somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আয়কর এবং এই সম্পর্কিত জানা কিছু বিষয় শখের বশে শেয়ার করা

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ ৩০শে সেপ্টেম্বর, প্রচলিত আয়কর আইন অনুযায়ী আজ ব্যাক্তি পর্যায়ে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার শেষ দিন। গতকাল রাতে আমার ছোট ভাই অফিস থেকে এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করল, ‘যে ন্যূনতম কর এর আওতায় আসেনা, তার কি আয়কর প্রত্যায়ন পত্র দরকার আছে?’। আমাদের দেশে প্রচলিত আইন সম্পর্কে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের স্বচ্ছ কোন ধারনা নাই। কিন্তু, একাডেমীক সিলেবাসের অধীনেই সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট এক্সামের সিলেবাসে মৌলিক এবং প্রয়োজনীয় কিছু আইন সংক্ষিপ্ত আকারে একত্রীভূত করে একটি বাধ্যতামূলক সাবজেক্ট চালু করা উচিত। ফলে একদিকে যেমন সাধারণ জনগণ হয়রানী থেকে বাঁচবে, অন্যদিকে আইন জানা থাকায় সদা সচেষ্ট থাকবে যাতে আইন ভঙ্গ করে সাজা’র ভাগীদার নাহ হতে হয়।

তো যেখানে ছিলাম, কথায় কথায় জানলাম, তার অফিসের এক কলিগ ক্রেডিট কার্ড করবে, তাই ব্যাংক তার কাছে টিআইএন (ট্যাক্স আইডেনণ্টিফিকেশন নাম্বার) সার্টিফিকেট চেয়েছে। কিন্তু তার বেতন এর হিসেবে সে আয়করে’র আওতায় পরে না। এখন সে টিআইএন সার্টিফিকেট কেন দিবে? ভালো কথা, আমার ভাইকে আমি বুঝিয়ে বললাম কেন দিতে হবে? অনেক জায়গায় কোন ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়ায় সাপোর্টিং কিছু ডকুমেন্ট দেয়া বাধ্যতামূলক থাকে। যেমন, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি’র সংযোগের ক্ষেত্রে হতে পারে জমি সংক্রান্ত কোন কাগজ, পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট। একইভাবে ব্যাংক তার ক্রেডিট কার্ড করারা জন্য রিকয়ারমেণ্ট রেখেছে টিআইএন সার্টিফিকেটের ফটোকপি দেয়া। এখন প্রশ্ন সে কি টিআইএন সার্টিফিকেট পেতে পারে? অবশ্যই পারে, এক্ষেত্রে তার কোন আয়কর দিতে হবে না, তবে এক্ষেত্রে তাকে ন্যূনতম ফি এক হাজার টাকা দিতে হবে তা অবশ্যই কিছু ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। তবে ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের মার্কেটিং এ যারা কাজ করে, তারা প্রায়ই নকল একটা টিআইএন সার্টিফিকেট টাকার বিনিময়ে করে ডকুমেন্টেশন এর ঝামেলা চুকিয়ে দেয়। এটা বেশীরভাগ তখন হয়, যখন কোন ক্লায়েন্ট, যার ক্রেডিট কার্ড করা হচ্ছে, নির্ধারিত আয়ের চেয়ে কম আয় করে থাকেন। কিন্তু এই নকল টিআইএন সার্টিফিকেট এর জন্য জরিমানা কিন্তু কঠিন। আয়কর আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা আর ধারাবাহিক ব্যাবহারে তিন বছরের কারাদণ্ডসহ সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা অথবা উভয়ের যে কোন একটি হতে পারে।

যাই হোক, কাজের কথায় আসি। আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে এবং স্টাডি’র দরুন জানা আয়কর নিয়ে কিছু মৌলিক তথ্য সামু বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে চাই। আসুন শুরু করা যাক (আমি কোন আয়কর এক্সপার্ট নই, জাস্ট কিছু জানা তথ্য শেয়ার করা)

• আমাদের রাজস্ব আয়ের একটা মূল খাত হল আয়কর।

• আয়কর জমা দেয়ার প্রথম ধাপ হল আপনার একটা আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। “আয়কর রিটার্ন” হল আপনার আয়-ব্যয় এর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন যা আপনাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর নির্দিষ্ট একটি ছকে পূরণ করে জমা দিতে হয়। আপনি ইচ্ছা করলে অনলাইনেও এই আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারেন। এই লিংক হতে Click This Link আয়কর রিটার্ন ফিলআপের নিয়মাবলী জানতে পারবেন। আর হ্যাঁ, আপনি এই লিংক Click This Link এই লিংক হতে টিআইএন ফরম ফিলআপের গাইডলাইন পেয়ে যাবেন। কতিপয় ব্যাক্তির জন্য আয়কর রিটার্ন জমা দেয়া বাধ্যতামূলক, এ সম্পর্কিত বিশদ পাবেন এই লিংকেঃ Income Tax at a Glance এখানে আয়কর সংক্রান্ত মোটামুটি প্রয়োজনীয় সব তথ্যই পাওয়া যাবে। আর এই ফাইলটি রাজস্ব বোর্ড এর নিজস্ব ওয়েবসাইটের।

• এখন আপনাকে একবারে প্রথমবার আপনার মোট সম্পদের একটা হিসেব দিতে হবে। পরবর্তী বছরগুলোতে আপনার মোট আয় হতে মোট ব্যয় বাদ দিয়ে যে সঞ্চয় থাকবে তা আগের সম্পদের সাথে জমা হবে। তাই প্রথমবার আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় অবশ্যই অভিজ্ঞ আয়কর আইনজীবী (ইনকাম ট্যাক্স প্র্যাকটিসনার)’র সাথে পরামর্শ করে আপনার বর্তমান সবধরনের সম্পদ আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করে নিন। নইলে পরবর্তীতে আপনাকে মহা হ্যাপা পোহাতে হবে এই সম্পদ অন্তর্ভুক্তির জন্য।

• আসুন আয় নিয়ে কথা বলি, হাজার হলেও আয়কর! আমাদের আয়কর আইনে আয়ের সাতটি খাত উল্লেখ রয়েছে। এগুলো হলঃ
* বেতন খাতে আয়
* সিকিউরিটির সুদ থেকে আয়
* গৃহসম্পত্তি খাতে আয়
* কৃষি খাতে আয়
* ব্যবসায় বা পেশা খাতে আয়
* মূলধনি লাভ
* অন্যান্য উৎস খাতে আয়

• আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার ফরম এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) এর ওয়েবসাইটে http://www.nbr-bd.org/incometax.html পাওয়া যাবে। আর গাইড লাইনতো আগেই লিংক দিলাম, সেটাও এই ওয়েব সাইটেই পাবেন।

• এখন আসেন আয়ের হিসেব করা নিয়ে কথা বলি। আপনি উপরের সাতটা খাত হতে প্রতি বছর কত টাকা আয় করলেন তার একটা হিসেব করতে হবে আপনাকে। বর্তমানে এটা আরও সহজ করে দিয়েছে রাজস্ব বোর্ড, অনলাইন ট্যাক্স ক্যালকুলেটর চালু করে। এই লিংক হতে Click This Link আপনি আপনার আয়ের তথ্য ইনপুট দিয়ে দিয়ে আপনার মোট আয়, করের আওতাধীন আয় (ট্যাক্সেবল ইনকাম) এবং প্রদেয় কর সম্পর্কে জেনে যাবেন নিমিষেই।

• আমাদের আয়কর হার কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশের চাইতে নমনীয়, বিশ্বাস না হলে খুঁজে দেখুন, এই অন্তঃজালে। তো বর্তমানে আমাদের আয়কর আইন অনুযায়ী আয়করের যে হার তা এরকম (ইংরেজিটাই তুলে দিলাম) উপরে দেয়া Income Tax at a Glance এই লিংকে পাবেন। উল্লেখ্য থাকে যে, প্রতি বছর বাজেটের সময় আয়কর আইনে কিছু পরিবর্তন, পরিমার্জন এবং সংশোধন হয়ে থাকে। ফলে আয়করের হার সহ আরও অনেক নিউমেরিক্যাল ফিগারে পরিবর্তন আসে। তাই, ফি বছর রাজস্ব বোর্ড পরিপত্র ইস্যু করে যা সেগুনবাগিচাস্থ রাজস্ব বোর্ড বা নীলক্ষেতে বইয়ের দোকানে কিতে পাওয়া যায়। আর এখন তো তাদের ওয়েবসাইটেই http://www.nbr-bd.org/IncomeTax/ সব তথ্য পেয়ে যাচ্ছেন।
মহিলা এবং ৬৫ বছরের উপরের সিনিয়র সিটিজেন ব্যাতিত ব্যাক্তি পর্যায়ে কর হারঃ

First 2,20,000/- Nil
Next 3,00,000/- 10%
Next 4,00,000/- 15%
Next 5,00,000/- 20%
Next 30,00,000/- 25%
Rest Amount 30%


মহিলা এবং ৬৫ বছরের উপরের সিনিয়র সিটিজেনদের জন্যঃ

First 2,75,000/- Nil
Next 3,00,000/- 10%
Next 4,00,000/- 15%
Next 5,00,000/- 20%
Next 30,00,000/- 25%
Rest Amount 30%

এছাড়া অবসরপ্রাপ্তদের জন্য কর শুন্য হবে ৩,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৪,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত। ও হ্যাঁ যারা বাংলাদেশের নাগরিক নয়, তাদের জন্য কিন্তু ৩০% হারে কর প্রযোজ্য।

• এখন একটা মজার বিষয়ে আসা যাক, তা হল আপনি যদি দেখেন আপনার প্রদেয় কর ২০০ টাকা বা এরকম বের হয়েছে, তখন কিন্তু আপনাকে একটা ন্যূনতম কর দিতে হবে। তার হার হলঃ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৩,০০০ টাকা, জেলা সদরে ২,০০০ টাকা এবং বাকী এলাকায় ১,০০০ টাকা। এলাকা বলতে আপনার টিআইএন যে এলাকার আওতায় নিবন্ধিত হয়েছে।

• এখন ব্যায়ের কথা বলা হয় নাই, আপনার আয় হতে আপনি ইচ্ছা মত ব্যয় করতে পারেন, কিন্তু রাজস্ব বোর্ড সব ব্যয় মেনে নিবে না। তাদের একটি গাইড লাইন আছে এই ব্যয় জন্য। আপনি যখন অনলাইন ক্যালকুলেটরে আপনার আয় ইনপুট করবেন সাথে সাথে ব্যয় বাবদ কতটাকা সেই খাত হতে মওকুফ পাবেন তা জেনে যাবেন।

• এখন আসুন কর দেয়ার উপায়। আমরা অনেক সময় “উৎসে কর কর্তন” এবং “অগ্রিম কর” এই দুটি শব্দ শুনে থাকি। এই দুটোই কিন্তু কর প্রদানের একটা মাধ্যম। আপনি যে যে ক্ষেত্রে উৎসে কর (টিডিএস) দিয়ে এসেছেন তা রিটার্নে উল্লেখ করে অবশিষ্ট টাকা পে-অর্ডার করে রাজস্ব বোর্ড বরাবর জমা দিবেন। আর অগ্রিম করের ব্যাপার হল, ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে আগের বছরের প্রদেয় করের হিসেব অনুযায়ী অথবা সম্ভাব্য একটা আয়ের হিসেব মোতাবেক অগ্রিম কর প্রদান করা। বছর শেষে তা এডজাস্ট হবে রিটার্ন জমা দেয়ার সময়।

• এখন কিন্তু অনলাইনেই আপনি রিটার্ন জমা দেয়া থেকে শুরু করে ই-টিআইএন সার্টিফিকেট পর্যন্ত পেয়ে যাচ্ছেন। আমি আর না প্যাচাই, একবার এনবিআর এর ওয়েবসাইটে ঢু মারুন, দেখবেন অনেক কিছুই বুঝতে পারছেন। এছাড়া নীলক্ষেত বা এরকম বইয়ের দোকানগুলোতে খোঁজ করলে আয়কর আইন ছাড়াও সহজ করে লেখা বিভিন্ন বই পাবেন যা হতে আপনি আয়কর সম্পর্কে একটা প্রাথমিক কিন্তু কার্যকর ধারনা পাবেন। আপনার প্রয়োজনেই আপনার আইন জানা দরকার।

এই বিষয়ে একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। আমার প্রথম চাকুরী’তে আমি কোম্পানির ভ্যাট এবং ট্যাক্স এর ব্যাপারগুলো দেখতাম। জয়েন করার পর ফাইল ঘেঁটে দেখি, আমাদের ইনকাম ট্যাক্স লইয়ার চার্জ নেয় বছরে এক লাখ টাকা, অথচ ঐ কোম্পানি ছিল ফুল এন্ড ফাইনাল সেটেলমেন্ট অফ ট্যাক্স এর আওতাধীন কোম্পানি। ও হ্যাঁ, ফুল এন্ড ফাইনাল সেটেলমেন্ট অফ ট্যাক্স হল রাজস্ব বোর্ড নির্ধারিত কিছু সেক্টরের কোম্পানির জন্য নির্ধারিত কিছু হারে কর প্রদান করা, যার পর তারা আর কোম্পানি’র প্রফিট/লস নিয়ে দেখবে না। এমনিতে কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রফিট/লস এর উপর ভিত্তি করে কর নির্ধারিত হয় বেশীরভাগ ক্ষেত্রে। তো আমি জয়েন করার পর এইটা জেনে, ঐ লইয়ারের সাথে দেখা করে বললাম এতো চার্জ করছেন কেন আপনার ফার্ম হতে আমাদের এই কোম্পানির জন্য? বলে, এটা আমাদের রেট, আর ট্যাক্স অনেক ঝামেলার ব্যাপার আপনি বুঝবেন না। আমি প্রথমে তাকে বললাম, বুঝিয়ে বলেন, বুঝবো না কেন? সে নানান প্যাঁচাল শুরু করলে যখন তাকে আয়কর আইনের নির্দিষ্ট ধারা বলে বলে জানালাম যে, এই কোম্পানির রিটার্ন সাবমিট থেকে শুরু করে টিআইএন সার্টিফিকেট পাওয়া পর্যন্ত কোন হ্যাপাতো নাইই, বরং একেবারে ছেলেখেলা। তো তুমি লাখ টাকা কেন নিচ্ছ? পরবর্তীতে আমার পরিচিত এক ফার্মে মাত্র ৩০,০০০ টাকা বার্ষিক রেটে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করি। কোম্পানির বাঁচল ৭০,০০০ টাকা, আমি কি পেলাম? টাই টাই ফিশ... ;)

কারো কোন সাধারণ জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্টে জিজ্ঞাসা করতে পারেন, চেষ্টা করবো উত্তর দিতে। আমি কোন ইনকাম ট্যাক্স প্র্যাকটিসনার নই, তারপরও যতটুকু জানি শেয়ার করব। ভালো থাকবনে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩
৩৩টি মন্তব্য ২৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×