somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আর ন যাইতাম হাম ও হাম... (হামহাম ঝর্ণা)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এর পর অনেক দিনের আখাঙ্খিত হাম্মাম এর উদ্দেশ্যে রাওনা দিলাম আর ভালোই ভালোই ঝরনাই পোঁছে, ঝরনার পানিতে ভিজে ফেরার পথে ছিলাম , তখনি হঠাত করে দেখি আকাশ কালো হতে শুরু করলো, আর কিছুক্ষনের ভেতর আকাশ থেকে হালকা একটু বৃষ্টি পড়ে গেলো , কিন্তু বজ্রপাত ঘটে যেতে থাকলো। হামহামের রাস্তা একটু বৃষ্টি পরলে অনেক পিছলা হয়ে যায় , আর আমরা সেই পিছলা রাস্তা ধরে অনেক কস্টে আগাই যাচ্ছিলাম । আমি ছিলাম সবার সামনে , আর গাইড এর হাত ধরে ধিরে ধিরে আগাচ্ছিলাম । আমাদের বাকি সদস্য ঠিক পেছেনেই ছিলো আমাদের । আর হালকা বৃষ্টি পড়াতে ঐ যায়গা তে আমাদের হাটার রাস্তা বরাবর পানি চলার একটা রাস্তাও তৈরি হয়ে গেছে । এর মধ্যে আমরা আগাচ্ছি, আমি গাইড এর হাত ধরে, আর ঐদিকে গাইউ সেই দা এক হাতে নিয়ে অন্য হাতে আমাকে ধরে আগাচ্ছে, আর পেছনে বাকি সদস্যরা । এমন সময় আমার কেমন জানি মনে হচ্ছিলো , ইলেক্ট্রিক শক খাওয়ার feel করতেছিলাম, but আমি বেপারটাকে মালুম করলাম না । এমন সময় কি মনে করে গাইড সেই দা কে ছুড়ে মারলো, আর সাথে সাথেই আমার থেকে মাত্র এক হাত দূরেই ঐ দা তে (দা তা লোহার ছিলো ভাই !!!!) আকাশ থেকে বিশাল এক বাজ/ ঠাডা/ বজ্রপাত এসে পরলো । কিছু বুঝে ঊঠার আগেই দেখি আমাদের গাইড লাফ মেরে পাশের খাদে পড়ে গেছে , আমি মাটিতে লূটাই পড়ে থেকে যা দেখলাম তা হলো ঐ দা তা , ঐ যে আগেই বললাম একটা পানির স্রোত যাচ্ছিলো , সেই স্রোত এ গিয়ে পড়ছে আর সাথে সাথেই ঐ বিজলি চোখের পলকে সেই পানির স্রোত ধরে ক্ষনিকের ভেতরতেই আগায় গেলো সেই দিকে যেদিকে আমাদের গ্রুপ এর বাকি সদস্যরা আছেন । এর পরে ভয়াবহ আওয়াজ আর ঝলকানি দিয়ে ঐ বাজ উধাও হয়ে গেলো, কিন্তু মনের ভেতর একটা অজানা আতঙ্খ রেখে গেলো, হে ইশ্বর, আমার গ্রুপ এর বাকিদের কি অবস্থা !!! আমি তখনি শেষ , ভাবছিলাম তাঁরা হয়তো আর ............ । যায় হোক , একটু পড়ে দেখি তারাও ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে আমাদের দিকে আস্তেছে । পড়ে শুনলাম , ঐ বাজ নাকি চোখের পলকে তাদের খুব কাছে এসে হঠাত মাটির ভেতরে ঢুকে পড়ে বিশাল ঝলকানি দিয়ে তাদের প্রায় অন্ধ করে দিছে , আর তাদের ঠিক পাশেই থাকা কড়ই গাছকে একেবারে ছ্যাব্লা করে দিয়ে গেছে । ঐ কড়ই গাছ যদি না থাকতো , তাইলে আজকে অন্য কাহিনি হতো ।

এর পরে যখন কি হলো , এক মুহূর্তের ভেতর তা বুজতে পারলাম , তখনি বুজে গেছে এই পথে আরো যদি আগায় যায়, তাহলে আরো ভয়ঙ্কর বিপদ সামনে আছে । তাই হাম্মাম যাওয়ার পথে রাস্তার পাশের যে খাদ আর ঐ খাদে এ থাকা ঝোপ ঝার এ যেনো আমরা না পরে যায়, সব সময় সেই চিন্তায় রেখে হেটে যেতে হয়, আর ভাগ্যের নির্মম মজাই আমাদের সেই ঝোপের ভেতরি আমরা ঝাপ মারতে হলো বলতে গেলে । আর প্রায় দেড় ঘন্টার মতো পাহারের খাদে , ঝোপ ঝার ধরে , পিছলা খেতে খেতে নেমে, আর কোন রকমে বুকে-হাটুতে ভর দিয়ে উঠে কেমনে কেমনে যে ঐ আজাব যায়গা আমরা পার করছি, তা কেবল আমরা আরা আমাদের সৃষ্টিকর্তা জানেন । আর তখনো সমান তালে আমরা যে রাস্তা ছেড়ে জঙ্গলের ঝোপের ভেতর ঢুকলাম, সেই রাস্তায় একের পর এক বাজ পড়ে যাচ্ছে । পড়ে শুনলাম, ঐ পাহারের নাম নাকি "মোকামটিলা" , আর অইখানে নাকি নিয়মিত বাজ পড়ে !!!! এমনকি আপনি যদি ঐ রাস্তায় যান, অনেক বাজ পড়ে পূড়ে যাওয়া গাছ আপনাদের চোখে পড়বে।

ভয় পাবেন না, লেখাটি আমার নয়; গত রমজানের আগে মৌলভীবাজারের বিখ্যাত ঝর্ণা হামহাম দেখতে যাওয়ার দুদিন আগে উপরের লেখাটি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্র্যাভেলীং ফেসবুক গ্রুপে পড়ে আমি তো টেনশনে পড়ে গেলাম। আর মাত্র দুদিন পর যাচ্ছি যেখানে, সেখানটা এমন ভয়াবহ হলে যাওয়া যাবে না। উপরের ঘটনা কিন্তু আমার যাত্রার মাত্র তিনদিন আগে। আমি দিলাম ফোন, আমাদের ট্যুর লিডার, ব্লগার তাহসিন মামা’কে। সবশুনে উনি হেসে বললেন, ভাই চিন্তার কিছু নাই, হাজার হাজার মানুষ যাচ্ছে। উনার কথায় ভরসা পেলাম। যাত্রার দিন রাতে যথাসময়ে সবাই হাজির ফকিরাপুল বাস কাউণ্টারে। বিশ জনের দল রওনা হয়ে গেলাম মৌলভীবাজারের উদ্দেশ্যে, আলো ফোঁটার আগে আগে পৌঁছে গেলাম মৌলভীবাজার। সেখানে আগে থেকে হোটেল বুক করে রাখা অন্য তিন ভ্রমণ সঙ্গীর একজনকে ফোন দিলে সে চাবি নিয়ে নীচে নেমে এল। আমরা সবাই হোটেলে ঢুঁকে অল্প সময়ের জন্য একটু ঘুমিয়ে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। কিন্তু যথারীতি আমার চোখের ঘুম ধরা দিল না। কিছুক্ষণ বৃথা চেষ্টা করে আমি রুম থেকে বের হয়ে রিসিপশনের সামনে পেতে রাখা চেয়ারে এসে বসলাম। উপরের তলা’র রুম হতে কিছুক্ষণ পর তাহসিন আর রুমি ভাই নেমে এলে তাদের সাথে হোটেলের বাইরে রাস্তায় এলাম একটু হাঁটাহাঁটি করতে, সাথে সকালের নাস্তার অর্ডার করে সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করার জন্য। মৌলভীবাজার হতে অটোরিকশা কিংবা চান্দের গাড়ী টাইপের জীপ গাড়ী ভাড়া করে যেতে পারবেন। গাড়ী যাবে কলাবন পাড়া পর্যন্ত, এখান থেকে পায়ে হেঁটে যেতে হবে ঝর্ণা অভিমুখে। পাঁচটা সিএনজি ভাড়া করে আমরা চলে এলাম হোটেলে, সবার নাস্তা করা শেষ হলে পরে আমাদের যাত্রা হল শুরু।





আসুন দেখে নেই হামহাম ঝর্ণা সম্পর্কে উইকি কি বলেঃ হামহাম ঝর্ণাঃ হাম হাম কিংবা হামহাম বা চিতা ঝর্ণা,বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গভীরে কুরমা বন বিট এলাকায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাত বা ঝরণা। জলপ্রপাতটি ২০১০ খ্রিস্টাব্দের শেষাংশে পর্যটন গাইড শ্যামল দেববর্মার সাথে দুর্গম জঙ্গলে ঘোরা একদল পর্যটক আবিষ্কার করেন বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়। দুর্গম গভীর জঙ্গলে এই ঝরণাটি ১৩৫ মতান্তরে ১৪৭ কিংবা ১৬০ ফুট উঁচু,যেখানে বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু ঝরণা হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃত মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের উচ্চতা ১৬২ ফুট। তবে ঝরণার উচ্চতা বিষয়ে কোনো প্রতিষ্ঠিত কিংবা পরীক্ষিত মত নেই, সবই পর্যটকদের অনুমান। তবে গবেষকরা মত প্রকাশ করেন যে,এর ব্যপ্তি, মাধবকুণ্ডের ব্যাপ্তির প্রায় তিনগুণ বড়। যাত্রাপথের কষ্ট উপেক্ষা করে দিন দিন পর্যটকদের উপস্থিতি দিনদিন বেড়েই চলেছে এই ঝর্ণার পাণে। (তথ্যসূত্রঃ https://bn.wikipedia.org/wiki/)

যাত্রার শুরুতে তো বুঝি নাই কি আছে কপালে? এতো ভোগান্তি ভাগ্যে আছে জানলে কখনো রাজী হতাম না ঐ ঝর্ণা দেখতে যেতে :(( । যাই হোক, কলাবন পাড়া পৌঁছে সবাই পাঁচ টাকা করে দরে একটা করে শক্তপোক্ত বাঁশের লাঠি সংগ্রহ করে রওনা হলাম। ঘণ্টাখানেক হাঁটতে হবে এমন একটা ধারণা নিয়ে হাঁটা শুরু করলাম। এরপর শুর হল পাহাড় (পাহাড় না বলে টিলা বলা ভাল) ডিঙ্গানো। সেই যাত্রা যেন অনন্তকাল ধরে চলতে লাগলো। সেদিন তাপমাত্রা ছিল খুব বেশী, আর এতোটুকু বাতাস পর্যন্ত ছিল না। দরদর করে ঘামছি, প্রথম এক ঘণ্টায় সাথে থাকা পানির ভাণ্ডার শুন্য। আমি আর পলাশ ভাই, দুজনে মিলে ওজনে ডবল সেঞ্চুরি করে ফেলি। আমার সেঞ্চুরির জন্য যে অল্প পরিমাণ ঘাটতি থাকে তা পলাশ ভাইয়ের স্কোর দিয়ে পুষিয়ে যায়। আমরা দুজন পিছিয়ে পড়ছিলাম, একসময় পুরোপুরি দল থেকে বিচ্ছিন্ন। আমাদের সাথে ছিল দলনেতা তাহসিন মামা, আর একটা কাপল; বাকী সবাইকে নিয়ে আমাদের গাইড এগিয়ে গেছে অনেকদূর। একটা সময় প্রতি দুই মিনিট পরপর বিশত্রিশ কদম পাহাড়ে চলে হাঁপিয়ে মাটিতে বসে পড়ছিলাম আমি আর পলাশ ভাই। আমাদের সেই দুরাবস্থায় তাহসিন সান্ত্বনার নানান গল্প শোনাচ্ছিল, ভরসা দিচ্ছিল আর বলছিল, এইতো আর একটু বাকী।





এমন করে করে আমরা প্রায় ঘণ্টাদুয়েকের বেশী সময় পেরুনোর পর পেলাম ঝিরিপথের দেখা। আরও প্রায় আধঘণ্টার বেশী সময় পরে তিনঘণ্টার যাত্রা শেষে পেলাম হামহাম ঝর্ণার দেখা। ঝর্ণার শীতল পানিতে সকল ক্লান্তি ধুয়ে গেল। মজার ব্যাপার হল আমরা সবাই ড্রাই ফুড আর পানি নিয়ে রওনা হয়েছিলাম। আমারগুলো ছিল একটা ছোট ব্যাকপ্যাকে, কিন্তু যাত্রার শুরুতে আরও দুইজন তাদেরগুলো আমার ব্যাগে ভরে দিয়েছিল। তো শুরুতেই যখন রুমি ভাই দেখেছিল আমার হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে, উনি আমার ব্যাকপ্যাক নিজে বহন করছিলেন। উনি ছিলেন আমাদের অগ্রবর্তী দলে, যারা একঘণ্টা আগেই ঝর্ণায় পৌঁছেছে। ফলে, আমার ব্যাগের পানির বোতল সব খালি :( । শেষে আমি একটা বোতলে ঝর্ণার ঘোলাটে শীতল জল ভরে নিয়ে এক নিঃশ্বাসে প্রায় এক লিটার শেষ করে দিলাম। অগ্রবর্তী দল তখন ঝর্ণার চূড়ায়, আর আমি নীচে বসে তাদের তামাশা দেখছি। এরপর কিছুক্ষণ জিরিয়ে নিয়ে নেমে পড়লাম জলকেলিতে।







ঘণ্টা খানেক শীতল জল দেহমন শীতল করে সবাই ফিরতি পথে যাত্রা শুরু করলাম। এবার পথ ছিল ঝিরিপথ ধরে, যে পথে পাহাড় ডিঙ্গাতে হবে কম। শুনে একটু ভরসা পেলাম। আমি যখনই এমন কোন যন্ত্রণাদায়ক অবস্থায় পড়ে যাই, নিজেকে একটি কথা বলে সান্ত্বনা দেই, “এই পথ একদিন শেষ হবে, এই ছুটে চলা একসময় শেষ হবে, আরেকটু কষ্ট কর। কয়েক ঘণ্টা পরই তুমি থাকবে বিছানায়”। এই প্রবোধ দিয়ে নিজেই নিজেকে বয়ে নিয়ে চলি। এবারের যাত্রায়ও ছিল সেই সান্ত্বনা, তার সাথে গত বছরের বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সিঁড়িপথ দিয়ে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে চড়ার স্মৃতি। যাই হোক প্রথম ঘণ্টাখানেক বেশ আয়েশ করেই পথ চললাম। এরপর শুরু হল যন্ত্রণা, জায়গায় জায়গায় পানি বেশী থাকায় একটু পরপর টিলায় উঠতে হচ্ছে, আবার মিনিট দুয়েক পর নেমে গিয়ে ঝিরিপথ ধরে এগিয়ে যাওয়া। কোথাও কোথাও ঝিরির পাশের টিলার কিনারা ঘেঁষে পিচ্ছিল সরু পথে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু পথ যেন শেষ হয় না, এবারো যথারীতি অগ্রগামী দলের থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন হলাম। এবার আমাকে আর পলাশ ভাইকে সঙ্গ দিতে আরও দুজন জুটল। এক সময় পাড়ি দিতে হল সেই বিখ্যাত “মোকাম টিলা”, যার ভয়াবহ বিবরণ দিয়ে এই লেখার শুরু হয়েছিল। জোঁকের ভয়ে ভয়ে সেই টিলা পেড়িয়ে যাচ্ছিলাম, এই সময় কে সামনের কে যেন চিৎকার দিয়ে উঠলো, সাথে সাথে আরও অনেক। একসময় আমি নিজেও! ঘটনা হল, আমাদের গাইড চলার পথের লতাপাতা দা দিয়ে কেটে কেটে এগুচ্ছিল, যেন গাছে থাকা কোন জোঁক আমাদের গায়ে উঠতে না পারে। তো, একটা ঝোপের আড়ালে থাকা মৌচাকে দা দিয়ে কোপ বসিয়ে দিল। আর যায় কোথায়, কারো গালে, কারো চোখে, কারো ঠোঁটে, কারো কানে... হুলের পর হুল। আমায় দিল কনুইয়ে :P সবারভাগে কয়েকটা করে পড়লেও আমি পেয়েছিলাম মাত্র একটাই ;)





একসময় দুপুর গড়িয়ে বিকেল, এবং বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামব নামব সময়ে ফিরে এলাম সেই কলাবন পাড়ায়। আমার ধারণা আমরা পথ ভুল করেছিলাম, কিন্তু গাইড বলল, না ঠিক পথেই এসেছি। কিন্তু এতো সময় লাগলো! প্রায় সাড়ে তিনঘণ্টা!! পা দুটো যেন আর আমার সাথে ছিল না, কোন মতে সিএনজি’তে এসে বসলাম। প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের যাত্রা শেষে হোটেলে ফিরে পা দুটো আর চলছিল না। অনেক কষ্টে সিঁড়ি বেয়ে হোটেলের রুমে গিয়ে বিছানায় দেহ এলিয়ে দিলাম। হোটেল এসে এক এক করে আবিস্কার হচ্ছিল জোঁক। পলাশ ভাই গোসল করার জন্য শার্ট খুলতে দেখি উনার বুকে একটা জোঁক সুন্দর মুখ লুকিয়ে আছে, বুকের ভালবাসার রক্তে সে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। একটা ছেলের থাইয়ে বসিয়েছিল সেইরকম কামড়, ব্লিডিং আর কমে না যেন। তাকে নিয়ে ফার্মেসীতে গেলে ওখানকার লোকেরা একটা কাপড় পুড়িয়ে সেই ছাই দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিল।





রাতের খাওয়া কুটুমবাড়ি রেস্তোরায় সেরে অপেক্ষা করতে লাগলাম ফেরার গাড়ির জন্য, টিকেট পেয়েছি রাত একটার গাড়ির। দীর্ঘ দুই ঘণ্টার অপেক্ষা শেষে চড়ে বসলাম গাড়িতে, ঢাকার উদ্দেশ্যে ফিরতি পথে।এই ভ্রমণ শেষে একটা কথাই বলতে চাই, Cost-Benefit এফেক্ট এর কথা। হামহাম ঝর্ণা দেখতে যে পরিমাণ পেইন আর টাইম গেল, তার তুলনায় ঝর্ণাটাকে তেমন আহামরি লাগে নাই। পানির প্রবাহ কিন্তু ভালই ছিল, কারণ আগের কয়েকদিন খুব বৃষ্টি হয়েছিল সেখানে। তারপরও মনে হয়েছে কষ্টটা অনেক বেশী ছিল। তাই যারা আমার মত শখের ভ্রমণকারী, তারা হামহাম ঝর্ণা দেখতে যাওয়ার আগে দুবার ভেবে দেখবেন।

ফটো কার্টেসিঃ এই ট্যুরের ভ্রমণসাথীগণ (আমার সাথে ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও বাসায় এসে দেখি উহা ছবিশূন্য!!! আমি তো আমাকে সামলাতেই শেষ, ছবি তুলব কখন? ;) :-B )



সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৭
১৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×