somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রন্তুর কালো আকাশ - ১৩ (ধারাবাহিক)

০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


"রন্তু'র কালো আকাশ" সব পর্ব

বাতাসের শো শো শব্দে পুরো রিকশাটা কেঁপে কেঁপে উঠছে, বৃষ্টির ফোঁটা থেকে রক্ষা পেতে যে প্লাস্টিকের পর্দাটা দেয়া ছিল সেটা হাত ফস্কে ছুটে গিয়ে পতাকার মত পতপত করে উড়ছে। বৃষ্টিটা বিপরীত দিক থেকে আসছে বলে রন্তুর পুরো শরীর ভিজছে না, শুধুমাত্র কোমরের নীচের অংশে ঠাণ্ডা বৃষ্টির ফোঁটা তীরের মত বিঁধছে। গোদের উপর বিষ ফোঁড়ের মত হাতে থাকা খাবারের প্যাকেটটা সামলাতে হচ্ছে রন্তুকে। এই প্যাকেট সামলাতে গিয়েই হাত থেকে পর্দাটা ছুটে গেল। রিকশার হুডের সাথে আটকানো থাকায় তা উড়ে চলে না গিয়ে রিকশার সাথে পতপত করে উড়ছে পতাকার মত।

আজ রন্তুর জন্মদিন, তাই ছোট মামা শিবলী’র সাথে পুরাতন ঢাকার চকবাজারে এসেছে কিছু খাবার দাবার আর বেলুনসহ আরও কিসব কিনতে। মিষ্টি আর বিস্কিটের প্যাকেট রন্তুর হাতে ধরিয়ে দিয়ে মামা গেছে আগে থেকে অর্ডার করে রাখা কেকটা নিয়ে আসতে। বাসা থেকে বের হওয়ার পরপরই ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। তাই ছোট মামা রিকশা ছেড়ে না দিয়ে বেশী ভাড়ার বিনিময়ে রেখে দিয়েছিল রিকশাওয়ালাকে। ছোট মামা এই হালকা বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সব দোকান থেকে সবকিছু কিনছিল আর এনে রন্তুর হাতে ধরিয়ে দিচ্ছিল। একবারের জন্যও রন্তুকে রিকশা হতে নামতে হয় নাই। কিন্তু ছোট মামা কেক আনতে যাওয়ার পরপরই শুরু হলে তুমুল বৃষ্টি সাথে প্রচণ্ড বাতাস। রিকশাওয়ালা রন্তুকে বসিয়ে পাশের একটা দোকানের ঝাঁপের নীচে চলে গেল আশ্রয় নিতে। এখন রন্তু বসে বসে একা একা ভিজতে লাগলো।

(পূর্ব ঘটনা প্রবাহঃ রন্তু, শায়লা আর জাভেদের একমাত্র সন্তান। জাভেদের সাথে শায়লার প্রনয় থেকে পরিণয়, পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে। কিন্তু বিয়ের পর শায়লা ধীরে ধীরে বুঝতে পারে জাভেদ ভয়ঙ্কর রকমের মানসিকভাবে অসুস্থ। এক সময় মানিয়ে নিতে না পেরে ছোট্ট শিশু রন্তুকে নিয়ে মায়ের বাসায় চলে আসে। তাদের মিউচুয়ালি ডিভোর্স হয়ে গেছে। মা-বাবার এই টানাপোড়নে শিশু রন্তুর মানসিক জগতের গল্প, সাথে তার নিত্যদিনকার প্যাচালি, এই হল এই গল্পের উপজীব্য। কয়েক মাস আগ পর্যন্ত জাভেদ রন্তুকে স্কুলের গেটে মাসে এক-দুইবার দেখা করতে আসতো, গত মাস দুয়েক আগে শেষবারের মত ছেলেকে দেখতে এসেছে। মানসিক সমস্যাগ্রস্থ জাভেদ পরিবার, আত্মীয় পরিজন হতে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে একাকী জীবন পথে হেঁটে চলেছে। অপর দিকে রন্তুর মা শায়লা এক প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরী করছে, যেখানে তার এক সিনিয়র পোস্টের সহকর্মী ইরফানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে যাচ্ছে প্রণয়ের দিকে। ইদানীং রন্তুর মাঝে একটি মানসিক সমস্যা দেখা যাচ্ছে, সে বাবা-মা সহ নিজেদের একটি পরিবার খুব মিস করে। আর সেই অপ্রাপ্তি থেকে সে নিজের মনে একা একা এক কাল্পনিক জগতে বিচরন করে। পিতামাতা’র সম্পর্কের এই টানাপোড়নের সাথে তার শিশু মনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া’য় কেমন চলছে আমাদের রন্তুর জগত তা জানার জন্য আসুন এবার আবার শুরু করা যাক)

শিবলী হাতে কেক নিয়ে কিংকর্তব্যবিমুর হয়ে দাঁড়িয়ে রইল, কাগজের বক্সে ভরা জন্মদিনের কেক নিয়ে কোন মতেই এই তুমুল বৃষ্টিকে ফাঁকি দিয়ে রিকশা পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব নয়। সাথে ছাতাও নেই, আর ছাতা থাকলেও কোন লাভ হতে বলে মনে হয় না। উফ... বৃষ্টি হওয়ার আর সময় পেল না। রন্তুকে একা রিকশায় বসিয়ে রেখে এসেছে, তাই চিন্তা আরও বেশী। বৃষ্টিতে ভিজে গেল কিনা কে জানে? ছেলেটার আবার ঠাণ্ডার ধাত আছে, অল্পতেই সর্দিজ্বর বাঁধিয়ে বসে। তারউপর হাতে ধরিয়ে দিয়ে এসেছে খাবারের প্যাকেটগুলো।

প্রায় মিনিট দশকে ঝরার পর বৃষ্টি একেবারে থেমে গেল। শিবলী দ্রুত রিকশার দিকে হাঁটতে লাগলো হাতে কেক নিয়ে। আকাশে এখনো অনেক মেঘ রয়েছে, কালো মেঘ ভেদ করে মাঝে মাঝে বিজলী চমকাচ্ছে। রিকশার কাছে এসে দেখে রন্তু প্রায় ভেজা শরীরে রিকশায় বসে আছে। কিন্তু কোন এক দুর্ভেদ্য উপায়ে খাবারের প্যাকেটগুলো শুকনো আছে।

‘কিরে একেবারে যে ভিজে কাক হয়ে গেলি? পর্দা ছিল কই?’

‘পর্দা পতাকা হয়ে উড়ছিল’ ফিক করে হেসে উত্তর দিল রন্তু। তার সাথে সাথে রিকশাওয়ালাও হাসছে। যেন খুবই আনন্দের কোন খবর দিচ্ছে।

‘হাসি বের হবে একটু পরে, সর্দিজ্বর নিয়ে আবার বিছানায় থাকবি আর নানুর দেয়া দুধ পাউরুটি খাবি’ রন্তুকে খ্যাপানোর জন্য শিবলী কথাগুলো বলতে বলতে রিকশায় উঠে বসল। দুধ পাউরুটির কথা শুনতেই রন্তু মুখ কুচকে ফেলল। এই অপছন্দের খাবারটি প্রতিবার জ্বর এলেই নানু তাকে জোর করে খাইয়ে ছাড়বে।

ছোট মামা উঠে বসতে রিকশাওয়ালা রিকশা চালাতে শুরু করল। কেক কেনার ফাঁকে ছোট মামা আরও অনেক কিছু কিনে ফেলেছে। হাতে অনেকগুলো আরও ছোট ছোট প্যাকেট ভর্তি ব্যাগ। ঝিরঝির ঠাণ্ডা বাতাস বইছে, কেমন একটা অদ্ভুত পরিস্কার চারিপাশ। রন্তু খেয়াল করে দেখেছে প্রতিবার বৃষ্টি শেষে চারিপাশ কেমন অদ্ভুত রকমের সুন্দর হয়ে যায়। মনে হয়ে টেলিভিশনে দেখা কোন সিনেমার দৃশ্য, কেন এমনটা মনে হয় রন্তু জানে না। কিন্তু প্রতিবার বৃষ্টি শেষে সে দৌড়ে ছাঁদে চলে যায়, অজানা কোন এক সুন্দরের টানে।

আধভেজা শরীরে রন্তু শিবলীর সাথে বাসায় ঢুকলো, নানু গেট খুলেই শুরু করল চেঁচামেচি। আজ কিন্তু রন্তুর সাথে নয়, চেঁচাচ্ছে ছোট মামার সাথে। আজ রন্তুর জন্মদিন আর এই দিনে ছেলেটাকে নিয়ে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজিয়ে আনায় নানু আচ্ছামত বকা দিচ্ছে ছোট মামাকে। রন্তু কোন কথা না বলে ভেজা জামাকাপড় ছাড়তে ভেতরে চলে গেল।

রন্তুর মা রন্তুর জন্য আজ স্পেশাল চিকেন ফ্রাই ভাঁজছে। রন্তু খুব পছন্দ করে চিকেন ফ্রাই। ছেলেটার পছন্দের তালিকা খুবই ছোট। খাবার দাবারে তেমন কিছু আগ্রহ দেখা যায় না, শুধুমাত্র এই চিকেন ফ্রাইটাই তার খুব পছন্দ। যখনই তাকে নিয়ে বাইরে গেছে চিকেন ফ্রাই আর আইসক্রিম এই দুটো পেলেই সে খুশী। তেমন কোন খেলনা বা অন্য কিছু কখনো চায় না। অবশ্য ছেলেটা যে ধরেনের চাপা স্বভাবের আর এই ছোট বয়সেই অনেক বেশী পরিণত, তাতে করে কোন কিছু পছন্দের থাকলেও কখনো মুখ ফুটে বলবে না। রন্তু জামা পাল্টে রান্না ঘরের দাওয়ায় এসে দাঁড়ালো। মা মুরগীগুলোকে মেরিনেট করছে, রাতে খাবারের আগে গরম গরম ভেঁজে দেবে। রন্তুর চাহনী দেখে শায়লা বুঝলো ছেলের লোভ হচ্ছে চিকেন ফ্রাই এর জন্য, কখন খাবে এই চিন্তায় সে অধীর।

‘কিরে? লোভ হচ্ছে?’

‘হুম’

‘কাঁচা খাবি একটা? দেব?’

‘ইয়াক...’

‘ইয়াক কেন? এই জিনিষতো তেলে ভেঁজে দিলে ঠিকই গপাগপ খাবি’

‘তুমি খাও কাঁচা চিকেন’

রন্তু ছাঁদের দিকে পা বাড়ালো, আকাশে মেঘের দল সরে গিয়ে সূর্য উঁকি দিয়েছে। রন্তু ছাঁদের রেলিঙ্গে হেলান দিয়ে চারিপাশ দেখতে লাগলো। আজ রন্তু সাত বছর পূর্ণ করেছে, সে যে কবে বড় হবে? ছোট মামার মত বড়, তার আলাদা একটা ঘর থাকবে, ঠিক ছোট মামার ঘরের মত। সেই ঘর জুড়ে থাকবে রন্তুর নানান শখের জিনিষপত্রে ঠাসা। মা মাঝে মাঝে তার ঘরে ছুটে আসবে এটা সেটা খাবার নিয়ে, কখনো চা নিয়ে। সিগারেট... ইয়াক ছিঃ... ছোট মামাটা লুকিয়ে লুকিয়ে সিগারেট খায়, রন্তু দেখেছে। রন্তু কখনো সিগারেট খাবে না বড় হয়ে, বিশ্রী গন্ধওয়ালা এই জিনিশ মানুষ খায় কিভাবে?

আচ্ছা বাবা কি সিগারেট খায়? রন্তুর জানা নেই... মাকে জিজ্ঞাসা করতে হবে। বাবাও মাঝে মাঝে তার রুমে এসে সিগারেট খেতে পারে... সে নিষেধ করবে না। বাবা গম্ভীর হয়ে সিগারেট খাচ্ছে রন্তু যেন চোখে দেখতে পেল। ঠিক তখনই রন্তুর মনে পড়ল, বাবা এখন আর তাদের সাথে থাকে না। সেই কবে বাবা তাকে অগ্রিম জন্মদিনের গিফট কিনে দিয়ে চলে গেল, আর আসে নাই স্কুল গেটে দেখা করতে।

বাবার জন্মদিনের সেই গিফটের কথা মনে হতেই রন্তু নীচে নেমে আসল। মায়ের কাছ থেকে চেয়ে বাইনোকুলারটা নিতে নীচে নামা, বাবা মাস দুয়েক আগে এই বাইনোকুলারটা তাকে জন্মদিনে অগ্রিম গিফট হিসেবে দিয়ে গেছে। এই বৃষ্টি শেষের চারিপাশটা বাইনোকুলারে দেখতে কেমন লাগবে ভাবতে ভাবতে রন্তু আবার মা’র কাছে গেল।

মা ঘর গুছাচ্ছে, একটু পর ছোট মামা বেলুন দিয়ে ঘর সাজাবে। মা’র পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে রইল, কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। এর আগে বাবা’র দেয়া ঘড়িটার কথা বলায় একবার মা খুব বিরক্ত হয়েছিল। এখন বাইনোকুলারটা চাইলে মা না আবার রাগ করে।

‘কিরে? কিছু বলবি?’

‘হুম’

‘কি? বলে ফেল? জ্বর বাঁধিয়েছিস? দেখি এদিকে আয়...’ বলে শায়লা ছেলের কপালে হাত ছোঁয়াল, নাহ জ্বর আসে নাই।

‘কি বলবি বলে ফেল?’

‘মা... বাইনোকুলার...’

‘বাইনোকুলার? কিসের বাইনোকুলার?’

‘ঐ যে, বাবা দিল...’

‘ও...’ বলে শায়লা আলমারির উপরের তাক থেকে প্যাকেটটা নামিয়ে ছেলের হাতে দিল। রন্তু দেখল মা’র মুখ গম্ভীর হয়ে গেছে। রন্তু প্যাকেট হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে রইল। মা রাগ করেছে রন্তু এখন বাবা’র দেয়া গিফটের বাইনোকুলারটা চাওয়ায়। রন্তু শায়লার দিকে প্যাকেটটা বাড়িয়ে দিয়ে মাথা নিচু করে বলল,

‘মা, প্যাকেটটা রেখে দাও।’

‘ওমা কেন?’

‘এমনি...’

‘এইমাত্র চাইলি, এখনই আবার ফেরত দিচ্ছিস... সমস্যা কি?’

‘না... ভেবেছিলাম ছোট মামা’র সাথে ছাঁদে গিয়ে বাইনোকুলার দিয়ে চারপাশটা দেখব। কিন্তু ছোট মামাইতো এখন ঘর সাজাবে বেলুন দিয়ে। তাই...’

শায়লা ছেলের হাত থেকে প্যাকেট নিয়ে আবার আগের জায়গায় রেখে দিল। ছেলেটা বাবার মায়া কাটাতে পারছে না, তার মনে বাবার জন্য বিশাল একটা অংশ রয়ে গেছে। জাভেদ যদি তা বুঝত... ছেলের দিকে চেয়ে সে নিজেকে বদলাতে পারত, তা সে করে নাই। তার নিজের ইগো, একরোখা স্বভাবের জন্য আজ শায়লা আর রন্তু থেকে সে কত দূরে। নিজের মানসিক সমস্যাকে জাভেদ কখনো স্বীকার করে নাই, স্বীকার করে চিকিৎসা করালে সব মানসিক রোগেরই সমাধান আছে। কিন্তু তার আগে যার রোগ তাকে বুঝতে হবে সে মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত। কিন্তু জাভেদ তা কখনোই মনে করে নাই। যদিও এখন তার মানসিক সমস্যা সারল কি না তা নিয়ে শায়লা মোটেও চিন্তিত নয়। কিন্তু এক সময় যাকে ভালোবেসেছে, সংসার করেছে, সেই মানুষটি’র এতটুকু কল্যাণতো সে কামনা করতেই পারে।

শায়লা সবসময় চিন্তিত রন্তুকে নিয়ে। ছেলেটা মনে মনে বাবা-মা নিয়ে একটা পরিবার খুব মিস করে তা শায়লা এখন বুঝতে পারে। চাপা স্বভাবের বলে সে কাউকে কিছু বলে না, কিন্তু শায়লা মা হিসেবে তা বুঝতে পারে। কিন্তু সে কি করবে? জীবন যে মাঝে মাঝে খবু বেশী নির্মম। তাইতো আজ রন্তু আর সে জাভেদ হতে অনেক দূরে, একই শহরে থেকেও যোজন যোজন মাইল দূরে যেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১:৫১
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×