেরতো সিএনজি অটোরিকশা, আর্মি’র হেভি জীপগুলো পর্যন্ত উঠতে বেকায়দায় পড়তে দেখেছি। যাই হোক প্রায় ঘণ্টা তিনেকের চরাই-উৎরাই পেরিয়ে আমরা পৌঁছলাম স্বপ্নের ‘সাজেক ভ্যালী’তে। এখানে পৌঁছে শুধু একটি কথাই আপনার মুখ দিয়ে বের হবে, ‘ওয়াও!!!’ সেখানে গিয়ে ভালো একটা ক্যামেরা খুব মিস করেছি। আমার ক্ষুদ্র ক্যামেরায় যা পেয়েছি, তা নীচের ছবিতে দিয়ে গেলাম।

সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫০
২১টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×