somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রন্তু'র কালো আকাশ - ১১ (ধারাবাহিক)

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


"রন্তু'র কালো আকাশ" সব পর্ব

শায়লা ছেলের কথা শুনে খুব অবাক হল, রন্তু নিজের ভুল বুঝতে পেরে গুটিয়ে গেল। মনের ভেতরে কথা কথা খেলা খেলতে খেলতে কখনো জোরে কথা বলে ফেলেছে সে নিজেও টের পায় নাই। ইস... মা কি তাকে পাগল ভাববে? পাগল ছাড়া আর কে এমন উদ্ভটভাবে নিজের মনে কথা বলে? রন্তু মায়ের কোল হতে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ছাঁদের দিকে দৌড় লাগাল। শায়লা হতভম্ব হয়ে বসে রইল, রন্তু নিজে নিজে কথা বলে সে আগেও খেয়াল করেছে। বিড়বিড় করে কি যেন বলে, শায়লার মা বলে বাবার মত পাগল হবে, হাজার হলেও বাবার রক্ত শরীরে, বংশের দোষ। শায়লার এসব শুনতে ভালো লাগে না, রন্তুর জীবনে কোন অমানিশার ছায়া সে দেখতে চায় না। কিন্তু রন্তুর আজকের কথা শুনে শায়লা বুঝতে পারছে ছেলে মনে মনে তার বাবাকে মিস করে খুব। না না বাবাকে নয়, একটা পরিবার মিস করে... যেখানে শায়লা আছে, জাভেদ আছে, রন্তু আছে, আর আছে মিষ্টি সুখের এতোটুকু পরশ... এতটুকু নয়... এত্তগুলান। কিন্তু সেই স্বপ্নের জীবনতো সেই অতীতে শুরুর আগেই শেষ হয়ে হারিয়ে গেছে কালের গহবরে। আজ কোথায় সে, কোথায় জাভেদ। এর বেশী আর শায়লা ভেবে উঠতে পারল না। দুচোখ বেয়ে অশ্রুধারা’র সাথে ডুকরে কেঁদে উঠলো সে চারদেয়ালের মাঝে।


১১.
আজ বহুদিন পর রন্তু এই হোটেলে ঢুকলো, সেই শেষবার বাবা যখন রন্তুর সাথে দেখা করতে এলো তারও আগে রন্তু এসেছিল এই হোটেলে। সেই বৃষ্টিভেজা দিনে, বাবাকে খুঁজতে অবুঝ শিশুমন রন্তুকে টেনে এনেছিল এই হোটেলে। সেদিন বাবাকে খুঁজে না পেয়ে অশ্রুসজল চোখে রন্তু এই হোটেলে থেকে বের হয়ে গিয়েছিল তুমুল বর্ষণের মাঝে। কিন্তু আজ রন্তু একা একা এসেছে, বাবার খোঁজে নয়, তার জ্যামিতি বক্সের ভেতরে জমানো টাকা দিয়ে মিষ্টি কিনতে। আজ রন্তুর রেজাল্ট দিয়েছে, বরাবরের মত ভালো রেজাল্ট করেছে। রেজাল্ট দেয়ার পরপরই তার মনে হয়েছে মিষ্টি কেনার কথা। বড়দের রেজাল্ট দেয়ার পর দেখা যায় কত মিষ্টি কেনা হয়, রন্তু’র শখ তার রেজাল্টেও মিষ্টি কেনা হোক। ইস... আজকে যদি বাবাটা দেখা করতে আসতো? কতই না মজা হত।

‘কি খবর রন্তু মিয়া, হাতে মিষ্টির প্যাকেট কেন?’

‘তুমি জানো না বাবা আজ আমার রেজাল্ট দিয়েছে’

‘ও হ্যাঁ তাইতো। তো কি ফেল করা হয়েছে নিশ্চয়ই’

‘বাবা!... আমি কখনো ফেল করেছি?’

‘ও হ্যাঁ তাইতো, রন্তু মিয়া তো খুব ভালো ছেলে, সে কখনো ফেল করতেই পারে না।’

‘বাবা তোমাকে না বলেছি আমাকে রন্তু মিয়া বলে ডাকবে না। মিয়া আমার নাম নাকি? বাসার দারোয়ান রহিম মিয়া চাচা’কে ডাকতে ডাকতে তুমি এখন আমাকেও রন্তু মিয়া ডাকছ... যাও তোমার সাথে কথা বলবো না’

‘আচ্ছা ভুল হয়েছে, আর রন্তু মিয়া বলে ডাকবো না। এখন থেকে তোকে রন্তু শেখ বলে ডাকবো, ঠিক আছে?’

‘আমি কি আরবের লোক নাকি বাবা, আমাকে শেখ বলে ডাকবে?’

‘ওমা! তুই দেখি আরবের লোকদের খবরও রাখিস’

‘হুমম... আমাদের সাধারণ জ্ঞান বইয়ে আরও অনেক কিছুই পড়ানো হয়। আমি আরও অনেক খবরই রাখি, হুহ...’

‘এই রন্তু কিরে একা একা বিড়বিড় করে কার সাথে কথা বলছিস?’ রন্তুর ছোট মামা শিবলি রন্তুর কাঁধে হাত রাখল, রন্তু কখন একা একা কথা বলতে বলতে বাসার কাছাকাছি চলে এসেছে সে নিজেও খেয়াল করে নাই। বাসার আগের বড় রাস্তার মোড়ে এখন রন্তু’র সাথে ছোট মামার দেখা। রন্তু খুব লজ্জা পেল, ছোট মামাও তাকে একা একা কথা বলতে দেখে ফেলল। কয়েকদিন আগে রাতের বেলা মা’ও দেখেছে। ছিঃ কি লজ্জা, সবাই তাকে পাগল ভাববে। রন্তু নিজের কাজে নিজেই খুব লজ্জিত হল। কিন্তু এই কথা কথা খেলা খেলতে রন্তু’র যে খুব ভালো লাগে। এই কাল্পনিক কথার জগতে রন্তু তার বাবা-মা’র সাথে তার স্বপ্নের কাল্পনিক এক জগত সাজায়, সেই জগত যেখানে রন্তু আর তার বাবা-মা তাদের নিজেরদের বাড়িতে অনেক সুখে বসবাস করছে।

(পূর্ব ঘটনা প্রবাহঃ রন্তু, শায়লা আর জাভেদের একমাত্র সন্তান। জাভেদের সাথে শায়লার প্রনয় থেকে পরিণয়, পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে। কিন্তু বিয়ের পর শায়লা ধীরে ধীরে বুঝতে পারে জাভেদ ভয়ঙ্কর রকমের মানসিকভাবে অসুস্থ। এক সময় মানিয়ে নিতে না পেরে ছোট্ট শিশু রন্তুকে নিয়ে মায়ের বাসায় চলে আসে। তাদের মিউচুয়ালি ডিভোর্স হয়ে গেছে। মা-বাবার এই টানাপোড়নে শিশু রন্তুর মানসিক জগতের গল্প, সাথে তার নিত্যদিনকার প্যাচালি, এই হল এই গল্পের উপজীব্য। কয়েক মাস আগ পর্যন্ত জাভেদ রন্তুকে স্কুলের গেটে মাসে এক-দুইবার দেখা করতে আসতো, গত মাস দুয়েক আগে শেষবারের মত ছেলেকে দেখতে এসেছে। মানসিক সমস্যাগ্রস্থ জাভেদ পরিবার, আত্মীয় পরিজন হতে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে একাকী জীবন পথে হেঁটে চলেছে। অপর দিকে রন্তুর মা শায়লা এক প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরী করছে, যেখানে তার এক সিনিয়র পোস্টের সহকর্মী ইরফানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে যাচ্ছে প্রণয়ের দিকে। ইদানীং রন্তুর মাঝে একটি মানসিক সমস্যা দেখা যাচ্ছে, সে বাবা-মা সহ নিজেদের একটি পরিবার খুব মিস করে। আর সেই অপ্রাপ্তি থেকে সে নিজের মনে একা একা এক কাল্পনিক জগতে বিচরন করে। পিতামাতা’র সম্পর্কের এই টানাপোড়নের সাথে তার শিশু মনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া’য় কেমন চলছে আমাদের রন্তুর জগত তা জানার জন্য আসুন এবার আবার শুরু করা যাক)

রন্তু তার ছোট মামা শিবলির সঙ্গে একসাথে বাসায় ফিরল। নানু গেট খুলেই প্রশ্ন করল পাশ করেছিস? রন্তু’র মজা লাগলো। সে বরাবর ক্লাসে ফার্স্ট হয়ে আসছে, আর নানু সবসময় জিজ্ঞাসা করে পাশ করেছিস? নানু’র চিন্তা পাশ-ফেল নিয়ে, অন্য কিছুতেই নানুর কোন আগ্রহ নেই বুঝি। রন্তুর হাতে ছোট কাগজের প্যাকেট দেখে জিজ্ঞাসা করল, ‘এই ঠোঙায় কি?’। রন্তু নিচু স্বরে বলল, ‘মিষ্টি’। ‘ও... স্কুল থেকে দিয়েছে? বাহ ভালোই তো পাশ করলে মিষ্টিও দিচ্ছে ইদানীং স্কুলগুলো। ভালোই...’ রন্তু কিছু বলল না, নানুকে সত্যি কথা বললে নানু আবার বকাঝকা শুরু করে দিবে। তারচেয়ে আর কিছু না বলাই ভালো। রন্তু জামা-কাপড় ছাড়তে ভেতরের ঘরে চলে গেল।

রন্তু দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল, বিকেল বেলা তার ঘুম ভাঙল। ঘুম থেকে উঠেই তার মন হল, আচ্ছা মাকে তো রেজাল্ট জানানো হয় নাই। মা কি বাসায় এসেছে? রন্তুর খুব ক্ষুধা পেয়েছিল, তাই আজ দুপুরের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। সদ্য এই বিকেল বেলায় কিছু করার নেই রন্তুর। নতুন ক্লাসে উঠেছে, স্কুলে ভর্তি... নতুন বই কেনা... এগুলোর ঢের বাকী আছে। এখন এই ফাঁকা সময়ে রন্তুর কিছুই করার নেই। বিকেল বেলা ছাঁদে গিয়ে বসে রইল সে, ছোট মামা তার ঘরে নেই। ছোট মামা বলেছিল বিকেলে রন্তুর সাথে দাবা খেলবে, কিন্তু কোথায় গেল কে জানে?

রন্তুদের বাসার ছাদ থেকে পেছনের দিকের একটা মাঠ দেখা যায়, প্রায় দিনই রন্তু সেই মাঠের মাঝে ছেলেদের খেলা দেখে। এখন শীতকাল বলে ছেলের দল ক্রিকেট খেলছে, গরমের দিনে ফুটবল খেলতে দেখা যায়, চলে বর্ষা’র শেষ অবধি। এরপর একটু শীত শীত ভাব পড়লে শুরু হয় ক্রিকেট খেলার ধুম। ছোট্ট রন্তুর খুব ইচ্ছা হয় ঐ ছেলেপেলেদের সাথে মাঠে গিয়ে খেলতে, কিন্তু নানু বা মা কেউই তাতে সায় দেয় না। বলে আরও বড় হয়ে নাও, এখন ঐসব খেলায় যাওয়ার দরকার নেই। নানু বলে মজার করে, ‘ঐ ধামরা ধামরা ছেলেদের সাথে তুই খেলবি কি? তোকে এক কিক মেরে এই বাড়ীর ছাদে পাঠিয়ে দেবে’। রন্তু ছাদের রেলিঙ্গের দেয়ালে তার থুতনি রেখে খেলা দেখতে লাগলো।

শায়লা ছাদে উঠে দেখে রন্তু ছাদের রেলিঙ্গের দেয়ালে মাথা রেখে একমনে মাঠের দিকে চেয়ে আছে। দেখে বড়ই মায়া হল। ছেলেটা একা একা সারাদিন কাটায়, কোন খেলার সাথী নেই, নেই কথা বলার সাথী। শায়লার মা থাকে সংসারের কাজে ব্যস্ত, শায়লা অফিসে, শিবলির কলেজ না থাকলে যদি বাসায় থাকে তবে রন্তু ছোট মামা’র ঘরে গিয়ে সময় কাটায়। শিবলিও রন্তুকে খুব ভালোবাসে, খুব আদর করে, এইটুকু পিচ্চিটার সাথে দাবা খেলতে বসে পড়ে। মাঝে মাঝে ছুটির দিনে শায়লা ছাদে উঠে, এরকম বেশ কয়েকদিন সে আড়াল থেকে ওদের মামা-ভাগ্নের কথা শুনেছে। বড়দের মত কি রাশভারী কথাবার্তা এই পুচকেটার। শায়লার কলিজার টুকরা পুচকে সোনাটা।

শায়লা ধীর পায়ে রন্তুর কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। আস্তে করে নিজের বাম হাতটা রন্তুর কোঁকড়া চুলে বুলিয়ে দিল। রন্তু এতোটাই তন্ময় হয়ে খেলা দেখছিল যে কখন তার মা ছাদে এসেছে, কখন নীরবে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে টেরই পায় নাই। মায়ের হঠাৎ করে এই স্পর্শে সে ভীষণ রকমে চমকে গেছে। রন্তু হাসি মুখে মায়ের দিকে চেয়ে দেখল। মা ডান হাতে করে কতগুলো গ্যাসবেলুন ধরে আছে। রন্তু অবাক হল মা বেলুন নিয়ে ছাদে কেন? আজকে কি রন্তুর জন্মদিন? নে সেতো সামনের মাসে। তবে...

‘কি মা? বেলুন কেন?’

‘তোর জন্য নিয়ে এলাম... সুন্দর না?’

‘হুমম, সুন্দর। কিন্তু বেলুন দিয়ে আমি কি করব?’

‘এটাও একটা ভালো কথা। বেলুন দিয়ে কি করবি... এক কাজ করা যেতে পারে একটা একটা করে বেলুন ফুটিয়ে ফেল’

‘যাহ, শুধু শুধু বেলুন ফুটাতে যাব কেন? মা এগুলো কি গ্যাস বেলুন?’

‘হুমম, গ্যাস বেলুন। কেন?’

‘ওয়াও, তাহলে চল এইসব কটা বেলুন উড়িয়ে দেই।’

‘বেলুন উড়াতে মজা লাগে তোর?’

‘কি জানি কখনো উড়াই নি তো। মাঝে মাঝে আকাশে উড়ে যেতে দেখি। জানো মা কয়েকদিন আগে রাতের বেলা আগুন দেয়া গ্যাস বেলুন উড়েছিল আকাশে। ছোট মামা আর আমি দেখেছি। কি যেন নাম ছিল...’

‘ফানুশ... চল নীচে চল সন্ধ্যা হয়ে আসেছে।’

মায়ের সাথে ছাদ থেকে নামতে নামতে রন্তু দেখলো কে যেন আকাশে একটা লাল রঙের ঘুড়ি উড়িয়েছে। কেন জানি রন্তুর ঘুড়ি খুব ভালো লাগে, বিশেষ করে সুতো কাটা ঘুড়ি, যখন ছুটতে থাকে ঐ নীলাকাশে অজানা গন্তব্যের পাণে। আজকের এই গ্যাস বেলুনগুলোও ভালো লাগছে রন্তুর। তাহলে? গ্যাস বেলুন নাকি সুতোকাটা ঘুড়ি, কোনাটা বেশী ভালো লাগে তার? রন্তু নিজেও হয়ত জানে না, অথবা এভাবে ভাবে না। দুটোই বাঁধাহীনভাবে উড়ে যায় নীল দিগন্তপানে। কিন্তু দুটোই একসময় নেমে আসে পৃথিবীর বুকে। তবে গ্যাস বেলুন যতটা উপরে উঠে অবাক বিস্ময়ে পৃথিবীকে দেখার সুযোগ পায় সুতো কাটা ঘুড়ি কি ততটা পায়? কিন্তু রন্তু’র নিজেকে সুতো কাটা ঘুড়ি ভাবতে ভালো লাগে। একসময় সুতোর বাঁধনে নাটাইয়ের সাথে বাঁধা ছিল মায়াবী এক সম্পর্কের বাঁধনে, তারপর কোন এক ঝড়ে সম্পর্কের সুতো কেটে গিয়ে নীল আকাশের অজানা গন্তব্যে উড়াল দেয়া। পরিবার নামক নাটাইয়ের সাথে যে বাঁধনে রন্তু বাঁধা ছিল সেই বাঁধন ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে কি রন্তুও সুতো কাটা ঘুড়ি হয়ে ঘুরে বেড়াবে সমাজ নামক বিশাল আকাশে? সময়ই সব বলে দেবে...

['রন্তু'র কালো আকাশ' প্রথমে একটি এক পর্বের ছোট গল্প আকারে লিখেছিলাম। কিন্তু 'রন্তু' আমার খুব প্রিয় একটি চরিত্র বিধায় আমি সিদ্ধান্ত নিই ২৫ পর্বের একটি ধারাবাহিক আকারে উপন্যাস লিখবো (যদিও জানি সে যোগ্যতা আমার নেই, তারপরও অপচেষ্টা আরকি)। সেই থেকে এই লেখা। তবে প্রতিটি পর্ব আমি এমনভাবে লেখার চেষ্টা করছি যেন একেকটা পর্বই একটা ছোট গল্প হিসেবে পাঠক পড়তে পারে। গত জুলাই মাসে শেষ পর্ব-৪ লিখেছিলাম। এরপর অনেক লম্বা বিরতি পড়ে গেল। এরপর পর্ব-৫ সহ একসাথে পাঁচ পর্ব দিয়ে পোস্ট করলাম গত সেপ্টেম্বর মাসে; তারপর আরও দুটি পর্ব ৬ এবং৭ লিখে আবার লম্বা বিরতি পড়ল। এরপর পর্ব-৯ লিখে আবার দিলাম ডুব। এবার প্রমিজ করছি না, তবে চেষ্টা করব নিয়মিত লিখে যেতে। আসলে আমি নিজেই শিওর না কোন ধারাবাহিক গল্প লেখার যোগ্যতা আমার আছে কি না তা নিয়ে। আসলে আমি কোন গল্পকার নই, তারপরও নিজেকে গল্পকার হিসেবে ভাবতে ভালো লাগে। আর তাই মাঝে মাঝে গল্প লেখার এমন অপপ্রয়াস ঘটাই। এখন থেকে প্রতি সপ্তাহান্তে বিরতি দিয়ে এই ধারাবাহিক উপন্যাস হিসেবে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবো। একজন পাঠক হিসেবে আপনাদের পাশে পাবো এই আশা রাখি। রন্তু আমার খুব প্রিয় একটা চরিত্র, আর তাই আমি এই উপন্যাস শেষ করবোই, আর তা সম্ভবত ২৫ পর্বে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। ]
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×